রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডায়রিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ

শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া উদ্বেগজনক

দেশে শীত মৌসুমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে ব্যাপক হারে। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৩ লাখের বেশি। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে শ্বাসতন্ত্রে আক্রান্তের সংখ্যা। উভয় ক্ষেত্রে আক্রান্তের সিংহভাগই শিশু। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে। শাসতন্ত্রের রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৮৬। রাজধানীর মহাখালী আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ জন ভর্তি হচ্ছেন। যার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই শিশু। বেশির ভাগই পাঁচ বছরের কম বয়সী। চিকিৎসকদের মতে, দুই মাসের কম বয়সী শিশুর শ্বাস নেওয়ার হার মিনিটে ৬০ বারের বেশি, দুই মাস থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুর ৫০ বারের বেশি এবং ১২ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর ৪০ বারের বেশি। এর বেশি শ্বাস নিলে তাকে শ্বাসকষ্ট বলা হয়। এর সঙ্গে শিশুর বুকের পাঁজরের নিচের অংশ দেবে গেলে, জ্বর থাকলে, শ্বাস নেওয়ার সময় কোনো শব্দ হলে, বমি হলে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। ঠান্ডা-কাশি হলেই শিশুকে ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাওয়ানো যাবে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গত দুই মাসে শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৩১১ জন। এ রোগ মৃত্যুর শঙ্কা বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গড়ে ২০ শিশু ভর্তি হচ্ছে। এ ছাড়া অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস আক্রান্ত বাড়ছে। শীত মৌসুমে শাসতন্ত্র রোগের প্রকোপ বাড়ে। ডায়রিয়ার প্রকোপও এ সময় শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে শিশুরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকদের অভিমত, ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। যাতে শরীরে পানিশূন্যতা শুরু না হয়। শীতে শাসতন্ত্র রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এ রোগে মৃত্যুসংখ্যাও কম নয়। হাসপাতালগুলোয় এ মৌসুমে ৮৬ জন শাসতন্ত্রের রোগে মারা যাওয়ার তথ্য থাকলেও সব মিলিয়ে এ সংখ্যা অন্তত দ্বিগুণ। শীতকালীন রোগ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। বয়স্কদের প্রতি রাখতে হবে বাড়তি নজর।

সর্বশেষ খবর