শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ মে, ২০২১

রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

১৯৯১-এর নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় এলো বিএনপি। অপ্রত্যাশিতভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। তখন তারুণ্যে টগবগে ‘আজকের কাগজ’ সবে যাত্রা করেছে। আমরা সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে দিন-রাত একাকার করে কাজ করি। এরশাদের বিচার, সংসদ, সচিবালয়। আমাদের ক্লান্তি নেই। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের নতুন ক্ষেত্র যুক্ত হলো শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। ’৯১-এর নির্বাচনের পর স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের বাড়বাড়ন্ত। মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে। এ সময় যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম প্রকাশ্যে এলো। এত দিন গোলাম আযম জামায়াতের অঘোষিত আমির ছিল। ভারপ্রাপ্ত আমির দিয়ে দল চালানো হতো। ’৯১-এর নির্বাচনের পর জামায়াত আর লুকোচুরি খেলতে চাইল না। আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম আযমকে সংগঠনটির আমির ঘোষণা করল। গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী। ’৭১-এ জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী। গোলাম আযম ’৭১-এর গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের থিঙ্কট্যাঙ্ক। কাজেই তাকে আমির ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব মানুষ। এ সময় গোলাম আযমকে গ্রেফতার এবং বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। খুব দ্রুতই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা শহীদজননীর আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন। জাতীয় সংসদে গোলাম আযমের বিচার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব আনল আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজকের কাগজের বিপ্লব শেষে আমরা সবাই তখন ভোরের কাগজে। চারদিকে খবর, ঘুমানোর সময় নেই। খবর এলো বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে গ্রেফতার করতে পারে। বন্ধু নঈম নিজামের সচিবালয় ভালো চেনাজানা। আমি এরশাদের মামলা, সংসদ কভার করি। নঈম নিজাম সচিবালয়, সংসদ আর আওয়ামী লীগ। নঈম নিজাম আমাকে বলল, আইনমন্ত্রীর কাছে ফাইল আছে। আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব রাজেক ভাই। রংপুরের লোক, আমার পরিচিত। আমি আর নঈম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। মির্জা গোলাম হাফিজ আইনমন্ত্রী। বিএনপির প্রবীণতম নেতাদের একজন। অসুস্থতার জন্য ’৯১-এর নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই সংশয় ছিল। তাঁর পঞ্চগড়ের আসনটি ছিল আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত। মির্জা গোলাম হাফিজ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন অদ্ভুতভাবে। একটি খাটিয়ায় শুয়ে তিনি ভোট চাইতে গেলেন বাড়ি বাড়ি। সবাইকে বললেন, ‘সিরাজই তো তোমাদের এমপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সিরাজই এখানে সব করবে। আমি শুধু এমপি হিসেবে মরতে চাই। এজন্য এবার আমাকে ভোট দাও।’ ব্যস, বিপুল জনপ্রিয় অ্যাডভোকেট সিরাজ ওই নির্বাচনে হেরে গেলেন। যেমন হেরে গেলেন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। তো নির্বাচনে জয়ী হয়ে মির্জা গোলাম হাফিজকে স্পিকার না করে করা হলো আইনমন্ত্রী। মন্ত্রী হয়েই যেন নতুন যৌবন পেলেন। চাঙা হয়ে গেলেন। মির্জা গোলাম হাফিজ ভালো অভিনয় করতে পারতেন। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে না শোনার ভান করতেন। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে না চাইলে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করতেন। তো আমি আর নঈম নিজাম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। আমাদের দুজনকে মন্ত্রী ভালো করেই চিনতেন। তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। রুমে বসে ফাইল দেখছেন। নঈম ফিসফিস করে বলল, এই যে গোলাম আযমের ফাইল। মির্জা গোলাম হাফিজ খুব ফল পছন্দ করতেন। অফিসে সারাক্ষণ ফল রাখতেন। অতিথি এলে ফল এগিয়ে দিতেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, স্যার গোলাম আযমকে কি গ্রেফতার করবেন? সেই পুরনো অভিনয়, যেন শোনেননি। বললেন আঙুর খাও। ভালো। নঈম নিজাম সুযোগটা নিল, আঙুর নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা শুরু করল। কোন দেশের আঙুর কেমন এ নিয়ে নঈমের জ্ঞান দেখে আমিই তো ভিরমি খাওয়ার দশায়, তাহলে প্রবীণ মির্জা হাফিজের কী হবে। আঙুরের গল্পে মশগুল মন্ত্রীর চোখের আড়ালে আমি গোলাম আযমের ফাইলটা হাতিয়ে নিলাম। নঈম কথার স্পিড বাড়িয়ে দিল। আসছি বলে অতি গোপনীয় ফাইলের ওপরের কাগজ নিয়ে আমি মন্ত্রীর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। রাজেক ভাইকে বললাম, আদেশসংক্রান্ত অংশটা ফটোকপি করে দিন। মূল বিষয়টা ছিল আইন মন্ত্রণালয় ফরেনার্স অ্যাক্টে গোলাম আযমকে নিরাপত্তার কারণে গ্রেফতারের সুপারিশ করে। কাগজটা ফটোকপি করার পর আবার মন্ত্রীর রুমে ঢুকলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এবার মন্ত্রী উঠলেন বাথরুমে যাবেন বলে। নঈম নিজাম তখন ভুটানের আঙুর সম্পর্কে মন্ত্রীকে জ্ঞান দিচ্ছে। মন্ত্রী বাথরুমে যেতেই আমি ফাইলে ‘অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি’ যথাস্থানে রেখে দিলাম।

১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের ঘটনা থেকে, ৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ওইদিন আমার অবস্থাও রোজিনার মতো হতে পারত। ১৭ মে রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখলাম আমাকে আর নঈম নিজামকে আইন মন্ত্রণালয়ে বেঁধে রেখেছে। বাংলাদেশে যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে তারা মোটামুটি চুরিবিদ্যায় পারদর্শী। কারণ রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিধিব্যবস্থা এমন যে এখানে চাইলেও বৈধ পন্থায় কোনো তথ্য পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর এবং প্রায় অসম্ভব। এর চেয়ে ফাইল থেকে কাগজ সরিয়ে নেওয়াই সহজ কৌশল। এখন ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন কাজটা সহজ করে দিয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা চান খবরটা বের হোক, তার স্বার্থে কিংবা দেশের স্বার্থে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গোপন নথির খবর তিনিই সাংবাদিককে দেন। শুধু মির্জা গোলাম হাফিজের ফাইল চুরির ঘটনা নয়, বিএনপি আমলে এ রকম বহু নথি চুরি করে চাঞ্চল্যকর এক্সক্লুসিভ করেছি আমরা। দেশের ক্ষতির জন্য নয় দেশের মঙ্গলের জন্য। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ে এ রকম গোপন ফাইলের ছবি তুলেও সোর্সরা দেন। সাংবাদিকতায় এ ‘চুরি’ বৈধ। নৈতিকতার বিচারে ন্যায্য।

সচিবালয়ে দুই ধরনের সাংবাদিক যান। এক ধরনের সাংবাদিক যারা তথ্যের সন্ধানে ঘোরেন। অন্য ধরনের সাংবাদিক যারা তদবিরে যান। মজার ব্যাপার হলো, তদবিরে যাওয়া সাংবাদিকরা সচিবালয়ে কদর বেশি পান, তথ্য সংগ্রহকারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা সাংবাদিকসমাজে এবং সচিবালয়ে ওপেন সিক্রেট। আমাদের ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ যুগে সচিবালয় বিটের সাংবাদিক ছিলেন শাহনেওয়াজ ভাই। সচিবালয়ে পিয়ন থেকে বড় কর্তা সবার সঙ্গে তাঁর এক গোপন সখ্য ছিল। তখন আমাদের নিউজ এডিটর ছিলেন আহমেদ ফারুক হাসান। শাহনেওয়াজ ভাই প্রতিদিন একগাদা কাগজ নিয়ে আসতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন না কোন কাগজটা রিপোর্ট হওয়ার যোগ্য। কাগজগুলো তিনি ফারুক ভাইকে দিতেন। ফারুক ভাই বলে দিতেন কোনটা দিয়ে কী রকম রিপোর্ট হতো। মাঝেমধ্যে ফারুক ভাই আমাদের ডেকে দেখাতেন বিস্ফোরক সব নথি। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক অতি গোপনীয় চিঠিতে ওই বাসায় সংস্কারের তালিকা এবং বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। সে চিঠি নিয়ে শাহনেওয়াজ ভাই ঘুরছেন। মোখলেছ ভাই (মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, পরে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রেস সচিব) তখন আজকের কাগজে আমাদের কলিগ। এই কাগজ দেখে তো খেপে উঠলেন। মোখলেছ ভাই তখন তোতলাতেন। ভেঙে ভেঙে শাহনেওয়াজ ভাইকে বললেন, ‘আপনি জানেন এটা রাষ্ট্রের গোপন দলিল। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আপনার জেল হবে।’ এ জীবনে প্রথম ওই আইনের নাম শুনেছিলাম। এবার রোজিনাকে ওই আইনে গ্রেফতার দেখলাম। শাহনেওয়াজ ভাই বেচারা সহজ সরল মানুষ, বেজায় ভয় পেলেন। নঈম নিজাম আর আমিনুর রহমান তাজ (আজকের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার) শাহনেওয়াজ ভাইকে জেলে গেলে কী করতে হবে না হবে তা বোঝাচ্ছিলেন। জিগাতলায় আজকের কাগজে হাসির ফোয়ারা। সচিবালয় থেকে গোপন ফাইলের তথ্য চুরি, একটি স্বাভাবিক অবৈধ প্রক্রিয়া। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। একসময় সচিবালয় সাংবাদিকতা মানেই ছিল কাশেম হুমায়ুন। আমরা তাকে ‘কাশু কাকা’ বলে ডাকতাম। সচিবালয়ের অলিগলি তাঁর চেনা। সচিবরা প্রায় তাঁর ইয়ার দোস্ত। মাঝেমধ্যে পকেট থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অতি গোপনীয় কাগজ বের করে দেখাতেন। সংসদে কাজের ফাঁকে এসব কাগজ দেখে প্রথমে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতাম, পরে দেখেছি এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই কাগজ, গোপন নথি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ঘটল তা বিস্ময়কর। ঘটনাটা তুচ্ছ, প্রতিদিন সচিবালয়ে এ রকম ঘটনা ঘটে অহরহ। এটা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে কান্ড করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এ রকম নিরীহ কাজের জন্য একজন সংবাদকর্মীকে জেলে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য। পুরো ঘটনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, রোজিনা যে নথি ‘চুরি’ করেছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলার চেষ্টা করছেন তা এখন বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কর্তাদের হাতে হাতে। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো বিস্ফোরক দলিল নেই যা প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যা বলেছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনার সময় তাঁর দফতরে বা সচিবালয়ে ছিলেন না। তাই ঘটনার সহজ মীমাংসা তিনি করতে পারতেন। বলতে পারতেন ‘বিষয়টা আমি দেখছি’। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোজিনাও কাগজ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি এটা অন্যায় তাও স্বীকার করেছেন। এজন্য তিনি মুচলেকা দিতেও রাজি ছিলেন। রোজিনাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থানই দৃঢ় হতো। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এ ইস্যু নিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছেন। এরা কারা খুঁজে দেখা জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের প্রকোপ বেড়েছে। এরাই লকডাউনের নামে তামাশার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরাই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং আদেশ দিয়ে সরকারকে বিব্রত করে।

এই অতি উৎসাহীরা আসলে সরকারের ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। এই অতি উৎসাহীরা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নানা কাজ করছে- এমন অভিযোগ আজকাল কান পাতলেই শোনা যায়। না হলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা বেতন পান তারা এত বেপরোয়া হবেন কেন? রোজিনাকে লাঞ্ছিত করার পরও এর মীমাংসা হতে পারত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অর্বাচীন এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরদিন (১৮ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই নির্যাতনের পক্ষে যে ‘খামচি’তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন, তাতে এ বছরের সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কারটা তাঁকে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন অতি উৎসাহে এ ছোট্ট ঘটনাটি এত দূর গড়িয়েছে। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিষয়টি স্রেফ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেনি। এ ঘটনার একক দায়দায়িত্ব বিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এবং মন্ত্রণালয়ের। তাই এ ঘটনার পর যারা তিলকে তাল বানিয়ে হুলুস্থুল করার চেষ্টা করছেন, তারাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন কি না খুঁজে দেখা দরকার। বাংলাদেশে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যে কোনো ইস্যুতে অমার্জিত দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন। দেশে যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে যে কোনো বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে জড়িয়ে ফেলেন তাদের মূর্খতার জন্য করুণা হয়। রোজিনা গ্রেফতার হওয়ার পর দেখলাম এক সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি একটি চ্যানেলে টকশোয় বলছে দুর্নীতির তথ্য ওই ফাইলে ছিল, এজন্যই নাকি রোজিনার ওপর এ আক্রোশ। আমি জানি না তিনি কখনো রিপোর্টিং করেছেন কি না। ফাইলে কখনো দুর্নীতির তথ্য থাকে না। ফাইলে শুধু তথ্য থাকে। একজন রিপোর্টারকে ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় দুর্নীতি হয়েছে কি না। যেমন ফাইলে থাকবে স্পুটনিক টিকার ক্রয়মূল্য। রিপোর্টারকে ওই টিকার আন্তর্জাতিক মূল্য যাচাই করে দেখতে হবে। আরও তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে হবে অনিয়ম হয়েছে কি না। এরা সাংবাদিকতাকে এত হালকা আর খেলো করেন কেন? রোজিনার ইস্যুকে কেউ কেউ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একজন সম্পাদক লিখেছেন, ‘এটা নাকি সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার শামিল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন টকশোর কথা বাদই দিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কিছু বাচাল যেন বাংলাদেশেরই টুঁটি চেপে ধরছে। কারও কারও লেখা এবং কথা শুনলে মনে হয় এরা ভিনদেশ থেকে এসেছে। রোজিনাই প্রথম এ রকম নিগ্রহের শিকার। বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে সাংবাদিকরা কমবেশি নিগৃহীত হয়েছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন জরুরি, তেমন রাষ্ট্রীয় আইন ও কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগও জরুরি। এখন দেখছি অনেকে বলছেন, ১৯২৩ সালের আইন এখনো কীভাবে আছে? এ প্রশ্ন তাদের আগে আসেনি কেন? কেন একজন সাংবাদিক বৈধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবে তথ্য পাবেন না। কেন তাকে অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে। রোজিনার ঘটনা একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু রোজিনাকে যেন দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। সুযোগসন্ধানী কিছু গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে যারা মেঘ হলে বলে এটা সরকারের দোষ, বৃষ্টি হলে বলে সরকারের ব্যর্থতা। এ গোষ্ঠীও রোজিনা ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। এদের হাতে দেশ তো নয়ই, স্বাধীন সাংবাদিকতাও নিরাপদ নয়। রোজিনা ইস্যুটি একটি অনাকাক্সিক্ষত পেশাগত ঝুঁকি। সব পেশায় এ ঝুঁকি থাকে। একটি পেশাগত চ্যালেঞ্জকে নিয়ে অন্য উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা হলে তা হবে রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নির্যাতন। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন যেন না হয়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
আইসিসিবিতে জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু
আইসিসিবিতে জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু

৩৪ সেকেন্ড আগে | অর্থনীতি

৩ দফা দাবিতে ‘মার্চ টু সচিবালয়’:  শহীদ মিনারে হাজার হাজার শিক্ষক
৩ দফা দাবিতে ‘মার্চ টু সচিবালয়’:  শহীদ মিনারে হাজার হাজার শিক্ষক

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে ও সাংবাদিকসহ নিহত ৪
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে ও সাংবাদিকসহ নিহত ৪

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলায় স্বর্ণখনি ধসে ১৪ জনের প্রাণহানি
ভেনেজুয়েলায় স্বর্ণখনি ধসে ১৪ জনের প্রাণহানি

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

২০ মিনিট আগে | নগর জীবন

সারা দেশে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে
সারা দেশে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

জামায়াত আমিরের সঙ্গে ডেনিশ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ডেনিশ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোংলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২
মোংলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ
টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পরিচ্ছন্ন তেঁতুলিয়া গড়তে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগ
পরিচ্ছন্ন তেঁতুলিয়া গড়তে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগ

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই লেয়ারে হবে চাকসুর ভোট গণনা: উপ-উপাচার্য
দুই লেয়ারে হবে চাকসুর ভোট গণনা: উপ-উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অসহায় আয়েশা বেগমের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
অসহায় আয়েশা বেগমের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বরিশালে মানব পাচারকারীর কারাদণ্ড
বরিশালে মানব পাচারকারীর কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাকসু: শেষ দিনে আচরণবিধি স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন
রাকসু: শেষ দিনে আচরণবিধি স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকার মূল্যের ভারতীয় শাড়িসহ আটক ২
নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকার মূল্যের ভারতীয় শাড়িসহ আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১ হাজারের বেশি স্কুলে বিতরণ করা হলো টাইলচক
১ হাজারের বেশি স্কুলে বিতরণ করা হলো টাইলচক

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

ঝালকাঠিতে নিজ বাসা থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নিজ বাসা থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের
সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদপানে’ একে একে পাঁচজনের মৃত্যু
বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদপানে’ একে একে পাঁচজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাবিতে মধ্যরাতে র‍্যাগিং, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
জাবিতে মধ্যরাতে র‍্যাগিং, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশে সংস্কার অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াবে : অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে সংস্কার অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াবে : অর্থ উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পশ্চিমবঙ্গের বন্যায় ভুটানকে দায়ী, ক্ষতিপূরণ চাইলেন মমতা
পশ্চিমবঙ্গের বন্যায় ভুটানকে দায়ী, ক্ষতিপূরণ চাইলেন মমতা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় পিতার লাশ আটকে রেখে সম্পত্তি আদায়
বগুড়ায় পিতার লাশ আটকে রেখে সম্পত্তি আদায়

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ‌‘ধ্বংস’ হবে : জর্ডানের বাদশাহ
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ‌‘ধ্বংস’ হবে : জর্ডানের বাদশাহ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে কৃষিসিনেমা প্রদর্শন
বরিশালে কৃষিসিনেমা প্রদর্শন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষকতার আসল সার্থকতা শিক্ষার্থীর মনে জায়গা করে নেওয়া: ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষকতার আসল সার্থকতা শিক্ষার্থীর মনে জায়গা করে নেওয়া: ইউজিসি চেয়ারম্যান

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক ফ্রেমে শাকিব-ববি
এক ফ্রেমে শাকিব-ববি

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’
‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনকে ঠেকাতে ভারতের নতুন বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা
চীনকে ঠেকাতে ভারতের নতুন বাঁধ নির্মাণের ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের তারিখ জানাল শিক্ষা বোর্ড
এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের তারিখ জানাল শিক্ষা বোর্ড

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৭৫ কোটি পারিশ্রমিকে আল্লু অর্জুন!
১৭৫ কোটি পারিশ্রমিকে আল্লু অর্জুন!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

কতটা প্রস্তুত হামজারা?
কতটা প্রস্তুত হামজারা?

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
অস্থির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার
বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার

নগর জীবন

জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার

সম্পাদকীয়

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি
নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

আরেক দফা পরিবর্তন আসছে অঙ্গীকারনামায়
আরেক দফা পরিবর্তন আসছে অঙ্গীকারনামায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমসটেক অঞ্চলে ক্রসবর্ডার লেনদেনের উদ্যোগ
বিমসটেক অঞ্চলে ক্রসবর্ডার লেনদেনের উদ্যোগ

শিল্প বাণিজ্য

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ইসির কাছে শাপলা প্রতীকের জন্য আবদার বাংলাদেশ কংগ্রেসের
এবার ইসির কাছে শাপলা প্রতীকের জন্য আবদার বাংলাদেশ কংগ্রেসের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাবিতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচার
রাবিতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার পানি অপচয়
প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার পানি অপচয়

নগর জীবন

রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সেবক হতে চাই
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সেবক হতে চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন