শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১

বিদেশের বয়ানে স্বদেশের সত্য খুঁজতে হবে কেন?

তুষার কণা খোন্দকার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিদেশের বয়ানে স্বদেশের সত্য খুঁজতে হবে কেন?

একবিংশ শতাব্দীর সূচনার দুই দশক আমরা পার হয়ে এসেছি। একবিংশ শতাব্দীর দুই দশকজুড়ে আমরা যেটি টের পাচ্ছি সেটি ‘সত্য’ এবং ‘প্রচার মাধ্যমের সত্য’ এ দুইয়ের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। প্রচারমাধ্যমগুলোর প্রতি আমরা আর চোখ বুজে আস্থা রাখতে পারছি না। বর্তমান সময়ে সাধারণ দর্শক-শ্রোতার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলকে গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করলে খবর কিংবা বিজ্ঞ আলোচনার গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে কিছু গণমাধ্যম কিংবা বুদ্ধিজীবীকে দেখি আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর প্রচার-প্রপাগান্ডাকে বেদবাক্য বলে দেশবাসীকে গেলানোর চেষ্টা করে। আমাদের দেশের বুদ্ধি পেশাজীবীরা কোনো আন্তর্জাতিক এনজিওর তরফ থেকে কিছু শুনলে সেটাকে ঐশী বাণী বলে প্রচার করতে নেমে পড়ে। এরা ভুলে যায়, এ দেশে বসবাস করে সরাসরি আমরা যা দেখছি কিংবা আমাদের গণমাধ্যমগুলো যেসব খবর প্রচার করছে সেগুলোকে অগ্রাহ্য করলে আমরা প্রকৃত সত্য কখনো জানতে পারব না। দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো তাদের দেশের সরকারি কিংবা করপোরেট বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের দান-অনুদান খেয়ে বেঁচে থাকে। কাজেই তারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির মতলবে মনমত তথ্য পয়দা করে প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। লন্ডনভিত্তিক এনজিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট খুলে বাংলাদেশ প্রোফাইল অংশে চোখ বুলালে প্রথমেই আপনার মনে হবে, আহারে! বাংলাদেশ নামের দেশটি বসবাসের অযোগ্য চরম অরাজকতাপূর্ণ একটি দেশ। বাংলাদেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই বরং নিবর্তনমূলক আইন তৈরি করে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। এখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় সাংবাদিক সমাজের ওপর চরম নির্যাতন চলছে। বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকান্ড, নারী নির্যাতন, আদিবাসী নিবর্তন ইত্যাদি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর তাদের নিজ দেশে নিরাপদ এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারেনি এটিও একটি অভিযোগ। অ্যামনেস্টির রিপার্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রথম যে অভিযোগগুলো তোলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তোলা যেতে পারে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্বেচ্ছামূলক সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ কীভাবে নিশ্চিত করবে এটি আমার মাথায় ঢুকল না। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে তাদের দেশছাড়া করার কাজটি করেছে। মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং এ জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করার জন্য বাংলাদেশ পৃথিবীর সব দেশকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে, এ তথ্য আমরা গণমাধ্যমে নিয়মিত পাই। এ প্রসঙ্গে আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর তোলার আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সমস্যা কিংবা সে দেশটিতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার বিষয় নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কখনো আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল? সে কাজটি যদি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এখন পর্যন্ত না করে থাকে তাহলে এনজিওটি কোন অধিকারে মিয়ানমারের ব্যর্থতার দায় বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপাতে এসেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যদি আগামীকাল সকালে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে পারে আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ সরকার তাতে যারপর নাই আনন্দিত হবে। এবার আসি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে। এ আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনেকবার দেন-দরবার করেছে। আমরা আশা করি সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো রিভিউ করে সাংবাদিক সমাজের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো সংশোধন করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিনে দিনে শক্তিশালী গণমাধ্যমে পরিণত হচ্ছে বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা আছে এ কথা কেউ অস্বীকার করছি না। আবার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিবর্তনমূলক আইনে পরিণত হোক এটি আমাদের কারও জন্য কোনো সুখবর নয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সংশোধনী প্রয়োজন আছে এটি দেশের সাংবাদিক সমাজ এবং সচেতন দেশবাসী সব সময়ই বলে আসছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো বাদ দেওয়ার দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করা অথবা সম্পাদকীয় উপসম্পাদকীয় লেখা খুব ভালো কাজ। সম্প্রতি আমাদের দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয় কলামে জোরালো ভাষায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ঢালাও সমালোচনা করেছে। কিন্তু এ ভালো কাজটি করার জন্য উনারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্রিটিশ এনজিওর রিপোর্টের ওপর ভর করলেন কেন সেটি আমি বুঝতে পারছি না। উনারা কি ভেবেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উদ্ধৃতি দিয়ে কথা বললে সত্য অধিকতর সত্যে পরিণত হবে?

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্রিটিশ এনজিওকে এত গুরুত্ব দিয়ে তাদের রিপোর্ট নিয়ে ১০ পাতা লেখার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবুও এসব এনজিও রিপোর্ট নিয়ে আমাদের মাঝে মাঝে বকবক করতে হয়, কারণ তাদের রিপোর্টকে বাইবেল-জ্ঞান করে আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধি-পেশাজীবী খবরের কাগজ কিংবা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে ঝড় তুলে বসেন। এ বুদ্ধি-পেশাজীবীদের অবিবেচনাপ্রসূত আলোচনায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। জনমনের বিভ্রান্তি মোচনের জন্য আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্রিটিশ এনজিওর পয়-পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধরছি। পিটার জেমস হেনরি সলোমন নামে একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোক ১৯৬১ সালে লন্ডনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠা করেন। পিটার জেমস একসময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতেন। ইহুদি পরিবারের সন্তান পিটার জেমস তাঁর জীবনে ইউরোপে মোটা দাগে ইহুদি নির্যাতন এবং নিধন হতে দেখেছেন। পৃথিবীর দেশগুলোতে মানবাধিকার রক্ষার কাজে পিটার জেমসের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছি না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের এনজিওর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি পৃথিবী গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটি মানুষ আন্তর্জাতিক মানের মানবাধিকার ভোগ করবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের জন্মলগ্নের এ প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করার চেষ্টা করেছে সেটি নিয়ে আমার মনে গুরুতর প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি আমার দেশের ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে দেখব আমাদের মানবাধিকার যখন ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল তখন অ্যামনেস্টি কী ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন আমাদের দেশে নিষ্ঠুরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেছিল কিনা তার সন্ধানে আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের এনজিওর সব দলিল তন্ন তন্ন করে খুঁজে খুব হতাশ হয়েছি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নিষ্ঠুর নির্মমতার বিরুদ্ধে এ ব্রিটিশ এনজিও কোথাও কোনো প্রতিবাদ করেছে এমন কোনো দলিল খুঁজে পেলাম না। অথচ ১৯৭০ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী বিনা বিচারে আটক বন্দীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য জোরালো আন্দোলন করছিল। ১৯৭০ সালে শুরু করা তাদের ‘স্বচ্ছ বিচার’ আন্দোলন বেশ কয়েক বছর চলমান ছিল এবং এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা বিপুল অঙ্কের তহবিলও গড়ে তুলেছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, কত নারীকে বন্দী করে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে সে সম্পর্কে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কোনো দলিলে তার বিন্দুমাত্র উল্লেখ পেলাম না। অথচ মানবাধিকার রক্ষার জন্য দুনিয়াব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার পুরস্কার হিসেবে ১৯৭৭ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ এনজিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার শব্দটি কোন তরিকায় সংজ্ঞায়িত করে সেটি নোবেল শান্তি পুরস্কার যারা বিলিবণ্টন করেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে তারা যেভাবে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল তাতে মনে হয় অ্যামনেস্টির মানবাধিকার চেতনা অতিমাত্রায় রাজনীতিঘেঁষা, যে জন্য তারা আমাদের ওপর ঘটে যাওয়া পাকিস্তানি বর্বরতা দেখতে পায়নি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মানবাধিকার চেতনা কতটা রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত তার আরও প্রমাণ ইতিহাসের পাতায় পাওয়া যায়। ইরাকে আমেরিকান আগ্রাসনকে অনেক বিবেকবান আমেরিকান সমর্থন করেননি। কিন্তু তাতে কী? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরাকে নরহত্যা চালানোর জন্য আমেরিকাকে রীতিমতো উসকানি দিয়েছে এটি ঐতিহাসিক সত্য। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করেছিল। আমেরিকা তখন দাবি করেছিল যে ইরাক কুয়েত দখল করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সে সময় নাইরা নামের একজন কুয়েতি নারী আমেরিকার কংগ্রেসে সাক্ষী দিতে গিয়ে বলেছিল যে, ইরাক কুয়েত আক্রমণ করার সময় সে কুয়েতে একটি হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিল। ইরাকিরা সেই হাসপাতাল আক্রমণ করে সেখান থেকে ৩০০ ইনকিউবেটর বাচ্চাসহ সরিয়ে নিয়ে যায় এবং ৩০০ বাচ্চাকে ইনকিউবেটরের ভিতর বন্ধ রেখে ঠান্ডয় জমিয়ে হত্যা করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বর্ণনা শুনে আহাবিহা করার পাশাপাশি চটজলদি নাইরার বর্ণনার সত্যতা যাচাইয়ের তাগিদ বোধ করল। সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ চালানোর জন্য অ্যামনেস্টির মানবাধিকার কর্মীরা গিয়ে কুয়েতে হাজির। পুঙ্খানুপুঙ্খ ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ চালিয়ে অ্যামনেস্টি দেখল, কুয়েতি স্বেচ্ছাসেবক নাইরার দেওয়া জবানবন্দি শতভাগ সত্য। ইরাকিরা কুয়েতের হাসপাতালে ৩০০ শিশুকে ইনকিউবেটরসহ অপহরণ করে পরে সেই শিশুদের ঠান্ডায় জমিয়ে হত্যা করেছে। শিশু হত্যার বর্ণনাকে নিখাদ সত্য বলে দাবি করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরাকে আমেরিকান আক্রমণকে উসকে দিয়েছিল। অথচ পরবর্তী সময়ে কুয়েতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দল কুয়েতি নারী নাইরার দেওয়া জবানবন্দির সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিল। সেই তদন্তকারী দল সবকিছু যাচাই করে দেখে কুয়েতে যে হাসপাতালে ৩০০ ইনকিউবেটরে শিশু হত্যার কথা বলা হয়েছে আসলে সেই হাসপাতালে এত ইনকিউবেটর ছিল না। এমনকি কুয়েতের সেই শহরের সব হাসপাতাল মিলিয়ে সে সময় ৩০০ ইনকিউবেটর ছিল না। অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের মতো ‘সত্য’ আবিষ্কার করে আমেরিকার ইরাক আক্রমণের ইন্ধন জুগিয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মনগড়া সত্য সাজানোর শঠতা সম্পর্কে দুনিয়ার অনেক দেশ নড়েচড়ে বসতে শুরু করে। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ তোলে। মরক্কো সরকার বলেছিল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আইন ভঙ্গকারীদের রক্ষক। এ এনজিও সম্পর্কে কথাটি উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ ১৯৭১ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, বরং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অ্যামনেস্টির ১৯৭১-১৯৭২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট মন দিয়ে পড়ে দেখলাম। পুরো রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়ে অ্যামনেস্টির যে স্বরূপ পেলাম তাতে তাদের মানবাধিকারের পক্ষের সংগঠন বলে মানতে আমি দ্বিধান্বিত। ১৯৭১ সালের ১ জুন থেকে ৩১ মে ১৯৭২ সময়কালের রিপোর্টে ৩১ পৃষ্ঠার দুটি প্যারাগ্রাফে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে- পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং ড. কামাল হোসেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী আছেন যাদের বিচার মিলিটারি কোর্টে না হয়ে সিভিল কোর্টে হওয়া উচিত। ব্যস! পূর্ব পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এটুকু কথাই অ্যামনেস্টির বলার ছিল। বার্ষিক রিপোর্টের ৩১ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফ পড়লে অ্যামনেস্টির মানবাধিকার মূল্যবোধের নমুনা আপনারা সবাই টের পাবেন। অ্যামনেস্টির সে সময়ের সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন এনালস ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উদ্বেগের বিষয়টি কী চমৎকার একবার ভেবে দেখুন। অ্যামনেস্টি বলছে, বাংলাদেশে কিছু মানুষকে পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগিতা করার অপরাধে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পাকিস্তানের দালালরা বাংলাদেশে নিশ্চয়ই ন্যায় বিচার পাবে না এটি অনুমান করে অ্যামনেস্টি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। তাদের উদ্বেগের বিষয় বর্ণনা করে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি পত্র পাঠিয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বহু বছর পরে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো তখন এ এনজিও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে কত নাকি কান্নাই না কাঁদল। ২০১৪ সালে যখন জামায়াত নেতা নিজামির ফাঁসির দন্ড হলো তখন অ্যামনেস্টি তাদের প্রকাশনায় নিজামির পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে বলছে, ‘নেতৃস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা জনাব নিজামিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।’ নিজামিকে যুদ্ধাপরাধী নামে না ডেকে নেতৃস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা বলার অর্থ সরকারবিরোধী মত দমন করার জন্য নিজামিকে হত্যা করেছে। শব্দের মারপ্যাঁচে সত্যের অপলাপ করা অ্যামনেস্টির অত্যন্ত বাজে অভ্যাস।

অ্যামনেস্টি দুনিয়ার সব মানুষকে সৎ, সত্যবাদী, স্বচ্ছ হওয়ার সবক দিয়ে বেড়ায়, অথচ দেখুন তারা নিজেরা কী চর্চা করে সে খবর তার দলিল খুঁজলেই দেখতে পাবেন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বেতন কেলেঙ্কারি নিয়ে ইংল্যান্ডে বেশ তোলপাড় হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশি আইনজীবী আইরিন খান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। উনার বেতন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালে যার সূত্র ধরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। কাগজ-কলমে আইরিন খানের বার্ষিক বেতন ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৯০ পাউন্ড। অথচ বার্ষিক অডিটে ধরা পড়ল তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান থেকে আসলে বেতন নিয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০৩ পাউন্ড! আইরিন খানের বেতন কেলেঙ্কারি পত্রপত্রিকায় ছাপা হওয়ার পরে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য ফিলিপ ডেভিস ডেইলি এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস, জনগণ অ্যামনেস্টিকে দান করে কারণ তারা বিশ্বাস করে অ্যামনেস্টি তাদের দানের টাকায় দারিদ্র্য দূর করার জন্য কাজ করবে। জনগণের দানের টাকা এমন মোটা বিড়াল (ফ্যাট ক্যাট) পোষার কাজে ব্যয় হতে পারে এটি অবিশ্বাস্য। অ্যামনেস্টিকে যারা দান করে এ ঘটনার সূত্র ধরে তাদের মোহভঙ্গ হবে।’

ইংল্যান্ডের সংসদ সদস্য ফিলিপ ডেভিসের কথায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাতাদের মোহভঙ্গ হলেও হতে পারে কিন্তু আমাদের দেশের বুদ্ধি-পেশাজীবীদের আনুগত্যের মোহ কাটবে কবে!

লেখক : কথাসাহিত্যিক।

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস
বলিভিয়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে আইন পাস

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
বিদ্যালয়ে ঘুষকাণ্ড: অফিস সহায়ককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাকসু-চাকসু নির্বাচন ভালোভাবে হবে, উদ্বেগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর
২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু ১৭ ডিসেম্বর

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতে গেল মাত্র ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ
ভারতে গেল মাত্র ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
কলাপাড়ায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় খাবার অযোগ্য বিট লবণ জব্দ, লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ায় খাবার অযোগ্য বিট লবণ জব্দ, লাখ টাকা জরিমানা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৩৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ডাসারে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
ডাসারে অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রীপুরে উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
শ্রীপুরে উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

৪৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ
ফিলিস্তিনপন্থী নেতা মাহমুদ খলিলকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়াতে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ব্যতীত নির্বাচন শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি: রাশেদ প্রধান
জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ব্যতীত নির্বাচন শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি: রাশেদ প্রধান

৫১ মিনিট আগে | রাজনীতি

মহাজাগতিক আঘাত নতুন জীবনের জন্ম দিতে পারে, বলছে গবেষণা
মহাজাগতিক আঘাত নতুন জীবনের জন্ম দিতে পারে, বলছে গবেষণা

৫৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

১১ বছর পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে স্পেন
১১ বছর পর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে স্পেন

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে নকল সাবান কারখানায় অভিযান
মানিকগঞ্জে নকল সাবান কারখানায় অভিযান

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে পানিতে ডুবে দাদা-নাতির মৃত্যু
বাগেরহাটে পানিতে ডুবে দাদা-নাতির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একই সঙ্গে কুরআনের হাফেজ হলেন দুই ভাই
একই সঙ্গে কুরআনের হাফেজ হলেন দুই ভাই

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফ্রান্সে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, চাপে ম্যাক্রো
ফ্রান্সে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর ধর্মঘট, চাপে ম্যাক্রো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্তঃবাহিনী সাঁতার, ওয়াটারপোলো ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা সমাপ্ত
আন্তঃবাহিনী সাঁতার, ওয়াটারপোলো ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের স্মরণে শোকসভা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক শফিকুর রহমানের স্মরণে শোকসভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উৎসবমুখর পরিবেশে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে : ডিএমপি কমিশনার
উৎসবমুখর পরিবেশে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে : ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নবীনবরন অনুষ্ঠিত
কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে নবীনবরন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাদারীপুরের ডাসারে পুকুরে ডুবে দুই ভাই নিহত
মাদারীপুরের ডাসারে পুকুরে ডুবে দুই ভাই নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস
কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টায় : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ
বাঁশ এখন বাণিজ্যিক চাষের উদ্ভিদ

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস
উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি কিংস-ফর্টিস

মাঠে ময়দানে

বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি
বিক্ষোভ অবরোধ ভোগান্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি
চলতি মাসেই আবার যুগ্মসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ
ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনাসহ পরিবারের কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন