মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

অর্থনীতির শত্রু হুন্ডি

কঠোর ব্যবস্থার বিকল্প নেই

হুন্ডি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সাক্ষাৎ শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ভয়াবহ এ দানব গিলে খাচ্ছে অর্থনীতির অনেক ইতিবাচক অর্জন। হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ ও রকেটের কারসাজিতে তছনছ হয়ে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে প্রকাশ্যে সাইনবোর্ড লাগিয়ে হুন্ডির ব্যবসা করছে বাংলাদেশের দুটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান। ফলে দেশে আসছে না ডলার। ডলার সংকটে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় অচলাবস্থা দেখা দিচ্ছে। বন্ডে বিনিয়োগও চলছে মন্দা। প্রবাসীদের বন্ড নবায়ন হচ্ছে না। অংশীজনেরা বলছেন, বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রচলিত আড়াই শতাংশের সঙ্গে আরও ১ শতাংশ প্রণোদনাসহ তিন স্তরে বিনিয়োগ সুবিধা থাকলে তবেই কমতে পারে হুন্ডি। পাশাপাশি হুন্ডিতে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দুদকের অনুসন্ধান ও বিদেশে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবকিছুর আগে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। একটি গ্রহণযোগ্য মূল্য নির্ধারিত হলেই অনেক কিছু স্বাভাবিক হবে। ডলার সংকট দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে দিচ্ছে। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম এক বছরে বেড়ে গেছে ২০ শতাংশের বেশি। এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষের সঞ্চিত টাকা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা উধাও হয়ে গেছে। ডলার সংকট মোচনে যেসব কারণে প্রবাসীরা ব্যাংকিং খাতের বদলে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সে পথ বন্ধ করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় হলে কারা হুন্ডির সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করা কঠিন কিছু নয়। কারণ কোন এলাকার কারা হুন্ডি ব্যবসা করে এটি ওপেন সিক্রেট। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় হলে তাদের জালের মধ্যে আটকানো সম্ভব। সংকট নিরসনে ব্যাংকিং খাতে আসা অর্থের জন্য প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর