শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ মে, ২০২১

রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

১৯৯১-এর নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় এলো বিএনপি। অপ্রত্যাশিতভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। তখন তারুণ্যে টগবগে ‘আজকের কাগজ’ সবে যাত্রা করেছে। আমরা সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে দিন-রাত একাকার করে কাজ করি। এরশাদের বিচার, সংসদ, সচিবালয়। আমাদের ক্লান্তি নেই। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের নতুন ক্ষেত্র যুক্ত হলো শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। ’৯১-এর নির্বাচনের পর স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের বাড়বাড়ন্ত। মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে। এ সময় যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম প্রকাশ্যে এলো। এত দিন গোলাম আযম জামায়াতের অঘোষিত আমির ছিল। ভারপ্রাপ্ত আমির দিয়ে দল চালানো হতো। ’৯১-এর নির্বাচনের পর জামায়াত আর লুকোচুরি খেলতে চাইল না। আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম আযমকে সংগঠনটির আমির ঘোষণা করল। গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী। ’৭১-এ জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী। গোলাম আযম ’৭১-এর গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের থিঙ্কট্যাঙ্ক। কাজেই তাকে আমির ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব মানুষ। এ সময় গোলাম আযমকে গ্রেফতার এবং বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। খুব দ্রুতই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা শহীদজননীর আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন। জাতীয় সংসদে গোলাম আযমের বিচার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব আনল আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজকের কাগজের বিপ্লব শেষে আমরা সবাই তখন ভোরের কাগজে। চারদিকে খবর, ঘুমানোর সময় নেই। খবর এলো বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে গ্রেফতার করতে পারে। বন্ধু নঈম নিজামের সচিবালয় ভালো চেনাজানা। আমি এরশাদের মামলা, সংসদ কভার করি। নঈম নিজাম সচিবালয়, সংসদ আর আওয়ামী লীগ। নঈম নিজাম আমাকে বলল, আইনমন্ত্রীর কাছে ফাইল আছে। আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব রাজেক ভাই। রংপুরের লোক, আমার পরিচিত। আমি আর নঈম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। মির্জা গোলাম হাফিজ আইনমন্ত্রী। বিএনপির প্রবীণতম নেতাদের একজন। অসুস্থতার জন্য ’৯১-এর নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই সংশয় ছিল। তাঁর পঞ্চগড়ের আসনটি ছিল আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত। মির্জা গোলাম হাফিজ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন অদ্ভুতভাবে। একটি খাটিয়ায় শুয়ে তিনি ভোট চাইতে গেলেন বাড়ি বাড়ি। সবাইকে বললেন, ‘সিরাজই তো তোমাদের এমপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সিরাজই এখানে সব করবে। আমি শুধু এমপি হিসেবে মরতে চাই। এজন্য এবার আমাকে ভোট দাও।’ ব্যস, বিপুল জনপ্রিয় অ্যাডভোকেট সিরাজ ওই নির্বাচনে হেরে গেলেন। যেমন হেরে গেলেন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। তো নির্বাচনে জয়ী হয়ে মির্জা গোলাম হাফিজকে স্পিকার না করে করা হলো আইনমন্ত্রী। মন্ত্রী হয়েই যেন নতুন যৌবন পেলেন। চাঙা হয়ে গেলেন। মির্জা গোলাম হাফিজ ভালো অভিনয় করতে পারতেন। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে না শোনার ভান করতেন। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে না চাইলে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করতেন। তো আমি আর নঈম নিজাম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। আমাদের দুজনকে মন্ত্রী ভালো করেই চিনতেন। তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। রুমে বসে ফাইল দেখছেন। নঈম ফিসফিস করে বলল, এই যে গোলাম আযমের ফাইল। মির্জা গোলাম হাফিজ খুব ফল পছন্দ করতেন। অফিসে সারাক্ষণ ফল রাখতেন। অতিথি এলে ফল এগিয়ে দিতেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, স্যার গোলাম আযমকে কি গ্রেফতার করবেন? সেই পুরনো অভিনয়, যেন শোনেননি। বললেন আঙুর খাও। ভালো। নঈম নিজাম সুযোগটা নিল, আঙুর নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা শুরু করল। কোন দেশের আঙুর কেমন এ নিয়ে নঈমের জ্ঞান দেখে আমিই তো ভিরমি খাওয়ার দশায়, তাহলে প্রবীণ মির্জা হাফিজের কী হবে। আঙুরের গল্পে মশগুল মন্ত্রীর চোখের আড়ালে আমি গোলাম আযমের ফাইলটা হাতিয়ে নিলাম। নঈম কথার স্পিড বাড়িয়ে দিল। আসছি বলে অতি গোপনীয় ফাইলের ওপরের কাগজ নিয়ে আমি মন্ত্রীর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। রাজেক ভাইকে বললাম, আদেশসংক্রান্ত অংশটা ফটোকপি করে দিন। মূল বিষয়টা ছিল আইন মন্ত্রণালয় ফরেনার্স অ্যাক্টে গোলাম আযমকে নিরাপত্তার কারণে গ্রেফতারের সুপারিশ করে। কাগজটা ফটোকপি করার পর আবার মন্ত্রীর রুমে ঢুকলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এবার মন্ত্রী উঠলেন বাথরুমে যাবেন বলে। নঈম নিজাম তখন ভুটানের আঙুর সম্পর্কে মন্ত্রীকে জ্ঞান দিচ্ছে। মন্ত্রী বাথরুমে যেতেই আমি ফাইলে ‘অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি’ যথাস্থানে রেখে দিলাম।

১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের ঘটনা থেকে, ৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ওইদিন আমার অবস্থাও রোজিনার মতো হতে পারত। ১৭ মে রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখলাম আমাকে আর নঈম নিজামকে আইন মন্ত্রণালয়ে বেঁধে রেখেছে। বাংলাদেশে যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে তারা মোটামুটি চুরিবিদ্যায় পারদর্শী। কারণ রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিধিব্যবস্থা এমন যে এখানে চাইলেও বৈধ পন্থায় কোনো তথ্য পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর এবং প্রায় অসম্ভব। এর চেয়ে ফাইল থেকে কাগজ সরিয়ে নেওয়াই সহজ কৌশল। এখন ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন কাজটা সহজ করে দিয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা চান খবরটা বের হোক, তার স্বার্থে কিংবা দেশের স্বার্থে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গোপন নথির খবর তিনিই সাংবাদিককে দেন। শুধু মির্জা গোলাম হাফিজের ফাইল চুরির ঘটনা নয়, বিএনপি আমলে এ রকম বহু নথি চুরি করে চাঞ্চল্যকর এক্সক্লুসিভ করেছি আমরা। দেশের ক্ষতির জন্য নয় দেশের মঙ্গলের জন্য। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ে এ রকম গোপন ফাইলের ছবি তুলেও সোর্সরা দেন। সাংবাদিকতায় এ ‘চুরি’ বৈধ। নৈতিকতার বিচারে ন্যায্য।

সচিবালয়ে দুই ধরনের সাংবাদিক যান। এক ধরনের সাংবাদিক যারা তথ্যের সন্ধানে ঘোরেন। অন্য ধরনের সাংবাদিক যারা তদবিরে যান। মজার ব্যাপার হলো, তদবিরে যাওয়া সাংবাদিকরা সচিবালয়ে কদর বেশি পান, তথ্য সংগ্রহকারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা সাংবাদিকসমাজে এবং সচিবালয়ে ওপেন সিক্রেট। আমাদের ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ যুগে সচিবালয় বিটের সাংবাদিক ছিলেন শাহনেওয়াজ ভাই। সচিবালয়ে পিয়ন থেকে বড় কর্তা সবার সঙ্গে তাঁর এক গোপন সখ্য ছিল। তখন আমাদের নিউজ এডিটর ছিলেন আহমেদ ফারুক হাসান। শাহনেওয়াজ ভাই প্রতিদিন একগাদা কাগজ নিয়ে আসতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন না কোন কাগজটা রিপোর্ট হওয়ার যোগ্য। কাগজগুলো তিনি ফারুক ভাইকে দিতেন। ফারুক ভাই বলে দিতেন কোনটা দিয়ে কী রকম রিপোর্ট হতো। মাঝেমধ্যে ফারুক ভাই আমাদের ডেকে দেখাতেন বিস্ফোরক সব নথি। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক অতি গোপনীয় চিঠিতে ওই বাসায় সংস্কারের তালিকা এবং বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। সে চিঠি নিয়ে শাহনেওয়াজ ভাই ঘুরছেন। মোখলেছ ভাই (মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, পরে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রেস সচিব) তখন আজকের কাগজে আমাদের কলিগ। এই কাগজ দেখে তো খেপে উঠলেন। মোখলেছ ভাই তখন তোতলাতেন। ভেঙে ভেঙে শাহনেওয়াজ ভাইকে বললেন, ‘আপনি জানেন এটা রাষ্ট্রের গোপন দলিল। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আপনার জেল হবে।’ এ জীবনে প্রথম ওই আইনের নাম শুনেছিলাম। এবার রোজিনাকে ওই আইনে গ্রেফতার দেখলাম। শাহনেওয়াজ ভাই বেচারা সহজ সরল মানুষ, বেজায় ভয় পেলেন। নঈম নিজাম আর আমিনুর রহমান তাজ (আজকের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার) শাহনেওয়াজ ভাইকে জেলে গেলে কী করতে হবে না হবে তা বোঝাচ্ছিলেন। জিগাতলায় আজকের কাগজে হাসির ফোয়ারা। সচিবালয় থেকে গোপন ফাইলের তথ্য চুরি, একটি স্বাভাবিক অবৈধ প্রক্রিয়া। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। একসময় সচিবালয় সাংবাদিকতা মানেই ছিল কাশেম হুমায়ুন। আমরা তাকে ‘কাশু কাকা’ বলে ডাকতাম। সচিবালয়ের অলিগলি তাঁর চেনা। সচিবরা প্রায় তাঁর ইয়ার দোস্ত। মাঝেমধ্যে পকেট থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অতি গোপনীয় কাগজ বের করে দেখাতেন। সংসদে কাজের ফাঁকে এসব কাগজ দেখে প্রথমে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতাম, পরে দেখেছি এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই কাগজ, গোপন নথি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ঘটল তা বিস্ময়কর। ঘটনাটা তুচ্ছ, প্রতিদিন সচিবালয়ে এ রকম ঘটনা ঘটে অহরহ। এটা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে কান্ড করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এ রকম নিরীহ কাজের জন্য একজন সংবাদকর্মীকে জেলে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য। পুরো ঘটনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, রোজিনা যে নথি ‘চুরি’ করেছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলার চেষ্টা করছেন তা এখন বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কর্তাদের হাতে হাতে। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো বিস্ফোরক দলিল নেই যা প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যা বলেছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনার সময় তাঁর দফতরে বা সচিবালয়ে ছিলেন না। তাই ঘটনার সহজ মীমাংসা তিনি করতে পারতেন। বলতে পারতেন ‘বিষয়টা আমি দেখছি’। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোজিনাও কাগজ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি এটা অন্যায় তাও স্বীকার করেছেন। এজন্য তিনি মুচলেকা দিতেও রাজি ছিলেন। রোজিনাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থানই দৃঢ় হতো। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এ ইস্যু নিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছেন। এরা কারা খুঁজে দেখা জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের প্রকোপ বেড়েছে। এরাই লকডাউনের নামে তামাশার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরাই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং আদেশ দিয়ে সরকারকে বিব্রত করে।

এই অতি উৎসাহীরা আসলে সরকারের ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। এই অতি উৎসাহীরা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নানা কাজ করছে- এমন অভিযোগ আজকাল কান পাতলেই শোনা যায়। না হলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা বেতন পান তারা এত বেপরোয়া হবেন কেন? রোজিনাকে লাঞ্ছিত করার পরও এর মীমাংসা হতে পারত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অর্বাচীন এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরদিন (১৮ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই নির্যাতনের পক্ষে যে ‘খামচি’তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন, তাতে এ বছরের সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কারটা তাঁকে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন অতি উৎসাহে এ ছোট্ট ঘটনাটি এত দূর গড়িয়েছে। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিষয়টি স্রেফ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেনি। এ ঘটনার একক দায়দায়িত্ব বিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এবং মন্ত্রণালয়ের। তাই এ ঘটনার পর যারা তিলকে তাল বানিয়ে হুলুস্থুল করার চেষ্টা করছেন, তারাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন কি না খুঁজে দেখা দরকার। বাংলাদেশে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যে কোনো ইস্যুতে অমার্জিত দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন। দেশে যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে যে কোনো বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে জড়িয়ে ফেলেন তাদের মূর্খতার জন্য করুণা হয়। রোজিনা গ্রেফতার হওয়ার পর দেখলাম এক সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি একটি চ্যানেলে টকশোয় বলছে দুর্নীতির তথ্য ওই ফাইলে ছিল, এজন্যই নাকি রোজিনার ওপর এ আক্রোশ। আমি জানি না তিনি কখনো রিপোর্টিং করেছেন কি না। ফাইলে কখনো দুর্নীতির তথ্য থাকে না। ফাইলে শুধু তথ্য থাকে। একজন রিপোর্টারকে ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় দুর্নীতি হয়েছে কি না। যেমন ফাইলে থাকবে স্পুটনিক টিকার ক্রয়মূল্য। রিপোর্টারকে ওই টিকার আন্তর্জাতিক মূল্য যাচাই করে দেখতে হবে। আরও তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে হবে অনিয়ম হয়েছে কি না। এরা সাংবাদিকতাকে এত হালকা আর খেলো করেন কেন? রোজিনার ইস্যুকে কেউ কেউ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একজন সম্পাদক লিখেছেন, ‘এটা নাকি সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার শামিল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন টকশোর কথা বাদই দিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কিছু বাচাল যেন বাংলাদেশেরই টুঁটি চেপে ধরছে। কারও কারও লেখা এবং কথা শুনলে মনে হয় এরা ভিনদেশ থেকে এসেছে। রোজিনাই প্রথম এ রকম নিগ্রহের শিকার। বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে সাংবাদিকরা কমবেশি নিগৃহীত হয়েছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন জরুরি, তেমন রাষ্ট্রীয় আইন ও কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগও জরুরি। এখন দেখছি অনেকে বলছেন, ১৯২৩ সালের আইন এখনো কীভাবে আছে? এ প্রশ্ন তাদের আগে আসেনি কেন? কেন একজন সাংবাদিক বৈধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবে তথ্য পাবেন না। কেন তাকে অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে। রোজিনার ঘটনা একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু রোজিনাকে যেন দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। সুযোগসন্ধানী কিছু গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে যারা মেঘ হলে বলে এটা সরকারের দোষ, বৃষ্টি হলে বলে সরকারের ব্যর্থতা। এ গোষ্ঠীও রোজিনা ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। এদের হাতে দেশ তো নয়ই, স্বাধীন সাংবাদিকতাও নিরাপদ নয়। রোজিনা ইস্যুটি একটি অনাকাক্সিক্ষত পেশাগত ঝুঁকি। সব পেশায় এ ঝুঁকি থাকে। একটি পেশাগত চ্যালেঞ্জকে নিয়ে অন্য উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা হলে তা হবে রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নির্যাতন। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন যেন না হয়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা
সুদানে গণহত্যা: আরএসএফের শীর্ষ নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে
ঢাকার আবহাওয়া সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন থাকবে

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা
সিরাজগঞ্জে অসুস্থ দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইমদাদুল হক মিলনের সাথে শুভসংঘ ঢাবি শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

আয়ারল্যান্ডকে ৫০৯ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে ৫০৯ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

২৭ মিনিট আগে | শোবিজ

শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা
শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'
'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ

৩৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক
আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

৪৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৫৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার
র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার

৫৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে জামায়াত প্রার্থীর শোভাযাত্রা
চাঁদপুরে জামায়াত প্রার্থীর শোভাযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ
জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জিততেই হবে : আমীর খসরু
ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জিততেই হবে : আমীর খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যাত্রীর অভাবে ঢাকা ছাড়েনি স্টিমার মাহসুদ
যাত্রীর অভাবে ঢাকা ছাড়েনি স্টিমার মাহসুদ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলে হামলা, ২১৫ শিক্ষার্থীসহ ২২৭ জনকে অপহরণ
নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলে হামলা, ২১৫ শিক্ষার্থীসহ ২২৭ জনকে অপহরণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত
আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে