রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাজ ছাড়াই বেতন-ভাতা

এটি শুধু সরকারি দফতরেই সম্ভব

বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ বছর ধরে কোনো কাজ নেই। তবে তারা বেতন-ভাতা সবই পাচ্ছেন। কারণ এটি সরকারি দফতর। যেখানে সবই সম্ভব। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যেহেতু তারা বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন, সেহেতু সরকারি অর্থের অপচয়ের বিষয়টি দেখার কেউ নেই। স্মর্তব্য, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলককরণ) আইন, ১৯৯০ প্রণীত হয়। এরপর একই বছরের আগস্টে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কোষ সৃষ্টি করা হয়। পরে নভেম্বরে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটে রূপান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালে সারা দেশে শিশু শিক্ষা ও সাক্ষরতা জরিপ পরিচালনা, শিশুদের তালিকা প্রণয়ন, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা, সরকারি/রেজিস্টার্ড/বেসরকারি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ নানা কর্মকান্ড পরিচালিত হতো প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মাধ্যমে। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম এখন পরিচালিত হয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে। ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন দিবস পালন আর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত বিভিন্ন কাজ করা ছাড়া এ ইউনিটের কোনো কাজ না থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসে বসে বেতন নেন। বসে বসে বেতন-ভাতা পেলেও তাদের সিংহভাগই এই ‘অতি সুখে’ অসন্তুষ্ট। কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরকে বলা হয় টাকার খনি। সে খনিতে কাজ করলেও তাদের শুধু বেতন-ভাতা নিয়েই থাকতে হচ্ছে। ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাইলেও সেখানেও ব্যাটেবলে মিলছে না। সরকার ইউনিটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্সবাজারে লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টারে স্থানান্তর করতে চাইলেও বোধগম্য কারণেই তাতে তাদের আপত্তি। এ বিষয়ে করণীয় কী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলে ভালো করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর