শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাংলাদেশের ছয় প্রস্তাব

বৈশ্বিক সংকট মোচনে অবদান রাখবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘দক্ষিণ গোলার্ধের আওয়াজ’ শীর্ষ সম্মেলনে মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ জন্য তিনি ছয়টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। বলেছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিকে বিবেচনায় রেখে একটি ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ওই বক্তব্য সময়ের দাবিই তুলে ধরেছে। কভিড-১৯ মহামারি দুনিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শুধু তছনছ করেনি, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। এর ফলে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে তা কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকায় আঘাত হেনেছে। এর রেশ কাটিয়ে ওঠার আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ডেকে এনেছে। দুনিয়ার ৮০০ কোটি মানুষ যার শিকার। এ সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে- প্রথমত, মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন, যা এসডিজির সমান্তরালে সামগ্রিকভাবে বৈষম্যকে মোকাবিলা করবে। তৃতীয়ত, স্বল্পোন্নত দেশ, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ অর্থায়নের প্রয়োজন, তাদের উত্তরণে এটি পূরণ করতে হবে। চতুর্থ প্রস্তাবে, নারীসহ সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ‘ডিজিটাল ডিভাইডস’ সেতুবন্ধন রচনার প্রয়োজনীয়তা এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনিয়োগ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা নিতে অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর সমর্থন অত্যাবশ্যক। পঞ্চমত, সব মানুষেরই ভালোভাবে জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। বৈশ্বিক সম্প্রদায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যেন না ভোলে। বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাউথ-সাউথ ও ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত, থিংকট্যাংক এবং অন্যান্য সবার সমর্থনও প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর ছয় প্রস্তাব এমন সময় উত্থাপিত হয়েছে যখন বিশ্ব মহাসংকটে ভুগছে। যার অবসানে সংশ্লিষ্ট সবার সুমতির বিকল্প নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর