রবিবার, ১২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তি

জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিন

জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে জনভোগান্তি। রাজধানীতে এ ভোগান্তি সীমা অতিক্রম করতে চলেছে। জন্মনিবন্ধন সনদের বিষয়টি এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাগরিকদের কাছে। সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করতে লাগছে জন্মনিবন্ধন সনদ, সরকারি ১৮টি সেবার জন্য জন্মনিবন্ধন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সেহেতু এ সনদ পেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে গ্রাম ও শহরের মানুষ। ফলে স্থানীয় সরকার অফিসগুলোয় প্রতিদিনই লোকজন আসছে নতুন জন্মনিবন্ধন করতে, আগের জন্মনিবন্ধনের নাম কিংবা অন্য কোনো ভুল তথ্য সংশোধন করতে। অভিযোগ রয়েছে, জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন করেও দিনের পর দিন ঘুরেও সনদ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বকশিশ না দিলে সনদ পেতে ঘোরানোর অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। জন্মনিবন্ধন ভুল সংশোধনের জন্য সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস ও ডিসি অফিসে কয়েক দফা ঘুরেও সনদ না পাওয়ার অভিযোগ অনেকের। অনেকে এক যুগ আগে হাতে লেখা জন্মনিবন্ধন সনদ নিলেও এখন ওয়েবসাইটে সে তথ্যের মিল না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। আবার অনেকে অনলাইনে সনদ নিয়েছিলেন, কিন্তু যাদের সনদ নম্বর ১৭ ডিজিটের কম, তাদের তথ্যও ওয়েবসাইটে নেই। ওয়েবসাইটে অনেকের জন্মনিবন্ধন উঠলেও নামের বানান ভুল করে ওঠানো হয়েছে। বানান বা ছোটখাটো সংশোধন করতে এসেও রাজধানীসহ সারা দেশে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। প্রথমে আঞ্চলিক অফিস পরে সেটি নিয়ে যেতে হয় ডিসি অফিসে। ছোটখাটো ভুল সংশোধনে মানুষ যে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে, তা স্বীকার করে জনপ্রতিনিধিরাও এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন। নিবন্ধন ও সংশোধনের দায়িত্ব কেন জনপ্রতিনিধিদের হাতে থাকবে না এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। জননিবন্ধন সনদ নিয়ে ভোগান্তির নিরসনে এ দায়িত্বটি জনপ্রতিনিধিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এতে ভোগান্তি যেমন কমবে তেমন জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তি ও দুর্নীতি হ্রাস পাবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্যউপাত্ত যত সহজে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় অন্যদের পক্ষে তা ততটাই কঠিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর