মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সুন্দরবন বনদস্যু

ওদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাদাবন সুন্দরবন। জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃত সুন্দরবনে আবারও শুরু হয়েছে বনদস্যুদের তৎপরতা। সুন্দরবনে বনদস্যুদের উৎপাত ছিল যুগের পর যুগ। এলিট ফোর্স র‌্যাবের তৎপরতায় বন্ধ হয় বনদস্যু নামের মানুষবেশী দানবদের উৎপাত। একের পর এক অভিযানের মুখে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুদের পুনর্বাসিত করার পদক্ষেপ

নেয় সরকার। চার বছর দস্যুমুক্ত থাকার পর সুন্দরবনে আবারও শুরু হয়েছে অপতৎপরতা। ১৫ ডিসেম্বর রাতে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বেড়ির খাল ও অরমাল খালে জেলেদের কাছ থেকে প্রায় ৭ মণ কাঁকড়া, ২০টি মোবাইল ফোন সেট ও দুটি জেলেনৌকা নিয়ে গেছে বনদস্যুরা। পরে মুক্তিপণের দাবিতে ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। শনিবার রাতে অন্য জেলেরা বাড়ি ফিরে এলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। র‌্যাবের তৎপরতায় সুন্দরবনে একের পর এক বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই, জিউধারা ও ধানসাগর স্টেশন থেকে পারমিট নিয়ে ১০টি নৌকায় একদল জেলে

১৫ ডিসেম্বর রাতে বেড়ির খাল ও অরমাল খালে কাঁকড়া শিকার করছিল। এ সময় নয়জনের বনদস্যু বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের মালামালসহ দুটি নৌকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে প্রতিটি নৌকা থেকে একজন করে ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বনদস্যুরা। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকাসহ যোগাযোগ না করলে অপহৃতদের হত্যারও হুমকি দেয়। সুন্দরবনে নতুন করে বনদস্যুদের তৎপরতার বিষয়ে র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে জানানো হয়েছে বন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সেহেতু এ বাদাবনকে দস্যুমুক্ত করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য সব প্রয়াস চালাবে, এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর