রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিন্দাবাদের দৈত্য হিসেবে এই সমস্যা চেপে বসেছে বাংলাদেশের ঘাড়ে। পরাশক্তির স্বার্থ উদ্ধারে দাবার ঘুঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই সমস্যা। দেশের পরজীবী একটি গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের মুখোশ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সামরিক জান্তার অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়। উচ্চ জন্মহারের কারণে পঙ্গপালের মতো বাড়ছে রোহিঙ্গার সংখ্যা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে রোহিঙ্গারা আগামী ঈদ স্বদেশের মাটিতে পালন করতে পারবে- এমন স্বপ্ন দেখিয়ে অনেকটা সঙ্গোপনে আরও দেড় লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির জন্য করিডর দেওয়ার চাপও সৃষ্টি করা হয়েছিল জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে। দেশবাসীর প্রতিবাদী ভূমিকার কারণে দৃশ্যত সে উদ্যোগ থেমে যায়। এ প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের ঘোষণা দেওয়ার পাঁচ মাস পরও কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা খাতের খরচ সামলাতেও বেকায়দায় পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া শুরু করতে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। উল্টো এই পাঁচ মাসে আরও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা নাগরিককে বলপূর্বক বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবেও চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। প্রক্রিয়া এখন ঝুলে গেছে। রোহিঙ্গাসংকটের আশু কোনো সমাধান তো দেখাই যাচ্ছে না, বরং এ খাতে সরকারের ব্যয়ের বোঝা বাড়ছে। ব্যয় সামলাতে না পেরে ইউএনএইচসিআর ও বিশ্বব্যাংককে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে উল্টো প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি জানতে চাওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া যে ইতোমধ্যে অশ্বডিম্বই শুধু প্রসব করেছে, তা বিশ্বব্যাংকেরও অজানা থাকার কথা নয়। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভূরাজনীতিতে অশুভ স্বার্থরক্ষার যে পাঁয়তারা চালাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থে তা শক্ত হাতে রুখতে হবে।
শিরোনাম
- জাতীয় ঐক্য গঠনে কয়েকটি দল ক্ষুদ্র স্বার্থের পরিচয় দিচ্ছে : প্রিন্স
- জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন হানিয়া আমির
- বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
- আরও ৩০ ফিলিস্তিনির নিথর দেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
- কপিল শর্মার ক্যাফেতে ফের গুলিবর্ষণ, নিশানায় ‘সালমানের শত্রু’ গ্যাং
- ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
- বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
- শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
- জলবায়ু ঋণ বাতিলের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও সাইকেল র্যালি
- নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
- ইঞ্জিনিয়ার্স ও সিগন্যালস্ কোরের রিক্রুট ব্যাচের সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
- ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
- ব্যয় সংকোচনে ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে নেসলে
- বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলো তিন হাজার শিক্ষার্থী
- সিরিয়ায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাসে বোমা বিস্ফোরণ
- ইতালির যে গ্রামে বাড়ি কিনলেই মিলবে ২৩ হাজার ডলার
- চীনে ৩০ খ্রিস্টানকে গ্রেফতারের অভিযোগ, দমন পীড়নের শঙ্কা
- জাল নথির বিষয়ে সতর্ক করলো সুইডিশ দূতাবাস
- যুদ্ধবিরতির মাঝেই পশ্চিম তীরে ভূমি দখল করছে ইসরায়েল
- কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
ভূরাজনীতিতে শঙ্কা
রোহিঙ্গা ইস্যুর অবসান কাম্য
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আমরা গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই : সালাহউদ্দীন আহমেদ
১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন