শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২

আওয়ামী লীগে কজন আইভী আছেন

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগে কজন আইভী আছেন

অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে। ১৬ জানুয়ারির এ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট উৎসবে ফিরল দেশ। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার পর্যন্ত বললেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন বর্তমান কমিশনের অধীনে সেরা নির্বাচন। এ নির্বাচনে ১৭ দিন ধরে উৎসবমুখর প্রচারণা চলেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নোংরা, কুৎসিত অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেনি। কেউ কারও পোস্টার ছেঁড়েনি। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলা হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের কোনো গুরুতর অভিযোগ ওঠেনি। ফলে ভোটের দিন ভোটাররা লাইন ধরে ভোট দিয়েছেন। ইভিএমে অনভ্যস্ততাসহ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি এ ভোটের উৎসবকে এতটুকু মøান করেনি। যে কোনো বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন একটি মডেল নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এ নির্বাচন প্রমাণ করেছে কমিশন, প্রশাসন, প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল চাইলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন। ওই নির্বাচনের পর ভোটাররা নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়েন। অনেক সরকারদলীয় প্রার্থীর বিনা ভোটে বিজয়ের খায়েশ চাপে। তারা টাকা দিয়ে, অথবা প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করেন। বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের এক সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখা যায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, বিএনপি-জামায়াত এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরাও মনোনয়ন পান। মনোনয়ন বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। এমপিরা তাদের ‘মাই ম্যান’দের প্রার্থী করাতে সবকিছু উজাড় করে দেন। যেখানে এমপির একান্ত অনুগতরা ‘নৌকা’ প্রতীক পাননি, সেখানে বিদ্রোহী হিসেবে তাদের প্রার্থী করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্রমে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা কোণঠাসা হতে শুরু করেন। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগই ব্যাকফুটে। একদিকে নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহা, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের হতচ্ছিরি অবস্থা। এ রকম এক পরিস্থিতির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অনেক কিছু প্রমাণ করতে হয়েছে। এ নির্বাচনকে আমি বলতে চাই নমুনা জরিপ। আওয়ামী লীগের প্রতি কতটা জনসমর্থন আছে তা ছোট্ট করে পরীক্ষার কেন্দ্র হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে এক ব্যক্তি বা দলের প্রতি জনগণের অরুচি হয় কি না তা পরখ করে দেখার নির্বাচন ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব এক বক্তৃতায় বললেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসমর্থন এখন শূন্যে।’ ওই জনসভাতেই বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইকবাল মাহমুদ টুকু বললেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ এখন সময়ের ব্যাপার।’ বিএনপি নেতার বক্তব্য যদি ন্যূনতম সত্য হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে তো আওয়ামী লীগের মহাভরাডুবি হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না।’ এ রকম কথামালার মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন জমিয়ে ফেলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচন বিএনপির জন্যও ছিল এক বড় পরীক্ষা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকেই অবশ্য বিএনপি এ নিয়ে নিরীক্ষা চালাচ্ছে- দলীয় পরিচয় ব্যবহার না করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করা। এ কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি আংশিক সফল। ওই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা ছিলেন জলের মতো। যে পাত্রে গেছেন সে পাত্রের আকার ধারণ করেছেন। কোথাও তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন, কোথাও জামায়াত বা অন্য দলকে। আর যেসব এলাকায় তাদের শক্তি সংহত (যেমন বগুড়া) সেখানে তারা কোমর কষে লড়েছেন। কত ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপি করা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীরা বিজয়ী হলেন, তা মুখ্য বিষয় নয়। এ নির্বাচনের আবহে বিএনপির তৃণমূল নিজেদের সংগঠিত করতে পেরেছে। কর্মীরা একটু হলেও গা-ঝাড়া দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ তত্ত্বে উদ্বুদ্ধ হয়েই সম্ভবত বিএনপি তৈমূর আলম খন্দকারকে বলির পাঁঠা বানায় নারায়ণগঞ্জে। অথবা তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবন জুয়ার বোর্ডে রাখেন। লক্ষণীয়, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলের আগে তৈমূর আলম খন্দকারকে পদ থেকে শুধু অব্যাহতি দেওয়া হয়। তৈমূর যদি দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন তাহলে তো শুরুতেই তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল। কিন্তু বিএনপি দীর্ঘদিনের ত্যাগী এক নেতাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেছে। বিএনপি অপেক্ষা করেছে নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত। এ নির্বাচনে যদি নাটকীয়ভাবে তৈমূর আলম খন্দকার জয়ী হতেন তাহলে কি বিএনপি তাঁকে বহিষ্কার করত? অসম্ভব। বিএনপি নেতারা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতেন। বিএনপি নেতারা তখন কী বলতেন তা সহজেই অনুমান করা যায়। বিএনপি নেতারা বলতেন, এ সরকার যে কত অজনপ্রিয় তা নারায়ণগঞ্জে প্রমাণিত হলো। তাঁরা বলতেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হয়, সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত, ইত্যাদি। তৈমূর আলম খন্দকার শুধু প্রতীক ছাড়া বিএনপির প্রার্থীই ছিলেন। গোটা দল তাঁর পেছনে ছিল। তৈমূর আলম রাজনীতির হিসাব কষেই নির্বাচন করেছিলেন। তিনি জানতেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত। একাংশের ভোট আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী পাবেন না। তৈমূর জানতেন, ২০০৩ সাল থেকেই কখনো পৌরসভায়, কখনো সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আইভী। নারায়ণগঞ্জের মতো জায়গায় ১৯ বছর ক্ষমতায় থাকা একজনকে অনেক ভোটার ভোট দেবেন না। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে জনগণের একঘেয়েমি আসে। সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয় না। মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ঝোঁকে। এ দুই হিসাব মিলিয়ে তৈমূর নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলেন। তিনিও হয়তো বাংলাদেশের সুশীলসমাজের মতো মনে করেছিলেন, এ নির্বাচনও কলঙ্কিত হবে। জয়ী হতে আওয়ামী লীগ প্রশাসনকে ব্যবহার করবে। হাতি প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হবে। প্রচারণায় মাঠে অন্যদের নামতেই দেওয়া হবে না। ফলে জয় অথবা কারচুপির অভিযোগে কলঙ্কিত নির্বাচন- এ দুই গন্তব্যই তৈমূরের রাজনৈতিক অধ্যায়কে আরও উজ্জ্বল করবে। এ রকম হিসাব-নিকাশ নির্বাচনের আগে অনেকের মুখেই শুনেছি। এ নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের হারাবার কিছু নেই। কিন্তু তিনি কি জানতেন, ১৬ জানুয়ারির পর সব হারাবেন?

আওয়ামী লীগের জন্য এ নির্বাচন ছিল এক জটিল সমীকরণ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা, একই সঙ্গে জয়- দুটো অর্জন একসঙ্গে করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নামায় আওয়ামী লীগ। যদি আইভী পরাজিত হতেন তাহলে দেশে কথার বন্যা বয়ে যেত। আওয়ামী লীগের এখন ন্যূনতম জনপ্রিয়তা নেই এ কথা এখন ফিসফিস করে অনেকেই বলেন। এ নির্বাচনের পর এ ধরনের কথাবার্তা বলা হতো ঢাকঢোল পিটিয়ে। আওয়ামী লীগে অনৈক্য-বিভক্তি নিয়ে এখন প্রকাশ্যেই কথাবার্তা হয়। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে হারাতে আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। আইভী পরাজিত হলে এ বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হতো। আইভী হারলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের পদত্যাগের দাবি বেগবান করার চেষ্টা হতো। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীও জানতেন, এ নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং। বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এজন্য তিনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেন দলের ত্যাগী, দুঃসময়ের কান্ডারি দুই নেতার হাতে। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম। এঁরা দুজন দলের জন্য উৎসর্গীকৃত দুই প্রাণ। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে এঁরাই দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। দলের স্বার্থের প্রশ্নে এঁরা আপস করেননি কখনো। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আরও কয়েকজন নেতাকে যুক্ত করেন। আবদুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম, এস এম কামাল নির্বাচনী টিমে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের যুগের সূচনা করেন। নানক-আজমরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। তাঁরা চাইলে শুরুতেই নির্বাচনের বারোটা বাজিয়ে দেতে পারতেন। তাঁরা যদি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কর্মীদের নির্দেশ দিতেন, অন্য কোনো প্রার্থীকে প্রচারণার জন্য মাঠে নামতে দেওয়া হবে না- তাহলে এ প্রশাসন, এ নির্বাচন কমিশন কি কিছু করতে পারত? না। নানক-আজম টিম যদি সিদ্ধান্ত নিত, যে কোনো প্রকারে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতেই হবে- তাহলে কি নারায়ণগঞ্জ ভোটের উৎসবে রঙিন হতো? যে কোনো দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলের সদিচ্ছা এবং আকাক্সক্ষার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। ক্ষমতাসীন দল যদি না চায় তাহলে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চান এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করছে জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম। এ টিম প্রশাসনকে প্রভাবিত করা ও ভোট কারচুপির কৌশল আবিষ্কারের চেয়ে ভালো নির্বাচন করে জয়ে আগ্রহী ছিল। সেভাবেই তাঁরা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। এ টিম জানত আইভীর জয়ের প্রধান এবং একমাত্র বাধা হলো আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ। এ কারণে তাঁরা আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে কাজ করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে, কঠোর হাতে। নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের মধ্য দিয়ে তাঁরা প্রথম বার্তা দেন। এরপর শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন। আইভীবিরোধীদের নৌকার পক্ষে প্রচারণা। নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে বাহ্যিকভাবে হলেও এক সুতোয় গেঁথেছে পাঁচজনের কেন্দ্রীয় টিম। আমি মনে করি এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় সফলতা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর জন্য এ নির্বাচন ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের। ২০০৩ সালে এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করেন। তখন ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট। সে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যতটা কঠিন ছিল, তার চেয়েও কঠিন ছিল এবারের নির্বাচনে জয়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ২০১১ ও ২০১৬ সালের দুটি নির্বাচনেই তিনি বিজয়ী হন। যে দেশে মানুষ একটি টিভির চ্যানেল বেশিক্ষণ দেখে না। রিমোট কন্ট্রোলে চাপ দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে চ্যানেল পাল্টায়। যে দেশে জনপ্রতিনিধির চেহারা, পোশাক এমনকি তার আত্মীয়স্বজনের স্ফীতি নিয়ে জনগবেষণা হয়। সে দেশে একজন নারীর তৃতীয়বারের মতো মেয়র হওয়াটা এত সহজ নয়। কিন্তু আইভী নারায়ণগঞ্জে তাঁর একটা আলাদা ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা তিনি আলগা হতে দেননি। নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন তিনি লড়াকু, সাহসী, সৎ। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে তিনি দৃশ্যমান কিছু উন্নতি করেছেন। জনগণ তাঁকে বিশ্বাস করে। একদিকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা টিম নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ প্রকাশ্য কোন্দল বন্ধ করেছে, অন্যদিকে আইভীর ইমেজ- এ দুইয়ে মিলে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিজয় সহজ হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে লাভ হয়েছে অন্য জায়গায়। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন জয়ের ফরমুলা আওয়ামী লীগ পেয়ে গেছে। শেখ হাসিনার ইমেজ, উন্নয়ন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং আইভীর মতো যোগ্য প্রার্থী- এ চার স্তম্ভকে এক বিন্দুতে মেলাতে পারলেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিততে পারে। আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য হুদার মতো নির্বাচন কমিশন দরকার নেই। আমলারা নির্বাচন জিতিয়ে দেবে এ ভরসায় তাদের অন্যায় আবদার মানার প্রয়োজন নেই। ডিসিরা পক্ষে থাকলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে এমন উদ্ভট চিন্তার প্রয়োজন নেই। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন এবং যোগ্য প্রার্থী আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচন সহজ করে দিতে পারে। বিশেষ করে গত ১৩ বছর আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে তা বিস্ময়কর। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। এ বছরই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে। এসবই হবে আওয়ামী লীগের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। আওয়ামী লীগ হয়তো তার অনৈক্য এবং বিভক্তিও কাটিয়ে তুলতে পারবে। কারণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি প্রতিটি কর্মীই আস্থাশীল। কিন্তু আইভীর মতো যোগ্য প্রার্থী কজন আছেন? ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভুল প্রার্থীর মাশুল দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। ফরিদপুরের মতো আওয়ামী অধ্যুষিত এলাকায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। অযোগ্য প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়ার পরিণাম কী ভয়াবহ হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। এখন যারা আওয়ামী লীগের এমপি আছেন, তাদের কজন জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন? কজন দুর্নীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন? এ প্রশ্নের মুখোমুখী আওয়ামী লীগকে হতেই হবে। আওয়ামী লীগের দুই ডজনের বেশি এমপি আছেন যাঁরা গত দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অথচ ভোট কী তা জানেন না। এঁরা বিনা ভোটে হ্যাটট্রিক এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত এক জেলায় এমপি হয়েছেন সাবেক এক আমলা। তিনি এলাকায় যান না। জনগণের সঙ্গে কথা বলেন না। যে দু-চার জনের সঙ্গে বলেন, সেখানে তাঁকে স্যার না বললে ক্ষুব্ধ হন। এ রকম উদাহরণ অনেক। এমপিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ অভিযোগের স্তূপ। সেদিন সংসদে এক এমপি বললেন, পিয়ন নাকি এমপিদের পাত্তা দেয় না! এমপি যদি তাঁর ব্যক্তিত্ব দিয়ে সম্মান আদায় করতে না পারেন তাহলে তাঁকে কি ত্রাণের ঢেউটিনের মতো সম্মান বণ্টন করা হবে! কজন এমপি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন জনগণের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক। জনগণের জন্য তিনি সবকিছু করতে প্রস্তুত। যেসব জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য পদ টাকা বানানোর মেশিন মনে করেন তাঁরা আবার মনোনয়ন পেলে কারচুপির পথই খুঁজবেন। তাঁরা কোন মুখে ভোট চাইতে যাবেন? এজন্য তাঁরা আবার বিনা ভোটে এমপি হতে চাইবেন। অথবা প্রশাসন দিয়ে ভোট কারচুপি করাতে মরিয়া হবেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাহলে কি আওয়ামী লীগে যোগ্য প্রার্থী নেই? আইভীর মতো সৎ, জনবান্ধব নেতা কি আওয়ামী লীগে কমে গেছে? অবশ্যই না। অনেক আইভী আওয়ামী লীগে আছেন। অনেক জনবান্ধব, জনপ্রিয় ব্যক্তি আওয়ামী লীগে আছেন। পদ-পদবি ছাড়াও জনগণ যাঁদের সম্মান করে, তাঁদের খুঁজে বের করাই আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর যাঁরা মনে করেন ২০১৪ কিংবা ২০১৮-এর মতো আবার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এমপি হবেন তাঁদের হাতে এলাকা, দেশ এবং আওয়ামী লীগ কোনোটাই নিরাপদ নয়। তাঁরা সম্ভবত কার্ল মার্কসের সেই অমর উক্তি জানেন না। মার্কস বলেছিলেন, ‘ইতিহাসে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি একইভাবে হয় না।’

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল
সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২ মিনিট আগে | শোবিজ

রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত
রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক আহত

৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার

৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ

১০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

১৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আওয়ামী লীগের হাতে কোনদিন গণতন্ত্র নিরাপদ ছিল না: মঈন খান
আওয়ামী লীগের হাতে কোনদিন গণতন্ত্র নিরাপদ ছিল না: মঈন খান

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

নাটোর সদর আসনে জামায়াতের নির্বাচনী শোডাউন
নাটোর সদর আসনে জামায়াতের নির্বাচনী শোডাউন

৩৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পদ ফিরে পেলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরীন
পদ ফিরে পেলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিরীন

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু

৫১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ
ঝিনাইদহে কৃষক সমাবেশ

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫
ভাঙ্গায় পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপির জনসমাবেশ

৫৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

৫৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজ ২৬ নভেম্বর, দেখা যাবে ১০০ টাকায়
ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল সিরিজ ২৬ নভেম্বর, দেখা যাবে ১০০ টাকায়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৫ গোলের বড় জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের
৫ গোলের বড় জয় দিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাই শুরু বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভারতীয় পিয়াজ ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩
সিলেটে ভারতীয় পিয়াজ ভর্তি ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

হুমকির ঘটনায় ওপেনএআইয়ের সানফ্রান্সিসকো অফিসে নিরাপত্তা জোরদার
হুমকির ঘটনায় ওপেনএআইয়ের সানফ্রান্সিসকো অফিসে নিরাপত্তা জোরদার

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ
বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দৌলতপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতা
দৌলতপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মুন্সীগঞ্জে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ
মুন্সীগঞ্জে সড়ক মেরামতের দাবিতে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ধানের শীষ বিজয়ী হলে নতুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান’
‘ধানের শীষ বিজয়ী হলে নতুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ
নিখোঁজের তিন দিন পর ধানক্ষেতে মিলল কৃষকের মরদেহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১
বগুড়ায় মাদক বুপ্রেনরফিনসহ গ্রেফতার ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না: চট্টগ্রামে ইসরাফিল
ঐক্যবদ্ধ থাকলে ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না: চট্টগ্রামে ইসরাফিল

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়
বিধিমালা না মানায় এমন বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা