বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওষুধ ও কসমেটিকস আইন

প্রয়োগকারীদের সততাও নিশ্চিত হোক

নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি ও মজুদের মতো অপরাধে যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রেখে আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ অনুযায়ী চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এ আইন ভঙ্গ করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী অসৎ উদ্দেশ্যে ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলেও যাবজ্জীবন পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া যাবে। লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সে উল্লেখ করা শর্ত না মেনে ওষুধ উৎপাদন করলে; নিবন্ধন ছাড়া ওষুধ উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিক্রি, বিতরণ, প্রদর্শন করলে; সরকারি ওষুধ বিক্রি বা বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ বা প্রদর্শন করলে; লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্ত না মেনে ওষুধ আমদানি করলে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত করা যাবে। কোনো ওষুধ ক্ষতিকারক হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাজার থেকে বাতিল করার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে। খসড়া আইনে মোট ৩০টি অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য আলাদা শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদনে লাইসেন্স নিতে হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর লাইসেন্সিং অথরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে। দেশে প্রচলিত দুটি আইনের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় সংযোজন করে নতুন আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে নকল ও ভেজাল ওষুধের দৌরাত্ম্য যেমন কমবে, তেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধ হবে। বাংলাদেশ মানসম্মত ওষুধ তৈরির জন্য বহির্বিশ্বে সুনাম কিনেছে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোয়ও বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। এটি যেমন মুদ্রার এক পিঠ, তেমনি অন্য পিঠ হলো এ দেশে নকল-ভেজাল ওষুধের উৎপাদনও হয় অবাধে। কসমেটিকসের নামে চলে প্রতারণা। নতুন আইন এ নৈরাজ্য বন্ধে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারীদের সততা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর