শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১ আপডেট:

ধর্ষণের জন্য দায়ী ধর্ষক

তসলিমা নাসরিন
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
ধর্ষণের জন্য দায়ী ধর্ষক

১. পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘অল্প কাপড় যে মেয়েরা পরে, তাদের দেখে পুরুষলোক, যদি তারা রোবট না হয়, উত্তেজিত হবেই।’

কিন্তু ইমরান খান তো বেশি কাপড় যে মেয়ে পরে, নিকাবসহ বোরখা যে মেয়ে পরে, সেই বুশরা বিবিকে দেখে এমন উত্তেজিত হয়েছিলেন যে বিয়ে পর্যন্ত করে ফেলেছেন।

মেয়েরা ছোট পোশাক পরলে যারা উত্তেজিত হয়, ইমরান খান বলছেন, তারা পুরুষ, তারা রোবট নয়। তাহলে তো মেয়েরা বড় পোশাক পরলে যারা উত্তেজিত হয়, তারা রোবট, তারা পুরুষ নয়।

ইমরান খান কি তবে রোবট?

এই প্রশ্নটি মজার।

কিন্তু পুরো ব্যাপারটা মজার নয়। ইমরান খান, একদার প্লেবয়, ধর্ষণ আর যৌন হেনস্তার জন্য ধর্ষক বা হেনস্তাকারী পুরুষদের দোষ না দিয়ে আবারও মেয়েদের পোশাককে দোষ দিচ্ছেন।

এই ভুল কি তিনি জেনেবুঝে করছেন? নাকি তিনি মানুষটাই শুরু থেকে নারীবিদ্বেষী!

ধর্ষণের জন্য ধর্ষক পুরুষকে নয়, অত্যাচারীকে নয়, নির্যাতিতাকে, ধর্ষণের শিকারকে দায়ী করেছেন ইমরান খান। সত্যি বলতে কী, শুনে আমি অবাক হইনি। নারীবিদ্বেষী মৌলবাদী দলগুলোর চেয়ে ইমরানের দলটি খুব আলাদা নয়। কিছুকাল হলো ইমরান হয়ে উঠছেন সেই সব বদ পুরুষের মতো, সেই সব ধর্ষক-সমর্থকের মতো যারা নারীর পোশাককে, নারীর শরীরকে, শরীরের গঠনকে, ত্বকের বর্ণকে, মুখের ছাদকে, নারীর আচার-আচরণকে, নারীর চোখের চাহনীকে ধর্ষণের কারণ হিসেবে দেখান। ক্ষমা করে দেন অত্যাচারী বর্বর ধর্ষককে। যত বয়স বাড়ছে, তত ধর্মান্ধ হয়ে উঠছেন ইমরান খান। কে না জানে যে ধর্মান্ধতার সঙ্গে নারীবিদ্বেষ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত!

কেউ কেউ বলে, ক্ষমতায় থাকতে হলে ধর্মান্ধ হতেই হয়, অনুন্নত দেশগুলোতে এ ছাড়া উপায় নেই। ক্ষমতায় থাকার জন্য যদি কেউ জেনেবুঝে ধর্মান্ধ এবং নারীবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন, সমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দেন, নীতি আদর্শ সব বিসর্জন দেন, তবে ক্ষমতায় থাকা মানুষটি যে নিতান্তই লোভী এবং স্বার্থপর, তার দ্বারা সমাজের যে একবিন্দু কোনও উপকার হবে না, তা আমরা ঠিক ঠিক বুঝে যাই।

বাংলাদেশে ইমরান খানের মতো নারীবিদ্বেষী ধর্ষক-সমর্থকে গিজগিজ করছে। মনে আছে অভিনেতা মোশাররফ করিম একবার বলেছিলেন পোশাকের কারণে ধর্ষণ ঘটে না। ওই মন্তব্যের পর মোশাররফ করিমকেও চাপের মুখে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। হ্যাঁ, সত্য বলার জন্য তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন। সংশোধন করে মোশাররফ করিম যা বলেছিলেন তা হলো ‘পোশাকের কারণেই ধর্ষণ ঘটে’। ঘটনাটি খুব দীর্ঘকাল আগের নয়। পাঁচ বছর বয়সী শিশু যখন ধর্ষণের শিকার হয়, পঁচাত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধা যখন ধর্ষণের শিকার হয়, তখন নিশ্চয়ই তাদের পোশাকের কারণেই তারা ধর্ষণের শিকার হয়, তাই না?

নারীর প্রতি ঘৃণা কতদূর পৌঁছোলে মানুষ এমন অবিবেচকের মতো মন্তব্য করতে পারে, তা অনুমান করতেও আশঙ্কা হয়।

২. ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের পিছনে হাজারো কারণ, সেই কারণগুলো দূর করতে হবে, তা না হলে নারী-নির্যাতন, যৌন হেনস্তা, ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটতেই থাকবে। স্বল্প পোশাক না পরার, সন্ধের পর বাড়ি থেকে বের না হওয়ার, রাতের উৎসবে না যাওয়ার, নির্জন রাস্তায় হাঁটাচলা না করার, ক্লাবে-হোটেলে না ঢোকার যে পরামর্শ অহরহ দেওয়া হয় মেয়েদের, সেটি মেয়েদের না দিয়ে বরং যারা দোষ করে, তাদের দেওয়া উচিত, অর্থাৎ পুরুষদের দেওয়া উচিত। মেয়েদের উপস্থিতি দেশের সর্বত্র, রাস্তাঘাটে, অলিতে গলিতে, অফিস আদালতে, ইস্কুল কলেজে, মাঠে ময়দানে, ক্যাফে রেস্তোরাঁয়, ক্ষেতে খামারে, জলেস্থলে অন্তরীক্ষে আরও হওয়া দরকার। শেকল ছিঁড়ে মেয়েরা যত বেরোবে, বাইরের দুনিয়াটা তত মেয়েদের হবে। অন্দরমহলে বাস করে বাইরের পৃথিবীকে নিরাপদ করা যায় না।

৩. আমার মনে হয় যারা ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া, ধর্ষকের ধর্ষদন্ড কর্তন করা, ধর্ষককে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা ইত্যাদির জন্য চিৎকার করছে, তাদের অনেকেই খুব গোপনে বিশ্বাস করে ধর্ষণের কারণ মেয়েরাই। মেয়েরা যদি সংযত হয়ে চলাফেরা করতো, যদি ঠিকঠাক পোশাক পরতো, রাতে একা না বেরোতো, তাহলে ধর্ষণ হতো না। বাংলাদেশের বড় বড় অনেক বুদ্ধিজীবীই বিশ্বাস করেন ধর্ষণে। বিশ্বাস করেন মেয়েদের ‘না’ মানে ‘হ্যাঁ’, বিশ্বাস করেন একটু জোর না করলে যৌনতায় আনন্দ নেই। সাধারণ মানুষ ব্যতিক্রম হলে কতটাই বা হবে!

ধর্ষককে কঠোর শাস্তি দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করা যায় না। ধর্ষণ বন্ধ হবে মানুষকে যদি শিক্ষিত আর সচেতন করে গড়ে তোলা হয়, নারীর সমানাধিকারে যদি মানুষকে বিশ্বাস করানো হয়, যদি তাদের মানবতাবাদী, নারীবাদী হিসেবে বড় করা হয়। সবচেয়ে মূল্যবান হলো, অপরাধ যে কারণে হচ্ছে, সেই কারণটি নির্মূল করা। এই কাজটি কেউ করতে চায় না। সবাই সোজা পথটি ধরতে চায়। সোজা পথটি হলো, অপরাধীকে মেরে ফেল। চোখের বদলে চোখ নিয়ে নাও, রক্তের বদলে রক্ত। এর নাম কিন্তু বিচার নয়, এর নাম প্রতিশোধ। এটি করে জনগণকে ধোঁকা দেওয়া যায়। জনগণ ভাবে অপরাধ দমনে সরকার বিরাট এক ভূমিকা নিয়েছে।

মূর্খ রাজনীতিবিদরা সমাজকে যত নষ্ট করে, তত নষ্ট সম্ভবত ধর্ষকরাও করে না। ধর্ষকদের দোষ দিয়ে ধর্ষণের মূল কারণকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। ধর্ষক হয়ে কিন্তু কেউ জন্মায় না। এই পুরুষতন্ত্র, পিতৃতন্ত্র, সমাজের কুশিক্ষা, ভুল-শিক্ষা, নারী-বিদ্বেষ, নারী-ঘৃণা পুরুষকে ধর্ষক বানায়। ধর্ষিতাকে দোষ দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করা যায় না। ধর্ষককে ফাঁসি দিয়েও ধর্ষণ বন্ধ করা যায় না। আবারও বলছি, ধর্ষণের মূল কারণগুলোকে নির্মূল করতে পারলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে।

৪. বহু বছর ধরে নারীবাদীরা পৃথিবীর সর্বত্র সবাইকে বোঝাচ্ছে, এমনকী প্রমাণও দেখাচ্ছে যে, ধর্ষণ নারীর পোশাকের কারণে ঘটে না। ধর্ষণের কারণ : ১. বীভৎস কোনও কান্ড ঘটিয়ে পুরুষ তার পৌরুষ প্রমাণ করে, ২. নারীকে নিতান্তই যৌনবস্তু মনে করে পুরুষ। সুতরাং যৌনবস্তুকে ধর্ষণ করা অপরাধ নয় বলেই বিশ্বাস করে।

নারীবাদীদের আন্দোলনের ফলে ধর্ষণের জন্য ধর্ষিতাদের দায়ী করাটা সভ্য এবং শিক্ষিত লোকদের মধ্যে এখন অনেকটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু যারা এখনও বন্ধ করছে না, তাদের নিশ্চিতই চক্ষুলজ্জা বলতে যে জিনিসটা প্রায় সবার থাকে, নেই।

৫. মেয়েদের শুধু পুরুষের সম্পত্তি নয়, এই সমাজেরও ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে বিশ্বাস করা হয়। সে কারণে সমাজের লোকেরা একটা মেয়ে কী পরলো, কী করলো, কোথায় গেল, কী খেলো, কার সঙ্গে কথা বললো, কার সঙ্গে শুলো, কখন বাড়ি ফিরলো এসবের খবরাখবর রাখে। লক্ষণরেখা পেরোলেই সর্বনাশ। সমাজের লোকেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মেয়েকে একঘরে করতে হবে নাকি পাথর ছুড়ে মারতে হবে। মেয়েদের শরীরকে অর্থাৎ মেয়েদের যৌনতাকে শেকল দিয়ে বেঁধে ফেলার আরেক নাম পুরুষতন্ত্র। এই শেকল যতদিন না ভাঙা হবে, ততদিন মেয়েদের সত্যিকার মুক্তি নেই, ততদিন তাদের পোশাক আশাক আর তাদের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে।

৬. নারীবাদীদের শত বছরের আন্দোলনের ফলে পৃথিবীতে নারী-শিক্ষা শুরু হয়েছে, নারীরা ভোটের অধিকার পেয়েছে, বাইরে বেরোবার এবং স্বনির্ভর হওয়ার অধিকার পেয়েছে, কিন্তু এই অধিকারই সব নয়, নারীর যে অধিকারটি নেই এবং যে অধিকারটি সবচেয়ে মূল্যবান, সেটি নারীর শরীরের ওপর নারীর অধিকার। নারীর শরীরকে সমাজ এবং পরিবারের দাসত্ব থেকে মুক্ত করা অত্যন্ত জরুরি। নারীর শরীর কোনও সমাজের সম্পত্তি বা কোনও পরিবারের সম্মানের বস্তু নয়। যতদিন নারী তার শরীরের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা না পাচ্ছে, নারীর শরীর নিয়ে নারী কী করবে, সেই সিদ্ধান্ত নারীর না হবে, যতদিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পুরুষের, আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের, ততদিন নারীর সত্যিকার মুক্তি সম্ভব নয়। আর যতদিন এই মুক্তি সম্ভব নয়, ততদিন নারীর পরিচয় পুরুষের ‘ভোগের বস্তু’ হয়েই থাকবে- ঘরে, পতিতালয়ে, রাস্তায়, অফিসে, বাসে, ট্রেনে-সবখানে। ভোগের বস্তু নারীকে ভাবা হয় বলেই যৌন হেনস্তা বা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ ঘটাতে পুরুষের কোনও অসুবিধে হয় না। পুরুষাঙ্গ মেয়েদের ধর্ষণ করে না, ধর্ষণ করে ঘৃণ্য পুরুষিক মানসিকতা। পুরুষাঙ্গ নিতান্তই একটা ক্ষুদ্র নিরীহ অঙ্গ। পুরুষিক মানসিকতা দূর করলে পুরুষেরা নারীকে যৌনবস্তু হিসেবে না দেখে একই প্রজাতির সহযাত্রী স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে দেখবে। পুরুষের যৌনইচ্ছের চেয়ে নারীর যৌনইচ্ছে কিছু কম নয়। নারী যদি নিজের যৌনইচ্ছে সংযত করতে পারে, পুরুষের বিনা অনুমতিতে পুরুষকে স্পর্শ না করে থাকতে পারে, পুরুষ কেন পারবে না, পুরুষ কেন চাইলে নারীর বিনা অনুমতিতে নারীকে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে না! মানুষ মাত্রই এই ইচ্ছেকে সংযত করতে পারে, কিন্তু ধর্ষকদের মধ্যে সংযত করার এই চেষ্টাটা নেই, কারণ ধর্ষকদের মস্তিষ্কের গভীরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শিক্ষাটা অনেক আগেই ঢুকে গেছে যে নারী যৌনবস্তু আর পুরুষের অধিকার আছে যখন খুশি যেভাবে খুশি যৌনবস্তুকে ভোগ করা। কিন্তু কে কাকে বোঝাবে যে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক যদি খাদ্য ও খাদকের বা শিকার ও শিকারির হয়, তবে এ কোনও সুস্থ সম্পর্ক নয়! কোনও বৈষম্যের ওপর ভিত্তি করে কখনও সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে না। নারী তার সমানাধিকার না পাওয়া পর্যন্ত নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনও সত্যিকার সুস্থ সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।

৭. ধর্ষণের শিকারকে কেন মুখ লুকোতে হয়! ধর্ষকরা তো দিব্যি নাম ধাম সাকিন জানিয়ে দেয়, ক্যামেরার দিকে তাকাতে তাদের তো লজ্জাবোধ হয় না! তাহলে কি ঘটনা এই যে সমাজের ভয় একজন ধর্ষিতার আছে, কিন্তু একজন ধর্ষকের নেই? কেন নেই? এককালে না হোক, আজকাল তো ধর্ষকদের পুরুষেরাও মেনে নেয় না। তারা ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে নিজেরা যে ধর্ষক নয়, তা প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, বলতে থাকে সব পুরুষ ধর্ষক নয়, ধর্ষকের জন্য কঠিন কঠিন শাস্তির প্রস্তাব দিতে থাকে, ফাঁসি, পুরুষাঙ্গ কর্তন, কত কী! তাহলে কেন আজও এই একবিংশ শতাব্দীতেও মেয়েরা নিজের পরিচয় লুকোতে বাধ্য হয়?

আমরা জানি কেন লুকোয় পরিচয়। কারণ যতই মানুষ ধর্ষণের বিরুদ্ধে বলুক, যতই ধর্ষককে গালি দিক, মানুষ আজও মেয়েকেই দোষী বলে মনে করে। মেয়েটি কী পোশাক পরেছিল? কোনও ছোট পোশাক? মেয়েটি যদি কোনও ছোট পোশাক না পরে থাকে, তবেও দোষ, কেন হিজাব পরেনি, যদি হিজাব পরে থাকে, তবে দোষ কেন বোরখা পরেনি। মেয়েটি বান্ধবীর বাড়িতে যাচ্ছিল, কেন একা যাচ্ছিল, একা গেলে তো এরকম হবেই। কেন কোনও পুরুষ আত্মীয় ছিল না সঙ্গে? কেন সন্ধেয় যাচ্ছিল, দিনের বেলায় তো যেতে পারতো! দোষের শেষ নেই।

ধর্ষণকে পুরুষের অধিকার বলে যারা বিশ্বাস করে, তারা পদে পদে মেয়েদের দোষ খুঁজে বেড়াবে বলার জন্য অন্য মেয়েরা তো ধর্ষণের শিকার হয় না, ও হলো কেন, নিশ্চয়ই ও খারাপ। নিশ্চয়ই ধর্ষিতা হতেই সে চেয়েছে! ধর্ষণের কারণ যে পুরুষের নারীবিদ্বেষ, নারীকে যৌনবস্তু ভাবার মানসিকতা, নারীকে নির্যাতন করাই যায়, নারী তো নিতান্তই তুচ্ছাতিতুচ্ছ বস্তু-এই বিশ্বাস, তা অনেকে জানে না। অথবা জানলেও না জানার ভান করে।

ধর্ষণের শিকার যারা, তারা যেন আর মুখ না লুকোয়। যদি এমন হয় যে ধর্ষণের শিকার হলে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে, তাহলে যারা হেনস্তা করছে, তাদের চিহ্নিত করা হোক। তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা হোক। শুধু ধর্ষণ যে করে, সে-ই দোষী? ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে যারা তার শিকারকে ঘৃণা করে, একঘরে করে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, নির্যাতন করে তারাও তো ধর্ষকের মতোই। ধর্ষক করে শারীরিক নির্যাতন, সমাজের ভদ্রলোকেরা করে মানসিক নির্যাতন। এখনও শারীরিক নির্যাতনকে নির্যাতন হিসেবে ধরা হয়, মানসিক নির্যাতনকে নয়। ধর্ষণের পর একটি মেয়েকে পরিবার এবং সমাজ মানসিক নির্যাতন করে, এ কারণেই মেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়, আত্মহত্যা করে।

শারীরিক নির্যাতনের চেয়ে মানসিক নির্যাতন হাজার গুণ ভয়ঙ্কর। ধর্ষণ পুরুষতন্ত্রের উপসর্গ ছাড়া আর কিছু নয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এই ঘোষণা দেয় যে নারী দুর্বল, পুরুষ সবল। পুরুষের জগত বাইরে, নারীর জগত ঘরে। পুরুষ অর্থকড়ি উপার্জন করে, নারী ঘর সংসার করে, শিশু পালন করে। নারীকে তার পিত্রালয় থেকে উঠিয়ে স্বামীগৃহে স্থান দেওয়া হয়। শৈশব-কৈশোরে মেয়েরা পিতার অধীন, যৌবনে স্বামীর অধীন। নারীকে স্বামীর সেবাযত্ন করতে হবে, সন্তান, বিশেষ করে পুত্র সন্তান জন্ম দিতে হবে। নারী এবং পুরুষকে ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় বেঁধেছে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। এই ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকাই প্রমাণ করে নারী নিতান্তই পুরুষের দাসী, যৌনদাসী।

যৌনদাসীকে তাই খুব সহজেই রাস্তাঘাটের লোকেরা তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতে পারে। কোনও ধর্ষক ভাবে না সে অন্যায় করছে। ঘরে ঘরে নারী নির্যাতন চলছে, যে নির্যাতনকে বৈধ বলে মনে করে দেশের প্রায় সবাই। ঘরে ঘরে ধর্ষণ চলছে। স্ত্রীকে ধর্ষণ করছে স্বামী। আজও স্বামীর ধর্ষণকে ধর্ষণ বলে মানা হয় না। আজও গণিকালয়ে গিয়ে পুরুষেরা যে ধর্ষণ করে, সেই ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনকেও বৈধ বলে মানা হয়।

ঘরে এবং বাইরে একশ্রেণির পুরুষ যা করে অভ্যস্ত, তা ধর্ষণ। তবে কেন একটি মেয়েকে সুযোগ পেলে অন্ধকারে নিয়ে ধর্ষণ করবে না? পুরুষকে তার পেশি, তার জোর, তার ক্ষমতা, তার সাহস নিয়ে, মোদ্দা কথা তার পৌরুষ নিয়ে গর্ব করতে শেখানো হয়েছে। ধর্ষণ সেই গর্ব থেকেই করে পুরুষ।

ধর্ষকদের কাছে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব মেয়েই সমান। নারী, তার কাছে, যৌনাঙ্গ ছাড়া কিছু নয়। প্রচুর পুরুষ, ধর্ষক অথবা ধর্ষক নয়, নারীকে আস্ত একটি যৌনাঙ্গ বলেই বিচার করে।

পুরুষেরা আর কতকাল ধর্ষণ করবে মেয়েদের? তাদের কি এখনও সময় হয়নি ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার? পুরুষেরা যেন পুরুষদের সেই ভাবে শিক্ষা দেয়, যেভাবে শিক্ষা দিলে পুরুষেরা ধর্ষণ করবে না। নারীরা চিৎকার করলে পুরুষেরা কান দেয় না। নারীরা জানে না কী করলে বা কী বললে পুরুষেরা ধর্ষণ বন্ধ করবে। পুরুষেরাই জানে পুরুষের মন। সুতরাং পুরুষের শিক্ষক, উপদেষ্টা পুরুষকেই হতে হবে। পুরুষকেই দল বেঁধে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ মানব সমাজে বাস করতে হলে, নারীর সঙ্গে এক সমাজে বাস করতে হলে, পুরুষকে নারী নির্যাতন বন্ধ করতেই হবে। এ ছাড়া উপায় নেই।

লেখক : নির্বাসিত লেখিকা।

এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
সর্বশেষ খবর
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

অতিরিক্ত কফি পানে কি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে?
অতিরিক্ত কফি পানে কি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে?

১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

জুলাইশহীদ মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট
জুলাইশহীদ মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

কি ঘটছে সুদানের নতুন রণক্ষেত্রে?
কি ঘটছে সুদানের নতুন রণক্ষেত্রে?

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ, দ্রুত সংস্কার চান স্থানীয়রা
বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ, দ্রুত সংস্কার চান স্থানীয়রা

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

জকসু নির্বাচন পেছানোর দাবিতে কমিশনকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি
জকসু নির্বাচন পেছানোর দাবিতে কমিশনকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সুনামগঞ্জ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার, সিলেটে নিষ্ক্রিয়
সুনামগঞ্জ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার, সিলেটে নিষ্ক্রিয়

২০ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নড়াইলে হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা
সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা

২৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি
তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৫ বছর শিক্ষকতা শেষে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায় শিক্ষিকার
৩৫ বছর শিক্ষকতা শেষে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায় শিক্ষিকার

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণহত্যার বেলায় শাহরুখ কেন চুপ?
গণহত্যার বেলায় শাহরুখ কেন চুপ?

৪২ মিনিট আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগান কোচের দায়িত্ব ছাড়বেন ট্রট
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগান কোচের দায়িত্ব ছাড়বেন ট্রট

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণ শিকারিদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩
সুন্দরবনে হরিণ শিকারিদের হামলায় বন কর্মকর্তা আহত, গ্রেপ্তার ৩

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের নারী দলের জন্য বিসিসিআইয়ের পুরস্কার ৫১ কোটি রুপি
ভারতের নারী দলের জন্য বিসিসিআইয়ের পুরস্কার ৫১ কোটি রুপি

৫৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় ৬৮ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে লড়বেন মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হলেন ২৭৩ এসআই
পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হলেন ২৭৩ এসআই

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্বশুরবাড়িতে মার খাওয়ার অভিযোগ, অভিনেতা বললেন ‌‘প্রমাণ দেওয়া হোক’
শ্বশুরবাড়িতে মার খাওয়ার অভিযোগ, অভিনেতা বললেন ‌‘প্রমাণ দেওয়া হোক’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লাবুশেনের ৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি
লাবুশেনের ৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সরাইলে দক্ষ সমবায়ী গঠনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ
সরাইলে দক্ষ সমবায়ী গঠনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড়াল নদে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের
বড়াল নদে গোসলে নেমে প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা খুন: ছেলে ৩ দিনের রিমান্ডে
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা খুন: ছেলে ৩ দিনের রিমান্ডে

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
নভেম্বরে বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল
জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন
পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯
রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা-গুলি বর্ষণ, শিক্ষক নিহত
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা-গুলি বর্ষণ, শিক্ষক নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প
কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন
বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি

সম্পাদকীয়

অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি
অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি
৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন
রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন

নগর জীবন

সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে  সালামের দুঃখ প্রকাশ
সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে সালামের দুঃখ প্রকাশ

নগর জীবন

প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক
প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে
প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়
গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস
যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে
চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর
আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর

প্রথম পৃষ্ঠা

পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা
পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নগর জীবন

বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ
বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ

দেশগ্রাম

রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত
রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত

মাঠে ময়দানে

গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল
গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল

দেশগ্রাম

মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট

সম্পাদকীয়

ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে
ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির
দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের
বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের

খবর

নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা
যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের
বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর
পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর

প্রথম পৃষ্ঠা

আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

১২ কেজি এলপিজি  সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা