শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২

আওয়ামী লীগে কজন আইভী আছেন

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগে কজন আইভী আছেন

অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে। ১৬ জানুয়ারির এ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট উৎসবে ফিরল দেশ। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার পর্যন্ত বললেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন বর্তমান কমিশনের অধীনে সেরা নির্বাচন। এ নির্বাচনে ১৭ দিন ধরে উৎসবমুখর প্রচারণা চলেছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নোংরা, কুৎসিত অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেনি। কেউ কারও পোস্টার ছেঁড়েনি। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো মিছিলে প্রতিপক্ষের হামলা হয়নি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের কোনো গুরুতর অভিযোগ ওঠেনি। ফলে ভোটের দিন ভোটাররা লাইন ধরে ভোট দিয়েছেন। ইভিএমে অনভ্যস্ততাসহ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি এ ভোটের উৎসবকে এতটুকু মøান করেনি। যে কোনো বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন একটি মডেল নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। এ নির্বাচন প্রমাণ করেছে কমিশন, প্রশাসন, প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল চাইলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে নানা বিতর্ক ও প্রশ্ন। ওই নির্বাচনের পর ভোটাররা নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়েন। অনেক সরকারদলীয় প্রার্থীর বিনা ভোটে বিজয়ের খায়েশ চাপে। তারা টাকা দিয়ে, অথবা প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করেন। বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের এক সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখা যায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে। বিভিন্ন স্থানে হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, বিএনপি-জামায়াত এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরাও মনোনয়ন পান। মনোনয়ন বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। এমপিরা তাদের ‘মাই ম্যান’দের প্রার্থী করাতে সবকিছু উজাড় করে দেন। যেখানে এমপির একান্ত অনুগতরা ‘নৌকা’ প্রতীক পাননি, সেখানে বিদ্রোহী হিসেবে তাদের প্রার্থী করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্রমে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা কোণঠাসা হতে শুরু করেন। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগই ব্যাকফুটে। একদিকে নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহা, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের হতচ্ছিরি অবস্থা। এ রকম এক পরিস্থিতির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অনেক কিছু প্রমাণ করতে হয়েছে। এ নির্বাচনকে আমি বলতে চাই নমুনা জরিপ। আওয়ামী লীগের প্রতি কতটা জনসমর্থন আছে তা ছোট্ট করে পরীক্ষার কেন্দ্র হয়ে ওঠে নারায়ণগঞ্জ। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে এক ব্যক্তি বা দলের প্রতি জনগণের অরুচি হয় কি না তা পরখ করে দেখার নির্বাচন ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব এক বক্তৃতায় বললেন, ‘আওয়ামী লীগের জনসমর্থন এখন শূন্যে।’ ওই জনসভাতেই বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইকবাল মাহমুদ টুকু বললেন, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ এখন সময়ের ব্যাপার।’ বিএনপি নেতার বক্তব্য যদি ন্যূনতম সত্য হয়, তাহলে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে তো আওয়ামী লীগের মহাভরাডুবি হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না।’ এ রকম কথামালার মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন জমিয়ে ফেলেন তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নির্বাচন বিএনপির জন্যও ছিল এক বড় পরীক্ষা। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকেই অবশ্য বিএনপি এ নিয়ে নিরীক্ষা চালাচ্ছে- দলীয় পরিচয় ব্যবহার না করে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করা। এ কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি আংশিক সফল। ওই নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীরা ছিলেন জলের মতো। যে পাত্রে গেছেন সে পাত্রের আকার ধারণ করেছেন। কোথাও তারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন, কোথাও জামায়াত বা অন্য দলকে। আর যেসব এলাকায় তাদের শক্তি সংহত (যেমন বগুড়া) সেখানে তারা কোমর কষে লড়েছেন। কত ইউনিয়ন পরিষদে বিএনপি করা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীরা বিজয়ী হলেন, তা মুখ্য বিষয় নয়। এ নির্বাচনের আবহে বিএনপির তৃণমূল নিজেদের সংগঠিত করতে পেরেছে। কর্মীরা একটু হলেও গা-ঝাড়া দিয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদে ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ তত্ত্বে উদ্বুদ্ধ হয়েই সম্ভবত বিএনপি তৈমূর আলম খন্দকারকে বলির পাঁঠা বানায় নারায়ণগঞ্জে। অথবা তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর পুরো রাজনৈতিক জীবন জুয়ার বোর্ডে রাখেন। লক্ষণীয়, ভোটের চূড়ান্ত ফলাফলের আগে তৈমূর আলম খন্দকারকে পদ থেকে শুধু অব্যাহতি দেওয়া হয়। তৈমূর যদি দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেন তাহলে তো শুরুতেই তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল। কিন্তু বিএনপি দীর্ঘদিনের ত্যাগী এক নেতাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করেছে। বিএনপি অপেক্ষা করেছে নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত। এ নির্বাচনে যদি নাটকীয়ভাবে তৈমূর আলম খন্দকার জয়ী হতেন তাহলে কি বিএনপি তাঁকে বহিষ্কার করত? অসম্ভব। বিএনপি নেতারা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতেন। বিএনপি নেতারা তখন কী বলতেন তা সহজেই অনুমান করা যায়। বিএনপি নেতারা বলতেন, এ সরকার যে কত অজনপ্রিয় তা নারায়ণগঞ্জে প্রমাণিত হলো। তাঁরা বলতেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হয়, সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত, ইত্যাদি। তৈমূর আলম খন্দকার শুধু প্রতীক ছাড়া বিএনপির প্রার্থীই ছিলেন। গোটা দল তাঁর পেছনে ছিল। তৈমূর আলম রাজনীতির হিসাব কষেই নির্বাচন করেছিলেন। তিনি জানতেন, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত। একাংশের ভোট আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী পাবেন না। তৈমূর জানতেন, ২০০৩ সাল থেকেই কখনো পৌরসভায়, কখনো সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আইভী। নারায়ণগঞ্জের মতো জায়গায় ১৯ বছর ক্ষমতায় থাকা একজনকে অনেক ভোটার ভোট দেবেন না। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে জনগণের একঘেয়েমি আসে। সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয় না। মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ঝোঁকে। এ দুই হিসাব মিলিয়ে তৈমূর নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলেন। তিনিও হয়তো বাংলাদেশের সুশীলসমাজের মতো মনে করেছিলেন, এ নির্বাচনও কলঙ্কিত হবে। জয়ী হতে আওয়ামী লীগ প্রশাসনকে ব্যবহার করবে। হাতি প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হবে। প্রচারণায় মাঠে অন্যদের নামতেই দেওয়া হবে না। ফলে জয় অথবা কারচুপির অভিযোগে কলঙ্কিত নির্বাচন- এ দুই গন্তব্যই তৈমূরের রাজনৈতিক অধ্যায়কে আরও উজ্জ্বল করবে। এ রকম হিসাব-নিকাশ নির্বাচনের আগে অনেকের মুখেই শুনেছি। এ নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের হারাবার কিছু নেই। কিন্তু তিনি কি জানতেন, ১৬ জানুয়ারির পর সব হারাবেন?

আওয়ামী লীগের জন্য এ নির্বাচন ছিল এক জটিল সমীকরণ। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা, একই সঙ্গে জয়- দুটো অর্জন একসঙ্গে করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নামায় আওয়ামী লীগ। যদি আইভী পরাজিত হতেন তাহলে দেশে কথার বন্যা বয়ে যেত। আওয়ামী লীগের এখন ন্যূনতম জনপ্রিয়তা নেই এ কথা এখন ফিসফিস করে অনেকেই বলেন। এ নির্বাচনের পর এ ধরনের কথাবার্তা বলা হতো ঢাকঢোল পিটিয়ে। আওয়ামী লীগে অনৈক্য-বিভক্তি নিয়ে এখন প্রকাশ্যেই কথাবার্তা হয়। বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে হারাতে আওয়ামী লীগই যথেষ্ট। আইভী পরাজিত হলে এ বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হতো। আইভী হারলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সরকারের পদত্যাগের দাবি বেগবান করার চেষ্টা হতো। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীও জানতেন, এ নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং। বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এজন্য তিনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেন দলের ত্যাগী, দুঃসময়ের কান্ডারি দুই নেতার হাতে। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম। এঁরা দুজন দলের জন্য উৎসর্গীকৃত দুই প্রাণ। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে এঁরাই দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন। দলের স্বার্থের প্রশ্নে এঁরা আপস করেননি কখনো। জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আরও কয়েকজন নেতাকে যুক্ত করেন। আবদুর রহমান, বাহাউদ্দিন নাছিম, এস এম কামাল নির্বাচনী টিমে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের যুগের সূচনা করেন। নানক-আজমরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। তাঁরা চাইলে শুরুতেই নির্বাচনের বারোটা বাজিয়ে দেতে পারতেন। তাঁরা যদি নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কর্মীদের নির্দেশ দিতেন, অন্য কোনো প্রার্থীকে প্রচারণার জন্য মাঠে নামতে দেওয়া হবে না- তাহলে এ প্রশাসন, এ নির্বাচন কমিশন কি কিছু করতে পারত? না। নানক-আজম টিম যদি সিদ্ধান্ত নিত, যে কোনো প্রকারে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতেই হবে- তাহলে কি নারায়ণগঞ্জ ভোটের উৎসবে রঙিন হতো? যে কোনো দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলের সদিচ্ছা এবং আকাক্সক্ষার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। ক্ষমতাসীন দল যদি না চায় তাহলে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চান এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করছে জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় টিম। এ টিম প্রশাসনকে প্রভাবিত করা ও ভোট কারচুপির কৌশল আবিষ্কারের চেয়ে ভালো নির্বাচন করে জয়ে আগ্রহী ছিল। সেভাবেই তাঁরা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। এ টিম জানত আইভীর জয়ের প্রধান এবং একমাত্র বাধা হলো আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ। এ কারণে তাঁরা আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে কাজ করেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে, কঠোর হাতে। নারায়ণগঞ্জ ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের মধ্য দিয়ে তাঁরা প্রথম বার্তা দেন। এরপর শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন। আইভীবিরোধীদের নৌকার পক্ষে প্রচারণা। নির্বাচনের আগে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে বাহ্যিকভাবে হলেও এক সুতোয় গেঁথেছে পাঁচজনের কেন্দ্রীয় টিম। আমি মনে করি এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় সফলতা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর জন্য এ নির্বাচন ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের। ২০০৩ সালে এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করেন। তখন ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট। সে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যতটা কঠিন ছিল, তার চেয়েও কঠিন ছিল এবারের নির্বাচনে জয়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ২০১১ ও ২০১৬ সালের দুটি নির্বাচনেই তিনি বিজয়ী হন। যে দেশে মানুষ একটি টিভির চ্যানেল বেশিক্ষণ দেখে না। রিমোট কন্ট্রোলে চাপ দিয়ে ক্ষণে ক্ষণে চ্যানেল পাল্টায়। যে দেশে জনপ্রতিনিধির চেহারা, পোশাক এমনকি তার আত্মীয়স্বজনের স্ফীতি নিয়ে জনগবেষণা হয়। সে দেশে একজন নারীর তৃতীয়বারের মতো মেয়র হওয়াটা এত সহজ নয়। কিন্তু আইভী নারায়ণগঞ্জে তাঁর একটা আলাদা ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা তিনি আলগা হতে দেননি। নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করেন তিনি লড়াকু, সাহসী, সৎ। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে তিনি দৃশ্যমান কিছু উন্নতি করেছেন। জনগণ তাঁকে বিশ্বাস করে। একদিকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা টিম নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ প্রকাশ্য কোন্দল বন্ধ করেছে, অন্যদিকে আইভীর ইমেজ- এ দুইয়ে মিলে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিজয় সহজ হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে লাভ হয়েছে অন্য জায়গায়। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন জয়ের ফরমুলা আওয়ামী লীগ পেয়ে গেছে। শেখ হাসিনার ইমেজ, উন্নয়ন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং আইভীর মতো যোগ্য প্রার্থী- এ চার স্তম্ভকে এক বিন্দুতে মেলাতে পারলেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিততে পারে। আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য হুদার মতো নির্বাচন কমিশন দরকার নেই। আমলারা নির্বাচন জিতিয়ে দেবে এ ভরসায় তাদের অন্যায় আবদার মানার প্রয়োজন নেই। ডিসিরা পক্ষে থাকলে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে এমন উদ্ভট চিন্তার প্রয়োজন নেই। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন এবং যোগ্য প্রার্থী আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচন সহজ করে দিতে পারে। বিশেষ করে গত ১৩ বছর আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে তা বিস্ময়কর। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। এ বছরই পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হবে। এসবই হবে আওয়ামী লীগের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। আওয়ামী লীগ হয়তো তার অনৈক্য এবং বিভক্তিও কাটিয়ে তুলতে পারবে। কারণ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি প্রতিটি কর্মীই আস্থাশীল। কিন্তু আইভীর মতো যোগ্য প্রার্থী কজন আছেন? ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভুল প্রার্থীর মাশুল দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। ফরিদপুরের মতো আওয়ামী অধ্যুষিত এলাকায় নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। অযোগ্য প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়ার পরিণাম কী ভয়াবহ হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। এখন যারা আওয়ামী লীগের এমপি আছেন, তাদের কজন জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন? কজন দুর্নীতি থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন? এ প্রশ্নের মুখোমুখী আওয়ামী লীগকে হতেই হবে। আওয়ামী লীগের দুই ডজনের বেশি এমপি আছেন যাঁরা গত দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অথচ ভোট কী তা জানেন না। এঁরা বিনা ভোটে হ্যাটট্রিক এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত এক জেলায় এমপি হয়েছেন সাবেক এক আমলা। তিনি এলাকায় যান না। জনগণের সঙ্গে কথা বলেন না। যে দু-চার জনের সঙ্গে বলেন, সেখানে তাঁকে স্যার না বললে ক্ষুব্ধ হন। এ রকম উদাহরণ অনেক। এমপিদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যসহ অভিযোগের স্তূপ। সেদিন সংসদে এক এমপি বললেন, পিয়ন নাকি এমপিদের পাত্তা দেয় না! এমপি যদি তাঁর ব্যক্তিত্ব দিয়ে সম্মান আদায় করতে না পারেন তাহলে তাঁকে কি ত্রাণের ঢেউটিনের মতো সম্মান বণ্টন করা হবে! কজন এমপি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন জনগণের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক। জনগণের জন্য তিনি সবকিছু করতে প্রস্তুত। যেসব জনপ্রতিনিধি সংসদ সদস্য পদ টাকা বানানোর মেশিন মনে করেন তাঁরা আবার মনোনয়ন পেলে কারচুপির পথই খুঁজবেন। তাঁরা কোন মুখে ভোট চাইতে যাবেন? এজন্য তাঁরা আবার বিনা ভোটে এমপি হতে চাইবেন। অথবা প্রশাসন দিয়ে ভোট কারচুপি করাতে মরিয়া হবেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাহলে কি আওয়ামী লীগে যোগ্য প্রার্থী নেই? আইভীর মতো সৎ, জনবান্ধব নেতা কি আওয়ামী লীগে কমে গেছে? অবশ্যই না। অনেক আইভী আওয়ামী লীগে আছেন। অনেক জনবান্ধব, জনপ্রিয় ব্যক্তি আওয়ামী লীগে আছেন। পদ-পদবি ছাড়াও জনগণ যাঁদের সম্মান করে, তাঁদের খুঁজে বের করাই আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর যাঁরা মনে করেন ২০১৪ কিংবা ২০১৮-এর মতো আবার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এমপি হবেন তাঁদের হাতে এলাকা, দেশ এবং আওয়ামী লীগ কোনোটাই নিরাপদ নয়। তাঁরা সম্ভবত কার্ল মার্কসের সেই অমর উক্তি জানেন না। মার্কস বলেছিলেন, ‘ইতিহাসে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি একইভাবে হয় না।’

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৩৬ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস

১৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা