শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

রবিবার ২৮ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হলো। ২৪ মে ছিলাম টাঙ্গাইলে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক জানিয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। আমাদের সেখানে দাওয়াত করা হয়েছে।’ ঘণ্টাখানেক পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক জয়েন সেক্রেটারির ফোন পাই, ‘স্যার, ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে আপনি আসছেন তো?’ বলেছিলাম, একটু পরে আপনাকে জানাব। আমি জানাবার আগেই আবার ফোন পেয়েছিলাম। তাই ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা চলে এসেছিলাম। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক গিয়েছিল জয়দেবপুর ২ জুন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে। তাকে বলেছিলাম, সকালেই আসতে হবে। ইচ্ছা করলে থেকে যেতে পার। সে বলেছিল, না, টাঙ্গাইল থেকে ঠিক সময়ে চলে আসব। সে ঠিক সময় এসেছিল। বেশ অনেক দিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। মনে হয় কয়েক বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কোনো ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল না। আসন সংরক্ষণ ছিল না। কেউ ভালো করে বসতেও বলেনি। সামনের সারিতে অসংখ্য সিট খালি। কোনোটায় লেখা মন্ত্রীর মর্যাদার, কোনোটায় লেখা ছিল ডিপ্লোম্যাট। একেবারে পুবের সারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানেই সামনের এক সারি ছেড়ে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলাম। সামনে ডান দিকে ছিল আমার দলের এক বীরপ্রতীক। বাঁয়ে চার-পাঁচ জন সামনের সারিতে বসেছিল। পরের সারিতে আমি বসেছিলাম। পেছন থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এসে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সামনের দিকের কেউ আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। কেন যেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ দেরি হয়েছিল। তারপর মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ওসমানী মিলনায়তনে গিয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের বীরনিবাস দান অনুষ্ঠানে। ভবন ছিল ৭৩২ বর্গফুটের। এ ক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হলো, ২ কাঠা জমির ওপর ৭৩২ বর্গফুট ভবনের বদলে জেলা অথবা বিভাগীয় শহরে ৪ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ২ কাঠা আঙিনা, উপজেলায় ১০ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ৮ কাঠা মুক্ত আঙিনা, ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে ২০ কাঠা জমির ওপর ১৪৪০ বর্গফুটের বীরনিবাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানেও গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খুবই যত্ন নেওয়া হয়েছিল। সামনের কাতারে আমার এবং আমার সঙ্গীদের জন্য কয়েকটি আসন রাখা হয়েছিল। আমি আর আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক সেখানে বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবন পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বেশ ভালো অনুষ্ঠান ছিল। আর এই সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জুলিও কুরি প্রদান অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুকে যেদিন জুলিও কুরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয় সেদিন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। চারদিকে সবাই যত্ন করেছিল। তখন আমরা ছিলাম সদ্যপ্রস্ফুটিত সুগন্ধি লাল গোলাপের চাইতেও আকর্ষণীয়। না হলেও ১০-১৫ বার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়েছিল। কত নেতা, কত মন্ত্রী কতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেকটা তেমনই হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে আমরা দুজন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। সবাই কেন যেন আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। গেটে গেটে নানা যন্ত্রপাতি। ওসবের চাইতে কাপড় খুলে পরীক্ষা করলেও অনেক সহজ হতো। ৩-৪টি মেটাল ডিটেক্টর পার হয়ে শেষের দিকে এক জায়গায় একজন বললেন, ‘স্যার, টুপিটা একটু খুলতে হবে!’ জীবনে প্রথম টুপি খোলার কথা শুনলাম। প্রথম প্রথম কিছুই বুঝিনি। পরে বুঝলাম নিরাপত্তার দিক থেকে তাদের বিবেচনায় মাথায় কোনো বোমা রাখা হতে পারে। ১৫-২০ বছর সব সময় টুপি পরি। প্রথম দিকে চাচা নেহরু মার্কা টুপি পরতাম। এখন সেটা না পরে অন্য ধরনের টুপি পরি। আমার কাছে বেশ স্বস্তিই লাগে। কয়েকজন অফিসার এসে সযতেœ নিয়ে গেলেন। একেবারে সামনের সোফায় নাম লেখা। আমার ডানে ছিলেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ক্যাবিনেট সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান; বাঁ পাশে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, এনাম আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম। ডান পাশে ড. কামাল আবদুল নাসেরের আসনে বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বাঁ পাশের আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার। তাঁর আসনে বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। একেবারে অনটাইম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন এবং অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এর আগে কোথায় যেন শুধু কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সরকারি অনুষ্ঠান শুরু করা হচ্ছিল। তখন বলেছিলাম, শুধু কোরআন কেন, অন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা উচিত। কিন্তু এখানে দেখলাম কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চমৎকার গলা সবার। অনুষ্ঠানের সূচনায় খুবই সুন্দর বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তারপর মোনায়েম সরকার, সৈয়দা আনোয়ারা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, সর্বশেষ মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার ভাষণ দিলেন। এরপর এক নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এক মনোরম অনুষ্ঠান শেষ হলো। ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যেমন চোখাচোখি হয়েছিল, এখানেও মনে হয় তেমনই হয়েছে। প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনেকবার লক্ষ করেছি, তিনিও যে লক্ষ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। নৃত্যানুষ্ঠানের সময় মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আমাদের সারিতেই বসেছিলেন। সে আর কত হবে, আমার থেকে সাত-আট জনের পরে। নৃত্যানুষ্ঠান শেষ হলে সালাম দিতে গিয়েছিলাম। আমার হাত ধরে ছিলেন মোনায়েম সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চেও বলেছিলেন, ‘সব সরকারের উজান ভাটি আছে। কিন্তু মোনায়েম সরকারের নেই।’ সামনাসামনি আবার ও কথা বলায় অনেকে হো হো করে হেসে উঠেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানটি ভীষণ হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। চলে আসার সময় দেখি চারদিকে প্যাকেটে প্যাকেটে সয়লাব। সবাই বলছিলেন, স্যারের গাড়িতে প্যাকেটগুলো দিয়ে আসুন। আমার আবার খাবারের প্রতি তেমন লোভ নেই। সে যাই হোক, বাইরের খাবার তেমন ভালো লাগে না। তবু জোর করে কয়েক প্যাকেট দিয়ে দিয়েছিলেন। আসতে আসতে ভাবছিলাম, সারা দেশ যদি এমন শান্তিময় স্থিতিশীল হতো, একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সার্বিকভাবে কোনো কিছুই আমরা সবাই মিলে করতে পারি না। একটা সময় মনে হতো যত বিতর্কই থাকুক দেশ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। কিন্তু এখন দেখছি সবকিছুতেই বিতর্ক। আমরা কোনো কিছুতেই সবাই মিলে একমত হতে পারি না, পারছি না। ভবিষ্যতে কোনো দিন আমরা সবাই দেশের প্রশ্নে দেশের কল্যাণের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন হতে পারব কি না জানি না। কিন্তু হতে পারলে ভালো।

ধীরে ধীরে আমরা এত নিচে নেমে গেছি যে কারও মৃত্যু নিয়ে কথা বলতেও ঠোঁটে বাধে না। যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের ময়মুরুব্বিদের কাছে শুনতাম, শত্রুরও মৃত্যু কামনা করতে নেই। কিন্তু এখন দেখছি শুধু শত্রু কেন, প্রতিপক্ষ হলেই তার মৃত্যু কামনা। প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আগ্রহ নেই। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে যে তেমন কোনো মজা নেই। একটা সুন্দর খেলার জন্যও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর দরকার। অথচ আমরা এখন কারও সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করতে চাই না, চাই না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। আমরা শুধু শুধু একে অন্যের ধ্বংস চাই। কোনো ধ্বংসই ভালো কিছু বহন করে না। ধ্বংস ধ্বংসই। আর সৃষ্টি, সে এক অনবদ্য সত্য। সৃষ্টি সৃষ্টিই, তার কোনো বিকল্প নেই। কদিন আগে এক জনসভায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছেন। এমন বিকৃত মানসিকতা, এমন চিন্তার কোনো মানুষ ভালো কিছু করতে পারে না, তার দ্বারা ভালো কিছু হতেই পারে না। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতায় বলেছেন,

‘আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।’

এই হলো বাঙালি। সেই শাশ্বত বাঙালি থেকে কত দূূরে চলে এসেছি, কত নিচে নেমে গেছি। এত হিংসা এত বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি চলে? চলে না। রাজনীতিতে অবশ্যই উদার হতে হয়। কখনোসখনো শত্রুর সঙ্গেও গলাগলি করতে হয়। জানি, মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৯০ বছরের ফল পাব না। আর বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে, যে কারণে যারা বড় ছিলেন তারা কেউ কেউ ছোট হয়েছেন, যারা ছোট ছিলেন জীবন বাজি রেখে তারা অনেকেই অনেক ওপরে উঠে গেছেন। বিপদের সময় মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা অনেকে মেনে নিলেও শান্তির সময় তারা তা মেনে নেননি। বরং পাকিস্তানিদের চাইতেও খারাপ আচরণ করেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রত্যক্ষ যোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা যারা ঘর ছেড়েছিলাম, যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর থেকে সর্বগ্রাসী আঘাত অনেকটা কমে গিয়েছিল; তারাও ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোটেই সম্মান করে না। খন্দকার মোশতাকের আমল থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার আমলেও বহাল রয়েছে। এসবই ভাগ্য, এসবই সত্যকে অস্বীকার করার দুর্বলতা। তা না হলে কেন একজন পোড় খাওয়া নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর ইচ্ছা করবেন। তিনি রাজনীতি করেন সেটাই কি তাঁর অপরাধ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো একসময় এ দুনিয়া থেকে অবশ্যই চলে যাবেন। যার জীবন আছে তার মৃত্যু আছে। রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হবেন? সত্যিই যদি কখনো অন্যদের হাতে ক্ষমতা যায় তাহলে কি আওয়ামী লীগ এ দেশে থাকবে না? বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসেন তারা থাকবেন না? আজ বঙ্গবন্ধু বিরোধীরা অথবা যারা বোন শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করে তারা কি বাংলাদেশে বসবাস করেন না? কেউ যদি মনে করে থাকেন শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলায় তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাহলে তিনি ভুল করবেন। রাজশাহীর ওই ঘটনায় বিএনপির অনেক সমর্থন কমেছে। বরং বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। শত্রুকে আশ্রয় দিতে পারায় বুকের পাটা লাগে, হিম্মতের দরকার। যেভাবেই হোক বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হওয়ার পরও সাজা স্থগিত রেখে ফিরোজায় থাকার ব্যবস্থা সেটার জন্য বুকের পাটা দরকার, উদারতা দরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটা দেখাতে পেরেছেন। সেটা অস্বীকার করলে বিএনপি করতেই পারে। কিন্তু দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর মানুষ সেটা অস্বীকার করবে কেন? মানলাম এখন না হয় আমরা ছোট, অনেকটাই গুরুত্বহীন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আমলে আমরা এমন গুরুত্বহীন ছিলাম না। গুলি লেগে আ স ম আবদুর রব যখন পিজি হাসপাতালে তখন তার সুচিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু ছটফট করছিলেন। এতে কেউ কেউ উশখুশ করলে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দুই দিন আগে তোরা একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছিস, দেশ স্বাধীন করেছিস। রবকে কি তোরা মেরে ফেলবি? ঠিক আছে আমি মরে যাই তারপর তোদের যা ইচ্ছা তাই করিস।’ আমি বিড়ি-সিগারেট খাই না, অন্যের হাতে তামাক খাব কী করে? আ স ম আবদুর রব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের উৎকণ্ঠা কারও কাছে শোনা নয়, নিজের কানে শোনা, নিজের চোখে দেখা।

আমেরিকান ভিসা নিয়ে কত কথা। আওয়ামী লীগের না বিএনপির লাভ? সরকারের পক্ষে না বিপক্ষে? এসব শুনে ভালো লাগে না। যার পক্ষে আর বিপক্ষেই যাক, দেশের জন্য যে এ এক মস্তবড় লজ্জা আমরা কেউ মনে হয় একটুও ভেবে দেখছি না। সপ্তাহজুড়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ২৫ মে গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনের আগে খুব একটা বেশি মানুষ ভাবতেও পারেনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হবেন। সেটাই হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি সত্য। কিন্তু যাদের নিয়ে নির্বাচন সেই ভোটাররা অবশ্যই অংশগ্রহণ করেছে। ইভিএমের কারণে ভোটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেটা না হয়ে বরং দেরি হয়েছে। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়ায় আবার সেই ৫০ শতাংশের অর্ধেকের কম বিজয়ী প্রার্থী পাওয়ায় প্রশ্নটা কেমন যেন হয়ে যায়। তুরস্কে এই কদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। প্রধান প্রার্থী এরদোয়ান ৫০ শতাংশের সামান্য কম ভোট পাওয়ায় আবার পুরো নির্বাচনটাই করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নয়। ১৫-২০ বা ১০-১৫ যা-ই ভোট পড়ুক, যে ১ ভোট বেশি পায় সেই নির্বাচিত হয়। গাজীপুরের মানুষের ইচ্ছা ভেবে দেখার অনেক দিক আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। স্বনামে করেনি, কিন্তু বেনামে করেছে। হ্যাঁ, মেয়র পদে করেনি। কিন্তু কাউন্সিলর পদে অনেকেই করেছে এবং নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন আরও অনেকেই নির্বাচন করেছে। জাতীয় পার্টি থেকে ভালো ফল করেছে ইসলামী আন্দোলন। জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের দাঁড়াতে পারার কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি বিজয়ের হাসি হেসেছেন- এটাই হলো নির্বাচন। অনেক সময় বলা হয় মানুষ ভাবে এক আল্লাহ করেন ভিন্ন। প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন অনেকটা তেমনই। অনেকেই বলছেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের পরাজয় হলেও আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে। বলতে পারেন। কিন্তু তেমনটা না ভাবাই ভালো। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, ভোটারদের জয় হয়েছে এটা নির্বিঘ্নে বলা যায়। তবে ভবিষ্যতে এত জটিলতা বাড়বে যেটা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। প্রার্থী হিসেবে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতা আজমত উল্লা খান প্রায় ষোলো আনা পরীক্ষিত। তিনি কেন হেরেছেন এটা অবশ্যই দেখা দরকার। কোনো দিন যিনি রাজনীতি করেননি, ঘরের বাইরে বের হননি, ছেলের সমর্থনে মা জিতে গেলেন- এ এক বিস্ময়কর ইতিহাস। এ জগৎসংসারে মায়ের চাইতে বড় কেউ নেই। সেই মা এখানে জয়ী হয়েছেন। এতে বুঝতে হবে জগৎসংসার জয়ী হয়েছে, মাতৃকুল জয়ী হয়েছে। কিন্তু এ জয়ের মহিমা কতদিন টিকে থাকে সেটাই বিচার্য বিষয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একজন মা জায়েদা খাতুনের বিজয় মানবতার বিজয়, মনুষ্যত্বের বিজয়, ভালোবাসার বিজয় হিসেবে প্রতিফলিত হোক এই আশা বুকে নিয়ে বিজয়ীকে শত কোটি সালাম ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা
একের পর এক আগুন
একের পর এক আগুন
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
আগুন : দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
প্রয়োজন অর্থনীতিবান্ধব রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
আমি, পাপিয়া এবং সেই রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
পাহাড়ি জনপদে শিক্ষা বিস্তারে  স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী দিল বিজিবি
পাহাড়ি জনপদে শিক্ষা বিস্তারে  স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী দিল বিজিবি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল উড়োজাহাজ, ১৬২ আরোহী অক্ষত
রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল উড়োজাহাজ, ১৬২ আরোহী অক্ষত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!
২৭তম বিসিএসে বাতিলদের কী হবে কেউ জানে না!

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে কাবুলকে যা করতে বললো পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!
যুদ্ধবিরতি ভাঙলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করবেন ট্রাম্প!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিল দক্ষিণ কোরিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গবেষণায় অবদান রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষককে প্রণোদনা
গবেষণায় অবদান রাখায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষককে প্রণোদনা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুঃসংবাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দুঃসংবাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, আটক ১
বাড়ির ছাদে শুকানো হচ্ছিল গাঁজা, আটক ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ
লঙ্কার কাছে হেরে টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্নভঙ্গ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কিশোরগঞ্জে ভর সকালে বাড়ির গেট কেটে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা চুরি
কিশোরগঞ্জে ভর সকালে বাড়ির গেট কেটে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা চুরি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিএসজি ভক্তদের জন্য জোড়া সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ
পিএসজি ভক্তদের জন্য জোড়া সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি
মারা গেলেন 'শোলে'র জেলার গোবর্ধন আসরানি

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু
গাজায় একদিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ওপর আবারও শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
ভারতের ওপর আবারও শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪
অতিরিক্ত দুই জজের বাংলোতে দুঃসাহসিক চুরি, আটক ৪

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম বন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমাদের একটু বেশি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে’
‘আমাদের একটু বেশি ধারাবাহিকতা তৈরি করতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়
চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়

৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবৈধ বালু উত্তোলনে নৌকাসহ আটক ১
অবৈধ বালু উত্তোলনে নৌকাসহ আটক ১

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

দূর মহাকাশে জন্ম নিল নতুন তারা
দূর মহাকাশে জন্ম নিল নতুন তারা

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যান্ত্রিক ত্রুটিতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ
যান্ত্রিক ত্রুটিতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্টে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বছর ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়েছে
আগস্টে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যয় বছর ব্যবধানে ১৯ শতাংশ বেড়েছে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নাটোরে আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
নাটোরে আগুনে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আরও ১-২ বছর থাকবে : ইকবাল করিম ভূঁইয়া

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ
বলিউডে কার আয় কত? অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক তালিকা প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানি বাড়িয়ে পুনঃনির্ধারণ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো মরক্কো
আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলো মরক্কো

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা, তা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি
রেলপথে নতুন উদ্যোগ সৌদির, চার ঘণ্টায় যাবে ১৫০০ কিমি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার
পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুগল গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির
স্বপ্ন দেখতেই থাকুন, পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের দাবি নিয়ে ট্রাম্পকে খোঁচা খামেনির

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান
যে কারণে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন ইরানের সেনাপ্রধান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?
নবাবদের বংশধররা আজও ব্রিটিশদের পেনশন পাচ্ছেন, কিন্তু কত?

১৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

যুদ্ধবিরতির মধ্যে এবার গাজায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত
যুদ্ধবিরতির মধ্যে এবার গাজায় ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার
জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিও না: গোলাম পরওয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে উচ্ছ্বাস জাতির স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতের শামিল
সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করে উচ্ছ্বাস জাতির স্নায়ুতন্ত্রে আঘাতের শামিল

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
প্রতিরক্ষা জোরদারে ৮৮৫০ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...
কানাডা থেকে রেকর্ডসংখ্যক ভারতীয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে, নেপথ্যে যা...

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী
ইমিগ্রেশন কোর্টে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী

১২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত
নিয়োগবিধি পেল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট, সাব-রেজিস্ট্রাররা পদোন্নতি পাবেন শীর্ষপদ পর্যন্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা
জবি ছাত্রদল নেতা খুন : এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিগারদের বাঁচা-মরার লড়াই আজ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঋণ অবলোপন বিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
ঋণ অবলোপন বিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বগুড়াকে সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ
সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ
সীমান্তে ‘ভূতের আওয়াজ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার অভিযোগ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা
দেবরের ছেলের সাথে ‘ব্রেকআপ’, কবজি কাটলেন দুই সন্তানের মা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হংকংয়ে সমুদ্রে ছিটকে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২
হংকংয়ে সমুদ্রে ছিটকে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ
জানুয়ারিতে নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ
গৃহিণী স্ত্রীকে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী দেখিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন
বিএনপির প্রার্থী হতে মরিয়া রুমিন ফারহানাসহ আটজন

নগর জীবন

আদেশ জারির পর গণভোট
আদেশ জারির পর গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ
চট্টগ্রামে এবার শিক্ষার্থীর রগ কাটা লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া

সম্পাদকীয়

থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের
থাইল্যান্ডে ভালো করার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আবারও ই-কমার্স প্রতারণা
আবারও ই-কমার্স প্রতারণা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের
জামায়াত ক্ষমতায় এলে ফেরার আশঙ্কা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার
ভোগান্তির ১১৪ কিলোমিটার

পেছনের পৃষ্ঠা

বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না
বাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে যেয়ো না

প্রথম পৃষ্ঠা

বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা
বিরোধী দল দমনই যার একমাত্র যোগ্যতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় এনসিপির সভায় ককটেল বিস্ফোরণ

দেশগ্রাম

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি

নগর জীবন

পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার
পর্নোগ্রাফিতে যুক্ত দম্পতি সিআইডির অভিযানে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪
ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষ, আটক ২৪

দেশগ্রাম

বিক্ষোভ মিছিল
বিক্ষোভ মিছিল

নগর জীবন

নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়
নীরব ঘাতক হাড়ক্ষয়

স্বাস্থ্য

শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন

সম্পাদকীয়

যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী
যুক্তরাষ্ট্রে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপর্যয় কাটবে কীভাবে
বিপর্যয় কাটবে কীভাবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও আসতে পারে ১/১১
আবারও আসতে পারে ১/১১

নগর জীবন

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা
আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চান মিরাজরা

মাঠে ময়দানে

প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির
প্রেমিকার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে খুন করেন মাহির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন
রাজনীতিবিদরা ঐক্য হারিয়ে ফেলছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
আগাম শীতের সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

পেছনের পৃষ্ঠা

আমরণ অনশন চলছে
আমরণ অনশন চলছে

পেছনের পৃষ্ঠা

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা
আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিন আবেদন
পাঁচ মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিন আবেদন

নগর জীবন