রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

তথ্যপ্রযুক্তির সাফল্য

কর্মসংস্থানে রাখছে ইতিবাচক ভূমিকা

আজকের যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। একবিংশ শতাব্দীতে কোন জাতি কতটুকু এগিয়ে থাকবে তা অনেকাংশে তথ্যপ্রযুক্তিতে সংশ্লিষ্ট জাতির অগ্রসরতার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তথ্যপ্রযুক্তির দৌড়ে বাংলাদেশ শামিল হয়েছে অন্যান্য জাতির চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতে। নব্বইয়ের দশকে বিনামূল্যে সাবমেরিন কেবল স্থাপনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের মেধাহীন সিদ্ধান্তে সে সুযোগ প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় সাবমেরিন ক্যাবল বসানো হয়। বাংলাদেশ যুক্ত হয় তথ্যপ্রযুক্তির আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে। গত এক যুগে তথ্যপ্রযুক্তিতে দৃষ্টিকাড়া সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মহাকাশে বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। দেশের বেসরকারি টেলিভিশনগুলো নিজ দেশের বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালাচ্ছে নিজেদের সম্প্রচার কার্যক্রম। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ চলছে দেশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা বাঁচিয়ে এখন আয়ও করছে। গ্লোবাল সফটওয়্যার ও অ্যাপ মার্কেটেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। চলতি বছরের মধ্যে এ খাত থেকে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং-ব্যবস্থার ধরন পাল্টে দিয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিং-সেবা ব্যাংককে নিয়ে গেছে ঘরে ঘরে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ সাইটে নিজেদের পেজ তৈরি করে ব্যবসা চালাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের লাখ লাখ উদ্যোক্তা। দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সুবিধায় বড় বাজার তৈরি করেছে ই-কমার্স খাতও। অন্যদিকে দাফতরিক কাজেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন নাগরিকরা। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, জমির পর্চাসহ অনেক সেবা এখন মিলছে অনলাইনে। তবে এ সাফল্যে আত্মপ্রসাদে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। এ খাতে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এর ফলে লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমন দেশ অর্জন করবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর