শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১

বিদেশের বয়ানে স্বদেশের সত্য খুঁজতে হবে কেন?

তুষার কণা খোন্দকার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিদেশের বয়ানে স্বদেশের সত্য খুঁজতে হবে কেন?

একবিংশ শতাব্দীর সূচনার দুই দশক আমরা পার হয়ে এসেছি। একবিংশ শতাব্দীর দুই দশকজুড়ে আমরা যেটি টের পাচ্ছি সেটি ‘সত্য’ এবং ‘প্রচার মাধ্যমের সত্য’ এ দুইয়ের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। প্রচারমাধ্যমগুলোর প্রতি আমরা আর চোখ বুজে আস্থা রাখতে পারছি না। বর্তমান সময়ে সাধারণ দর্শক-শ্রোতার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলকে গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করলে খবর কিংবা বিজ্ঞ আলোচনার গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে কিছু গণমাধ্যম কিংবা বুদ্ধিজীবীকে দেখি আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর প্রচার-প্রপাগান্ডাকে বেদবাক্য বলে দেশবাসীকে গেলানোর চেষ্টা করে। আমাদের দেশের বুদ্ধি পেশাজীবীরা কোনো আন্তর্জাতিক এনজিওর তরফ থেকে কিছু শুনলে সেটাকে ঐশী বাণী বলে প্রচার করতে নেমে পড়ে। এরা ভুলে যায়, এ দেশে বসবাস করে সরাসরি আমরা যা দেখছি কিংবা আমাদের গণমাধ্যমগুলো যেসব খবর প্রচার করছে সেগুলোকে অগ্রাহ্য করলে আমরা প্রকৃত সত্য কখনো জানতে পারব না। দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো তাদের দেশের সরকারি কিংবা করপোরেট বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের দান-অনুদান খেয়ে বেঁচে থাকে। কাজেই তারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির মতলবে মনমত তথ্য পয়দা করে প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। লন্ডনভিত্তিক এনজিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট খুলে বাংলাদেশ প্রোফাইল অংশে চোখ বুলালে প্রথমেই আপনার মনে হবে, আহারে! বাংলাদেশ নামের দেশটি বসবাসের অযোগ্য চরম অরাজকতাপূর্ণ একটি দেশ। বাংলাদেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই বরং নিবর্তনমূলক আইন তৈরি করে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। এখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় সাংবাদিক সমাজের ওপর চরম নির্যাতন চলছে। বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকান্ড, নারী নির্যাতন, আদিবাসী নিবর্তন ইত্যাদি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর তাদের নিজ দেশে নিরাপদ এবং সম্মানজনক প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারেনি এটিও একটি অভিযোগ। অ্যামনেস্টির রিপার্টে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রথম যে অভিযোগগুলো তোলা হয়েছে সেগুলো নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি তোলা যেতে পারে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্বেচ্ছামূলক সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ কীভাবে নিশ্চিত করবে এটি আমার মাথায় ঢুকল না। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে তাদের দেশছাড়া করার কাজটি করেছে। মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং এ জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করার জন্য বাংলাদেশ পৃথিবীর সব দেশকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছে, এ তথ্য আমরা গণমাধ্যমে নিয়মিত পাই। এ প্রসঙ্গে আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর তোলার আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব সমস্যা কিংবা সে দেশটিতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার বিষয় নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কখনো আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল? সে কাজটি যদি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এখন পর্যন্ত না করে থাকে তাহলে এনজিওটি কোন অধিকারে মিয়ানমারের ব্যর্থতার দায় বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপাতে এসেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যদি আগামীকাল সকালে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে পারে আমার দৃঢ় বিশ্বাস বাংলাদেশ সরকার তাতে যারপর নাই আনন্দিত হবে। এবার আসি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে। এ আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনেকবার দেন-দরবার করেছে। আমরা আশা করি সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো রিভিউ করে সাংবাদিক সমাজের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো সংশোধন করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিনে দিনে শক্তিশালী গণমাধ্যমে পরিণত হচ্ছে বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়োজনীয়তা আছে এ কথা কেউ অস্বীকার করছি না। আবার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিবর্তনমূলক আইনে পরিণত হোক এটি আমাদের কারও জন্য কোনো সুখবর নয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সংশোধনী প্রয়োজন আছে এটি দেশের সাংবাদিক সমাজ এবং সচেতন দেশবাসী সব সময়ই বলে আসছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নিবর্তনমূলক ধারাগুলো বাদ দেওয়ার দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করা অথবা সম্পাদকীয় উপসম্পাদকীয় লেখা খুব ভালো কাজ। সম্প্রতি আমাদের দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয় কলামে জোরালো ভাষায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ঢালাও সমালোচনা করেছে। কিন্তু এ ভালো কাজটি করার জন্য উনারা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্রিটিশ এনজিওর রিপোর্টের ওপর ভর করলেন কেন সেটি আমি বুঝতে পারছি না। উনারা কি ভেবেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উদ্ধৃতি দিয়ে কথা বললে সত্য অধিকতর সত্যে পরিণত হবে?

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্রিটিশ এনজিওকে এত গুরুত্ব দিয়ে তাদের রিপোর্ট নিয়ে ১০ পাতা লেখার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তবুও এসব এনজিও রিপোর্ট নিয়ে আমাদের মাঝে মাঝে বকবক করতে হয়, কারণ তাদের রিপোর্টকে বাইবেল-জ্ঞান করে আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধি-পেশাজীবী খবরের কাগজ কিংবা ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে ঝড় তুলে বসেন। এ বুদ্ধি-পেশাজীবীদের অবিবেচনাপ্রসূত আলোচনায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। জনমনের বিভ্রান্তি মোচনের জন্য আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্রিটিশ এনজিওর পয়-পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধরছি। পিটার জেমস হেনরি সলোমন নামে একজন ব্রিটিশ ভদ্রলোক ১৯৬১ সালে লন্ডনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠা করেন। পিটার জেমস একসময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করতেন। ইহুদি পরিবারের সন্তান পিটার জেমস তাঁর জীবনে ইউরোপে মোটা দাগে ইহুদি নির্যাতন এবং নিধন হতে দেখেছেন। পৃথিবীর দেশগুলোতে মানবাধিকার রক্ষার কাজে পিটার জেমসের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছি না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের এনজিওর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি পৃথিবী গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটি মানুষ আন্তর্জাতিক মানের মানবাধিকার ভোগ করবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের জন্মলগ্নের এ প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করার চেষ্টা করেছে সেটি নিয়ে আমার মনে গুরুতর প্রশ্ন আছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি আমার দেশের ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে দেখব আমাদের মানবাধিকার যখন ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল তখন অ্যামনেস্টি কী ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন আমাদের দেশে নিষ্ঠুরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করেছিল কিনা তার সন্ধানে আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের এনজিওর সব দলিল তন্ন তন্ন করে খুঁজে খুব হতাশ হয়েছি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের নিষ্ঠুর নির্মমতার বিরুদ্ধে এ ব্রিটিশ এনজিও কোথাও কোনো প্রতিবাদ করেছে এমন কোনো দলিল খুঁজে পেলাম না। অথচ ১৯৭০ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী বিনা বিচারে আটক বন্দীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য জোরালো আন্দোলন করছিল। ১৯৭০ সালে শুরু করা তাদের ‘স্বচ্ছ বিচার’ আন্দোলন বেশ কয়েক বছর চলমান ছিল এবং এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা বিপুল অঙ্কের তহবিলও গড়ে তুলেছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, কত নারীকে বন্দী করে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে সে সম্পর্কে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কোনো দলিলে তার বিন্দুমাত্র উল্লেখ পেলাম না। অথচ মানবাধিকার রক্ষার জন্য দুনিয়াব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার পুরস্কার হিসেবে ১৯৭৭ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ এনজিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার শব্দটি কোন তরিকায় সংজ্ঞায়িত করে সেটি নোবেল শান্তি পুরস্কার যারা বিলিবণ্টন করেন তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে তারা যেভাবে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল তাতে মনে হয় অ্যামনেস্টির মানবাধিকার চেতনা অতিমাত্রায় রাজনীতিঘেঁষা, যে জন্য তারা আমাদের ওপর ঘটে যাওয়া পাকিস্তানি বর্বরতা দেখতে পায়নি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মানবাধিকার চেতনা কতটা রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত তার আরও প্রমাণ ইতিহাসের পাতায় পাওয়া যায়। ইরাকে আমেরিকান আগ্রাসনকে অনেক বিবেকবান আমেরিকান সমর্থন করেননি। কিন্তু তাতে কী? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরাকে নরহত্যা চালানোর জন্য আমেরিকাকে রীতিমতো উসকানি দিয়েছে এটি ঐতিহাসিক সত্য। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েত আক্রমণ করেছিল। আমেরিকা তখন দাবি করেছিল যে ইরাক কুয়েত দখল করে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সে সময় নাইরা নামের একজন কুয়েতি নারী আমেরিকার কংগ্রেসে সাক্ষী দিতে গিয়ে বলেছিল যে, ইরাক কুয়েত আক্রমণ করার সময় সে কুয়েতে একটি হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছিল। ইরাকিরা সেই হাসপাতাল আক্রমণ করে সেখান থেকে ৩০০ ইনকিউবেটর বাচ্চাসহ সরিয়ে নিয়ে যায় এবং ৩০০ বাচ্চাকে ইনকিউবেটরের ভিতর বন্ধ রেখে ঠান্ডয় জমিয়ে হত্যা করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বর্ণনা শুনে আহাবিহা করার পাশাপাশি চটজলদি নাইরার বর্ণনার সত্যতা যাচাইয়ের তাগিদ বোধ করল। সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ চালানোর জন্য অ্যামনেস্টির মানবাধিকার কর্মীরা গিয়ে কুয়েতে হাজির। পুঙ্খানুপুঙ্খ ‘নিরপেক্ষ তদন্ত’ চালিয়ে অ্যামনেস্টি দেখল, কুয়েতি স্বেচ্ছাসেবক নাইরার দেওয়া জবানবন্দি শতভাগ সত্য। ইরাকিরা কুয়েতের হাসপাতালে ৩০০ শিশুকে ইনকিউবেটরসহ অপহরণ করে পরে সেই শিশুদের ঠান্ডায় জমিয়ে হত্যা করেছে। শিশু হত্যার বর্ণনাকে নিখাদ সত্য বলে দাবি করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরাকে আমেরিকান আক্রমণকে উসকে দিয়েছিল। অথচ পরবর্তী সময়ে কুয়েতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দল কুয়েতি নারী নাইরার দেওয়া জবানবন্দির সত্যতা যাচাই করতে গিয়েছিল। সেই তদন্তকারী দল সবকিছু যাচাই করে দেখে কুয়েতে যে হাসপাতালে ৩০০ ইনকিউবেটরে শিশু হত্যার কথা বলা হয়েছে আসলে সেই হাসপাতালে এত ইনকিউবেটর ছিল না। এমনকি কুয়েতের সেই শহরের সব হাসপাতাল মিলিয়ে সে সময় ৩০০ ইনকিউবেটর ছিল না। অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের মতো ‘সত্য’ আবিষ্কার করে আমেরিকার ইরাক আক্রমণের ইন্ধন জুগিয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মনগড়া সত্য সাজানোর শঠতা সম্পর্কে দুনিয়ার অনেক দেশ নড়েচড়ে বসতে শুরু করে। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ তোলে। মরক্কো সরকার বলেছিল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আইন ভঙ্গকারীদের রক্ষক। এ এনজিও সম্পর্কে কথাটি উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ ১৯৭১ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের নিষ্ঠুর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, বরং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তাদের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। অ্যামনেস্টির ১৯৭১-১৯৭২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট মন দিয়ে পড়ে দেখলাম। পুরো রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়ে অ্যামনেস্টির যে স্বরূপ পেলাম তাতে তাদের মানবাধিকারের পক্ষের সংগঠন বলে মানতে আমি দ্বিধান্বিত। ১৯৭১ সালের ১ জুন থেকে ৩১ মে ১৯৭২ সময়কালের রিপোর্টে ৩১ পৃষ্ঠার দুটি প্যারাগ্রাফে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে- পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং ড. কামাল হোসেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী আছেন যাদের বিচার মিলিটারি কোর্টে না হয়ে সিভিল কোর্টে হওয়া উচিত। ব্যস! পূর্ব পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এটুকু কথাই অ্যামনেস্টির বলার ছিল। বার্ষিক রিপোর্টের ৩১ পৃষ্ঠার দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফ পড়লে অ্যামনেস্টির মানবাধিকার মূল্যবোধের নমুনা আপনারা সবাই টের পাবেন। অ্যামনেস্টির সে সময়ের সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন এনালস ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উদ্বেগের বিষয়টি কী চমৎকার একবার ভেবে দেখুন। অ্যামনেস্টি বলছে, বাংলাদেশে কিছু মানুষকে পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগিতা করার অপরাধে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পাকিস্তানের দালালরা বাংলাদেশে নিশ্চয়ই ন্যায় বিচার পাবে না এটি অনুমান করে অ্যামনেস্টি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। তাদের উদ্বেগের বিষয় বর্ণনা করে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটি পত্র পাঠিয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বহু বছর পরে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো তখন এ এনজিও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে কত নাকি কান্নাই না কাঁদল। ২০১৪ সালে যখন জামায়াত নেতা নিজামির ফাঁসির দন্ড হলো তখন অ্যামনেস্টি তাদের প্রকাশনায় নিজামির পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে বলছে, ‘নেতৃস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা জনাব নিজামিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।’ নিজামিকে যুদ্ধাপরাধী নামে না ডেকে নেতৃস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা বলার অর্থ সরকারবিরোধী মত দমন করার জন্য নিজামিকে হত্যা করেছে। শব্দের মারপ্যাঁচে সত্যের অপলাপ করা অ্যামনেস্টির অত্যন্ত বাজে অভ্যাস।

অ্যামনেস্টি দুনিয়ার সব মানুষকে সৎ, সত্যবাদী, স্বচ্ছ হওয়ার সবক দিয়ে বেড়ায়, অথচ দেখুন তারা নিজেরা কী চর্চা করে সে খবর তার দলিল খুঁজলেই দেখতে পাবেন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বেতন কেলেঙ্কারি নিয়ে ইংল্যান্ডে বেশ তোলপাড় হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশি আইনজীবী আইরিন খান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। উনার বেতন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালে যার সূত্র ধরে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। কাগজ-কলমে আইরিন খানের বার্ষিক বেতন ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৪৯০ পাউন্ড। অথচ বার্ষিক অডিটে ধরা পড়ল তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নামের স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান থেকে আসলে বেতন নিয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ১০৩ পাউন্ড! আইরিন খানের বেতন কেলেঙ্কারি পত্রপত্রিকায় ছাপা হওয়ার পরে ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য ফিলিপ ডেভিস ডেইলি এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস, জনগণ অ্যামনেস্টিকে দান করে কারণ তারা বিশ্বাস করে অ্যামনেস্টি তাদের দানের টাকায় দারিদ্র্য দূর করার জন্য কাজ করবে। জনগণের দানের টাকা এমন মোটা বিড়াল (ফ্যাট ক্যাট) পোষার কাজে ব্যয় হতে পারে এটি অবিশ্বাস্য। অ্যামনেস্টিকে যারা দান করে এ ঘটনার সূত্র ধরে তাদের মোহভঙ্গ হবে।’

ইংল্যান্ডের সংসদ সদস্য ফিলিপ ডেভিসের কথায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাতাদের মোহভঙ্গ হলেও হতে পারে কিন্তু আমাদের দেশের বুদ্ধি-পেশাজীবীদের আনুগত্যের মোহ কাটবে কবে!

লেখক : কথাসাহিত্যিক।

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

২২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৩৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা
কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া
ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ
খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে
শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে
অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম
চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা
ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান
১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নমিনেশন পেতে বাজিতপুর-নিকলী সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন
নমিনেশন পেতে বাজিতপুর-নিকলী সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফটিকছড়িতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল
সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা