মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নৌশ্রমিক ধর্মঘট

অচলাবস্থা নিরসনে উদ্যোগ নিন

নৌশ্রমিকদের ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌপথে যাতায়াতকারীরা। ধর্মঘটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের নদীবন্দরগুলোয় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১২ লাখ টাকা করাসহ ১০ দাবি আদায়ে সারা দেশে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। তবে ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে বেআইনিভাবে ধর্মঘট ডাকায় নৌশ্রমিক ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। নৌ ধর্মঘটে দেশের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ নৌবন্দর সদরঘাট লঞ্চশূন্য হয়ে আছে। ২ শতাধিক লঞ্চের মধ্যে ঢাকা থেকে বিভিন্ন নৌপথে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৬৫টি লঞ্চ চলাচল করলেও রবিবার পন্টুুনে কোনো লঞ্চের দেখা মেলেনি। নৌশ্রমিকরা লঞ্চগুলো মাঝনদীতে নোঙর করে রেখেছেন। নৌশ্রমিকদের কর্মবিরতিতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য খালাসে শ্রমিকরা যোগ না দেওয়ায় সংকট দেখা দিলেও বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। মোংলা বন্দরেও বিরাজ করছে অচলাবস্থা। নৌশ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য আনা-নেওয়ায় সমস্যা দেখা দেওয়ায় নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংকট নিরসনে মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা চলছে। নৌযান শ্রমিকদের বক্তব্য, তাঁরা মাসে ৭ হাজার ৭৫০ টাকা বেতন পান। এ বেতনে বর্তমানে জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে নেমেছেন। ১০ দফা দাবি আদায়ে ১৯ নভেম্বর আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ দাবি মেনে নিতে গরজ দেখায়নি; যা ধর্মঘটে যেতে তাঁদের বাধ্য করেছে। নৌশ্রমিকদের ধর্মঘটের অবসানে সমঝোতার পথ রচনায় কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন-এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর