শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ মে, ২০২১

রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

১৯৯১-এর নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় এলো বিএনপি। অপ্রত্যাশিতভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। তখন তারুণ্যে টগবগে ‘আজকের কাগজ’ সবে যাত্রা করেছে। আমরা সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে দিন-রাত একাকার করে কাজ করি। এরশাদের বিচার, সংসদ, সচিবালয়। আমাদের ক্লান্তি নেই। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের নতুন ক্ষেত্র যুক্ত হলো শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। ’৯১-এর নির্বাচনের পর স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের বাড়বাড়ন্ত। মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে। এ সময় যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম প্রকাশ্যে এলো। এত দিন গোলাম আযম জামায়াতের অঘোষিত আমির ছিল। ভারপ্রাপ্ত আমির দিয়ে দল চালানো হতো। ’৯১-এর নির্বাচনের পর জামায়াত আর লুকোচুরি খেলতে চাইল না। আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম আযমকে সংগঠনটির আমির ঘোষণা করল। গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী। ’৭১-এ জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী। গোলাম আযম ’৭১-এর গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের থিঙ্কট্যাঙ্ক। কাজেই তাকে আমির ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব মানুষ। এ সময় গোলাম আযমকে গ্রেফতার এবং বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। খুব দ্রুতই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা শহীদজননীর আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন। জাতীয় সংসদে গোলাম আযমের বিচার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব আনল আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজকের কাগজের বিপ্লব শেষে আমরা সবাই তখন ভোরের কাগজে। চারদিকে খবর, ঘুমানোর সময় নেই। খবর এলো বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে গ্রেফতার করতে পারে। বন্ধু নঈম নিজামের সচিবালয় ভালো চেনাজানা। আমি এরশাদের মামলা, সংসদ কভার করি। নঈম নিজাম সচিবালয়, সংসদ আর আওয়ামী লীগ। নঈম নিজাম আমাকে বলল, আইনমন্ত্রীর কাছে ফাইল আছে। আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব রাজেক ভাই। রংপুরের লোক, আমার পরিচিত। আমি আর নঈম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। মির্জা গোলাম হাফিজ আইনমন্ত্রী। বিএনপির প্রবীণতম নেতাদের একজন। অসুস্থতার জন্য ’৯১-এর নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই সংশয় ছিল। তাঁর পঞ্চগড়ের আসনটি ছিল আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত। মির্জা গোলাম হাফিজ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন অদ্ভুতভাবে। একটি খাটিয়ায় শুয়ে তিনি ভোট চাইতে গেলেন বাড়ি বাড়ি। সবাইকে বললেন, ‘সিরাজই তো তোমাদের এমপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সিরাজই এখানে সব করবে। আমি শুধু এমপি হিসেবে মরতে চাই। এজন্য এবার আমাকে ভোট দাও।’ ব্যস, বিপুল জনপ্রিয় অ্যাডভোকেট সিরাজ ওই নির্বাচনে হেরে গেলেন। যেমন হেরে গেলেন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। তো নির্বাচনে জয়ী হয়ে মির্জা গোলাম হাফিজকে স্পিকার না করে করা হলো আইনমন্ত্রী। মন্ত্রী হয়েই যেন নতুন যৌবন পেলেন। চাঙা হয়ে গেলেন। মির্জা গোলাম হাফিজ ভালো অভিনয় করতে পারতেন। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে না শোনার ভান করতেন। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে না চাইলে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করতেন। তো আমি আর নঈম নিজাম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। আমাদের দুজনকে মন্ত্রী ভালো করেই চিনতেন। তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। রুমে বসে ফাইল দেখছেন। নঈম ফিসফিস করে বলল, এই যে গোলাম আযমের ফাইল। মির্জা গোলাম হাফিজ খুব ফল পছন্দ করতেন। অফিসে সারাক্ষণ ফল রাখতেন। অতিথি এলে ফল এগিয়ে দিতেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, স্যার গোলাম আযমকে কি গ্রেফতার করবেন? সেই পুরনো অভিনয়, যেন শোনেননি। বললেন আঙুর খাও। ভালো। নঈম নিজাম সুযোগটা নিল, আঙুর নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা শুরু করল। কোন দেশের আঙুর কেমন এ নিয়ে নঈমের জ্ঞান দেখে আমিই তো ভিরমি খাওয়ার দশায়, তাহলে প্রবীণ মির্জা হাফিজের কী হবে। আঙুরের গল্পে মশগুল মন্ত্রীর চোখের আড়ালে আমি গোলাম আযমের ফাইলটা হাতিয়ে নিলাম। নঈম কথার স্পিড বাড়িয়ে দিল। আসছি বলে অতি গোপনীয় ফাইলের ওপরের কাগজ নিয়ে আমি মন্ত্রীর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। রাজেক ভাইকে বললাম, আদেশসংক্রান্ত অংশটা ফটোকপি করে দিন। মূল বিষয়টা ছিল আইন মন্ত্রণালয় ফরেনার্স অ্যাক্টে গোলাম আযমকে নিরাপত্তার কারণে গ্রেফতারের সুপারিশ করে। কাগজটা ফটোকপি করার পর আবার মন্ত্রীর রুমে ঢুকলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এবার মন্ত্রী উঠলেন বাথরুমে যাবেন বলে। নঈম নিজাম তখন ভুটানের আঙুর সম্পর্কে মন্ত্রীকে জ্ঞান দিচ্ছে। মন্ত্রী বাথরুমে যেতেই আমি ফাইলে ‘অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি’ যথাস্থানে রেখে দিলাম।

১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের ঘটনা থেকে, ৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ওইদিন আমার অবস্থাও রোজিনার মতো হতে পারত। ১৭ মে রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখলাম আমাকে আর নঈম নিজামকে আইন মন্ত্রণালয়ে বেঁধে রেখেছে। বাংলাদেশে যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে তারা মোটামুটি চুরিবিদ্যায় পারদর্শী। কারণ রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিধিব্যবস্থা এমন যে এখানে চাইলেও বৈধ পন্থায় কোনো তথ্য পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর এবং প্রায় অসম্ভব। এর চেয়ে ফাইল থেকে কাগজ সরিয়ে নেওয়াই সহজ কৌশল। এখন ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন কাজটা সহজ করে দিয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা চান খবরটা বের হোক, তার স্বার্থে কিংবা দেশের স্বার্থে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গোপন নথির খবর তিনিই সাংবাদিককে দেন। শুধু মির্জা গোলাম হাফিজের ফাইল চুরির ঘটনা নয়, বিএনপি আমলে এ রকম বহু নথি চুরি করে চাঞ্চল্যকর এক্সক্লুসিভ করেছি আমরা। দেশের ক্ষতির জন্য নয় দেশের মঙ্গলের জন্য। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ে এ রকম গোপন ফাইলের ছবি তুলেও সোর্সরা দেন। সাংবাদিকতায় এ ‘চুরি’ বৈধ। নৈতিকতার বিচারে ন্যায্য।

সচিবালয়ে দুই ধরনের সাংবাদিক যান। এক ধরনের সাংবাদিক যারা তথ্যের সন্ধানে ঘোরেন। অন্য ধরনের সাংবাদিক যারা তদবিরে যান। মজার ব্যাপার হলো, তদবিরে যাওয়া সাংবাদিকরা সচিবালয়ে কদর বেশি পান, তথ্য সংগ্রহকারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা সাংবাদিকসমাজে এবং সচিবালয়ে ওপেন সিক্রেট। আমাদের ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ যুগে সচিবালয় বিটের সাংবাদিক ছিলেন শাহনেওয়াজ ভাই। সচিবালয়ে পিয়ন থেকে বড় কর্তা সবার সঙ্গে তাঁর এক গোপন সখ্য ছিল। তখন আমাদের নিউজ এডিটর ছিলেন আহমেদ ফারুক হাসান। শাহনেওয়াজ ভাই প্রতিদিন একগাদা কাগজ নিয়ে আসতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন না কোন কাগজটা রিপোর্ট হওয়ার যোগ্য। কাগজগুলো তিনি ফারুক ভাইকে দিতেন। ফারুক ভাই বলে দিতেন কোনটা দিয়ে কী রকম রিপোর্ট হতো। মাঝেমধ্যে ফারুক ভাই আমাদের ডেকে দেখাতেন বিস্ফোরক সব নথি। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক অতি গোপনীয় চিঠিতে ওই বাসায় সংস্কারের তালিকা এবং বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। সে চিঠি নিয়ে শাহনেওয়াজ ভাই ঘুরছেন। মোখলেছ ভাই (মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, পরে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রেস সচিব) তখন আজকের কাগজে আমাদের কলিগ। এই কাগজ দেখে তো খেপে উঠলেন। মোখলেছ ভাই তখন তোতলাতেন। ভেঙে ভেঙে শাহনেওয়াজ ভাইকে বললেন, ‘আপনি জানেন এটা রাষ্ট্রের গোপন দলিল। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আপনার জেল হবে।’ এ জীবনে প্রথম ওই আইনের নাম শুনেছিলাম। এবার রোজিনাকে ওই আইনে গ্রেফতার দেখলাম। শাহনেওয়াজ ভাই বেচারা সহজ সরল মানুষ, বেজায় ভয় পেলেন। নঈম নিজাম আর আমিনুর রহমান তাজ (আজকের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার) শাহনেওয়াজ ভাইকে জেলে গেলে কী করতে হবে না হবে তা বোঝাচ্ছিলেন। জিগাতলায় আজকের কাগজে হাসির ফোয়ারা। সচিবালয় থেকে গোপন ফাইলের তথ্য চুরি, একটি স্বাভাবিক অবৈধ প্রক্রিয়া। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। একসময় সচিবালয় সাংবাদিকতা মানেই ছিল কাশেম হুমায়ুন। আমরা তাকে ‘কাশু কাকা’ বলে ডাকতাম। সচিবালয়ের অলিগলি তাঁর চেনা। সচিবরা প্রায় তাঁর ইয়ার দোস্ত। মাঝেমধ্যে পকেট থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অতি গোপনীয় কাগজ বের করে দেখাতেন। সংসদে কাজের ফাঁকে এসব কাগজ দেখে প্রথমে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতাম, পরে দেখেছি এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই কাগজ, গোপন নথি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ঘটল তা বিস্ময়কর। ঘটনাটা তুচ্ছ, প্রতিদিন সচিবালয়ে এ রকম ঘটনা ঘটে অহরহ। এটা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে কান্ড করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এ রকম নিরীহ কাজের জন্য একজন সংবাদকর্মীকে জেলে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য। পুরো ঘটনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, রোজিনা যে নথি ‘চুরি’ করেছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলার চেষ্টা করছেন তা এখন বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কর্তাদের হাতে হাতে। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো বিস্ফোরক দলিল নেই যা প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যা বলেছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনার সময় তাঁর দফতরে বা সচিবালয়ে ছিলেন না। তাই ঘটনার সহজ মীমাংসা তিনি করতে পারতেন। বলতে পারতেন ‘বিষয়টা আমি দেখছি’। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোজিনাও কাগজ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি এটা অন্যায় তাও স্বীকার করেছেন। এজন্য তিনি মুচলেকা দিতেও রাজি ছিলেন। রোজিনাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থানই দৃঢ় হতো। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এ ইস্যু নিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছেন। এরা কারা খুঁজে দেখা জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের প্রকোপ বেড়েছে। এরাই লকডাউনের নামে তামাশার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরাই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং আদেশ দিয়ে সরকারকে বিব্রত করে।

এই অতি উৎসাহীরা আসলে সরকারের ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। এই অতি উৎসাহীরা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নানা কাজ করছে- এমন অভিযোগ আজকাল কান পাতলেই শোনা যায়। না হলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা বেতন পান তারা এত বেপরোয়া হবেন কেন? রোজিনাকে লাঞ্ছিত করার পরও এর মীমাংসা হতে পারত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অর্বাচীন এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরদিন (১৮ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই নির্যাতনের পক্ষে যে ‘খামচি’তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন, তাতে এ বছরের সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কারটা তাঁকে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন অতি উৎসাহে এ ছোট্ট ঘটনাটি এত দূর গড়িয়েছে। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিষয়টি স্রেফ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেনি। এ ঘটনার একক দায়দায়িত্ব বিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এবং মন্ত্রণালয়ের। তাই এ ঘটনার পর যারা তিলকে তাল বানিয়ে হুলুস্থুল করার চেষ্টা করছেন, তারাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন কি না খুঁজে দেখা দরকার। বাংলাদেশে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যে কোনো ইস্যুতে অমার্জিত দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন। দেশে যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে যে কোনো বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে জড়িয়ে ফেলেন তাদের মূর্খতার জন্য করুণা হয়। রোজিনা গ্রেফতার হওয়ার পর দেখলাম এক সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি একটি চ্যানেলে টকশোয় বলছে দুর্নীতির তথ্য ওই ফাইলে ছিল, এজন্যই নাকি রোজিনার ওপর এ আক্রোশ। আমি জানি না তিনি কখনো রিপোর্টিং করেছেন কি না। ফাইলে কখনো দুর্নীতির তথ্য থাকে না। ফাইলে শুধু তথ্য থাকে। একজন রিপোর্টারকে ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় দুর্নীতি হয়েছে কি না। যেমন ফাইলে থাকবে স্পুটনিক টিকার ক্রয়মূল্য। রিপোর্টারকে ওই টিকার আন্তর্জাতিক মূল্য যাচাই করে দেখতে হবে। আরও তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে হবে অনিয়ম হয়েছে কি না। এরা সাংবাদিকতাকে এত হালকা আর খেলো করেন কেন? রোজিনার ইস্যুকে কেউ কেউ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একজন সম্পাদক লিখেছেন, ‘এটা নাকি সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার শামিল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন টকশোর কথা বাদই দিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কিছু বাচাল যেন বাংলাদেশেরই টুঁটি চেপে ধরছে। কারও কারও লেখা এবং কথা শুনলে মনে হয় এরা ভিনদেশ থেকে এসেছে। রোজিনাই প্রথম এ রকম নিগ্রহের শিকার। বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে সাংবাদিকরা কমবেশি নিগৃহীত হয়েছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন জরুরি, তেমন রাষ্ট্রীয় আইন ও কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগও জরুরি। এখন দেখছি অনেকে বলছেন, ১৯২৩ সালের আইন এখনো কীভাবে আছে? এ প্রশ্ন তাদের আগে আসেনি কেন? কেন একজন সাংবাদিক বৈধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবে তথ্য পাবেন না। কেন তাকে অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে। রোজিনার ঘটনা একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু রোজিনাকে যেন দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। সুযোগসন্ধানী কিছু গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে যারা মেঘ হলে বলে এটা সরকারের দোষ, বৃষ্টি হলে বলে সরকারের ব্যর্থতা। এ গোষ্ঠীও রোজিনা ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। এদের হাতে দেশ তো নয়ই, স্বাধীন সাংবাদিকতাও নিরাপদ নয়। রোজিনা ইস্যুটি একটি অনাকাক্সিক্ষত পেশাগত ঝুঁকি। সব পেশায় এ ঝুঁকি থাকে। একটি পেশাগত চ্যালেঞ্জকে নিয়ে অন্য উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা হলে তা হবে রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নির্যাতন। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন যেন না হয়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

৮ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

৫১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক
হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৪ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

৫ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল
সমগ্র হাটহাজারী শান্তি-সম্প্রীতির চারণভূমি হয়ে থাকবে : মীর হেলাল

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ
আমরা বিশ্বের এক নম্বরে থাকতে চাই: স্পেন কোচ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন

সম্পাদকীয়

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত
আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স

পূর্ব-পশ্চিম

মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ
মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং
ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য