শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেখা যাচ্ছে না

ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী

নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেখা যাচ্ছে না

২০২৩ সালের শুরুতেই বোঝা যাচ্ছে, এই সালটি অনেক ঘটনাবহুল হতে যাচ্ছে। ২০২২ সালে অনেক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে বছরের শেষের দিকটা ছিল বেশ ঘটনাবহুল। যেমন- বিরোধী দল, যারা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে, তারা শুধু ঘরে বসে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমেই বেঁচেছিলেন। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক দেখলেন, এভাবে যদি দেশ চলে তাহলে দেশে গণতন্ত্র স্থায়ী রূপ পাবে না। সুতরাং তিনি বিরোধী দলকে আহ্বান জানালেন, তারা যেন বিরোধী দল হিসেবে টিকে থাকে। সরকারের ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দেয়, যাতে সরকার সঠিক পথে চলতে পারে। সরকার যদি কোনো গঠনমূলক কাজ করে তাহলে তারা সেটির প্রশংসা করবে। এমনকি তিনি বললেন, বিরোধী দল যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করে তাহলে তিনি তাদের চা পানের আহ্বান জানাবেন এবং তিনি ঠিকই আহ্বান জানালেন। তিনি সরাসরি বলে দিলেন, গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে বিরোধী দল সরকারের বিভিন্ন বিষয়, যেগুলো তারা মনে করে জনগণের পক্ষে যাচ্ছে না, রাষ্ট্রের পক্ষে যাচ্ছে না, সেগুলো নিয়ে সক্রিয় হবেন। তারা বক্তব্য-বিবৃতি দিতে পারেন, তারা রাস্তায় নামতে পারেন, তারা মিছিল করতে পারেন, তারা গণজমায়েত করতে পারেন। বিরোধী দলও দেখা গেল, আস্তে আস্তে এটা শুরু করল। কিন্তু একটি কথা নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী) ব্র্যাকেটের মধ্যেই রেখেছেন। সেটা হলো- আগুনসন্ত্রাস করা চলবে না, জনগণের জানমালের ক্ষতি চলবে না, রাষ্ট্রের কোনো সম্পদের ক্ষতি করা যাবে না। এটি এ জন্যই নেত্রী ব্র্যাকেটের মধ্যে রেখেছেন। কারণ এটা আলাদা করে বলার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।

প্রথম দিকে দেখা গেল, বিএনপি এবং বিএনপির সঙ্গে জামায়াত। ৩০ তারিখে যে গণজমায়েত হয়েছে, তাতে প্রমাণ হয়েছে, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির যে সখ্য, তার সামান্যতম কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা শুধু পশ্চিমা শক্তিকে বোঝানোর জন্য বলছিল, বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে নেই। কেননা, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপ ভালো করেই জানে, জামায়াত হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল। তারা অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় এবং কোনো বাছবিচার না করেও মানুষ হত্যা করে। তাদের সঙ্গে দ্বিমত হলেই তারা যে কোনো পন্থা অবলম্বন করে। যারা ৩০ তারিখে জামায়াতের হঠাৎ ঝটিকা তাণ্ডব দেখেছেন, তারা দেখেছেন, একজন জামায়াতকর্মী পুলিশকে (যিনি রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং যার গায়ে এই রাষ্ট্রের দেওয়া পোশাক রয়েছে) লাথি মারছে। এ থেকে বলা যায়, বাংলাদেশে যত সন্ত্রাস, প্রত্যেকটার পেছনেই এই জামায়াত আছে। বিএনপি রাজনীতিকে একেবারে সহজ ভাবল, তারা নিজেরাই নিজেদের জোট ভেঙে দিয়ে আলাদা আলাদা জোট করল এবং জোট করে বলল, একই সঙ্গে মিছিল করব। তাতে লোকে ভাববে, অনেক জোট একসঙ্গে হয়ে সরকারের বিরোধিতা করছে। অথচ এ জোটের প্রধানের নামও অনেক সাধারণ লোকেরা জানে না। সাধারণ লোক তো দূরের কথা, যারা পত্রপত্রিকায় কাজ করেন, তাদেরও জিজ্ঞেস করে জানতে হয়, ‘ভাই, আপনার দলের নাম যেন কী?’-এই হলো অবস্থা।

একইভাবে জামায়াত নামে যেহেতু নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়নি, সে জন্য তারা বিভিন্ন নামে সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে তুলেছে। একের পর এক জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এগুলো বের করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখিয়েছে, এরা জামায়াতেরই অংশ এবং তারা এ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নষ্ট করতে চায়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী সাহেব বলেছিলেন, ‘জিরো প্লাস জিরো ইজ ইকুয়াল টু জিরো’। যত শূন্যই যোগ করা হোক না কেন, তার ফল শূন্যই হবে। এসব শূন্য রাজনৈতিক দলের ফলাফল আসলে শূন্যই হবে। অন্য কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

এখন অন্যদিকে আসি, আমাদের আওয়ামী লীগের যারা নেতা, একেবারে ওপরে থেকে শুরু করে গ্রাম্য পর্যায়ের বেশ কিছু সংখ্যক নেতা, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঠিকমতো বুঝতে পারেন না, অথবা বুঝেও তারা তাদের নিজস্ব বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে চলেন। যার জন্য দেখা যায় দেশব্যাপী সত্যিকারে দলের বা সরকারের কাজ যা করা দরকার, অনেকেই তা করছেন না। এর একটি খুব বাস্তব উদাহরণ হলো কিছুদিন আগের রংপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে একজন দাঁড়িয়েছেন এবং দুজনের ভোট মিললে দেখা যেত আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করে। ওই জায়গাতে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী। সেখানে তাদের অবস্থান শক্ত এবং জাতীয় পার্টিরই জেতার সম্ভাবনা ছিল। নির্বাচন সঠিক হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তো ৪ নম্বর হওয়ার কথা না। এই ৪ নম্বরে যাওয়া নিয়ে অনেকে অনেক রকম সস্তা কথা বলছেন। এগুলো কেবল রাজনীতিকে সস্তাভাবে মূল্যায়ন করা। এখানে দার্শনিক শেখ হাসিনার সঙ্গে সবার পার্থক্য।

নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেখা যাচ্ছে না। কেমন যেন গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু একা একা ছোট একটি দল থেকে এই বড় রাজনৈতিক দল গড়ে তুলেছেন। অনেক বাধাবিপত্তির পর বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। তাঁকে বহু ত্যাগ করতে হয়েছে। জেল খাটতে হয়েছে। পরিবারকে তিনি সময় দিতে পারেননি। আর রাজনীতি করতে হলে এটা কম-বেশি সবাইকে করতে হবে। কিন্তু আমাদের শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে তো রাজনীতিতে ত্যাগ করতে দেখি না। তারা বোধহয় ত্যাগ করতে শেখেননি। যারা সরকার চালান তাদেরও তো ত্যাগ করতে খুব একটা দেখি না। এমন কোনো উদাহরণ নেই যে কেউ দেশ চালাতে গিয়ে তার পরিবারের খেয়াল রাখতে পারছেন না। বা দল চালাতে গিয়ে পরিবারের খবর রাখতে পারেন না। এরকম তো একজন কর্মীও তৈরি হচ্ছে না। তাহলে তারা কীভাবে দাবি করে যে, তারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। কী করে তারা দাবি করে যে, তারা শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে চলছেন। তারা মনে করেন, শেখ হাসিনা তাদের জন্য কিছু করবেন। তাদের আবার ক্ষমতায় আনবেন। এই ভেবে তারা তাদের দায়-দায়িত্বের প্রতি উদাসীন।

নেত্রী যখন কোথাও কোনো সভা-সমাবেশে যান, সেখানে লোকের কোনো অভাব হয় না। সেখানে কিন্তু ঠিকই লোকজন আশপাশের জেলা থেকেও নেত্রীকে দেখতে আসে, নেত্রীর কথা শুনতে আসে। আর নেত্রীর বহরে যদি কোনো নেতা যেতে পারেন তাহলে তার জীবন সার্থক হয়ে যায়। স্থানীয় নেতারা যদি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তাঁর সঙ্গে একটু কথা বলতে পারেন তাহলে তারা নিজেদের ধন্য মনে করেন। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের কী লাভ হলো? তাদের তো কোনো লাভ হলো না। সুতরাং আমার মনে হয় ২০২২ সাল যেভাবেই যাক না কেন ২০২৩ সালে এসে নেত্রী কাউকে কোনো ছাড় দেবেন না। আমি ব্যক্তিগতভাবে নেত্রীকে প্রায় ৬২ বছর ধরে চিনি। যখন যে কাজটি করা প্রয়োজন তিনি তখনই সেই কাজটি করবেন। বঙ্গবন্ধু যেমন বুঝতেন কখন কোন কাজ করতে হবে। নেত্রীও সেভাবেই কাজ করেন।

এবার যে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলো সেখানেও নেত্রী যাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছেন তাদেরই তিনি নির্বাচন পর্যন্ত রেখেছেন। কারণ নির্বাচনের এখন মাত্র এক বছর সময় বাকি। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে, ২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখনো কি তারা নেত্রীর মুখের দিকে চেয়ে থাকবেন? তাই যদি হয় তাহলে বুঝতে হবে, নেত্রী যাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন তারা নেত্রীর বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করছেন না।

আমি জানি, এতে অনেকেই অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ন হবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের এমনো অনেক নেতা আছেন যাদের নেত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ কী জিজ্ঞাসা করলে বলতে পারবেন না। অনেক মন্ত্রীও বলতে পারেন না। আমি সবার কথা বলছি না। কিন্তু অধিকাংশের ব্যাপারেই এটি সত্যি। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, নেত্রী তাহলে তাদের কেন রাখলেন? আমি মনে করি, সুদিন-দুর্দিন মিলে যারা সঙ্গে ছিলেন, তাদের তিনি একটি সুযোগ দিয়েছেন এবং যখন কঠিন হওয়া প্রয়োজন তখন তিনি কঠিন হবেন। সুতরাং কেউ যাতে এটা মনে না করে যে, নেত্রী কাউকে জমিদারি লিখে দিয়েছেন। তিনি দল এবং সরকার চালাচ্ছেন তাঁর দর্শনকে বাস্তবায়িত করার জন্য। যারা বাস্তবায়িত করতে পারবেন না তাদের জন্য বের হওয়ার রাস্তা সর্বদা খোলা রয়েছে। তাই তাদের সঠিকভাবে কাজ করতে হবে এবং সেই কাজে এখন থেকেই নামতে হবে। নিজে থেকে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তার উল্টো। প্রধানমন্ত্রী মিটিং করে বলে দিলে তখনই কাজ হয়। আজ পর্যন্ত সবাই তাকিয়ে থাকেন তাঁর মুখের দিকে। নেতৃত্বের অভাব না থাকলেও নেত্রী যে নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশ পালন করার লোকের অভাব।

আওয়ামী লীগের একটি গুণ হলো, কঠিন সময়ে লোকের অভাব হয় না। বিএনপি যখন রাস্তায় নামছে তখন আওয়ামী লীগের কর্মীরাও রাস্তায় নেমেছে। যাতে সাধারণ জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি না হয় এবং তারা যেন না ভাবে যে, আওয়ামী লীগ নেই। কিন্তু নির্বাচন একটি পুরোপুরি ভিন্ন জিনিস এবং এই নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবেই নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগের অনেকেই হয়তো ভাবছেন বিএনপি নির্বাচনে আসবে এবং শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল। আমি মনে করি, বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এটা যে কেউ একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে। এখন তারা বিএনপি নামে করবে নাকি অন্য নামে করবে তা তাদের বিষয়। তারা স্বাধীনভাবে নির্বাচন করতে পারে, কিংবা অন্য বিরোধী দলগুলোকে এক করে নির্বাচন করতে পারে এবং তারা এখানে কোনো রকম ছাড় দেবে না। তারা যদি পশ্চিমাদের বুদ্ধি নিয়ে কিংবা আমাদের যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচয় দিতে আনন্দ বোধ করেন তাদের বুদ্ধি নিয়ে যদি মনে করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেই নির্বাচন হবে না এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচন যদি করেও তাহলে সেটা বিশ্বে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।

আওয়ামী লীগের যারা নতুন নেতৃত্বে এসেছেন তাঁরা নতুন নেতৃত্ব এ জন্য যে তাঁরা নেত্রীর যে দর্শন সেই দর্শনকে বাস্তবায়িত করবেন। নেত্রী যে কাজ দিয়েছেন সেগুলো জনগণকে জানাবেন এবং এর মাধ্যমে জনগণের হৃদয় থেকে ভালোবাসা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হতে হবে। যদি তাঁরা নেত্রীর কথা না শোনেন, তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ না করেন তাহলে ফলাফল কী হবে তা রংপুর নির্বাচন দেখিয়ে দিল।

১৯৯১ সালের এক ঘটনা মনে পড়ে গেল। তখন দেখা গেল, নির্বাচনের আগে অনেক নেতা কি মন্ত্রী হবেন কিংবা মন্ত্রী হলে কোন কক্ষে বসবেন সেসব খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। চেয়ারের খোঁজ না নিয়ে তারা যদি জনগণের সঙ্গে মিশতেন তাহলে যত যাই হোক না কেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো সম্ভব হতো না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারাতে হলে একমাত্র আওয়ামী লীগ দ্বারাই সম্ভব। কোনো বিরোধী দলের এ ক্ষমতা নেই। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো বিরোধী শক্তি গড়ে ওঠেনি। মিডিয়া, সুশীল সমাজ কিংবা পশ্চিমা শক্তি যতই বলুক, জনগণের ক্ষমতায়ন ছাড়া বাংলাদেশে কারও ক্ষমতা নাই কাউকে ক্ষমতায় বসানোর। একমাত্র জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কাদের ক্ষমতায় বসাবে কাদের ক্ষমতায় বসাবে না এবং এখন পর্যন্ত দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ একতাবদ্ধ। তাদের একতাবদ্ধ করে রাখতে হবে। একতাবদ্ধ করাও লাগবে না। শুধু উনি যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা ঠিকমতো করুন। নেত্রী তো সাড়ে ৩ ঘণ্টা ঘুমান। এত খাটা আপনার দরকার নাই। কিন্তু ন্যূনতম যেটুক কাজ সেটুকু করতে হবে। তা না করলে নিজের বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। নেত্রীর কাছে দায়ী থাকবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা, আপনারা জীবিত অবস্থায় অপদস্থও হতে পারেন। সেটাও আওয়ামী লীগ নেতা-মন্ত্রীদের মনে রাখতে হবে। এটা কিন্তু শুধু নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা রক্ষা করা হচ্ছে না তা না। জনগণের সঙ্গে কথা রক্ষা না করলে সম্মান নিয়ে বাঁচা সম্ভব না।

সুতরাং আমরা জানি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক তাঁর দর্শনে বিজয়ী হবেন। তিনি একের পর এক যে কাজ করেছেন, জনগণ অবশ্যই তাঁকে আবার নির্বাচিত করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনি নিজের সম্মান রক্ষা করতে পারবেন কি পারবেন না এটা নিয়ে চিন্তা করুন এবং সঠিকভাবে নেত্রীর নির্দেশ পালন করুন।

লেখক : সাবেক উপদেষ্টা, চেয়ারম্যান, বিএমআরসি।

ইমেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর