শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২১ আপডেট:

মন্ত্রীদের ব্লেইম গেইম

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মন্ত্রীদের ব্লেইম গেইম

২৮ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হলো আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। এবার বাংলার দুঃখী মেয়ের জন্মদিন পালিত হলো উৎসবের আমেজে। এমনকি শেখ হাসিনাকে যারা রাজনীতি থেকে বিদায় করতে চেয়েছিলেন তারাও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে অনেক গভীর আলোচনা করেছেন। যেসব গণমাধ্যম একসময় শেখ হাসিনা রাজনীতিতে কিছুই দিতে পারেননি বলে তীব্র সমালোচনায় পত্রিকার পাতা ভরিয়েছিল, তারাও শেখ হাসিনার বন্দনায় শামিল হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে এক ঐক্যের আবহ তৈরি হয়েছিল। দল-মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রায় সব মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই যে বাংলাদেশ আজকের এ অবস্থানে এসেছে তা স্বীকার করতে কেউ কার্পণ্য করেনি। এ রকম একটি উৎসবমুখর দিনে বিকালে বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটল। হঠাৎ সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা), দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফরম বাংলা নিউজ, বিডি নিউজসহ বেশকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে গেল। এখন নানা কারণেই মানুষ অনলাইননির্ভর হয়ে পড়েছে। এখনো সকালে ঘুম থেকে উঠে যারা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে ছাপা পত্রিকা পড়তে পছন্দ করেন তারাও সারা দিন বিভিন্ন অনলাইনে চোখ বুলিয়ে নেন সর্বশেষ খবরটা সঙ্গে সঙ্গে জানার জন্য। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিপর্যয়ে এক আতঙ্ক তৈরি হলো। এটা কি হ্যাকারদের কাজ? নাকি সরকার এসব নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিল? এ নিয়ে গুজবের ফ্যাক্টরি চালু হয়ে গেল দ্রুতই। বেশ কিছুক্ষণ পর জানা গেল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিটিআরসি এসব বন্ধ করেছে। হাই কোর্ট ১৪ সেপ্টেম্বর এক আদেশ দিয়েছিল। ওই আদেশে বলা হয়েছিল ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিতে হবে।’ ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল সপ্তম দিন। কাজেই বিটিআরসি তাদের ‘নিখুঁত এবং নিপুণ’ কর্মব্যস্ততা শুরু করল সেদিনই। তা-ও আবার বন্ধ করা শুরু হলো নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো। বিটিআরসির কর্মতৎপরতায় গোটা জাতি হতবাক। গণমাধ্যমে যখন এ নিয়ে হুলুস্থূল ঠিক তখনই ত্রাতা হিসেবে আবিভর্‚ত হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি নিউজ পোর্টাল বন্ধের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেন। যেগুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো চালুর জন্য বললেন। বিটিআরসি কেন এ রকম অদ্ভুত কান্ড করল এ প্রশ্নের জবাব দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী অসাধারণ, অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য অজুহাত দিলেন। তিনি গণমাধ্যমকে বললেন, ‘অনিবন্ধিত ওয়েবসাইটের তালিকা না পাওয়ায় এ রকম ঘটেছে।’ মোস্তাফা জব্বার বললেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনিবন্ধিত সাইটের তালিকা চাওয়া হয়েছে তা সময়মতো পাওয়া যায়নি।’ মন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আমি ভিরমি খেলাম। ভাবলাম কোথাও ভুল হচ্ছে। একাধিক গণমাধ্যমে দেখলাম তার বক্তব্য একই। তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনিবন্ধিত অনলাইনের তালিকা থাকবে কীভাবে? তথ্য মন্ত্রণালয় বিটিআরসির নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা দিতে পারবে। দুই দফায় তথ্য মন্ত্রণালয় ৯২টি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধিত করেছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন আছে হাজারখানেকের বেশি। একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন চলমান আছে। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনলাইনে নিউজ পোর্টাল একটি চলমান প্রক্রিয়া।’ তিনি যথার্থই বলেছেন। ছাপা পত্রিকাও যেমন একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক ধাপ পেরিয়ে একটি পত্রিকাকে ডিক্লারেশন বা প্রকাশনা ছাড়পত্র নিতে হয়। অনেক ধাপ পেরিয়ে একটি টেলিভিশন সম্প্রচার ছাড়পত্র পায়। তেমনি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ক্ষেত্রেও একটি নীতিমালা ও নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করেছেন তথ্যমন্ত্রী। এ কাজের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। যে ৯২টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছাড়পত্র পেয়েছে সেগুলোই আইনসিদ্ধ এবং বৈধ। ডিক্লারেশন ছাড়া একটি পত্রিকা যেমন এক দিনও প্রকাশিত হতে পারে না, লাইসেন্স ছাড়া একটি টেলিভিশন চ্যানেল যেমন এক সেকেন্ডও সম্প্রচারে যেতে পারে না, তেমনি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালও চলতে পারে না। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করার ক্ষমতা আছে বিটিআরসির। কাজেই নিবন্ধিত ৯২টির বাইরে যা আছে সব বন্ধ করার দায়িত্ব এ সংস্থার। নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয়ে আছে। কিন্তু অবৈধ বা অনিবন্ধিত তালিকা কেন তথ্য মন্ত্রণালয়ে থাকবে? বিটিআরসির কাজ হলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিবন্ধিত অনলাইনের তালিকা নিয়ে এ তালিকার বাইরে যেগুলো আছে তা বন্ধ করে দেওয়া। মোস্তাফা জব্বার অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের তালিকা চাইবেন কেন? ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য মন্ত্রণালয় কত দূর? এ তালিকা তো তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও আছে। মন্ত্রীর অজুহাতে আমি বিস্মিত, হতবাক। হাই কোর্ট ১৪ সেপ্টেম্বর বলেছে। পরদিন বিটিআরসি বৈধ অনলাইনের তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আনবে। তারপর বন্ধ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিটিআরসি কি এতই অজ্ঞ যে তারা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা চেনে না? প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে কেন তাদের এ কাজ করতে হবে? এটা কি অযোগ্যতা, দায়িত্বহীনতা না স্যাবোটাজ। ২৮ সেপ্টেম্বর যখন বাসস, বাংলা নিউজ, বিডি নিউজ বন্ধ করা হলো তখন নেত্র নিউজ, নাগরিক টিভির অনলাইন বহাল তবিয়তে চলছিল। বাংলাদেশে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু চক্র অনলাইন নিউজ পোর্টালের নামে এখন সাইবার সন্ত্রাস চালাচ্ছে। হাই কোর্ট এ নিয়ে কয়েকবার যথার্থভাবেই কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। কিন্তু বিটিআরসির এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এসব রাষ্ট্রবিরোধী অনলাইনের ব্যাপারে কেন জানি আলাদা দরদ আছে বলে মনে হয়। এজন্য তিনি এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করেন নিপুণ হাতে। পরম মমতায়। বাংলাদেশবিরোধী, সরকারবিরোধী অপপ্রচার এবং কুৎসিত নোংরা আক্রমণ হয় বিদেশ থেকে। চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি লন্ডন, সুইডেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বসে এসব গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। এখন দেশে ভুঁইফোড়, অনিবন্ধিত এবং অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন গুজব ছড়াচ্ছে। বিদেশে প্রচারিত মিথ্যাচার বাংলাদেশে রিমেক হচ্ছে। নাগরিক টিভি, কনক সরওয়ার, ইলিয়াস হোসেনের নর্দমার আবর্জনা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব অনলাইন সাইট। হাই কোর্ট এর আগেও বিদেশ থেকে প্রচারিত এসব মিথ্যাচার বন্ধে বিটিআরসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। তখনো মন্ত্রী বললেন, তিনি অসহায়। এবার দায় চাপালেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে। অনেকে বলেন, বাঙালির নাকি তিনটি হাত। ডান হাত, বাঁ হাত আর অজুহাত। সাইবার জগতে নিয়ন্ত্রণহীন স্বেচ্ছাচারিতা শৃঙ্খলায় আনতে ব্যর্থ মন্ত্রী নানা অজুহাত দাঁড় করাচ্ছেন। অন্যের ওপর অবলীলায় দায় চাপাচ্ছেন। ব্লেইম গেইমে অবশ্য মন্ত্রীরা এখন অনেক পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর ল্যাব বসানোর কথাই ধরা যাক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ৪১ দিন পর ২৯ সেপ্টেম্বর এ ল্যাব চালু হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসীরা এখন যেতে পারছেন। কিন্তু এ ৪১ দিন যে ‘পিলো পাসিং’ খেলা হলো তার খেসারত দিতে হলো আমাদের প্রবাসীদের। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ল্যাব বসাতে। এরপর তিন মন্ত্রণালয়ের টানাহেঁচড়া শুরু হলো। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বলল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ল্যাবের নাম দিতে দেরি করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলল, সিভিল এভিয়েশন জায়গা দিচ্ছে না। মন্ত্রীদের কথার যুদ্ধে সাধারণ মানুষ দিশাহারা। কে সত্য কে মিথ্যা- কে বলবে। মন্ত্রী মানেই মহান। মন্ত্রী মানেই মাননীয়। এভাবে এক মাস চলার পর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিমানবন্দরে গেলেন। দুই মন্ত্রীকে নিয়ে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে স্থান চূড়ান্ত করলেন। তা না হলে এ ল্যাব বসতে আরও কত দিন লাগত কে জানে। অনেকেই প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী কেন সব দেখেন, অন্য মন্ত্রীদের কি কাজ নেই? বিমানবন্দরে ল্যাব বসানোর ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী ছাড়া দেশে কিছুই হয় না। মন্ত্রীরা পারেন অজুহাত দিতে, অন্যের ওপর দায় চাপাতে, দায়িত্বহীন কথাবার্তা বলে বিতর্ক ছড়াতে। বিমানবন্দরে ল্যাব বসানো নিয়ে ব্লেইম গেইমের অন্যতম খেলোয়াড় আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সমালোচনায় ডরে না বীরের মত। তিনি কখন কী বলেন তা যদি মনে রাখতেন তাহলে নিজেই নিজের কান্ডে কৌতুক অনুভব করতেন। একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। প্রথম দফায় গণটিকা নিয়ে বিশ্রী কান্ড হলো। গণটিকার নামে গণহয়রানি হলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে মনে বললেন, ‘থুক্কু’। ভবিষ্যতে তিনি আর টিকা কর্মসূচিতে ‘গণ’ শব্দটি ব্যবহার করবেন না বলে ঘোষণা দিলেন। গণমাধ্যমকে বললেন, ‘আর গণটিকা কর্মসূচি হবে না।’ কিন্তু কদিন পর সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে গণটিকা কর্মসূচি হবে। ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।’ ৮০ লাখ কেন, এ নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষ একটু বিভ্রান্তিতে পড়লাম। পরদিন দেখা গেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন। সে বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য। ২৮ সেপ্টেম্বর বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারা দেশে ৭৫ লাখ ডোজ কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে’। পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় মন্ত্রীর ৮০ লাখ টিকা দেওয়ার ঘোষণা। শেষ পৃষ্ঠায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৭৫ লাখ টিকা দেওয়ার বিজ্ঞাপন। কে সত্য? মন্ত্রী না অধিদফতর? মন্ত্রী তাঁর দায় অবশ্যই এড়াতে পারেন। দুই ভাবে তিনি অবলীলায় অন্যের ঘাড়ে দোষটা চাপিয়ে দিতে পারেন। প্রথমত, তিনি বলতে পারেন সাংবাদিকরা তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি আসলে ৭৫ লাখই বলেছিলেন, সাংবাদিকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সুনাম নষ্টের জন্য ৮০ লাখ বানিয়েছেন। গণমাধ্যম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সারাক্ষণ লেগে থাকে। তাই দুষ্টেরা এটা করতেই পারে। অথবা তিনি এটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারেন। (এ কাজের জন্য তাঁর জুড়ি মেলা ভার)। বলেছি তো কী হয়েছে। মন্ত্রী হয়েছি বলে কি মেপে মেপে কথা বলতে হবে! স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য এ রকমই। কোনো কিছুতেই যে তাঁর যায় আসে না। জাতীয় সংসদে তিনি সহাস্যবদনে বলেন, ‘সমালোচনা আমাকে শক্তিশালী করে।’ কদিন আগে স্বাস্থ্যের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সাহেদ কেলেঙ্কারি মামলায় চার্জশিট হলো। প্রথমে দুর্নীতি দমন কমিশন যে এজাহার দিয়েছিল তাতে স্বাস্থ্যের সাবেক মহাপরিচালকের নাম ছিল না। কিন্তু মামলার তদন্তে দুদক আবুল কালাম আজাদের সম্পৃক্ততা পায়। চার্জশিট হওয়ার পর প্রতারক সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যের মহাপরিচালকের চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে যখন স্বাস্থ্য অধিদফতর চুক্তি করে তখন সাহেদের ওই হাসপাতালের অনুমোদনই ছিল না। সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ছবিতে দেখলাম স্বাস্থ্যমন্ত্রী মধ্যমণি হয়ে বসে আছেন। পরে সাবলীলভাবে অভিযোগের বালিশটা তিনি আবুল কালাম আজাদের হাতে ছুড়ে দিয়েছিলেন। সাহেদ ধরা পড়ার পর মন্ত্রী বললেন, ‘আমি এসবের কিছুই জানি না। স্বাস্থ্য অধিদফতরে একটা অনুষ্ঠানে গেছি। ডিজি সাহেব বললেন একটা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। আমি থাকলাম।’ আহারে! মন্ত্রী কিছু না জেনে না বুঝে মাঝের চেয়ারে বসে গেলেন! এ ব্লেইম গেইমে মন্ত্রী জয়ী হয়েছেন। দুদক তা-ও চক্ষুলজ্জার খাতিরে সাবেক সচিব আসাদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। (তা-ও সচিবের দফতরে গিয়ে)। কিন্তু মন্ত্রী কেন সেখানে বসে ছিলেন সে প্রশ্নের উত্তর জানতে মন্ত্রীর কাছেও যাননি তদন্ত কর্মকর্তা। কাজেই মন্ত্রী হলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নির্বিঘ্নে পাড় পাওয়া যায়। তবে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর আগে একটু দেখতে হবে ঘাড়টা কার। এটা যদি আবার আরেকজন মন্ত্রী হন তখন ব্লেইম গেইমটা একটু জটিল হয়ে যায়। যেমন ই-কমার্স নিয়ে সম্প্রতি কী হলো। সবার নাকের ডগায় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা সারা দেশে শোরগোল করল। মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ল। মানুষের পকেট কেটে হাজার কোটি টাকা লোপাট হলো। কেউ কিছু বলল না। এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কি ঘুমিয়ে ছিল? সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে। কই ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকার ব্যাংক হিসাব তো কখনো তলব করা হয়নি। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর এখন তাদের ব্যাংকে লাখ টাকা! কোথায় ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনটেলিজেন্স ইউনিট? এত অস্বাভাবিক লেনদেন হওয়ার ঘটনায় তো বাংলাদেশ ব্যাংক এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজরদারির মধ্যে আনতে পারত। কিন্তু এসব কিছুই করা হয়নি। প্রকাশ্যে লুটপাটের মহোৎসবের পর এখন এ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হলো। আবারও সেই ব্লেইম গেইম। আবার সেই পিলো পাসিং। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের দায়দায়িত্ব নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক দেখেনি কেন? আবার অর্থমন্ত্রী বললেন, ‘দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেই নিতে হবে। কারণ তারাই ব্যবসার অনুমতি দিয়েছে।’ কার দায় তা নির্ধারণের যে অদ্ভুত খেলা চলছে তাতে গ্রাহকের টাকা প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এত দিন কোথায় ছিলেন। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা এক দিনে টাকা লোপাট করেনি। প্রতিদিন করেছে। সবার সামনে করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় কি চেয়ে চেয়ে দেখেছে না ঘুমিয়ে ছিল? এখন সব শেষ হওয়ার পর এ অস্থির তৎপরতা কেন।

তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম প্রধান সমস্যা সমন্বয়হীনতা। এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় নেই। সরকার পরিচালনার রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী। কাজেই মন্ত্রণালয়ের কাজের দায় তাদেরই। জানি না, বুঝি না, বিষয়টি আমি করিনি ইত্যাদি নানা অজুহাত দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না। আবার বাংলাদেশে প্রায় কাজই একাধিক মন্ত্রণালয়কে মিলেমিশে করতে হয়। আমরা করোনাকালে দেখেছি মিলেমিশে একসঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারের মন্ত্রীদের কি অনীহা। পোশাক শিল্পকারখানা খোলা হলো। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানেন না। কলকারখানা খোলা হলো, গণপরিবহন বন্ধ। গণপরিবহন চলল, আবার বলা হলো অর্ধেক গাড়ি চলবে। সমন্বয়হীনতার চরম স্বেচ্ছাচারিতা আমরা দেখছি গত প্রায় দুই বছর। যার যেটা কাজ সেটা তিনি করছেন না। সবাই সবকিছুর জন্য তাকিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। প্রধানমন্ত্রীকে দিনান্ত পরিশ্রম করে সবকিছু করতে হচ্ছে। বাকি মন্ত্রীদের কেউ কেউ যেন কিছুই জানেন না। কিন্তু যখনই তারা ব্যর্থ হচ্ছেন, অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছেন তখনই দোষ চাপাচ্ছেন অন্যের ঘাড়ে। এতে জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। জনগণ সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। মন্ত্রীদের ব্লেইম গেইমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারই।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
সর্বশেষ খবর
সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যমুনার পানি
সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যমুনার পানি

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে শিশুকে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে শিশুকে হত্যার অভিযোগ

১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশব্যাপী পলিথিন, শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণবিরোধী অভিযান
দেশব্যাপী পলিথিন, শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণবিরোধী অভিযান

৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সাজেকে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় খুবির শোক
সাজেকে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় খুবির শোক

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

শিগগিরই যোগদান করছেন সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসক
শিগগিরই যোগদান করছেন সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসক

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

টেকনাফে অস্ত্রসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক
টেকনাফে অস্ত্রসহ ১১ রোহিঙ্গা আটক

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বরিশালে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ১
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ১

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খানাখন্দে ভরা কোচাশহর-ফাঁসিতলা সড়ক
খানাখন্দে ভরা কোচাশহর-ফাঁসিতলা সড়ক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯২৪ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৯২৪ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ড্রপেই সারবে অসুখ, লাগবে না চশমা?
ড্রপেই সারবে অসুখ, লাগবে না চশমা?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

চিকিৎসকসহ ৫২ জন পেলেন গবেষণা অনুদান
চিকিৎসকসহ ৫২ জন পেলেন গবেষণা অনুদান

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আশিষ কিফায়েতের আমাদ’স ড্রিম
জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আশিষ কিফায়েতের আমাদ’স ড্রিম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলার উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘ রাজশাহী জেলার উদ্যোগে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব ও ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত
মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নতুন সূচনা বয়ে আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য নতুন সূচনা বয়ে আনবে: প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ২১তম আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস শুরু
মালয়েশিয়ায় ২১তম আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস শুরু

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কলাপাড়ায় দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ
কলাপাড়ায় দেড় হাজার তালের বীজ রোপণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আইসিএসবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আইসিএসবি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে: ডব্লিউএমও
আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ওজোন স্তরের ক্ষয় অনেকটাই কমেছে: ডব্লিউএমও

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না
নির্বাহী আদেশে দল নিষিদ্ধ করা সমর্থন করি না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়
ব্যতিক্রমী ইকোসিস্টেম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায়

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা
সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন

সম্পাদকীয়

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

আফজাল হোসেনের যাপিত জীবন
আফজাল হোসেনের যাপিত জীবন

শোবিজ

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন