বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সমস্যাক্রান্ত ঢাকা

অপরিকল্পিত নগরায়ণের পরিণতি

রাজধানী ঢাকা অচল নগরীর শিরোপা অর্জনের জন্য লড়ছে বললেও খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না। দেড় কোটি মানুষের এ মহানগরীর সড়কে বেরোলেই ভয়াবহ যানজটের শিকার হতে হয়। যেখানে সেখানে বাজার ও শপিং মল ঢাকার অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীর আবাসিক এলাকাগুলো বৈশিষ্ট্য হারিয়ে বাণিজ্যিক এলাকায় পরিণত হচ্ছে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ সব সম্ভবের এই নগরীতে। রাজধানীতে প্রয়োজনের তুলনায় সড়ক কম। সেই সড়কের বড় অংশও থাকে অপদখলে। হাঁটার পথে সাজিয়ে রাখা হয় পসরা। রাজধানীর জলাশয়গুলোর অবস্থা তথৈবচ। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে রাজধানীর চারটি নদ-নদী দখল ও দূষণে। লেক-খালগুলোও অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। রাজধানীর উন্নয়নে নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও সবকিছু করা হচ্ছে যেনতেনভাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ঢাকা মহানগরী ঐতিহ্যগতভাবে একটি অপরিকল্পিত নগরী। ঢাকার উন্নয়নে নানা সময় বিভিন্ন সরকার অপরিকল্পিত নীতি গ্রহণ করেছে, যার ফলে ঢাকা শহরে মানুষের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশই নেই। ঢাকার রাজপথে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে। সে সিগন্যাল কাজ করে না। পুলিশ হাত তুলে যান নিয়ন্ত্রণ করে। ঢাকায় অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অব্যবস্থাপনা থামাতে আইনের কঠোর প্রয়োগের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে কারণ এ নগরীর জনঘনত্ব অনেক। ঢাকায় রাস্তার তুলনায় গাড়ি বেশি। এসব বিষয়ে বহু আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হয়। তা কখনো হয়নি। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ঢাকার পরিসর বাড়াতে ও জনঘনত্ব কমাতে হবে। যোগাযোগব্যবস্থাও ভালো করতে হবে। রাজধানীকে বসবাসের উপযোগী করতে হলে এখান থেকে শিল্পকারখানা দূরে সরাতে হবে। অবসান ঘটাতে হবে সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক প্রবণতার। ঢাকার উন্নয়নে আমলা নয়, নগর বিশেষজ্ঞ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামতের গুরুত্ব থাকা উচিত। বিশেষ করে যানজট রোধে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর