বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিজিটাল হুন্ডি

অর্থ পাচার বন্ধে উদ্যোগ নিন

ডিজিটাল হুন্ডি দেশের অর্থনীতি ফোঁকলা বানিয়ে দিচ্ছে। এ আপদের কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। বিদেশ থেকে দেশে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠার পর রেমিট্যান্সে তার অপপ্রভাব পড়ছে। সিআইডির তদন্তে গত এক বছরে ডিজিটাল হুন্ডিতে ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার পাচারের কথা বলা হয়েছে। মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার এজেন্টের মাধ্যমে এসব টাকা পাচার হয়েছে। হুন্ডিতে জড়িতরা বেছে নিয়েছেন বিকাশ, রকেট, উপায়, নগদের অ্যাপ। অনলাইনে বৈদেশিক মুদ্রার বাণিজ্যের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে নগদ ডলার। এতে কমছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সম্প্রতি ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে মুদ্রা পাচারের সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের সিআইডি ও বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিএফআইইউর তদন্তে দেখা গেছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে বিকাশ, নগদসহ এমএফএস প্রতিষ্ঠানের নামে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সিআইডির তদন্তে একটি মোবাইলেই ৯ হাজার ৮৮৮টি অর্থ লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। হুন্ডির কারণে দেশের অর্থনীতি হতশ্রী হয়ে পড়ছে। ডিজিটাল হুন্ডির কুশীলবরা মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইতালি অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশের প্রবাসীদের ব্যাংকিং সেক্টরের বদলে তাদের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণে উদ্বুদ্ধ করছে। ব্যাংকিং খাতের চেয়ে তুলনামূলক বেশি অর্থ পাওয়ার লোভে অনেকেই ঝুঁকছেন সে পথে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই হুন্ডির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের পথ বন্ধ করতে হবে। মোবাইল ফিন্যানশিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে হুন্ডির সুযোগ বন্ধ করতে হবে শক্তভাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর