সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

ঘরশত্রু বিভীষণদের ঠেকান

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণে ঘরশত্রু বিভীষণের ভূমিকা পালন করছে রিক্রুট এজেন্টদের একটি অশুভ সিন্ডিকেট। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো বন্ধ। করোনার দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর দেশটি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও যাদের গরজ বেশি থাকার কথা তাদের জন্যই তা আটকে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ঘরশত্রু বিভীষণদের জন্য দুই পক্ষের সমঝোতা স্মারক সইয়ের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কর্মী পাঠানো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। এ বিষয়ে অভিযোগের তীর বায়রার একজন প্রভাবশালী নেতার দিকে। যিনি নানাভাবে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারটি যেন খুলতে না পারে গোপনে সে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে দেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজারটি খুলে দেওয়ার পর কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হওয়ায় বাজারটি নেপালের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বর্তমানে সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের প্রায় ৬০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। তারা উচ্চমূল্যে ভিসা কেনার অজুহাতে প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলে অভিবাসী কর্মীরা মধ্যপ্রাচ্যের পরিবর্তে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে এজেন্সিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর মতো কর্মী পাবে না, অথবা কর্মী পেলেও এত উচ্চমূল্যে ভিসা বিক্রি করা যাবে না। এই ক্ষতির আশঙ্কায় মালয়েশিয়া শ্রমবাজার খোলার বিষয়টিতে অযৌক্তিকভাবে বিরোধিতা করছে এজেন্সিগুলো। তারা এ জন্য ব্যক্তিগত প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তারের পাশাপাশি গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করে। এমনিতেই করোনাকালে দেশের লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। গত দুই বছরে চাকরি প্রত্যাশীদের একটি ক্ষুদ্র অংশের কর্মসংস্থান সম্ভব হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কয়েক লাখ কর্মী প্রেরণের সুযোগ বন্ধ হলে তা সংকট আরও তীব্রতর করবে। এ বিষয়ে সরকার সচেতন হবে এটি সময়েরই দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর