শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সাজ্জাদুল হাসান

নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত হয়েছে। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ এর প্রতিপাদ্য হলো- ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা পরিলক্ষিত হয়। ১৯৭২ সালেই সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু নারী উন্নয়নে ১০ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে যেসব নারী পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের বঙ্গবন্ধু বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিত করেছেন। জাতির পিতার নির্দেশনায় ১৯৭২ সালে সরকার বীরাঙ্গনাদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করে। নারী পুনবার্সন বোর্ড গঠন করে তাদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি মহিলা সংস্থার এক ভাষণে বীরাঙ্গনাদের বাবার নাম ও ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে বলেন, ‘আজ থেকে ধর্ষিতা মেয়ের বাবার নামের জায়গায় লিখে দাও- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ঠিকানা লেখ ধানমন্ডি ৩২।’ জাতির পিতার সহধর্মিণী স্বাধীন বাংলার ইতিহাস রচনায় চিরস্মরণীয় মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব অপরিমেয় দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও সাহস নিয়ে নিরলসভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রেরণা দিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও সম্মানের পারিবারিক শিক্ষার যে বীজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বপন করেছেন তা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মে প্রতিনিয়ত প্রতীয়মান হয়।

সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শিক্ষা, কর্ম, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতি বা এসব ক্ষেত্রে নারীদের শক্ত অবস্থান তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য অবদান আমরা দেখতে পাই। এতসব অর্জন সীমিত পরিসরে হয়তো তুলে ধরা সম্ভব নয়, তথাপি স্বল্প পরিসরে কিছু তুলে ধরার প্রয়াস।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে একজন নারীকে নির্বাচিত করেন। শেখ হাসিনাই প্রথম তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নারীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। সংসদ উপনেতাও হন একজন নারী। সুশীল সমাজের কেউ কেউ বলতে চান দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতা নারী হলেই কি নারীর ক্ষমতায়ন হয়ে যাবে! তা বলা যাবে না, তবে এ কথাও সত্য, এতসব গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীর পদায়নের ফলে নারীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, যার ফলশ্রুতিতে নারীর ক্ষমতায়ন দীর্ঘস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী হবে। উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃষ্টি ও ইউনিয়ন পরিষদে তিনজন নারী সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়ার বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের নারীরা এখন শুধু বিচারক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার নন, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষতার সঙ্গে। শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কূটনৈতিক দক্ষতা, খেলাধুলা, পর্বতারোহণ, নাসায় কর্মরতসহ সব চ্যালেঞ্জিং পেশায় সাফল্যের চিহ্ন রাখছে। বাংলাদেশে এখন অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সচিব বা সমমর্যাদার পদে নারী কর্মকর্তা কর্মরত আছেন, যা ইতোপূর্বে ছিল না। শেখ হাসিনা সরকারই উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য, প্রথম নারী সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদে পদায়িত করেছে।

আমার যতদূর মনে পড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অফিসের ফাইল উপস্থাপনের এক পর্যায়ে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম- এ মুহূর্তে ৬৯টি উপজেলায় নির্বাহী অফিসার হিসেবে মহিলারা কাজ করছেন, তখন তিনি ফাইল দেখতে দেখতে বলেছিলেন, ‘কয়জন পুরুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কাজ করছে তা তো বললে না?’

নারী দিবসের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আলোচনা সভার প্রাসঙ্গিকতায় তিনি বেশ কয়েকবার বলেছেন, ‘আমি যখন মহিলা পুলিশ সুপার বানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম তখন আমার অনেক পুরুষ সহকর্মী বলতে শুরু করল মহিলা এসপি বানাবেন, পারবে তো! অথচ আমি যাকে পুলিশ সুপার নিয়োগ দিলাম সে এক হাতে অস্ত্র রেখে আরেক হাত দিয়ে ডাকাত ধরে ফেলল। সত্যিই তো, সারা দেশে মহিলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কঠিন দায়িত্ব পালন করছেন, যা আমরা এক সময় কল্পনাও করতে পারিনি। এখন ঢাকা শহরে তীব্র যানজটে কোনো কোনো জায়গায় মহিলা ট্রাফিক পুলিশরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করার কঠিন দায়িত্ব পালন করছেন।

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থাও করেন শেখ হাসিনা। যে কারণে দেশে নারী শিক্ষার হার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সারা দেশে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ছাত্রীদের ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। এইচএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার যেখানে ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, সেখানে ছাত্রদের মধ্যে পাস করেছে ৮৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই সমভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত নারীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। তিনি প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ নারী শিক্ষক বাধ্যতামূলক করেছেন। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর আইন করেছে শেখ হাসিনা সরকার। সন্তান জন্মের পর আগে অভিভাবকের জায়গায় শুধু পিতার নাম লেখা হতো, এখন মায়ের নামও লেখা হয়। জননেত্রীর এ বিশেষ উদ্যোগের ফলে সমাজে মায়ের অধিকার এবং আত্মসম্মান কাগজ-কলমেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে। বিশ্বব্যাংক, অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই) এবং ই-প্ল্যাটফরমের সমীক্ষা মতে, অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে দ্বিতীয় (বিশ্বের মোট বাজারের ১৬ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে রয়েছে)। প্রথম অবস্থানে আছে ভারত (২৪ শতাংশ)। বাংলাদেশের পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও যুক্তরাজ্য। এসব কাজে পুরুষদের আয় যেখানে ঘণ্টায় ২১.৫৭ পাউন্ড, সেখানে নারীদের আয় ২২.৪৩ পাউন্ড। সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে ১১ শতাংশই নারী (অর্থাৎ ৭১ হাজার ৫০০ জন)। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) তথ্যমতে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড প্রায় ৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়- করোনাকালীন নারী শ্রমিকরা পাঠিয়েছেন মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬৯ শতাংশ, আর পুরুষ কর্মীরা পাঠিয়েছেন মাত্র ৩০ শতাংশ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদনের ১৬তম সংস্করণের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১। লিঙ্গ সমতায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ থেকে এগিয়ে আছে। রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ গতবারের ১৪৭তম অবস্থান থেকে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৪১তম অবস্থানে উঠে এসেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩তম। স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে, ২০২১ সালের ১৩৪ থেকে উঠে এসে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম স্থানে।

জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৯ জন নারী রাষ্ট্রদূত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থায়ও আমরা বাংলাদেশের নারীদের অভাবনীয় সাফল্য দেখতে পাই। ইতালিতে অবস্থিত The World Academy of Sciences (TWAS) ২০২০ সালে সারা বিশ্বে যে কয়জন TWAS ফেলো মনোনীত করেছে, তার মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী আছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ২০২২ সালের জন্য ইউএন উইমেন নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গুগল বেজডের পণ্য ব্যবস্থাপক, বিওয়াইএলসির (বাংলাদেশ উইথ লিডারশিপ সেন্টার) সহপ্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার শাম্মী একজন বাংলাদেশি নারী। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও আফসানা বেগম- বাংলাদেশের চার নারী এখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য। যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী হিসেবে কুইন্স কাউন্সেল (কিউসি) নিযুক্ত হয়েছেন ব্যারিস্টার সুলতানা তাপাদার। নারী ও শিশু অধিকার রক্ষায় আইনি লড়াই করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রো-বোনো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী ক্ষমতায়নের ফলে বিদেশের মাটিতে দক্ষিণ এশিয়ার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা। এটা কি ভাবা যায় কত বড় সাফল্য!

আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। নারীদের ক্ষমতায়নের সুবাদে তিনি ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন কর্তৃক ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’, বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরিতে অসামান্য নেতৃত্বদানের জন্য ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য ‘উইমেন ইন পার্লামেন্ট (ডব্লিউআইপি)’ ও ইউনেস্কো ‘ডব্লিউআইপি গ্লোবাল ফোরাম অ্যাওয়ার্ড’, নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য ‘ট্রি অব পিস’ নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ইউএন উইমেন ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ পুরস্কার ও ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারে ভূষিত হন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও প্রজ্ঞার ফসল নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির জন্যই অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে অভাবনীয় আর্থিক সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তাই বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীর সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। মহান স্বাধীনতা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে নারীর অবদান। কাজেই নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন সম্ভব। কারণ, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জেন্ডার সমতাভিত্তিক এক উন্নত-সমৃদ্ধ বিশ্বে প্রবেশের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমে নারীর পূর্ণ ও সম-অংশগ্রহণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে এ প্রত্যাশা রইল।

                লেখক : সাবেক সিনিয়র সচিব    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

সর্বশেষ খবর