বুধবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ওমিক্রনের নতুন ধরন

বিপদ এড়াতে চাই দৃঢ় মনোভাব

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আগ্রাসনের লক্ষণ সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। ঢাকায় ওমিক্রনের তিনটি সাব-টাইপ বা উপধরন থাবা বিস্তার করছে ব্যাপকভাবে। যেগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জায়গায় তা রাজত্ব শুরু করেছে।

চলতি মাসে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ আইসিডিডিআরবির গবেষণায় বলা হয়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণে উদ্ঘাটিত হয়েছে ঢাকা শহরে তিনটি সাব-টাইপ। এগুলো আফ্রিকান, ইউরো-আমেরিকান ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ওমিক্রন ধরনের সঙ্গে মিলে যায়। জানুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহে তাদের ল্যাবরেটরিতে ১ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৮ শতাংশই ছিল করোনায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তের মধ্যে ওমিক্রন ছিল ৬৯ শতাংশের দেহে। গবেষণা সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে ৬ ডিসেম্বর ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। ওই মাসেই আইসিডিডিআরবির ল্যাবে পরীক্ষা করা ঢাকা শহরের ৭৭ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে পাঁচটিতে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছিল। অন্যগুলো ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। জানুয়ারিতে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা নমুনার ৯০ দশমিক ২৪ শতাংশেই ওমিক্রনের উপস্থিতি মিলেছে। বাকি ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ নমুনায় পাওয়া গেছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ওমিক্রনের তিনটি উপধরনের পাশাপাশি আরেকটি গুপ্ত রূপও ধরা পড়েছে। যেটি পরিচিত বিএ-২ লিনেজ নামে। মৃত্যুহার কম হলেও ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এক জনপদ থেকে আরেক জনপদে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তা সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করছে। মাস্ক না পরে বাইরে বেরোনোর অভ্যাসের কারণেই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকভাবে। এ প্রেক্ষাপটে যারা কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত তাদের বাইরে বেরোনো নিরুৎসাহ করা দরকার। মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে অর্থদন্ডের বিধান চালু হলে যথেচ্ছতা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। ওমিক্রনে মৃত্যুহার কম হলেও তা হুমকি সৃষ্টি করছে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য। অর্থনীতির জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে; যা রোধে দৃঢ় মনোভাবের বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর