শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

রবিবার ২৮ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হলো। ২৪ মে ছিলাম টাঙ্গাইলে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক জানিয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। আমাদের সেখানে দাওয়াত করা হয়েছে।’ ঘণ্টাখানেক পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক জয়েন সেক্রেটারির ফোন পাই, ‘স্যার, ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে আপনি আসছেন তো?’ বলেছিলাম, একটু পরে আপনাকে জানাব। আমি জানাবার আগেই আবার ফোন পেয়েছিলাম। তাই ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা চলে এসেছিলাম। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক গিয়েছিল জয়দেবপুর ২ জুন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে। তাকে বলেছিলাম, সকালেই আসতে হবে। ইচ্ছা করলে থেকে যেতে পার। সে বলেছিল, না, টাঙ্গাইল থেকে ঠিক সময়ে চলে আসব। সে ঠিক সময় এসেছিল। বেশ অনেক দিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। মনে হয় কয়েক বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কোনো ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল না। আসন সংরক্ষণ ছিল না। কেউ ভালো করে বসতেও বলেনি। সামনের সারিতে অসংখ্য সিট খালি। কোনোটায় লেখা মন্ত্রীর মর্যাদার, কোনোটায় লেখা ছিল ডিপ্লোম্যাট। একেবারে পুবের সারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানেই সামনের এক সারি ছেড়ে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলাম। সামনে ডান দিকে ছিল আমার দলের এক বীরপ্রতীক। বাঁয়ে চার-পাঁচ জন সামনের সারিতে বসেছিল। পরের সারিতে আমি বসেছিলাম। পেছন থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এসে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সামনের দিকের কেউ আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। কেন যেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ দেরি হয়েছিল। তারপর মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ওসমানী মিলনায়তনে গিয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের বীরনিবাস দান অনুষ্ঠানে। ভবন ছিল ৭৩২ বর্গফুটের। এ ক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হলো, ২ কাঠা জমির ওপর ৭৩২ বর্গফুট ভবনের বদলে জেলা অথবা বিভাগীয় শহরে ৪ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ২ কাঠা আঙিনা, উপজেলায় ১০ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ৮ কাঠা মুক্ত আঙিনা, ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে ২০ কাঠা জমির ওপর ১৪৪০ বর্গফুটের বীরনিবাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানেও গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খুবই যত্ন নেওয়া হয়েছিল। সামনের কাতারে আমার এবং আমার সঙ্গীদের জন্য কয়েকটি আসন রাখা হয়েছিল। আমি আর আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক সেখানে বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবন পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বেশ ভালো অনুষ্ঠান ছিল। আর এই সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জুলিও কুরি প্রদান অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুকে যেদিন জুলিও কুরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয় সেদিন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। চারদিকে সবাই যত্ন করেছিল। তখন আমরা ছিলাম সদ্যপ্রস্ফুটিত সুগন্ধি লাল গোলাপের চাইতেও আকর্ষণীয়। না হলেও ১০-১৫ বার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়েছিল। কত নেতা, কত মন্ত্রী কতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেকটা তেমনই হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে আমরা দুজন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। সবাই কেন যেন আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। গেটে গেটে নানা যন্ত্রপাতি। ওসবের চাইতে কাপড় খুলে পরীক্ষা করলেও অনেক সহজ হতো। ৩-৪টি মেটাল ডিটেক্টর পার হয়ে শেষের দিকে এক জায়গায় একজন বললেন, ‘স্যার, টুপিটা একটু খুলতে হবে!’ জীবনে প্রথম টুপি খোলার কথা শুনলাম। প্রথম প্রথম কিছুই বুঝিনি। পরে বুঝলাম নিরাপত্তার দিক থেকে তাদের বিবেচনায় মাথায় কোনো বোমা রাখা হতে পারে। ১৫-২০ বছর সব সময় টুপি পরি। প্রথম দিকে চাচা নেহরু মার্কা টুপি পরতাম। এখন সেটা না পরে অন্য ধরনের টুপি পরি। আমার কাছে বেশ স্বস্তিই লাগে। কয়েকজন অফিসার এসে সযতেœ নিয়ে গেলেন। একেবারে সামনের সোফায় নাম লেখা। আমার ডানে ছিলেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ক্যাবিনেট সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান; বাঁ পাশে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, এনাম আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম। ডান পাশে ড. কামাল আবদুল নাসেরের আসনে বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বাঁ পাশের আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার। তাঁর আসনে বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। একেবারে অনটাইম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন এবং অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এর আগে কোথায় যেন শুধু কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সরকারি অনুষ্ঠান শুরু করা হচ্ছিল। তখন বলেছিলাম, শুধু কোরআন কেন, অন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা উচিত। কিন্তু এখানে দেখলাম কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চমৎকার গলা সবার। অনুষ্ঠানের সূচনায় খুবই সুন্দর বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তারপর মোনায়েম সরকার, সৈয়দা আনোয়ারা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, সর্বশেষ মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার ভাষণ দিলেন। এরপর এক নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এক মনোরম অনুষ্ঠান শেষ হলো। ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যেমন চোখাচোখি হয়েছিল, এখানেও মনে হয় তেমনই হয়েছে। প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনেকবার লক্ষ করেছি, তিনিও যে লক্ষ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। নৃত্যানুষ্ঠানের সময় মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আমাদের সারিতেই বসেছিলেন। সে আর কত হবে, আমার থেকে সাত-আট জনের পরে। নৃত্যানুষ্ঠান শেষ হলে সালাম দিতে গিয়েছিলাম। আমার হাত ধরে ছিলেন মোনায়েম সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চেও বলেছিলেন, ‘সব সরকারের উজান ভাটি আছে। কিন্তু মোনায়েম সরকারের নেই।’ সামনাসামনি আবার ও কথা বলায় অনেকে হো হো করে হেসে উঠেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানটি ভীষণ হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। চলে আসার সময় দেখি চারদিকে প্যাকেটে প্যাকেটে সয়লাব। সবাই বলছিলেন, স্যারের গাড়িতে প্যাকেটগুলো দিয়ে আসুন। আমার আবার খাবারের প্রতি তেমন লোভ নেই। সে যাই হোক, বাইরের খাবার তেমন ভালো লাগে না। তবু জোর করে কয়েক প্যাকেট দিয়ে দিয়েছিলেন। আসতে আসতে ভাবছিলাম, সারা দেশ যদি এমন শান্তিময় স্থিতিশীল হতো, একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সার্বিকভাবে কোনো কিছুই আমরা সবাই মিলে করতে পারি না। একটা সময় মনে হতো যত বিতর্কই থাকুক দেশ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। কিন্তু এখন দেখছি সবকিছুতেই বিতর্ক। আমরা কোনো কিছুতেই সবাই মিলে একমত হতে পারি না, পারছি না। ভবিষ্যতে কোনো দিন আমরা সবাই দেশের প্রশ্নে দেশের কল্যাণের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন হতে পারব কি না জানি না। কিন্তু হতে পারলে ভালো।

ধীরে ধীরে আমরা এত নিচে নেমে গেছি যে কারও মৃত্যু নিয়ে কথা বলতেও ঠোঁটে বাধে না। যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের ময়মুরুব্বিদের কাছে শুনতাম, শত্রুরও মৃত্যু কামনা করতে নেই। কিন্তু এখন দেখছি শুধু শত্রু কেন, প্রতিপক্ষ হলেই তার মৃত্যু কামনা। প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আগ্রহ নেই। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে যে তেমন কোনো মজা নেই। একটা সুন্দর খেলার জন্যও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর দরকার। অথচ আমরা এখন কারও সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করতে চাই না, চাই না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। আমরা শুধু শুধু একে অন্যের ধ্বংস চাই। কোনো ধ্বংসই ভালো কিছু বহন করে না। ধ্বংস ধ্বংসই। আর সৃষ্টি, সে এক অনবদ্য সত্য। সৃষ্টি সৃষ্টিই, তার কোনো বিকল্প নেই। কদিন আগে এক জনসভায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছেন। এমন বিকৃত মানসিকতা, এমন চিন্তার কোনো মানুষ ভালো কিছু করতে পারে না, তার দ্বারা ভালো কিছু হতেই পারে না। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতায় বলেছেন,

‘আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।’

এই হলো বাঙালি। সেই শাশ্বত বাঙালি থেকে কত দূূরে চলে এসেছি, কত নিচে নেমে গেছি। এত হিংসা এত বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি চলে? চলে না। রাজনীতিতে অবশ্যই উদার হতে হয়। কখনোসখনো শত্রুর সঙ্গেও গলাগলি করতে হয়। জানি, মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৯০ বছরের ফল পাব না। আর বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে, যে কারণে যারা বড় ছিলেন তারা কেউ কেউ ছোট হয়েছেন, যারা ছোট ছিলেন জীবন বাজি রেখে তারা অনেকেই অনেক ওপরে উঠে গেছেন। বিপদের সময় মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা অনেকে মেনে নিলেও শান্তির সময় তারা তা মেনে নেননি। বরং পাকিস্তানিদের চাইতেও খারাপ আচরণ করেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রত্যক্ষ যোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা যারা ঘর ছেড়েছিলাম, যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর থেকে সর্বগ্রাসী আঘাত অনেকটা কমে গিয়েছিল; তারাও ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোটেই সম্মান করে না। খন্দকার মোশতাকের আমল থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার আমলেও বহাল রয়েছে। এসবই ভাগ্য, এসবই সত্যকে অস্বীকার করার দুর্বলতা। তা না হলে কেন একজন পোড় খাওয়া নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর ইচ্ছা করবেন। তিনি রাজনীতি করেন সেটাই কি তাঁর অপরাধ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো একসময় এ দুনিয়া থেকে অবশ্যই চলে যাবেন। যার জীবন আছে তার মৃত্যু আছে। রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হবেন? সত্যিই যদি কখনো অন্যদের হাতে ক্ষমতা যায় তাহলে কি আওয়ামী লীগ এ দেশে থাকবে না? বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসেন তারা থাকবেন না? আজ বঙ্গবন্ধু বিরোধীরা অথবা যারা বোন শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করে তারা কি বাংলাদেশে বসবাস করেন না? কেউ যদি মনে করে থাকেন শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলায় তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাহলে তিনি ভুল করবেন। রাজশাহীর ওই ঘটনায় বিএনপির অনেক সমর্থন কমেছে। বরং বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। শত্রুকে আশ্রয় দিতে পারায় বুকের পাটা লাগে, হিম্মতের দরকার। যেভাবেই হোক বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হওয়ার পরও সাজা স্থগিত রেখে ফিরোজায় থাকার ব্যবস্থা সেটার জন্য বুকের পাটা দরকার, উদারতা দরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটা দেখাতে পেরেছেন। সেটা অস্বীকার করলে বিএনপি করতেই পারে। কিন্তু দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর মানুষ সেটা অস্বীকার করবে কেন? মানলাম এখন না হয় আমরা ছোট, অনেকটাই গুরুত্বহীন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আমলে আমরা এমন গুরুত্বহীন ছিলাম না। গুলি লেগে আ স ম আবদুর রব যখন পিজি হাসপাতালে তখন তার সুচিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু ছটফট করছিলেন। এতে কেউ কেউ উশখুশ করলে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দুই দিন আগে তোরা একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছিস, দেশ স্বাধীন করেছিস। রবকে কি তোরা মেরে ফেলবি? ঠিক আছে আমি মরে যাই তারপর তোদের যা ইচ্ছা তাই করিস।’ আমি বিড়ি-সিগারেট খাই না, অন্যের হাতে তামাক খাব কী করে? আ স ম আবদুর রব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের উৎকণ্ঠা কারও কাছে শোনা নয়, নিজের কানে শোনা, নিজের চোখে দেখা।

আমেরিকান ভিসা নিয়ে কত কথা। আওয়ামী লীগের না বিএনপির লাভ? সরকারের পক্ষে না বিপক্ষে? এসব শুনে ভালো লাগে না। যার পক্ষে আর বিপক্ষেই যাক, দেশের জন্য যে এ এক মস্তবড় লজ্জা আমরা কেউ মনে হয় একটুও ভেবে দেখছি না। সপ্তাহজুড়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ২৫ মে গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনের আগে খুব একটা বেশি মানুষ ভাবতেও পারেনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হবেন। সেটাই হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি সত্য। কিন্তু যাদের নিয়ে নির্বাচন সেই ভোটাররা অবশ্যই অংশগ্রহণ করেছে। ইভিএমের কারণে ভোটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেটা না হয়ে বরং দেরি হয়েছে। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়ায় আবার সেই ৫০ শতাংশের অর্ধেকের কম বিজয়ী প্রার্থী পাওয়ায় প্রশ্নটা কেমন যেন হয়ে যায়। তুরস্কে এই কদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। প্রধান প্রার্থী এরদোয়ান ৫০ শতাংশের সামান্য কম ভোট পাওয়ায় আবার পুরো নির্বাচনটাই করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নয়। ১৫-২০ বা ১০-১৫ যা-ই ভোট পড়ুক, যে ১ ভোট বেশি পায় সেই নির্বাচিত হয়। গাজীপুরের মানুষের ইচ্ছা ভেবে দেখার অনেক দিক আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। স্বনামে করেনি, কিন্তু বেনামে করেছে। হ্যাঁ, মেয়র পদে করেনি। কিন্তু কাউন্সিলর পদে অনেকেই করেছে এবং নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন আরও অনেকেই নির্বাচন করেছে। জাতীয় পার্টি থেকে ভালো ফল করেছে ইসলামী আন্দোলন। জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের দাঁড়াতে পারার কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি বিজয়ের হাসি হেসেছেন- এটাই হলো নির্বাচন। অনেক সময় বলা হয় মানুষ ভাবে এক আল্লাহ করেন ভিন্ন। প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন অনেকটা তেমনই। অনেকেই বলছেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের পরাজয় হলেও আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে। বলতে পারেন। কিন্তু তেমনটা না ভাবাই ভালো। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, ভোটারদের জয় হয়েছে এটা নির্বিঘ্নে বলা যায়। তবে ভবিষ্যতে এত জটিলতা বাড়বে যেটা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। প্রার্থী হিসেবে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতা আজমত উল্লা খান প্রায় ষোলো আনা পরীক্ষিত। তিনি কেন হেরেছেন এটা অবশ্যই দেখা দরকার। কোনো দিন যিনি রাজনীতি করেননি, ঘরের বাইরে বের হননি, ছেলের সমর্থনে মা জিতে গেলেন- এ এক বিস্ময়কর ইতিহাস। এ জগৎসংসারে মায়ের চাইতে বড় কেউ নেই। সেই মা এখানে জয়ী হয়েছেন। এতে বুঝতে হবে জগৎসংসার জয়ী হয়েছে, মাতৃকুল জয়ী হয়েছে। কিন্তু এ জয়ের মহিমা কতদিন টিকে থাকে সেটাই বিচার্য বিষয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একজন মা জায়েদা খাতুনের বিজয় মানবতার বিজয়, মনুষ্যত্বের বিজয়, ভালোবাসার বিজয় হিসেবে প্রতিফলিত হোক এই আশা বুকে নিয়ে বিজয়ীকে শত কোটি সালাম ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
মেট্রো রেলের লাইন থেকে দুই অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
মেট্রো রেলের লাইন থেকে দুই অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার

এই মাত্র | নগর জীবন

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

২ মিনিট আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৮ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

১৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

২৯ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৩৪ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৪৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৫৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন
সালমান শাহ্ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!
চলন্ত ট্রেনে কেটলিতে নুডলস রান্নাকে করে বিপাকে ভারতীয় নারী!

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী
ভূমিকম্পের পর মাগুরায় আতঙ্কে অসুস্থ শতাধিক গার্মেন্টস কর্মী

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি
ঢাকায় আসছে ‍ফুটবল বিশ্বকাপের ট্রফি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু
শেরপুরে ওয়ানগালা উৎসব শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা
টাঙ্গাইলে ভূমিকম্পে আতঙ্কে স্থানীয়রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু
নাটোর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালুর পথে জাপান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে বাউল শিল্পীর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন
জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন‍্যুতে ভয়াবহ আগুন

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা