সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

চীনের দৃঢ় ভূমিকা চায় বাংলাদেশ

চীন রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পক্ষে। বাংলাদেশ সফররত চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের কাছে। বলেছেন, দ্রুত প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং পুরো অঞ্চলের জন্য কল্যাণকর হবে। দুই পক্ষের বৈঠকে চীনা ভাইস মিনিস্টারের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে ‘গো অ্যান্ড সি’ বা যাওয়া ও দেখা সফর এবং বাংলাদেশে ‘কাম অ্যান্ড টক’ অর্থাৎ ফিরে আসা ও কথা বলা সফরের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বন্ধুরাষ্ট্র, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন। চীন যেহেতু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, সেহেতু রোহিঙ্গা ইস্যু চীনের জন্য নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হওয়ার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এরই মধ্যে সৌদি আরব ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সমঝোতা করাতে পেরেছে চীন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারলে সেটি চীনের জন্য ভালো একটি অর্জন হবে। এ কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের বিশেষ আগ্রহ আছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে যখন টানাপোড়েন চলছে তখন চীনা ভাইস মিনিস্টারের বাংলাদেশ সফর যাতে সর্বাত্মক সফল হয় কৌশলগতভাবে তেমনটিই চাইছে চীন। আর এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ঢাকা-বেইজিং দুই পক্ষের জন্য প্রত্যাশিত হয়ে উঠেছে। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপকভিত্তিক বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের বড় সমর্থন সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ইস্যু পারস্পরিক আস্থার ক্ষেত্রে প্রশ্ন সৃষ্টি করছে। মিয়ানমারের ওপর চীনের সুবিদিত প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ চায় বেইজিং এক্ষেত্রে মিয়ানমারের সুবুদ্ধির উদয়ে যেন সহায়তা করে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দৃঢ়করণেও এ বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর