শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ মে, ২০২১

রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

১৯৯১-এর নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় এলো বিএনপি। অপ্রত্যাশিতভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। তখন তারুণ্যে টগবগে ‘আজকের কাগজ’ সবে যাত্রা করেছে। আমরা সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে দিন-রাত একাকার করে কাজ করি। এরশাদের বিচার, সংসদ, সচিবালয়। আমাদের ক্লান্তি নেই। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের নতুন ক্ষেত্র যুক্ত হলো শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। ’৯১-এর নির্বাচনের পর স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের বাড়বাড়ন্ত। মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে। এ সময় যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম প্রকাশ্যে এলো। এত দিন গোলাম আযম জামায়াতের অঘোষিত আমির ছিল। ভারপ্রাপ্ত আমির দিয়ে দল চালানো হতো। ’৯১-এর নির্বাচনের পর জামায়াত আর লুকোচুরি খেলতে চাইল না। আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম আযমকে সংগঠনটির আমির ঘোষণা করল। গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী। ’৭১-এ জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী। গোলাম আযম ’৭১-এর গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের থিঙ্কট্যাঙ্ক। কাজেই তাকে আমির ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব মানুষ। এ সময় গোলাম আযমকে গ্রেফতার এবং বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। খুব দ্রুতই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা শহীদজননীর আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন। জাতীয় সংসদে গোলাম আযমের বিচার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব আনল আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজকের কাগজের বিপ্লব শেষে আমরা সবাই তখন ভোরের কাগজে। চারদিকে খবর, ঘুমানোর সময় নেই। খবর এলো বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে গ্রেফতার করতে পারে। বন্ধু নঈম নিজামের সচিবালয় ভালো চেনাজানা। আমি এরশাদের মামলা, সংসদ কভার করি। নঈম নিজাম সচিবালয়, সংসদ আর আওয়ামী লীগ। নঈম নিজাম আমাকে বলল, আইনমন্ত্রীর কাছে ফাইল আছে। আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব রাজেক ভাই। রংপুরের লোক, আমার পরিচিত। আমি আর নঈম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। মির্জা গোলাম হাফিজ আইনমন্ত্রী। বিএনপির প্রবীণতম নেতাদের একজন। অসুস্থতার জন্য ’৯১-এর নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই সংশয় ছিল। তাঁর পঞ্চগড়ের আসনটি ছিল আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত। মির্জা গোলাম হাফিজ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন অদ্ভুতভাবে। একটি খাটিয়ায় শুয়ে তিনি ভোট চাইতে গেলেন বাড়ি বাড়ি। সবাইকে বললেন, ‘সিরাজই তো তোমাদের এমপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সিরাজই এখানে সব করবে। আমি শুধু এমপি হিসেবে মরতে চাই। এজন্য এবার আমাকে ভোট দাও।’ ব্যস, বিপুল জনপ্রিয় অ্যাডভোকেট সিরাজ ওই নির্বাচনে হেরে গেলেন। যেমন হেরে গেলেন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। তো নির্বাচনে জয়ী হয়ে মির্জা গোলাম হাফিজকে স্পিকার না করে করা হলো আইনমন্ত্রী। মন্ত্রী হয়েই যেন নতুন যৌবন পেলেন। চাঙা হয়ে গেলেন। মির্জা গোলাম হাফিজ ভালো অভিনয় করতে পারতেন। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে না শোনার ভান করতেন। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে না চাইলে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করতেন। তো আমি আর নঈম নিজাম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। আমাদের দুজনকে মন্ত্রী ভালো করেই চিনতেন। তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। রুমে বসে ফাইল দেখছেন। নঈম ফিসফিস করে বলল, এই যে গোলাম আযমের ফাইল। মির্জা গোলাম হাফিজ খুব ফল পছন্দ করতেন। অফিসে সারাক্ষণ ফল রাখতেন। অতিথি এলে ফল এগিয়ে দিতেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, স্যার গোলাম আযমকে কি গ্রেফতার করবেন? সেই পুরনো অভিনয়, যেন শোনেননি। বললেন আঙুর খাও। ভালো। নঈম নিজাম সুযোগটা নিল, আঙুর নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা শুরু করল। কোন দেশের আঙুর কেমন এ নিয়ে নঈমের জ্ঞান দেখে আমিই তো ভিরমি খাওয়ার দশায়, তাহলে প্রবীণ মির্জা হাফিজের কী হবে। আঙুরের গল্পে মশগুল মন্ত্রীর চোখের আড়ালে আমি গোলাম আযমের ফাইলটা হাতিয়ে নিলাম। নঈম কথার স্পিড বাড়িয়ে দিল। আসছি বলে অতি গোপনীয় ফাইলের ওপরের কাগজ নিয়ে আমি মন্ত্রীর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। রাজেক ভাইকে বললাম, আদেশসংক্রান্ত অংশটা ফটোকপি করে দিন। মূল বিষয়টা ছিল আইন মন্ত্রণালয় ফরেনার্স অ্যাক্টে গোলাম আযমকে নিরাপত্তার কারণে গ্রেফতারের সুপারিশ করে। কাগজটা ফটোকপি করার পর আবার মন্ত্রীর রুমে ঢুকলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এবার মন্ত্রী উঠলেন বাথরুমে যাবেন বলে। নঈম নিজাম তখন ভুটানের আঙুর সম্পর্কে মন্ত্রীকে জ্ঞান দিচ্ছে। মন্ত্রী বাথরুমে যেতেই আমি ফাইলে ‘অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি’ যথাস্থানে রেখে দিলাম।

১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের ঘটনা থেকে, ৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ওইদিন আমার অবস্থাও রোজিনার মতো হতে পারত। ১৭ মে রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখলাম আমাকে আর নঈম নিজামকে আইন মন্ত্রণালয়ে বেঁধে রেখেছে। বাংলাদেশে যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে তারা মোটামুটি চুরিবিদ্যায় পারদর্শী। কারণ রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিধিব্যবস্থা এমন যে এখানে চাইলেও বৈধ পন্থায় কোনো তথ্য পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর এবং প্রায় অসম্ভব। এর চেয়ে ফাইল থেকে কাগজ সরিয়ে নেওয়াই সহজ কৌশল। এখন ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন কাজটা সহজ করে দিয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা চান খবরটা বের হোক, তার স্বার্থে কিংবা দেশের স্বার্থে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গোপন নথির খবর তিনিই সাংবাদিককে দেন। শুধু মির্জা গোলাম হাফিজের ফাইল চুরির ঘটনা নয়, বিএনপি আমলে এ রকম বহু নথি চুরি করে চাঞ্চল্যকর এক্সক্লুসিভ করেছি আমরা। দেশের ক্ষতির জন্য নয় দেশের মঙ্গলের জন্য। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ে এ রকম গোপন ফাইলের ছবি তুলেও সোর্সরা দেন। সাংবাদিকতায় এ ‘চুরি’ বৈধ। নৈতিকতার বিচারে ন্যায্য।

সচিবালয়ে দুই ধরনের সাংবাদিক যান। এক ধরনের সাংবাদিক যারা তথ্যের সন্ধানে ঘোরেন। অন্য ধরনের সাংবাদিক যারা তদবিরে যান। মজার ব্যাপার হলো, তদবিরে যাওয়া সাংবাদিকরা সচিবালয়ে কদর বেশি পান, তথ্য সংগ্রহকারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা সাংবাদিকসমাজে এবং সচিবালয়ে ওপেন সিক্রেট। আমাদের ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ যুগে সচিবালয় বিটের সাংবাদিক ছিলেন শাহনেওয়াজ ভাই। সচিবালয়ে পিয়ন থেকে বড় কর্তা সবার সঙ্গে তাঁর এক গোপন সখ্য ছিল। তখন আমাদের নিউজ এডিটর ছিলেন আহমেদ ফারুক হাসান। শাহনেওয়াজ ভাই প্রতিদিন একগাদা কাগজ নিয়ে আসতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন না কোন কাগজটা রিপোর্ট হওয়ার যোগ্য। কাগজগুলো তিনি ফারুক ভাইকে দিতেন। ফারুক ভাই বলে দিতেন কোনটা দিয়ে কী রকম রিপোর্ট হতো। মাঝেমধ্যে ফারুক ভাই আমাদের ডেকে দেখাতেন বিস্ফোরক সব নথি। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক অতি গোপনীয় চিঠিতে ওই বাসায় সংস্কারের তালিকা এবং বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। সে চিঠি নিয়ে শাহনেওয়াজ ভাই ঘুরছেন। মোখলেছ ভাই (মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, পরে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রেস সচিব) তখন আজকের কাগজে আমাদের কলিগ। এই কাগজ দেখে তো খেপে উঠলেন। মোখলেছ ভাই তখন তোতলাতেন। ভেঙে ভেঙে শাহনেওয়াজ ভাইকে বললেন, ‘আপনি জানেন এটা রাষ্ট্রের গোপন দলিল। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আপনার জেল হবে।’ এ জীবনে প্রথম ওই আইনের নাম শুনেছিলাম। এবার রোজিনাকে ওই আইনে গ্রেফতার দেখলাম। শাহনেওয়াজ ভাই বেচারা সহজ সরল মানুষ, বেজায় ভয় পেলেন। নঈম নিজাম আর আমিনুর রহমান তাজ (আজকের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার) শাহনেওয়াজ ভাইকে জেলে গেলে কী করতে হবে না হবে তা বোঝাচ্ছিলেন। জিগাতলায় আজকের কাগজে হাসির ফোয়ারা। সচিবালয় থেকে গোপন ফাইলের তথ্য চুরি, একটি স্বাভাবিক অবৈধ প্রক্রিয়া। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। একসময় সচিবালয় সাংবাদিকতা মানেই ছিল কাশেম হুমায়ুন। আমরা তাকে ‘কাশু কাকা’ বলে ডাকতাম। সচিবালয়ের অলিগলি তাঁর চেনা। সচিবরা প্রায় তাঁর ইয়ার দোস্ত। মাঝেমধ্যে পকেট থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অতি গোপনীয় কাগজ বের করে দেখাতেন। সংসদে কাজের ফাঁকে এসব কাগজ দেখে প্রথমে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতাম, পরে দেখেছি এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই কাগজ, গোপন নথি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ঘটল তা বিস্ময়কর। ঘটনাটা তুচ্ছ, প্রতিদিন সচিবালয়ে এ রকম ঘটনা ঘটে অহরহ। এটা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে কান্ড করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এ রকম নিরীহ কাজের জন্য একজন সংবাদকর্মীকে জেলে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য। পুরো ঘটনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, রোজিনা যে নথি ‘চুরি’ করেছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলার চেষ্টা করছেন তা এখন বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কর্তাদের হাতে হাতে। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো বিস্ফোরক দলিল নেই যা প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যা বলেছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনার সময় তাঁর দফতরে বা সচিবালয়ে ছিলেন না। তাই ঘটনার সহজ মীমাংসা তিনি করতে পারতেন। বলতে পারতেন ‘বিষয়টা আমি দেখছি’। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোজিনাও কাগজ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি এটা অন্যায় তাও স্বীকার করেছেন। এজন্য তিনি মুচলেকা দিতেও রাজি ছিলেন। রোজিনাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থানই দৃঢ় হতো। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এ ইস্যু নিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছেন। এরা কারা খুঁজে দেখা জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের প্রকোপ বেড়েছে। এরাই লকডাউনের নামে তামাশার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরাই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং আদেশ দিয়ে সরকারকে বিব্রত করে।

এই অতি উৎসাহীরা আসলে সরকারের ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। এই অতি উৎসাহীরা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নানা কাজ করছে- এমন অভিযোগ আজকাল কান পাতলেই শোনা যায়। না হলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা বেতন পান তারা এত বেপরোয়া হবেন কেন? রোজিনাকে লাঞ্ছিত করার পরও এর মীমাংসা হতে পারত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অর্বাচীন এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরদিন (১৮ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই নির্যাতনের পক্ষে যে ‘খামচি’তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন, তাতে এ বছরের সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কারটা তাঁকে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন অতি উৎসাহে এ ছোট্ট ঘটনাটি এত দূর গড়িয়েছে। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিষয়টি স্রেফ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেনি। এ ঘটনার একক দায়দায়িত্ব বিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এবং মন্ত্রণালয়ের। তাই এ ঘটনার পর যারা তিলকে তাল বানিয়ে হুলুস্থুল করার চেষ্টা করছেন, তারাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন কি না খুঁজে দেখা দরকার। বাংলাদেশে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যে কোনো ইস্যুতে অমার্জিত দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন। দেশে যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে যে কোনো বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে জড়িয়ে ফেলেন তাদের মূর্খতার জন্য করুণা হয়। রোজিনা গ্রেফতার হওয়ার পর দেখলাম এক সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি একটি চ্যানেলে টকশোয় বলছে দুর্নীতির তথ্য ওই ফাইলে ছিল, এজন্যই নাকি রোজিনার ওপর এ আক্রোশ। আমি জানি না তিনি কখনো রিপোর্টিং করেছেন কি না। ফাইলে কখনো দুর্নীতির তথ্য থাকে না। ফাইলে শুধু তথ্য থাকে। একজন রিপোর্টারকে ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় দুর্নীতি হয়েছে কি না। যেমন ফাইলে থাকবে স্পুটনিক টিকার ক্রয়মূল্য। রিপোর্টারকে ওই টিকার আন্তর্জাতিক মূল্য যাচাই করে দেখতে হবে। আরও তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে হবে অনিয়ম হয়েছে কি না। এরা সাংবাদিকতাকে এত হালকা আর খেলো করেন কেন? রোজিনার ইস্যুকে কেউ কেউ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একজন সম্পাদক লিখেছেন, ‘এটা নাকি সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার শামিল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন টকশোর কথা বাদই দিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কিছু বাচাল যেন বাংলাদেশেরই টুঁটি চেপে ধরছে। কারও কারও লেখা এবং কথা শুনলে মনে হয় এরা ভিনদেশ থেকে এসেছে। রোজিনাই প্রথম এ রকম নিগ্রহের শিকার। বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে সাংবাদিকরা কমবেশি নিগৃহীত হয়েছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন জরুরি, তেমন রাষ্ট্রীয় আইন ও কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগও জরুরি। এখন দেখছি অনেকে বলছেন, ১৯২৩ সালের আইন এখনো কীভাবে আছে? এ প্রশ্ন তাদের আগে আসেনি কেন? কেন একজন সাংবাদিক বৈধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবে তথ্য পাবেন না। কেন তাকে অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে। রোজিনার ঘটনা একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু রোজিনাকে যেন দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। সুযোগসন্ধানী কিছু গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে যারা মেঘ হলে বলে এটা সরকারের দোষ, বৃষ্টি হলে বলে সরকারের ব্যর্থতা। এ গোষ্ঠীও রোজিনা ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। এদের হাতে দেশ তো নয়ই, স্বাধীন সাংবাদিকতাও নিরাপদ নয়। রোজিনা ইস্যুটি একটি অনাকাক্সিক্ষত পেশাগত ঝুঁকি। সব পেশায় এ ঝুঁকি থাকে। একটি পেশাগত চ্যালেঞ্জকে নিয়ে অন্য উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা হলে তা হবে রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নির্যাতন। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন যেন না হয়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোনায় ধানকাটার মেশিনে কাটা পড়ে শিশুর মৃত্যু

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ায় ১৭৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

২৭ মিনিট আগে | পরবাস

নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা
নওগাঁয় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মীসভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে শুক্রবার যে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ থাকবে না

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
রাজবাড়ীতে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির
চা শ্রমিকদের দুর্দশার কথা শুনলেন খন্দকার মুক্তাদির

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক
তারেক রহমানের হাতে দেশ কখনো পথ হারাবে না: মনিরুল হক

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল
তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে : মীর হেলাল

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিল্পখাতের নিরাপত্তা চর্চা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর
ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি দল: গয়েশ্বর

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথ রুদ্ধ করবে : রিজভী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি
শহীদ জিয়ার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: তৃপ্তি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব
খিলগাঁওতে মাইক্লোর শোরুম উদ্বোধন করলেন হাবিব

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান
নাশকতায় নির্বাচন বন্ধ হবে না : আমানউল্লাহ আমান

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন
২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা শহর লন্ডন

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে কাল, জেনে নিন নতুন নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা
মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের জন্মদিনে দোয়া ও আলোচনা সভা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক
এস এ গ্রুপের সঙ্গে করপোরেট চুক্তি করল বাংলালিংক

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট
বেলজিয়ামে নিষিদ্ধ হচ্ছে ই-সিগারেট

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক