শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

রবিবার ২৮ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হলো। ২৪ মে ছিলাম টাঙ্গাইলে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক জানিয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। আমাদের সেখানে দাওয়াত করা হয়েছে।’ ঘণ্টাখানেক পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক জয়েন সেক্রেটারির ফোন পাই, ‘স্যার, ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে আপনি আসছেন তো?’ বলেছিলাম, একটু পরে আপনাকে জানাব। আমি জানাবার আগেই আবার ফোন পেয়েছিলাম। তাই ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা চলে এসেছিলাম। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক গিয়েছিল জয়দেবপুর ২ জুন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে। তাকে বলেছিলাম, সকালেই আসতে হবে। ইচ্ছা করলে থেকে যেতে পার। সে বলেছিল, না, টাঙ্গাইল থেকে ঠিক সময়ে চলে আসব। সে ঠিক সময় এসেছিল। বেশ অনেক দিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। মনে হয় কয়েক বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কোনো ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল না। আসন সংরক্ষণ ছিল না। কেউ ভালো করে বসতেও বলেনি। সামনের সারিতে অসংখ্য সিট খালি। কোনোটায় লেখা মন্ত্রীর মর্যাদার, কোনোটায় লেখা ছিল ডিপ্লোম্যাট। একেবারে পুবের সারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানেই সামনের এক সারি ছেড়ে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলাম। সামনে ডান দিকে ছিল আমার দলের এক বীরপ্রতীক। বাঁয়ে চার-পাঁচ জন সামনের সারিতে বসেছিল। পরের সারিতে আমি বসেছিলাম। পেছন থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এসে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সামনের দিকের কেউ আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। কেন যেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ দেরি হয়েছিল। তারপর মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ওসমানী মিলনায়তনে গিয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের বীরনিবাস দান অনুষ্ঠানে। ভবন ছিল ৭৩২ বর্গফুটের। এ ক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হলো, ২ কাঠা জমির ওপর ৭৩২ বর্গফুট ভবনের বদলে জেলা অথবা বিভাগীয় শহরে ৪ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ২ কাঠা আঙিনা, উপজেলায় ১০ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ৮ কাঠা মুক্ত আঙিনা, ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে ২০ কাঠা জমির ওপর ১৪৪০ বর্গফুটের বীরনিবাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানেও গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খুবই যত্ন নেওয়া হয়েছিল। সামনের কাতারে আমার এবং আমার সঙ্গীদের জন্য কয়েকটি আসন রাখা হয়েছিল। আমি আর আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক সেখানে বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবন পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বেশ ভালো অনুষ্ঠান ছিল। আর এই সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জুলিও কুরি প্রদান অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুকে যেদিন জুলিও কুরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয় সেদিন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। চারদিকে সবাই যত্ন করেছিল। তখন আমরা ছিলাম সদ্যপ্রস্ফুটিত সুগন্ধি লাল গোলাপের চাইতেও আকর্ষণীয়। না হলেও ১০-১৫ বার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়েছিল। কত নেতা, কত মন্ত্রী কতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেকটা তেমনই হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে আমরা দুজন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। সবাই কেন যেন আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। গেটে গেটে নানা যন্ত্রপাতি। ওসবের চাইতে কাপড় খুলে পরীক্ষা করলেও অনেক সহজ হতো। ৩-৪টি মেটাল ডিটেক্টর পার হয়ে শেষের দিকে এক জায়গায় একজন বললেন, ‘স্যার, টুপিটা একটু খুলতে হবে!’ জীবনে প্রথম টুপি খোলার কথা শুনলাম। প্রথম প্রথম কিছুই বুঝিনি। পরে বুঝলাম নিরাপত্তার দিক থেকে তাদের বিবেচনায় মাথায় কোনো বোমা রাখা হতে পারে। ১৫-২০ বছর সব সময় টুপি পরি। প্রথম দিকে চাচা নেহরু মার্কা টুপি পরতাম। এখন সেটা না পরে অন্য ধরনের টুপি পরি। আমার কাছে বেশ স্বস্তিই লাগে। কয়েকজন অফিসার এসে সযতেœ নিয়ে গেলেন। একেবারে সামনের সোফায় নাম লেখা। আমার ডানে ছিলেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ক্যাবিনেট সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান; বাঁ পাশে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, এনাম আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম। ডান পাশে ড. কামাল আবদুল নাসেরের আসনে বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বাঁ পাশের আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার। তাঁর আসনে বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। একেবারে অনটাইম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন এবং অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এর আগে কোথায় যেন শুধু কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সরকারি অনুষ্ঠান শুরু করা হচ্ছিল। তখন বলেছিলাম, শুধু কোরআন কেন, অন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা উচিত। কিন্তু এখানে দেখলাম কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চমৎকার গলা সবার। অনুষ্ঠানের সূচনায় খুবই সুন্দর বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তারপর মোনায়েম সরকার, সৈয়দা আনোয়ারা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, সর্বশেষ মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার ভাষণ দিলেন। এরপর এক নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এক মনোরম অনুষ্ঠান শেষ হলো। ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যেমন চোখাচোখি হয়েছিল, এখানেও মনে হয় তেমনই হয়েছে। প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনেকবার লক্ষ করেছি, তিনিও যে লক্ষ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। নৃত্যানুষ্ঠানের সময় মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আমাদের সারিতেই বসেছিলেন। সে আর কত হবে, আমার থেকে সাত-আট জনের পরে। নৃত্যানুষ্ঠান শেষ হলে সালাম দিতে গিয়েছিলাম। আমার হাত ধরে ছিলেন মোনায়েম সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চেও বলেছিলেন, ‘সব সরকারের উজান ভাটি আছে। কিন্তু মোনায়েম সরকারের নেই।’ সামনাসামনি আবার ও কথা বলায় অনেকে হো হো করে হেসে উঠেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানটি ভীষণ হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। চলে আসার সময় দেখি চারদিকে প্যাকেটে প্যাকেটে সয়লাব। সবাই বলছিলেন, স্যারের গাড়িতে প্যাকেটগুলো দিয়ে আসুন। আমার আবার খাবারের প্রতি তেমন লোভ নেই। সে যাই হোক, বাইরের খাবার তেমন ভালো লাগে না। তবু জোর করে কয়েক প্যাকেট দিয়ে দিয়েছিলেন। আসতে আসতে ভাবছিলাম, সারা দেশ যদি এমন শান্তিময় স্থিতিশীল হতো, একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সার্বিকভাবে কোনো কিছুই আমরা সবাই মিলে করতে পারি না। একটা সময় মনে হতো যত বিতর্কই থাকুক দেশ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। কিন্তু এখন দেখছি সবকিছুতেই বিতর্ক। আমরা কোনো কিছুতেই সবাই মিলে একমত হতে পারি না, পারছি না। ভবিষ্যতে কোনো দিন আমরা সবাই দেশের প্রশ্নে দেশের কল্যাণের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন হতে পারব কি না জানি না। কিন্তু হতে পারলে ভালো।

ধীরে ধীরে আমরা এত নিচে নেমে গেছি যে কারও মৃত্যু নিয়ে কথা বলতেও ঠোঁটে বাধে না। যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের ময়মুরুব্বিদের কাছে শুনতাম, শত্রুরও মৃত্যু কামনা করতে নেই। কিন্তু এখন দেখছি শুধু শত্রু কেন, প্রতিপক্ষ হলেই তার মৃত্যু কামনা। প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আগ্রহ নেই। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে যে তেমন কোনো মজা নেই। একটা সুন্দর খেলার জন্যও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর দরকার। অথচ আমরা এখন কারও সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করতে চাই না, চাই না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। আমরা শুধু শুধু একে অন্যের ধ্বংস চাই। কোনো ধ্বংসই ভালো কিছু বহন করে না। ধ্বংস ধ্বংসই। আর সৃষ্টি, সে এক অনবদ্য সত্য। সৃষ্টি সৃষ্টিই, তার কোনো বিকল্প নেই। কদিন আগে এক জনসভায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছেন। এমন বিকৃত মানসিকতা, এমন চিন্তার কোনো মানুষ ভালো কিছু করতে পারে না, তার দ্বারা ভালো কিছু হতেই পারে না। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতায় বলেছেন,

‘আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।’

এই হলো বাঙালি। সেই শাশ্বত বাঙালি থেকে কত দূূরে চলে এসেছি, কত নিচে নেমে গেছি। এত হিংসা এত বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি চলে? চলে না। রাজনীতিতে অবশ্যই উদার হতে হয়। কখনোসখনো শত্রুর সঙ্গেও গলাগলি করতে হয়। জানি, মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৯০ বছরের ফল পাব না। আর বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে, যে কারণে যারা বড় ছিলেন তারা কেউ কেউ ছোট হয়েছেন, যারা ছোট ছিলেন জীবন বাজি রেখে তারা অনেকেই অনেক ওপরে উঠে গেছেন। বিপদের সময় মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা অনেকে মেনে নিলেও শান্তির সময় তারা তা মেনে নেননি। বরং পাকিস্তানিদের চাইতেও খারাপ আচরণ করেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রত্যক্ষ যোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা যারা ঘর ছেড়েছিলাম, যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর থেকে সর্বগ্রাসী আঘাত অনেকটা কমে গিয়েছিল; তারাও ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোটেই সম্মান করে না। খন্দকার মোশতাকের আমল থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার আমলেও বহাল রয়েছে। এসবই ভাগ্য, এসবই সত্যকে অস্বীকার করার দুর্বলতা। তা না হলে কেন একজন পোড় খাওয়া নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর ইচ্ছা করবেন। তিনি রাজনীতি করেন সেটাই কি তাঁর অপরাধ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো একসময় এ দুনিয়া থেকে অবশ্যই চলে যাবেন। যার জীবন আছে তার মৃত্যু আছে। রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হবেন? সত্যিই যদি কখনো অন্যদের হাতে ক্ষমতা যায় তাহলে কি আওয়ামী লীগ এ দেশে থাকবে না? বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসেন তারা থাকবেন না? আজ বঙ্গবন্ধু বিরোধীরা অথবা যারা বোন শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করে তারা কি বাংলাদেশে বসবাস করেন না? কেউ যদি মনে করে থাকেন শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলায় তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাহলে তিনি ভুল করবেন। রাজশাহীর ওই ঘটনায় বিএনপির অনেক সমর্থন কমেছে। বরং বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। শত্রুকে আশ্রয় দিতে পারায় বুকের পাটা লাগে, হিম্মতের দরকার। যেভাবেই হোক বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হওয়ার পরও সাজা স্থগিত রেখে ফিরোজায় থাকার ব্যবস্থা সেটার জন্য বুকের পাটা দরকার, উদারতা দরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটা দেখাতে পেরেছেন। সেটা অস্বীকার করলে বিএনপি করতেই পারে। কিন্তু দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর মানুষ সেটা অস্বীকার করবে কেন? মানলাম এখন না হয় আমরা ছোট, অনেকটাই গুরুত্বহীন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আমলে আমরা এমন গুরুত্বহীন ছিলাম না। গুলি লেগে আ স ম আবদুর রব যখন পিজি হাসপাতালে তখন তার সুচিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু ছটফট করছিলেন। এতে কেউ কেউ উশখুশ করলে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দুই দিন আগে তোরা একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছিস, দেশ স্বাধীন করেছিস। রবকে কি তোরা মেরে ফেলবি? ঠিক আছে আমি মরে যাই তারপর তোদের যা ইচ্ছা তাই করিস।’ আমি বিড়ি-সিগারেট খাই না, অন্যের হাতে তামাক খাব কী করে? আ স ম আবদুর রব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের উৎকণ্ঠা কারও কাছে শোনা নয়, নিজের কানে শোনা, নিজের চোখে দেখা।

আমেরিকান ভিসা নিয়ে কত কথা। আওয়ামী লীগের না বিএনপির লাভ? সরকারের পক্ষে না বিপক্ষে? এসব শুনে ভালো লাগে না। যার পক্ষে আর বিপক্ষেই যাক, দেশের জন্য যে এ এক মস্তবড় লজ্জা আমরা কেউ মনে হয় একটুও ভেবে দেখছি না। সপ্তাহজুড়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ২৫ মে গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনের আগে খুব একটা বেশি মানুষ ভাবতেও পারেনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হবেন। সেটাই হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি সত্য। কিন্তু যাদের নিয়ে নির্বাচন সেই ভোটাররা অবশ্যই অংশগ্রহণ করেছে। ইভিএমের কারণে ভোটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেটা না হয়ে বরং দেরি হয়েছে। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়ায় আবার সেই ৫০ শতাংশের অর্ধেকের কম বিজয়ী প্রার্থী পাওয়ায় প্রশ্নটা কেমন যেন হয়ে যায়। তুরস্কে এই কদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। প্রধান প্রার্থী এরদোয়ান ৫০ শতাংশের সামান্য কম ভোট পাওয়ায় আবার পুরো নির্বাচনটাই করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নয়। ১৫-২০ বা ১০-১৫ যা-ই ভোট পড়ুক, যে ১ ভোট বেশি পায় সেই নির্বাচিত হয়। গাজীপুরের মানুষের ইচ্ছা ভেবে দেখার অনেক দিক আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। স্বনামে করেনি, কিন্তু বেনামে করেছে। হ্যাঁ, মেয়র পদে করেনি। কিন্তু কাউন্সিলর পদে অনেকেই করেছে এবং নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন আরও অনেকেই নির্বাচন করেছে। জাতীয় পার্টি থেকে ভালো ফল করেছে ইসলামী আন্দোলন। জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের দাঁড়াতে পারার কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি বিজয়ের হাসি হেসেছেন- এটাই হলো নির্বাচন। অনেক সময় বলা হয় মানুষ ভাবে এক আল্লাহ করেন ভিন্ন। প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন অনেকটা তেমনই। অনেকেই বলছেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের পরাজয় হলেও আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে। বলতে পারেন। কিন্তু তেমনটা না ভাবাই ভালো। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, ভোটারদের জয় হয়েছে এটা নির্বিঘ্নে বলা যায়। তবে ভবিষ্যতে এত জটিলতা বাড়বে যেটা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। প্রার্থী হিসেবে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতা আজমত উল্লা খান প্রায় ষোলো আনা পরীক্ষিত। তিনি কেন হেরেছেন এটা অবশ্যই দেখা দরকার। কোনো দিন যিনি রাজনীতি করেননি, ঘরের বাইরে বের হননি, ছেলের সমর্থনে মা জিতে গেলেন- এ এক বিস্ময়কর ইতিহাস। এ জগৎসংসারে মায়ের চাইতে বড় কেউ নেই। সেই মা এখানে জয়ী হয়েছেন। এতে বুঝতে হবে জগৎসংসার জয়ী হয়েছে, মাতৃকুল জয়ী হয়েছে। কিন্তু এ জয়ের মহিমা কতদিন টিকে থাকে সেটাই বিচার্য বিষয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একজন মা জায়েদা খাতুনের বিজয় মানবতার বিজয়, মনুষ্যত্বের বিজয়, ভালোবাসার বিজয় হিসেবে প্রতিফলিত হোক এই আশা বুকে নিয়ে বিজয়ীকে শত কোটি সালাম ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক
অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা
কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট
কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা

৬ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন
ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার
ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫

৬ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি
বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস
কুমিল্লায় দুলাল হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

১১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা
গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা

১৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?

২০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

১৯ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

সারের কৃত্রিম সংকট প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সারের কৃত্রিম সংকট প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

দেশগ্রাম

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত

পূর্ব-পশ্চিম

দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দেশগ্রাম

ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক
ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

দেশগ্রাম