শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ মে, ২০২১

রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন চাই না

১৯৯১-এর নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় এলো বিএনপি। অপ্রত্যাশিতভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে। তখন তারুণ্যে টগবগে ‘আজকের কাগজ’ সবে যাত্রা করেছে। আমরা সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে দিন-রাত একাকার করে কাজ করি। এরশাদের বিচার, সংসদ, সচিবালয়। আমাদের ক্লান্তি নেই। এ সময় সংবাদ সংগ্রহের নতুন ক্ষেত্র যুক্ত হলো শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। ’৯১-এর নির্বাচনের পর স্বাধীনতাবিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের বাড়বাড়ন্ত। মূলধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা সবকিছুতেই নাক গলাচ্ছে। এ সময় যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম প্রকাশ্যে এলো। এত দিন গোলাম আযম জামায়াতের অঘোষিত আমির ছিল। ভারপ্রাপ্ত আমির দিয়ে দল চালানো হতো। ’৯১-এর নির্বাচনের পর জামায়াত আর লুকোচুরি খেলতে চাইল না। আনুষ্ঠানিকভাবে গোলাম আযমকে সংগঠনটির আমির ঘোষণা করল। গোলাম আযম যুদ্ধাপরাধী। ’৭১-এ জামায়াত এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্মের মূল পরিকল্পনাকারী। গোলাম আযম ’৭১-এর গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণের থিঙ্কট্যাঙ্ক। কাজেই তাকে আমির ঘোষণা করায় ফুঁসে উঠল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সব মানুষ। এ সময় গোলাম আযমকে গ্রেফতার এবং বিচার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। খুব দ্রুতই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা শহীদজননীর আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন। জাতীয় সংসদে গোলাম আযমের বিচার দাবিতে মুলতবি প্রস্তাব আনল আওয়ামী লীগ। গোলাম আযমের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিল একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজকের কাগজের বিপ্লব শেষে আমরা সবাই তখন ভোরের কাগজে। চারদিকে খবর, ঘুমানোর সময় নেই। খবর এলো বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে গ্রেফতার করতে পারে। বন্ধু নঈম নিজামের সচিবালয় ভালো চেনাজানা। আমি এরশাদের মামলা, সংসদ কভার করি। নঈম নিজাম সচিবালয়, সংসদ আর আওয়ামী লীগ। নঈম নিজাম আমাকে বলল, আইনমন্ত্রীর কাছে ফাইল আছে। আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব রাজেক ভাই। রংপুরের লোক, আমার পরিচিত। আমি আর নঈম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। মির্জা গোলাম হাফিজ আইনমন্ত্রী। বিএনপির প্রবীণতম নেতাদের একজন। অসুস্থতার জন্য ’৯১-এর নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই সংশয় ছিল। তাঁর পঞ্চগড়ের আসনটি ছিল আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের বিজয় মোটামুটি নিশ্চিত। মির্জা গোলাম হাফিজ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন অদ্ভুতভাবে। একটি খাটিয়ায় শুয়ে তিনি ভোট চাইতে গেলেন বাড়ি বাড়ি। সবাইকে বললেন, ‘সিরাজই তো তোমাদের এমপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সিরাজই এখানে সব করবে। আমি শুধু এমপি হিসেবে মরতে চাই। এজন্য এবার আমাকে ভোট দাও।’ ব্যস, বিপুল জনপ্রিয় অ্যাডভোকেট সিরাজ ওই নির্বাচনে হেরে গেলেন। যেমন হেরে গেলেন আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। তো নির্বাচনে জয়ী হয়ে মির্জা গোলাম হাফিজকে স্পিকার না করে করা হলো আইনমন্ত্রী। মন্ত্রী হয়েই যেন নতুন যৌবন পেলেন। চাঙা হয়ে গেলেন। মির্জা গোলাম হাফিজ ভালো অভিনয় করতে পারতেন। কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে না শোনার ভান করতেন। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে না চাইলে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করতেন। তো আমি আর নঈম নিজাম গেলাম আইন মন্ত্রণালয়ে। আমাদের দুজনকে মন্ত্রী ভালো করেই চিনতেন। তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। রুমে বসে ফাইল দেখছেন। নঈম ফিসফিস করে বলল, এই যে গোলাম আযমের ফাইল। মির্জা গোলাম হাফিজ খুব ফল পছন্দ করতেন। অফিসে সারাক্ষণ ফল রাখতেন। অতিথি এলে ফল এগিয়ে দিতেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, স্যার গোলাম আযমকে কি গ্রেফতার করবেন? সেই পুরনো অভিনয়, যেন শোনেননি। বললেন আঙুর খাও। ভালো। নঈম নিজাম সুযোগটা নিল, আঙুর নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা শুরু করল। কোন দেশের আঙুর কেমন এ নিয়ে নঈমের জ্ঞান দেখে আমিই তো ভিরমি খাওয়ার দশায়, তাহলে প্রবীণ মির্জা হাফিজের কী হবে। আঙুরের গল্পে মশগুল মন্ত্রীর চোখের আড়ালে আমি গোলাম আযমের ফাইলটা হাতিয়ে নিলাম। নঈম কথার স্পিড বাড়িয়ে দিল। আসছি বলে অতি গোপনীয় ফাইলের ওপরের কাগজ নিয়ে আমি মন্ত্রীর রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। রাজেক ভাইকে বললাম, আদেশসংক্রান্ত অংশটা ফটোকপি করে দিন। মূল বিষয়টা ছিল আইন মন্ত্রণালয় ফরেনার্স অ্যাক্টে গোলাম আযমকে নিরাপত্তার কারণে গ্রেফতারের সুপারিশ করে। কাগজটা ফটোকপি করার পর আবার মন্ত্রীর রুমে ঢুকলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন। এবার মন্ত্রী উঠলেন বাথরুমে যাবেন বলে। নঈম নিজাম তখন ভুটানের আঙুর সম্পর্কে মন্ত্রীকে জ্ঞান দিচ্ছে। মন্ত্রী বাথরুমে যেতেই আমি ফাইলে ‘অতি গোপনীয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি’ যথাস্থানে রেখে দিলাম।

১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোজিনা ইসলামের ঘটনা থেকে, ৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ওইদিন আমার অবস্থাও রোজিনার মতো হতে পারত। ১৭ মে রাতে ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখলাম আমাকে আর নঈম নিজামকে আইন মন্ত্রণালয়ে বেঁধে রেখেছে। বাংলাদেশে যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করে তারা মোটামুটি চুরিবিদ্যায় পারদর্শী। কারণ রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিধিব্যবস্থা এমন যে এখানে চাইলেও বৈধ পন্থায় কোনো তথ্য পাওয়া অত্যন্ত দুষ্কর এবং প্রায় অসম্ভব। এর চেয়ে ফাইল থেকে কাগজ সরিয়ে নেওয়াই সহজ কৌশল। এখন ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন কাজটা সহজ করে দিয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা চান খবরটা বের হোক, তার স্বার্থে কিংবা দেশের স্বার্থে। গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গোপন নথির খবর তিনিই সাংবাদিককে দেন। শুধু মির্জা গোলাম হাফিজের ফাইল চুরির ঘটনা নয়, বিএনপি আমলে এ রকম বহু নথি চুরি করে চাঞ্চল্যকর এক্সক্লুসিভ করেছি আমরা। দেশের ক্ষতির জন্য নয় দেশের মঙ্গলের জন্য। এখন অনেক মন্ত্রণালয়ে এ রকম গোপন ফাইলের ছবি তুলেও সোর্সরা দেন। সাংবাদিকতায় এ ‘চুরি’ বৈধ। নৈতিকতার বিচারে ন্যায্য।

সচিবালয়ে দুই ধরনের সাংবাদিক যান। এক ধরনের সাংবাদিক যারা তথ্যের সন্ধানে ঘোরেন। অন্য ধরনের সাংবাদিক যারা তদবিরে যান। মজার ব্যাপার হলো, তদবিরে যাওয়া সাংবাদিকরা সচিবালয়ে কদর বেশি পান, তথ্য সংগ্রহকারীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এটা সাংবাদিকসমাজে এবং সচিবালয়ে ওপেন সিক্রেট। আমাদের ‘আজকের কাগজ’, ‘ভোরের কাগজ’ যুগে সচিবালয় বিটের সাংবাদিক ছিলেন শাহনেওয়াজ ভাই। সচিবালয়ে পিয়ন থেকে বড় কর্তা সবার সঙ্গে তাঁর এক গোপন সখ্য ছিল। তখন আমাদের নিউজ এডিটর ছিলেন আহমেদ ফারুক হাসান। শাহনেওয়াজ ভাই প্রতিদিন একগাদা কাগজ নিয়ে আসতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন না কোন কাগজটা রিপোর্ট হওয়ার যোগ্য। কাগজগুলো তিনি ফারুক ভাইকে দিতেন। ফারুক ভাই বলে দিতেন কোনটা দিয়ে কী রকম রিপোর্ট হতো। মাঝেমধ্যে ফারুক ভাই আমাদের ডেকে দেখাতেন বিস্ফোরক সব নথি। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ক্যান্টনমেন্টের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক অতি গোপনীয় চিঠিতে ওই বাসায় সংস্কারের তালিকা এবং বাজেট অনুমোদন দিয়েছে। সে চিঠি নিয়ে শাহনেওয়াজ ভাই ঘুরছেন। মোখলেছ ভাই (মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, পরে রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রেস সচিব) তখন আজকের কাগজে আমাদের কলিগ। এই কাগজ দেখে তো খেপে উঠলেন। মোখলেছ ভাই তখন তোতলাতেন। ভেঙে ভেঙে শাহনেওয়াজ ভাইকে বললেন, ‘আপনি জানেন এটা রাষ্ট্রের গোপন দলিল। অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে আপনার জেল হবে।’ এ জীবনে প্রথম ওই আইনের নাম শুনেছিলাম। এবার রোজিনাকে ওই আইনে গ্রেফতার দেখলাম। শাহনেওয়াজ ভাই বেচারা সহজ সরল মানুষ, বেজায় ভয় পেলেন। নঈম নিজাম আর আমিনুর রহমান তাজ (আজকের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার) শাহনেওয়াজ ভাইকে জেলে গেলে কী করতে হবে না হবে তা বোঝাচ্ছিলেন। জিগাতলায় আজকের কাগজে হাসির ফোয়ারা। সচিবালয় থেকে গোপন ফাইলের তথ্য চুরি, একটি স্বাভাবিক অবৈধ প্রক্রিয়া। যুগ যুগ ধরে এটা হয়ে আসছে। একসময় সচিবালয় সাংবাদিকতা মানেই ছিল কাশেম হুমায়ুন। আমরা তাকে ‘কাশু কাকা’ বলে ডাকতাম। সচিবালয়ের অলিগলি তাঁর চেনা। সচিবরা প্রায় তাঁর ইয়ার দোস্ত। মাঝেমধ্যে পকেট থেকে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অতি গোপনীয় কাগজ বের করে দেখাতেন। সংসদে কাজের ফাঁকে এসব কাগজ দেখে প্রথমে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতাম, পরে দেখেছি এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেই কাগজ, গোপন নথি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যা ঘটল তা বিস্ময়কর। ঘটনাটা তুচ্ছ, প্রতিদিন সচিবালয়ে এ রকম ঘটনা ঘটে অহরহ। এটা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তা ও কর্মচারী যে কান্ড করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। এ রকম নিরীহ কাজের জন্য একজন সংবাদকর্মীকে জেলে যাওয়াটা অবিশ্বাস্য। পুরো ঘটনার দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য সচিব কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, রোজিনা যে নথি ‘চুরি’ করেছেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলার চেষ্টা করছেন তা এখন বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কর্তাদের হাতে হাতে। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এমন কোনো বিস্ফোরক দলিল নেই যা প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যা বলেছেন তা দায়িত্বজ্ঞানহীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনার সময় তাঁর দফতরে বা সচিবালয়ে ছিলেন না। তাই ঘটনার সহজ মীমাংসা তিনি করতে পারতেন। বলতে পারতেন ‘বিষয়টা আমি দেখছি’। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোজিনাও কাগজ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তিনি এটা অন্যায় তাও স্বীকার করেছেন। এজন্য তিনি মুচলেকা দিতেও রাজি ছিলেন। রোজিনাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবস্থানই দৃঢ় হতো। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এ ইস্যু নিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছেন। এরা কারা খুঁজে দেখা জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের প্রকোপ বেড়েছে। এরাই লকডাউনের নামে তামাশার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরাই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং আদেশ দিয়ে সরকারকে বিব্রত করে।

এই অতি উৎসাহীরা আসলে সরকারের ক্ষতি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটা করছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। এই অতি উৎসাহীরা সরকারকে বিপদে ফেলার জন্য নানা কাজ করছে- এমন অভিযোগ আজকাল কান পাতলেই শোনা যায়। না হলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা বেতন পান তারা এত বেপরোয়া হবেন কেন? রোজিনাকে লাঞ্ছিত করার পরও এর মীমাংসা হতে পারত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অর্বাচীন এবং দায়িত্বহীন আচরণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরদিন (১৮ মে) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই নির্যাতনের পক্ষে যে ‘খামচি’তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন, তাতে এ বছরের সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কারটা তাঁকে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন অতি উৎসাহে এ ছোট্ট ঘটনাটি এত দূর গড়িয়েছে। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বিষয়টি স্রেফ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সরকারের অভিপ্রায় অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেনি। এ ঘটনার একক দায়দায়িত্ব বিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এবং মন্ত্রণালয়ের। তাই এ ঘটনার পর যারা তিলকে তাল বানিয়ে হুলুস্থুল করার চেষ্টা করছেন, তারাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন কি না খুঁজে দেখা দরকার। বাংলাদেশে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে যে কোনো ইস্যুতে অমার্জিত দায়িত্বজ্ঞানহীন কথাবার্তা বলেন। দেশে যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে যে কোনো বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকারকে জড়িয়ে ফেলেন তাদের মূর্খতার জন্য করুণা হয়। রোজিনা গ্রেফতার হওয়ার পর দেখলাম এক সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি একটি চ্যানেলে টকশোয় বলছে দুর্নীতির তথ্য ওই ফাইলে ছিল, এজন্যই নাকি রোজিনার ওপর এ আক্রোশ। আমি জানি না তিনি কখনো রিপোর্টিং করেছেন কি না। ফাইলে কখনো দুর্নীতির তথ্য থাকে না। ফাইলে শুধু তথ্য থাকে। একজন রিপোর্টারকে ওই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় দুর্নীতি হয়েছে কি না। যেমন ফাইলে থাকবে স্পুটনিক টিকার ক্রয়মূল্য। রিপোর্টারকে ওই টিকার আন্তর্জাতিক মূল্য যাচাই করে দেখতে হবে। আরও তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে হবে অনিয়ম হয়েছে কি না। এরা সাংবাদিকতাকে এত হালকা আর খেলো করেন কেন? রোজিনার ইস্যুকে কেউ কেউ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একজন সম্পাদক লিখেছেন, ‘এটা নাকি সাংবাদিকতার টুঁটি চেপে ধরার শামিল।’ বাংলাদেশের টেলিভিশন টকশোর কথা বাদই দিলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কিছু বাচাল যেন বাংলাদেশেরই টুঁটি চেপে ধরছে। কারও কারও লেখা এবং কথা শুনলে মনে হয় এরা ভিনদেশ থেকে এসেছে। রোজিনাই প্রথম এ রকম নিগ্রহের শিকার। বাংলাদেশে সব সরকারের আমলে সাংবাদিকরা কমবেশি নিগৃহীত হয়েছেন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি যেমন জরুরি, তেমন রাষ্ট্রীয় আইন ও কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগও জরুরি। এখন দেখছি অনেকে বলছেন, ১৯২৩ সালের আইন এখনো কীভাবে আছে? এ প্রশ্ন তাদের আগে আসেনি কেন? কেন একজন সাংবাদিক বৈধ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবে তথ্য পাবেন না। কেন তাকে অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে। রোজিনার ঘটনা একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু রোজিনাকে যেন দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। সুযোগসন্ধানী কিছু গোষ্ঠী আছে বাংলাদেশে যারা মেঘ হলে বলে এটা সরকারের দোষ, বৃষ্টি হলে বলে সরকারের ব্যর্থতা। এ গোষ্ঠীও রোজিনা ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। এদের হাতে দেশ তো নয়ই, স্বাধীন সাংবাদিকতাও নিরাপদ নয়। রোজিনা ইস্যুটি একটি অনাকাক্সিক্ষত পেশাগত ঝুঁকি। সব পেশায় এ ঝুঁকি থাকে। একটি পেশাগত চ্যালেঞ্জকে নিয়ে অন্য উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা হলে তা হবে রোজিনার ওপর দ্বিতীয় নির্যাতন। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তার ওপর দ্বিতীয় নিপীড়ন যেন না হয়।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৫৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা