শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রসুল (সা.)-এর অন্যতম মাজেজা শবেমেরাজ

মুহম্মাদ জিয়াউদ্দিন

রজব ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মাস। এ মাসের ২৭ তারিখের রাতে মেরাজে আল্লাহর দিদার লাভ করেন রসুলুল্লাহ (সা.)। পুণ্য এ রাতে মুহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন। নবুয়তের কয়েক বছর পর রজবে এক শুভরাতে কাবার হাতিম থেকে বোরাকযোগে ঊর্ধ্বাকাশে গমন এবং আল্লাহর দিদার ও সান্নিধ্য লাভ করেন। এ পুণ্যরাতে মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। রসুল (সা.)-এর অসংখ্য মাজেজার মধ্যে মেরাজ অন্যতম। মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। রসুল (সা.)-এর মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে ঊর্ধ্বাকাশে গমন, সপ্ত আকাশ ভ্রমণ, নবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বেহেশত -দোজখ দর্শন ও সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত গমন, সিদরাতুল মুনতাহা থেকে রফরফের মাধ্যমে আরশে আজিমে গমন, সেখান থেকে লা-মাকান ভ্রমণ এবং আল্লাহর দিদার ও সান্নিধ্য লাভ এবং সেখান থেকে পুনরায় মক্কায় আগমন- এ বিস্ময়কর সফর বা ভ্রমণকেই এক কথায় মেরাজ বলা হয়। রসুল (সা.)-এর মেরাজ ছিল বাস্তব তথা শারীরিক ও আধ্যাত্মিক ঘটনা। মেরাজের কথা আল কোরআনের সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাকে কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয় তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।’ সুরা নজমের ১ থেকে ১৭ নম্বর আয়াতে মেরাজের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। রসুল (সা.)-এর হাদিসেও মেরাজ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। রসুল (সা.) মক্কার কাবাঘর থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস, সেখান থেকে সপ্ত আকাশ পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা, তার ওপরে ৩৬ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে আরশে গমন করেন এবং সেখান থেকে ৭০ হাজার নুরের পর্দা অতিক্রম করে একেবারে দিদারে এলাহিতে পৌঁছেন। সেখানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে পুনরায় মক্কায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এটি সম্ভব হয়েছিল আল্লাহর কুদরতে। অতীতেও আল্লাহ অনেক অসম্ভব সম্ভব করেছেন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর