বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নারী পাচার ইস্যুতে নজরদারির অভাব

অ্যাডভোকেট সালমা আলী

নারী পাচার ইস্যুতে নজরদারির অভাব

নারী পাচার ইস্যুতে আমাদের নজরদারির যথেষ্ট অভাব আছে। এ ছাড়া মহামারীতে নারীরা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। এতে তাদের পাচারের ঝুঁকিও বেশি। আবার দরিদ্রতার জন্য অনেকে পাচারের শিকার হয়েছেন। উদ্বেগজনক পর্যায়ে পাচারের ঘটনা ঘটলেও সে অনুপাতে মামলা হচ্ছে না। আবার সাক্ষীর সুরক্ষা না থাকা এবং সাক্ষীকে আদালতে না আনায় পাচার-সংক্রান্ত পুরনো মামলাগুলো আটকে আছে। এ বিষয়ে শক্ত নজরদারি প্রয়োজন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কমিউনিটিকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক -জিন্নাতুন নূর

 

প্রশ্ন : নারী পাচার সাম্প্রতিক সময়ে উদ্বেগজনক স্থানে পৌঁছে গেছে। মহামারীতে নারী পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ কী?

অ্যাডভোকেট সালমা আলী : নারী পাচার ইস্যুতে আমাদের নজরদারির যথেষ্ট অভাব আছে। এ ছাড়া মহামারীতে নারীরা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন। তবে দেশের বাইরে ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে। মহামারীতে সীমান্ত এলাকাগুলোয় বর্ডার বন্ধ থাকার পরও নদীসহ বিভিন্ন পথে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার অনেক বেশি ঘটেছে। আবার অভ্যন্তরীণ পাচারের ঘটনাও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের রেড লাইট এলাকাগুলোর বিভিন্ন হোটেলে নজরদারির অভাব থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আবার দারিদ্র্যের কারণেও এ সময় অনেকে পাচারের শিকার হয়েছে। কেউ কেউ ভালোমতো খোঁজ না নিয়েই কাজের সন্ধানে দেশের বাইরে গিয়ে পাচার হয়েছেন। আবার করোনাকালে অনেক প্রবাসী নারী চাকরি হারিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অন্যত্র কাজের সন্ধানে গেছেন। সারা পৃথিবীতেই পাচারের ঘটনা ঘটছে। আর বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় পাচারের ঝুঁকিও বেশি। আবার বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপ যেমন টিকটকের ফাঁদে ফেলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচারের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। আমাদের কাছে এরই মধ্যে এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে। পাচারের শিকার দু-এক জন নারীও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু পরিবারের ভয়ে এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার কথা ভেবে তারা এখনো দেশে পৌঁছাননি। মানব পাচার বন্ধে আইন আছে আমাদের দেশে। এজন্য পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনাও রয়েছে। কিন্তু উদ্বেগজনক যে, মানব পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে না, আসামিকে ধরা হচ্ছে না। আবার আসামিকে ধরা হলেও মামলার অনুসন্ধানে সময় লাগছে। আসামিরা ধরা পড়লেও তারা ভুক্তভোগীদের আপস করতে বলছে। তাদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য যত মামলা হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না। মামলা হলেও আইনি প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন নেই। আগে উটের জকির ঘটনাগুলো আইনের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পাচারের মতো লাভজনক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে এখন পাচারকারীরা উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এসব বিষয়ে মনিটরিংয়ের জন্য বিটিআরসিসহ (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন) দায়িত্বপ্রাপ্তদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে কী পরিমাণ সাইবার ক্রাইম ও পাচারের মামলা হচ্ছে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে যে ট্রাইব্যুনাল হয়েছে সেখানে এখনো সেভাবে কাজ হচ্ছে না। আবার বিচারকদেরও যেভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে কাজ করার কথা সেভাবে তারা করছেন না। সাক্ষীর সুরক্ষা না থাকা এবং সাক্ষীকে আদালতে না আনায় পুরনো মামলাগুলো সব আটকে আছে। এখন বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সাক্ষীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে। কিন্তু এগুলো সবই প্ল্যান। বাস্তবে সেভাবে কাজ হচ্ছে না। আদালতগুলো এসব মামলা ফেলে রাখছে। যেসব মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটর আমাদের সদস্যরা আছেন, তারা দেখছেন এখন মামলাগুলো ধরা হচ্ছে না। তদন্তের যেমন দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে, একইভাবে মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতেও সময় লাগছে। অনেক মামলার ভিকটিমরা লুকিয়ে আছেন। আবার অনেক মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

প্রশ্ন : মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সংকট চলছে। এর মধ্যে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কী?

অ্যাডভোকেট সালমা আলী : বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধে নজরদারি বাড়াতে হবে। এসব নারীকে ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ নারীদের হাতে স্মার্টফোন থাকার কথা। এখানে আমাদের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যে লোকবল কর্মরত আছেন তারা নারীবান্ধব কি না দেখতে হবে। কিন্তু এগুলো কোনো কিছুই সেভাবে হচ্ছে না। এসব নির্যাতিত নারীকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। সেভাবে তাদের নজরদারির মধ্যে রাখাও হচ্ছে না। আবার তারা যেসব আইনগত সুবিধা পাবেন সে বিষয়ে সেভাবে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে না। বিদেশের অ্যাম্বাসিগুলোয় এসব বিষয় নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত লোকবল থাকতে হবে। তাদের সেভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এসব নারী যাতে চাইলেই সহজে যখন তখন ফোন ব্যবহার করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সেখানে যারা এ নারীদের কাজ দিচ্ছেন অর্থাৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নারীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তাদের সমস্যার কথা শুনতে হবে। আর যেহেতু প্রবাসে এ নারীদের ভাষাগত সমস্যা থেকে যায় এজন্য তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিলে তারা আত্মরক্ষা করতে পারবেন। নারীদের কাছ থেকে অভিযোগ শোনামাত্র তাদের আইনি সহায়তা দিতে হবে। দুঃখজনক যে, এ নারীদের অনেকে বিদেশে গিয়ে নিজের নাম-ঠিকানা পর্যন্ত বলতে পারেন না। এ শ্রমিকরা আমাদের রেমিট্যান্স দিচ্ছেন। এজন্য যে নারী শ্রমিকরা পাচারের শিকার হচ্ছেন তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করা যেমন প্রয়োজন, একইভাবে স্থানীয় অ্যাম্বাসির সঙ্গে মিলে এ নারীদের সহযোগিতা করতে হবে।

প্রশ্ন : সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে নারী পাচার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের ভারতে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব?

অ্যাডভোকেট সালমা আলী : ভারতে আগেও বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার হতো। সেখানে এখনো দেশ থেকে নারী পাচারের ঘটনা ঘটছে। এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এখন পাচারের মাত্রাগুলো ভিন্ন। বিশেষ করে টিকটকের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে, আবার মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। মহামারীর কারণে নারীরা কাজের জন্য দীর্ঘ সময় মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারেননি। এজন্য ভিন্ন পথে এবার নারীদের পর্নোগ্রাফির ফাঁদে ফেলে বা বিয়ে করে কিংবা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভারতে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। ভারতের বেঙ্গালুরু বেশ বড় জায়গা। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অনিরাপদ মাইগ্রেশন হয়ে আসছে। এর সঙ্গে মানব পাচারের ঘটনাও যুক্ত হয়েছে। তবে সেখানকার কিছু স্থানে মেয়েরা ভালো আছেন। তারা ভালো বেতনে চাকরি করছেন। এর পরও সবকিছুর জবাবদিহি থাকা দরকার। এ মেয়েরা যদি লুকিয়ে থাকেন এবং নির্যাতনের শিকার হন তাহলে কোনোভাবেই তাদের সহযোগিতা করা যাবে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এখন এসব পাচারের ঘটনা নদীপথে হচ্ছে। আবার অনেক সময় মেয়েরা বিমানে করেও ভারতে যাচ্ছেন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাচার হয়েছেন স্থলপথে। প্রায়ই ভারত থেকে পাচারের শিকার মেয়েদের ফেরত আনা হচ্ছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ভারতের রেড লাইট এরিয়ার বিভিন্ন পতিতালয়ে আমাদের মেয়েদের দিয়ে জোর করে পর্নোগ্রাফি বানানো হচ্ছে। সেখানে তাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের মেয়েদের কম খরচে কাজ করানো যায় এবং এতে ঝুঁকিও কম। এজন্য তারা বেশি পাচারের শিকার হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নেপাল ও ভারতে গিয়ে পরবর্তী সময়ে পাচারের শিকার হচ্ছেন। যেহেতু নেপালে বাংলাদেশ থেকে অনঅ্যারাইভাল ভিসায় যাওয়া যায় এজন্য সে দেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাচারের ঝুঁকিটাও বেশি। এ মেয়েদের অনেককেই বিমানবন্দরে আটকানো হচ্ছে আবার অনেককে ছেড়ে দেওয়ায় তারা পাচার হয়ে যাচ্ছেন।

প্রশ্ন : টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়েও নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়?

অ্যাডভোকেট সালমা আলী : টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন অ্যাপের অপব্যবহার রোধে বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করতে হবে। ভারতে এরই মধ্যে নারী পাচারের অভিযোগে হৃদয় নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশঙ্কা করছি এ ধরনের আরও অনেকে নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি আছে। এটি দুই দেশের মধ্যে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স বা পারস্পরিক আইনি সহায়তা নিয়ে। সেখানে দুটি মামলা আছে। আমাদের দেশেও মামলা হয়েছে। এসব মামলায় দ্বিপক্ষীয়ভাবে আইনগত সহায়তা দিতে হবে। এখানে অনেক আসামি আছেন যারা বাংলাদেশ ও ভারতের। এসব জায়গায় কাজ করলে পাচারের সঙ্গে জড়িত কিছু রাঘববোয়ালকে আমরা ধরতে পারব। এর সঙ্গে বেশ কিছু স্থানীয় লোকজনও জড়িত। কারণ স্থানীয়দের কাছে এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের স্থানীয় পর্যায়ের মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিরাও এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। মধ্যপ্রাচ্যে উটের জকির কাজে যেভাবে স্থানীয় মানুষজন জড়িত ছিল, একইভাবে নারী পাচারের ঘটনায়ও স্থানীয়রা জড়িত।

প্রশ্ন : দেশে নারীরা প্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। নারীদের বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে গোপনে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি তুলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের কী ভূমিকা রাখা উচিত এবং এ বিষয়ে সবাই কীভাবে সচেতন হতে পারে?

অ্যাডভোকেট সালমা আলী : প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করতে হলে ব্যবহারকারীর সঙ্গে ভুক্তভোগীর অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। দেখা যাচ্ছে অনেক সময় একজন কিশোরীকে তার অভিভাবক চাওয়ামাত্রই মোবাইল ফোন কিনে দেন। কিন্তু এর সম্পর্কে সেই অভিভাবকরাও তেমন একটা জানেন না। ইন্টারনেট ব্যবহারে এ সন্তানরাও সহজে অনেক কিছু জানতে পারছে। অন্য দেশগুলোয় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেভাবে কাজ করা হয় বাংলাদেশে তেমনটা হয় না। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টিতে কমিউনিটিকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে করতে হবে। বুঝতে হবে যে দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে নজরদারির অভাব। মহামারীতে বাচ্চারা কোনো কাউন্সেলিংয়ে নেই। প্রায় দুই বছর শিশুরা স্কুলে যেতে পারেনি। সব মিলিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মূল্যবোধের অভাব ঘটছে। এ বিষয়টি সরকারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এখানে রাজনৈতিক ইস্যুও আছে। রাজনীতিবিদরা কিশোরদের ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করছেন, যার মধ্যে পাচারের মতো ঘটনাও আছে। অর্থাৎ রাজনীতিবিদদের ছত্রচ্ছায়ায়ও পাচারের মতো ঘটনা ঘটছে। এজন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সচেতন হতে হবে। পাচার রোধে তাদেরও প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর