চোরে চোরে মাসতুতো ভাই- কথাটির সত্যতা প্রমাণিত হচ্ছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জঙ্গিদের মিতালিতে। জঙ্গিবাদী ও তাদের চ্যালা ধর্মান্ধরা অহরহ ইহুদি-নাসারা এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ালেও তাদেরই একটি গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে কথিত নাসারাদের হাতে। রাঙামাটি ও বান্দরবান সীমান্তের দুর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে জঙ্গি ও পাহাড়ি সন্ত্রাসী গ্রুপের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে সাতজন নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার। বাকি তিনজন প্রশিক্ষণদাতা পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠনের। যৌথ বাহিনী তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বিদেশি ভাড়াটেদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঙামাটির বড়খালী ইউনিয়ন, বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সাইজামপাড়া, শিপ্পি পাহাড় রনিনপাড়া ও কেওক্রাডং পাহাড়ি এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের আস্তানা। আটক করা হয় জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার সাত সশস্ত্র জঙ্গিসহ পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের তিন সদস্যকে। উদ্ধার করা হয় বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদ। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক জানান, জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়া সারা দেশ থেকে সদস্য সংগ্রহ করে পাহাড়ে আস্তানা গেড়েছে। পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে প্রশিক্ষণও শুরু করেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ আস্তানা ধ্বংস করতে তারা সক্ষম হয়েছেন। স্মর্তব্য, বেশকিছু যুবকের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জঙ্গিসংশ্লিষ্টতা উদ্ঘাটিত হয়। ধরা পড়া জঙ্গিদের থেকে তথ্য পাওয়ার পর শুরু হয় অভিযান। এ অভিযানের যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে আমরা বলব, যারা জঙ্গি মতবাদের প্রচার চালাচ্ছে তাদের রোখার বিষয়টিও আরও বেশি গুরুত্বের দাবিদার।