শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

রবিবার ২৮ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হলো। ২৪ মে ছিলাম টাঙ্গাইলে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক জানিয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। আমাদের সেখানে দাওয়াত করা হয়েছে।’ ঘণ্টাখানেক পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক জয়েন সেক্রেটারির ফোন পাই, ‘স্যার, ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে আপনি আসছেন তো?’ বলেছিলাম, একটু পরে আপনাকে জানাব। আমি জানাবার আগেই আবার ফোন পেয়েছিলাম। তাই ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা চলে এসেছিলাম। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক গিয়েছিল জয়দেবপুর ২ জুন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে। তাকে বলেছিলাম, সকালেই আসতে হবে। ইচ্ছা করলে থেকে যেতে পার। সে বলেছিল, না, টাঙ্গাইল থেকে ঠিক সময়ে চলে আসব। সে ঠিক সময় এসেছিল। বেশ অনেক দিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। মনে হয় কয়েক বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কোনো ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল না। আসন সংরক্ষণ ছিল না। কেউ ভালো করে বসতেও বলেনি। সামনের সারিতে অসংখ্য সিট খালি। কোনোটায় লেখা মন্ত্রীর মর্যাদার, কোনোটায় লেখা ছিল ডিপ্লোম্যাট। একেবারে পুবের সারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানেই সামনের এক সারি ছেড়ে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলাম। সামনে ডান দিকে ছিল আমার দলের এক বীরপ্রতীক। বাঁয়ে চার-পাঁচ জন সামনের সারিতে বসেছিল। পরের সারিতে আমি বসেছিলাম। পেছন থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এসে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সামনের দিকের কেউ আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। কেন যেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ দেরি হয়েছিল। তারপর মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ওসমানী মিলনায়তনে গিয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের বীরনিবাস দান অনুষ্ঠানে। ভবন ছিল ৭৩২ বর্গফুটের। এ ক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হলো, ২ কাঠা জমির ওপর ৭৩২ বর্গফুট ভবনের বদলে জেলা অথবা বিভাগীয় শহরে ৪ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ২ কাঠা আঙিনা, উপজেলায় ১০ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ৮ কাঠা মুক্ত আঙিনা, ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে ২০ কাঠা জমির ওপর ১৪৪০ বর্গফুটের বীরনিবাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানেও গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খুবই যত্ন নেওয়া হয়েছিল। সামনের কাতারে আমার এবং আমার সঙ্গীদের জন্য কয়েকটি আসন রাখা হয়েছিল। আমি আর আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক সেখানে বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবন পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বেশ ভালো অনুষ্ঠান ছিল। আর এই সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জুলিও কুরি প্রদান অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুকে যেদিন জুলিও কুরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয় সেদিন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। চারদিকে সবাই যত্ন করেছিল। তখন আমরা ছিলাম সদ্যপ্রস্ফুটিত সুগন্ধি লাল গোলাপের চাইতেও আকর্ষণীয়। না হলেও ১০-১৫ বার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়েছিল। কত নেতা, কত মন্ত্রী কতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেকটা তেমনই হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে আমরা দুজন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। সবাই কেন যেন আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। গেটে গেটে নানা যন্ত্রপাতি। ওসবের চাইতে কাপড় খুলে পরীক্ষা করলেও অনেক সহজ হতো। ৩-৪টি মেটাল ডিটেক্টর পার হয়ে শেষের দিকে এক জায়গায় একজন বললেন, ‘স্যার, টুপিটা একটু খুলতে হবে!’ জীবনে প্রথম টুপি খোলার কথা শুনলাম। প্রথম প্রথম কিছুই বুঝিনি। পরে বুঝলাম নিরাপত্তার দিক থেকে তাদের বিবেচনায় মাথায় কোনো বোমা রাখা হতে পারে। ১৫-২০ বছর সব সময় টুপি পরি। প্রথম দিকে চাচা নেহরু মার্কা টুপি পরতাম। এখন সেটা না পরে অন্য ধরনের টুপি পরি। আমার কাছে বেশ স্বস্তিই লাগে। কয়েকজন অফিসার এসে সযতেœ নিয়ে গেলেন। একেবারে সামনের সোফায় নাম লেখা। আমার ডানে ছিলেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ক্যাবিনেট সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান; বাঁ পাশে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, এনাম আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম। ডান পাশে ড. কামাল আবদুল নাসেরের আসনে বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বাঁ পাশের আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার। তাঁর আসনে বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। একেবারে অনটাইম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন এবং অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এর আগে কোথায় যেন শুধু কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সরকারি অনুষ্ঠান শুরু করা হচ্ছিল। তখন বলেছিলাম, শুধু কোরআন কেন, অন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা উচিত। কিন্তু এখানে দেখলাম কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চমৎকার গলা সবার। অনুষ্ঠানের সূচনায় খুবই সুন্দর বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তারপর মোনায়েম সরকার, সৈয়দা আনোয়ারা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, সর্বশেষ মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার ভাষণ দিলেন। এরপর এক নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এক মনোরম অনুষ্ঠান শেষ হলো। ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যেমন চোখাচোখি হয়েছিল, এখানেও মনে হয় তেমনই হয়েছে। প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনেকবার লক্ষ করেছি, তিনিও যে লক্ষ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। নৃত্যানুষ্ঠানের সময় মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আমাদের সারিতেই বসেছিলেন। সে আর কত হবে, আমার থেকে সাত-আট জনের পরে। নৃত্যানুষ্ঠান শেষ হলে সালাম দিতে গিয়েছিলাম। আমার হাত ধরে ছিলেন মোনায়েম সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চেও বলেছিলেন, ‘সব সরকারের উজান ভাটি আছে। কিন্তু মোনায়েম সরকারের নেই।’ সামনাসামনি আবার ও কথা বলায় অনেকে হো হো করে হেসে উঠেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানটি ভীষণ হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। চলে আসার সময় দেখি চারদিকে প্যাকেটে প্যাকেটে সয়লাব। সবাই বলছিলেন, স্যারের গাড়িতে প্যাকেটগুলো দিয়ে আসুন। আমার আবার খাবারের প্রতি তেমন লোভ নেই। সে যাই হোক, বাইরের খাবার তেমন ভালো লাগে না। তবু জোর করে কয়েক প্যাকেট দিয়ে দিয়েছিলেন। আসতে আসতে ভাবছিলাম, সারা দেশ যদি এমন শান্তিময় স্থিতিশীল হতো, একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সার্বিকভাবে কোনো কিছুই আমরা সবাই মিলে করতে পারি না। একটা সময় মনে হতো যত বিতর্কই থাকুক দেশ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। কিন্তু এখন দেখছি সবকিছুতেই বিতর্ক। আমরা কোনো কিছুতেই সবাই মিলে একমত হতে পারি না, পারছি না। ভবিষ্যতে কোনো দিন আমরা সবাই দেশের প্রশ্নে দেশের কল্যাণের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন হতে পারব কি না জানি না। কিন্তু হতে পারলে ভালো।

ধীরে ধীরে আমরা এত নিচে নেমে গেছি যে কারও মৃত্যু নিয়ে কথা বলতেও ঠোঁটে বাধে না। যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের ময়মুরুব্বিদের কাছে শুনতাম, শত্রুরও মৃত্যু কামনা করতে নেই। কিন্তু এখন দেখছি শুধু শত্রু কেন, প্রতিপক্ষ হলেই তার মৃত্যু কামনা। প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আগ্রহ নেই। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে যে তেমন কোনো মজা নেই। একটা সুন্দর খেলার জন্যও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর দরকার। অথচ আমরা এখন কারও সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করতে চাই না, চাই না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। আমরা শুধু শুধু একে অন্যের ধ্বংস চাই। কোনো ধ্বংসই ভালো কিছু বহন করে না। ধ্বংস ধ্বংসই। আর সৃষ্টি, সে এক অনবদ্য সত্য। সৃষ্টি সৃষ্টিই, তার কোনো বিকল্প নেই। কদিন আগে এক জনসভায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছেন। এমন বিকৃত মানসিকতা, এমন চিন্তার কোনো মানুষ ভালো কিছু করতে পারে না, তার দ্বারা ভালো কিছু হতেই পারে না। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতায় বলেছেন,

‘আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।’

এই হলো বাঙালি। সেই শাশ্বত বাঙালি থেকে কত দূূরে চলে এসেছি, কত নিচে নেমে গেছি। এত হিংসা এত বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি চলে? চলে না। রাজনীতিতে অবশ্যই উদার হতে হয়। কখনোসখনো শত্রুর সঙ্গেও গলাগলি করতে হয়। জানি, মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৯০ বছরের ফল পাব না। আর বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে, যে কারণে যারা বড় ছিলেন তারা কেউ কেউ ছোট হয়েছেন, যারা ছোট ছিলেন জীবন বাজি রেখে তারা অনেকেই অনেক ওপরে উঠে গেছেন। বিপদের সময় মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা অনেকে মেনে নিলেও শান্তির সময় তারা তা মেনে নেননি। বরং পাকিস্তানিদের চাইতেও খারাপ আচরণ করেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রত্যক্ষ যোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা যারা ঘর ছেড়েছিলাম, যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর থেকে সর্বগ্রাসী আঘাত অনেকটা কমে গিয়েছিল; তারাও ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোটেই সম্মান করে না। খন্দকার মোশতাকের আমল থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার আমলেও বহাল রয়েছে। এসবই ভাগ্য, এসবই সত্যকে অস্বীকার করার দুর্বলতা। তা না হলে কেন একজন পোড় খাওয়া নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর ইচ্ছা করবেন। তিনি রাজনীতি করেন সেটাই কি তাঁর অপরাধ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো একসময় এ দুনিয়া থেকে অবশ্যই চলে যাবেন। যার জীবন আছে তার মৃত্যু আছে। রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হবেন? সত্যিই যদি কখনো অন্যদের হাতে ক্ষমতা যায় তাহলে কি আওয়ামী লীগ এ দেশে থাকবে না? বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসেন তারা থাকবেন না? আজ বঙ্গবন্ধু বিরোধীরা অথবা যারা বোন শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করে তারা কি বাংলাদেশে বসবাস করেন না? কেউ যদি মনে করে থাকেন শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলায় তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাহলে তিনি ভুল করবেন। রাজশাহীর ওই ঘটনায় বিএনপির অনেক সমর্থন কমেছে। বরং বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। শত্রুকে আশ্রয় দিতে পারায় বুকের পাটা লাগে, হিম্মতের দরকার। যেভাবেই হোক বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হওয়ার পরও সাজা স্থগিত রেখে ফিরোজায় থাকার ব্যবস্থা সেটার জন্য বুকের পাটা দরকার, উদারতা দরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটা দেখাতে পেরেছেন। সেটা অস্বীকার করলে বিএনপি করতেই পারে। কিন্তু দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর মানুষ সেটা অস্বীকার করবে কেন? মানলাম এখন না হয় আমরা ছোট, অনেকটাই গুরুত্বহীন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আমলে আমরা এমন গুরুত্বহীন ছিলাম না। গুলি লেগে আ স ম আবদুর রব যখন পিজি হাসপাতালে তখন তার সুচিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু ছটফট করছিলেন। এতে কেউ কেউ উশখুশ করলে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দুই দিন আগে তোরা একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছিস, দেশ স্বাধীন করেছিস। রবকে কি তোরা মেরে ফেলবি? ঠিক আছে আমি মরে যাই তারপর তোদের যা ইচ্ছা তাই করিস।’ আমি বিড়ি-সিগারেট খাই না, অন্যের হাতে তামাক খাব কী করে? আ স ম আবদুর রব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের উৎকণ্ঠা কারও কাছে শোনা নয়, নিজের কানে শোনা, নিজের চোখে দেখা।

আমেরিকান ভিসা নিয়ে কত কথা। আওয়ামী লীগের না বিএনপির লাভ? সরকারের পক্ষে না বিপক্ষে? এসব শুনে ভালো লাগে না। যার পক্ষে আর বিপক্ষেই যাক, দেশের জন্য যে এ এক মস্তবড় লজ্জা আমরা কেউ মনে হয় একটুও ভেবে দেখছি না। সপ্তাহজুড়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ২৫ মে গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনের আগে খুব একটা বেশি মানুষ ভাবতেও পারেনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হবেন। সেটাই হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি সত্য। কিন্তু যাদের নিয়ে নির্বাচন সেই ভোটাররা অবশ্যই অংশগ্রহণ করেছে। ইভিএমের কারণে ভোটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেটা না হয়ে বরং দেরি হয়েছে। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়ায় আবার সেই ৫০ শতাংশের অর্ধেকের কম বিজয়ী প্রার্থী পাওয়ায় প্রশ্নটা কেমন যেন হয়ে যায়। তুরস্কে এই কদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। প্রধান প্রার্থী এরদোয়ান ৫০ শতাংশের সামান্য কম ভোট পাওয়ায় আবার পুরো নির্বাচনটাই করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নয়। ১৫-২০ বা ১০-১৫ যা-ই ভোট পড়ুক, যে ১ ভোট বেশি পায় সেই নির্বাচিত হয়। গাজীপুরের মানুষের ইচ্ছা ভেবে দেখার অনেক দিক আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। স্বনামে করেনি, কিন্তু বেনামে করেছে। হ্যাঁ, মেয়র পদে করেনি। কিন্তু কাউন্সিলর পদে অনেকেই করেছে এবং নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন আরও অনেকেই নির্বাচন করেছে। জাতীয় পার্টি থেকে ভালো ফল করেছে ইসলামী আন্দোলন। জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের দাঁড়াতে পারার কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি বিজয়ের হাসি হেসেছেন- এটাই হলো নির্বাচন। অনেক সময় বলা হয় মানুষ ভাবে এক আল্লাহ করেন ভিন্ন। প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন অনেকটা তেমনই। অনেকেই বলছেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের পরাজয় হলেও আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে। বলতে পারেন। কিন্তু তেমনটা না ভাবাই ভালো। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, ভোটারদের জয় হয়েছে এটা নির্বিঘ্নে বলা যায়। তবে ভবিষ্যতে এত জটিলতা বাড়বে যেটা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। প্রার্থী হিসেবে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতা আজমত উল্লা খান প্রায় ষোলো আনা পরীক্ষিত। তিনি কেন হেরেছেন এটা অবশ্যই দেখা দরকার। কোনো দিন যিনি রাজনীতি করেননি, ঘরের বাইরে বের হননি, ছেলের সমর্থনে মা জিতে গেলেন- এ এক বিস্ময়কর ইতিহাস। এ জগৎসংসারে মায়ের চাইতে বড় কেউ নেই। সেই মা এখানে জয়ী হয়েছেন। এতে বুঝতে হবে জগৎসংসার জয়ী হয়েছে, মাতৃকুল জয়ী হয়েছে। কিন্তু এ জয়ের মহিমা কতদিন টিকে থাকে সেটাই বিচার্য বিষয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একজন মা জায়েদা খাতুনের বিজয় মানবতার বিজয়, মনুষ্যত্বের বিজয়, ভালোবাসার বিজয় হিসেবে প্রতিফলিত হোক এই আশা বুকে নিয়ে বিজয়ীকে শত কোটি সালাম ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
বেগম রোকেয়ার সুলতানা’স ড্রিমের বাংলা নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করল আইইউবি থিয়েটার
বেগম রোকেয়ার সুলতানা’স ড্রিমের বাংলা নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করল আইইউবি থিয়েটার

১ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

সোমালিয়ায় খাদ্য সংকটে ভুগছে এক চতুর্থাংশ মানুষ
সোমালিয়ায় খাদ্য সংকটে ভুগছে এক চতুর্থাংশ মানুষ

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২ শতাংশই ৫-২৯ বছর বয়সী’
‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২ শতাংশই ৫-২৯ বছর বয়সী’

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

খাগড়াছড়িতে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বাস সার্ভিস উদ্বোধন
খাগড়াছড়িতে আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বাস সার্ভিস উদ্বোধন

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী গ্রেপ্তার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

২২ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ হাইক‌মিশনের সতর্কবার্তা
ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ব্রিটিশ হাইক‌মিশনের সতর্কবার্তা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

কালীগঞ্জে গাছের সাথে ইজিবাইকের ধাক্কা, যুবক নিহত
কালীগঞ্জে গাছের সাথে ইজিবাইকের ধাক্কা, যুবক নিহত

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ
শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকারী অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক নারী জেলহাজতে
সরকারী অফিসে আত্মহত্যার চেষ্টা, আটক নারী জেলহাজতে

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের নিয়ে দোয়া ও মধ্যাহ্নভোজ
তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের নিয়ে দোয়া ও মধ্যাহ্নভোজ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাবি প্রেস ক্লাবের ৪ দশক পূর্তি উদযাপিত
রাবি প্রেস ক্লাবের ৪ দশক পূর্তি উদযাপিত

৪৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

তারেক রহমানের জন্মদিনে কসবায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা
তারেক রহমানের জন্মদিনে কসবায় বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫১ বছর পর বিশ্বকাপে হাইতি
৫১ বছর পর বিশ্বকাপে হাইতি

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২২ নভেম্বর
হাবিপ্রবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ২২ নভেম্বর

৫৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির
বিসিসির উচ্চবিলাসী প্রকল্প বাতিলের দাবি গণসংহতির

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কঙ্গোতে নৌকা ডুবে ৭০ জন নিখোঁজ
কঙ্গোতে নৌকা ডুবে ৭০ জন নিখোঁজ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল
মিস ইউনিভার্সে এখন পর্যন্ত বিতর্কিত যা যা ঘটল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা
ফসল উৎপাদনে সারের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে গাকৃবিতে কর্মশালা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গুয়াহাটি টেস্টে নেই গিল, ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন পন্ত
গুয়াহাটি টেস্টে নেই গিল, ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন পন্ত

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জমির ড্রেন খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড
জমির ড্রেন খুঁড়তে গিয়ে মিলল পরিত্যক্ত গ্রেনেড

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
তারেক রহমানের জন্মদিনে বগুড়ায় দোয়া মাহফিল ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি
ভালুকায় তারেক রহমানের জন্মদিনে রক্তদান ও চারা বিতরণ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা