বুধবার, ১২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

পবিত্র ঈদুল ফিতর

উৎসব ভাগাভাগি করে নিতে হবে

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। ৯০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশে এটি জাতীয় উৎসবেরও দাবিদার। এ উৎসবে শরিক হয় সব সম্প্রদায়ের মানুষ। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঈদুল ফিতর হলো সিয়াম সাধকদের জন্য মহান আল্লাহর পুরস্কার। ঈদুল ফিতরের আনন্দ বিশেষভাবে আসে তাদের জন্যই যারা মাহে রমজানে আত্মশুদ্ধির শিক্ষায় নিজেদের আলোকিত করেন। রমজানে সিয়াম সাধনা করে শাওয়াল মাসের সূচনায় রোজা ভঙ্গ ও ঈদের জামাতে হাজির হওয়াই হলো ইসলামী পরিভাষায় ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের সকালে বিশ্বাসী মানুষ ছুটে যায় ঈদের জামাতে। ঈদের নামাজ শেষে তারা একে-অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে। মোমিনদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি করে ঈদগাহের এ মিলনমেলা। মানুষ উৎসবী পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন মনমানসিকতা দিয়ে একে-অন্যের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পবিত্র জীবনযাপন করবে আল্লাহ তেমনটিই চান। এ উৎসবে সমাজের ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সব বিশ্বাসী মানুষ যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য রয়েছে আল্লাহর সুস্পষ্ট বিধান। এজন্যই সদকাতুল ফিতর আদায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রমজানের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা মানুষকে যেমন ত্যাগের শিক্ষা দেয়, তেমন ঈদ উৎসবকে ধনী-নির্ধন নির্বিশেষে আত্মীয়স্বজন-প্রতিবেশীদের মধ্যে ভাগাভাগির তাগিদ দেয়। গত বছরেরর মতো এ বছরও ঈদ এসেছে করোনাকালে। মহামারীতে মরছে মানুষ। লকডাউন থাকায় ক্ষুধার আগ্রাসন বাড়ছে ক্রমাগত। এবারও আমরা সবাই সমাজের গরিব-দুঃখী মানুষের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে ঐশী নির্দেশনার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করব। লকডাউনে দূরপাল্লার যাতায়াত বন্ধ থাকলেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালনের জন্য এ বছরও ঢাকা ছেড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। অন্যান্য মহানগরী থেকেও কর্মজীবীদের এক বড় অংশ ঈদ পালনের জন্য ফিরেছেন নিজেদের গ্রাম বা মহল্লায় নাড়ির টানে। লকডাউনকালে সরকারের পক্ষ থেকে জীবন ঝুঁকিতে ফেলে কেউ যাতে ঢাকা না ছাড়ে তেমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কান্ডজ্ঞানহীনতা যাদের জীবনের অনুষঙ্গ তাদের কাছে এ পরামর্শ কোনো আবেদন রাখতে পারেনি। তার পরও আমরা আশা করব তাদের সবাই সুস্থভাবে কর্মস্থলে ফিরে আসবে। ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজে ও স্বজনদের ঝুঁকিমুক্ত রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর