শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন রেলপথে গতি

যাত্রীসেবাও নিশ্চিত হোক

দেশের রেল যোগাযোগে গতি এসেছে সবচেয়ে ব্যস্ত তিনটি পথে। সময়ের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সময়ে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর রেলস্টেশন, নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬.৫০ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। ফলে এই তিন পথে রেলে বাড়বে সেবার মান, বাঁচবে সময়। গাজীপুর থেকে ট্রেনে যাওয়ার এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। দুপুর ১টায় বাঁশি বাজিয়ে সবুজ পতাকা নেড়ে একই সঙ্গে তিনটি ট্রেনের যাত্রা শুরুর সংকেত দেন তিনি। এরপর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকার নবনির্মিত এ ডাবল লাইন ধরে একটি বিশেষ ট্রেনে চড়ে জয়দেবপুর-টঙ্গী রেলপথের ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইন দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রথম যাত্রী রেলমন্ত্রী। এ সময় রেল সচিবসহ পদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। কিন্তু এই দুই সেকশনের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে একটি ডুয়েলগেজ লাইন চালু রয়েছে। এ কারণে টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে চাহিদা থাকার পরও বেশিসংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। ঢাকা থেকে আরও ট্রেন চলাচল বাড়ানো এবং সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলপথে যাওয়া-আসায় সময় বাঁচবে। তবে একই সঙ্গে যাত্রীসেবা নিশ্চিত যাতে হয় সেদিকেও কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর