রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্যান্সার ও কিডনি রোগ

চিকিৎসার সুযোগ বাড়াতে হবে

বলা হয়, যার হয় ক্যান্সার তার থাকে না অ্যানসার। সোজা কথায়, এ ঘাতক রোগের নিরাময় অসাধ্য না হলেও সেই সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। ক্যান্সারের মতো কিডনি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে বিপদ অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। দেশে কিডনি ও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছে। প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ঘাতকব্যাধি ক্যান্সারে। কিডনি ও ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় খরচ বহন করতে হিমশিম খায় রোগীর স্বজনরা। খরচ মেটাতে অসহায় হয়ে পড়ছে নিম্নবিত্ত-হতদরিদ্র শুধু নয়, মধ্যবিত্তরাও। কিডনি প্রতিস্থাপনকে বিকল কিডনি রোগীদের পরিত্রাণের পথ হিসেবে মনে করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেখানেও রয়েছে কিডনি প্রাপ্তির অপ্রতুলতা। দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সঠিক পরিসংখ্যান না থাকায় কাজে আসছে না কোনো উদ্যোগ। চিকিৎসা কেন্দ্র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকটে ক্যান্সার চিকিৎসা। সংকট কাটাতে দেশের আট বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। সাধারণত ফুসফুস, স্তন, জরায়ুমুখ, মুখগহ্বরের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বেশি। এ ছাড়া খাদ্যনালি, পাকস্থলী, লিভার, বাকযন্ত্র, পায়ুপথ, ডিম্বাশয়, বৃহদান্ত, সারভাইরাকাল, লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘দেশের সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ধরনভেদে অপারেশন, রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি দিয়ে খরচ ২-৩ লাখ টাকা পড়ে যায়। এর সঙ্গে যাতায়াত, ওষুধপত্রসহ আনুষঙ্গিক আরও খরচ হয়। বেসরকারি মাঝারি মানের হাসপাতালে এ খরচ প্রায় ৪-৫ গুণ। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আওতায় আসতে পারে মাত্র ৫ শতাংশ ক্যান্সার রোগী। কিডনি রোগে আক্রান্তদের অবস্থাও প্রায় অভিন্ন। এ দুই ঘাতক রোগে আক্রান্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার নজির অসংখ্য। ক্যান্সার ও কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি এ ব্যাপারে চ্যারিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় দেশের ধনী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর