শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ আপডেট:

জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জাতির পিতার জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী

রবিবার ২৮ মে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হলো। ২৪ মে ছিলাম টাঙ্গাইলে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক জানিয়েছিল, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুলিও কুরি প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। আমাদের সেখানে দাওয়াত করা হয়েছে।’ ঘণ্টাখানেক পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক জয়েন সেক্রেটারির ফোন পাই, ‘স্যার, ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে আপনি আসছেন তো?’ বলেছিলাম, একটু পরে আপনাকে জানাব। আমি জানাবার আগেই আবার ফোন পেয়েছিলাম। তাই ২৬ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা চলে এসেছিলাম। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক গিয়েছিল জয়দেবপুর ২ জুন জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রস্তুতি দেখতে। তাকে বলেছিলাম, সকালেই আসতে হবে। ইচ্ছা করলে থেকে যেতে পার। সে বলেছিল, না, টাঙ্গাইল থেকে ঠিক সময়ে চলে আসব। সে ঠিক সময় এসেছিল। বেশ অনেক দিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। মনে হয় কয়েক বছর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কোনো ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল না। আসন সংরক্ষণ ছিল না। কেউ ভালো করে বসতেও বলেনি। সামনের সারিতে অসংখ্য সিট খালি। কোনোটায় লেখা মন্ত্রীর মর্যাদার, কোনোটায় লেখা ছিল ডিপ্লোম্যাট। একেবারে পুবের সারিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত। সেখানেই সামনের এক সারি ছেড়ে দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলাম। সামনে ডান দিকে ছিল আমার দলের এক বীরপ্রতীক। বাঁয়ে চার-পাঁচ জন সামনের সারিতে বসেছিল। পরের সারিতে আমি বসেছিলাম। পেছন থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা এসে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু সামনের দিকের কেউ আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে সরাসরি যোগ দেননি। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। কেন যেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ দেরি হয়েছিল। তারপর মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ওসমানী মিলনায়তনে গিয়েছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের বীরনিবাস দান অনুষ্ঠানে। ভবন ছিল ৭৩২ বর্গফুটের। এ ক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হলো, ২ কাঠা জমির ওপর ৭৩২ বর্গফুট ভবনের বদলে জেলা অথবা বিভাগীয় শহরে ৪ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ২ কাঠা আঙিনা, উপজেলায় ১০ কাঠা জমির ওপর ২ কাঠা বা ১৪৪০ বর্গফুট ভবন, ৮ কাঠা মুক্ত আঙিনা, ইউনিয়ন বা গ্রাম পর্যায়ে ২০ কাঠা জমির ওপর ১৪৪০ বর্গফুটের বীরনিবাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেখানেও গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। সে অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খুবই যত্ন নেওয়া হয়েছিল। সামনের কাতারে আমার এবং আমার সঙ্গীদের জন্য কয়েকটি আসন রাখা হয়েছিল। আমি আর আবদুল্লাহ বীরপ্রতীক সেখানে বসেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভবন পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বেশ ভালো অনুষ্ঠান ছিল। আর এই সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বশান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জুলিও কুরি প্রদান অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুকে যেদিন জুলিও কুরি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয় সেদিন সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। চারদিকে সবাই যত্ন করেছিল। তখন আমরা ছিলাম সদ্যপ্রস্ফুটিত সুগন্ধি লাল গোলাপের চাইতেও আকর্ষণীয়। না হলেও ১০-১৫ বার বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চোখাচোখি হয়েছিল। কত নেতা, কত মন্ত্রী কতভাবে জিজ্ঞেস করেছিলেন। সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেকটা তেমনই হয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে আমরা দুজন হলের দিকে যাচ্ছিলাম। সবাই কেন যেন আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন। গেটে গেটে নানা যন্ত্রপাতি। ওসবের চাইতে কাপড় খুলে পরীক্ষা করলেও অনেক সহজ হতো। ৩-৪টি মেটাল ডিটেক্টর পার হয়ে শেষের দিকে এক জায়গায় একজন বললেন, ‘স্যার, টুপিটা একটু খুলতে হবে!’ জীবনে প্রথম টুপি খোলার কথা শুনলাম। প্রথম প্রথম কিছুই বুঝিনি। পরে বুঝলাম নিরাপত্তার দিক থেকে তাদের বিবেচনায় মাথায় কোনো বোমা রাখা হতে পারে। ১৫-২০ বছর সব সময় টুপি পরি। প্রথম দিকে চাচা নেহরু মার্কা টুপি পরতাম। এখন সেটা না পরে অন্য ধরনের টুপি পরি। আমার কাছে বেশ স্বস্তিই লাগে। কয়েকজন অফিসার এসে সযতেœ নিয়ে গেলেন। একেবারে সামনের সোফায় নাম লেখা। আমার ডানে ছিলেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, ক্যাবিনেট সচিব মো. মাহবুব হোসেন, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান; বাঁ পাশে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, এনাম আহমেদ, শ ম রেজাউল করিম। ডান পাশে ড. কামাল আবদুল নাসেরের আসনে বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বাঁ পাশের আসন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার। তাঁর আসনে বসেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। একেবারে অনটাইম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন এবং অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। এর আগে কোথায় যেন শুধু কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সরকারি অনুষ্ঠান শুরু করা হচ্ছিল। তখন বলেছিলাম, শুধু কোরআন কেন, অন্য ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা উচিত। কিন্তু এখানে দেখলাম কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। চমৎকার গলা সবার। অনুষ্ঠানের সূচনায় খুবই সুন্দর বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তারপর মোনায়েম সরকার, সৈয়দা আনোয়ারা হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক, সর্বশেষ মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার ভাষণ দিলেন। এরপর এক নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এক মনোরম অনুষ্ঠান শেষ হলো। ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যেমন চোখাচোখি হয়েছিল, এখানেও মনে হয় তেমনই হয়েছে। প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি অনেকবার লক্ষ করেছি, তিনিও যে লক্ষ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। নৃত্যানুষ্ঠানের সময় মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আমাদের সারিতেই বসেছিলেন। সে আর কত হবে, আমার থেকে সাত-আট জনের পরে। নৃত্যানুষ্ঠান শেষ হলে সালাম দিতে গিয়েছিলাম। আমার হাত ধরে ছিলেন মোনায়েম সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মঞ্চেও বলেছিলেন, ‘সব সরকারের উজান ভাটি আছে। কিন্তু মোনায়েম সরকারের নেই।’ সামনাসামনি আবার ও কথা বলায় অনেকে হো হো করে হেসে উঠেছিলেন। তবে অনুষ্ঠানটি ভীষণ হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। চলে আসার সময় দেখি চারদিকে প্যাকেটে প্যাকেটে সয়লাব। সবাই বলছিলেন, স্যারের গাড়িতে প্যাকেটগুলো দিয়ে আসুন। আমার আবার খাবারের প্রতি তেমন লোভ নেই। সে যাই হোক, বাইরের খাবার তেমন ভালো লাগে না। তবু জোর করে কয়েক প্যাকেট দিয়ে দিয়েছিলেন। আসতে আসতে ভাবছিলাম, সারা দেশ যদি এমন শান্তিময় স্থিতিশীল হতো, একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতো তাহলে কতই না ভালো হতো। সার্বিকভাবে কোনো কিছুই আমরা সবাই মিলে করতে পারি না। একটা সময় মনে হতো যত বিতর্কই থাকুক দেশ নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। কিন্তু এখন দেখছি সবকিছুতেই বিতর্ক। আমরা কোনো কিছুতেই সবাই মিলে একমত হতে পারি না, পারছি না। ভবিষ্যতে কোনো দিন আমরা সবাই দেশের প্রশ্নে দেশের কল্যাণের প্রশ্নে এক ও অভিন্ন হতে পারব কি না জানি না। কিন্তু হতে পারলে ভালো।

ধীরে ধীরে আমরা এত নিচে নেমে গেছি যে কারও মৃত্যু নিয়ে কথা বলতেও ঠোঁটে বাধে না। যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের ময়মুরুব্বিদের কাছে শুনতাম, শত্রুরও মৃত্যু কামনা করতে নেই। কিন্তু এখন দেখছি শুধু শত্রু কেন, প্রতিপক্ষ হলেই তার মৃত্যু কামনা। প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো আগ্রহ নেই। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে যে তেমন কোনো মজা নেই। একটা সুন্দর খেলার জন্যও শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর দরকার। অথচ আমরা এখন কারও সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করতে চাই না, চাই না প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। আমরা শুধু শুধু একে অন্যের ধ্বংস চাই। কোনো ধ্বংসই ভালো কিছু বহন করে না। ধ্বংস ধ্বংসই। আর সৃষ্টি, সে এক অনবদ্য সত্য। সৃষ্টি সৃষ্টিই, তার কোনো বিকল্প নেই। কদিন আগে এক জনসভায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছেন। এমন বিকৃত মানসিকতা, এমন চিন্তার কোনো মানুষ ভালো কিছু করতে পারে না, তার দ্বারা ভালো কিছু হতেই পারে না। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতায় বলেছেন,

‘আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা,

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,

আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!

আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।’

এই হলো বাঙালি। সেই শাশ্বত বাঙালি থেকে কত দূূরে চলে এসেছি, কত নিচে নেমে গেছি। এত হিংসা এত বিদ্বেষ নিয়ে রাজনীতি চলে? চলে না। রাজনীতিতে অবশ্যই উদার হতে হয়। কখনোসখনো শত্রুর সঙ্গেও গলাগলি করতে হয়। জানি, মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৯০ বছরের ফল পাব না। আর বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে অনেক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে, যে কারণে যারা বড় ছিলেন তারা কেউ কেউ ছোট হয়েছেন, যারা ছোট ছিলেন জীবন বাজি রেখে তারা অনেকেই অনেক ওপরে উঠে গেছেন। বিপদের সময় মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা অনেকে মেনে নিলেও শান্তির সময় তারা তা মেনে নেননি। বরং পাকিস্তানিদের চাইতেও খারাপ আচরণ করেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রত্যক্ষ যোদ্ধাদের হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের কেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে আমরা যারা ঘর ছেড়েছিলাম, যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম, যাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর থেকে সর্বগ্রাসী আঘাত অনেকটা কমে গিয়েছিল; তারাও ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মোটেই সম্মান করে না। খন্দকার মোশতাকের আমল থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে যে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে রাখা হয়েছে সেটা বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার আমলেও বহাল রয়েছে। এসবই ভাগ্য, এসবই সত্যকে অস্বীকার করার দুর্বলতা। তা না হলে কেন একজন পোড় খাওয়া নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর ইচ্ছা করবেন। তিনি রাজনীতি করেন সেটাই কি তাঁর অপরাধ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো একসময় এ দুনিয়া থেকে অবশ্যই চলে যাবেন। যার জীবন আছে তার মৃত্যু আছে। রাজনীতি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হবেন? সত্যিই যদি কখনো অন্যদের হাতে ক্ষমতা যায় তাহলে কি আওয়ামী লীগ এ দেশে থাকবে না? বঙ্গবন্ধুকে যারা ভালোবাসেন তারা থাকবেন না? আজ বঙ্গবন্ধু বিরোধীরা অথবা যারা বোন শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করে তারা কি বাংলাদেশে বসবাস করেন না? কেউ যদি মনে করে থাকেন শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর কথা বলায় তাদের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাহলে তিনি ভুল করবেন। রাজশাহীর ওই ঘটনায় বিএনপির অনেক সমর্থন কমেছে। বরং বিএনপির প্রতি মানুষের ঘৃণার সৃষ্টি হয়েছে। শত্রুকে আশ্রয় দিতে পারায় বুকের পাটা লাগে, হিম্মতের দরকার। যেভাবেই হোক বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি হওয়ার পরও সাজা স্থগিত রেখে ফিরোজায় থাকার ব্যবস্থা সেটার জন্য বুকের পাটা দরকার, উদারতা দরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা সেটা দেখাতে পেরেছেন। সেটা অস্বীকার করলে বিএনপি করতেই পারে। কিন্তু দেশের মানুষ, সারা পৃথিবীর মানুষ সেটা অস্বীকার করবে কেন? মানলাম এখন না হয় আমরা ছোট, অনেকটাই গুরুত্বহীন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আমলে আমরা এমন গুরুত্বহীন ছিলাম না। গুলি লেগে আ স ম আবদুর রব যখন পিজি হাসপাতালে তখন তার সুচিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু ছটফট করছিলেন। এতে কেউ কেউ উশখুশ করলে বিরক্ত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘দুই দিন আগে তোরা একসাথে মুক্তিযুদ্ধ করেছিস, দেশ স্বাধীন করেছিস। রবকে কি তোরা মেরে ফেলবি? ঠিক আছে আমি মরে যাই তারপর তোদের যা ইচ্ছা তাই করিস।’ আমি বিড়ি-সিগারেট খাই না, অন্যের হাতে তামাক খাব কী করে? আ স ম আবদুর রব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর সেদিনের উৎকণ্ঠা কারও কাছে শোনা নয়, নিজের কানে শোনা, নিজের চোখে দেখা।

আমেরিকান ভিসা নিয়ে কত কথা। আওয়ামী লীগের না বিএনপির লাভ? সরকারের পক্ষে না বিপক্ষে? এসব শুনে ভালো লাগে না। যার পক্ষে আর বিপক্ষেই যাক, দেশের জন্য যে এ এক মস্তবড় লজ্জা আমরা কেউ মনে হয় একটুও ভেবে দেখছি না। সপ্তাহজুড়ে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু ২৫ মে গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনের আগে খুব একটা বেশি মানুষ ভাবতেও পারেনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতা অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে বিজয়ী হবেন। সেটাই হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নেই। বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি সত্য। কিন্তু যাদের নিয়ে নির্বাচন সেই ভোটাররা অবশ্যই অংশগ্রহণ করেছে। ইভিএমের কারণে ভোটের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেটা না হয়ে বরং দেরি হয়েছে। ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। সার্বিকভাবে ৫০ শতাংশের কম ভোট পড়ায় আবার সেই ৫০ শতাংশের অর্ধেকের কম বিজয়ী প্রার্থী পাওয়ায় প্রশ্নটা কেমন যেন হয়ে যায়। তুরস্কে এই কদিন আগে নির্বাচন হয়েছে। প্রধান প্রার্থী এরদোয়ান ৫০ শতাংশের সামান্য কম ভোট পাওয়ায় আবার পুরো নির্বাচনটাই করতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নয়। ১৫-২০ বা ১০-১৫ যা-ই ভোট পড়ুক, যে ১ ভোট বেশি পায় সেই নির্বাচিত হয়। গাজীপুরের মানুষের ইচ্ছা ভেবে দেখার অনেক দিক আছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। স্বনামে করেনি, কিন্তু বেনামে করেছে। হ্যাঁ, মেয়র পদে করেনি। কিন্তু কাউন্সিলর পদে অনেকেই করেছে এবং নির্বাচিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন আরও অনেকেই নির্বাচন করেছে। জাতীয় পার্টি থেকে ভালো ফল করেছে ইসলামী আন্দোলন। জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের দাঁড়াতে পারার কথাই ছিল না। কিন্তু তিনি বিজয়ের হাসি হেসেছেন- এটাই হলো নির্বাচন। অনেক সময় বলা হয় মানুষ ভাবে এক আল্লাহ করেন ভিন্ন। প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন অনেকটা তেমনই। অনেকেই বলছেন অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের পরাজয় হলেও আওয়ামী লীগের জয় হয়েছে। বলতে পারেন। কিন্তু তেমনটা না ভাবাই ভালো। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, ভোটারদের জয় হয়েছে এটা নির্বিঘ্নে বলা যায়। তবে ভবিষ্যতে এত জটিলতা বাড়বে যেটা এখন আমরা চিন্তাও করতে পারছি না। প্রার্থী হিসেবে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতা আজমত উল্লা খান প্রায় ষোলো আনা পরীক্ষিত। তিনি কেন হেরেছেন এটা অবশ্যই দেখা দরকার। কোনো দিন যিনি রাজনীতি করেননি, ঘরের বাইরে বের হননি, ছেলের সমর্থনে মা জিতে গেলেন- এ এক বিস্ময়কর ইতিহাস। এ জগৎসংসারে মায়ের চাইতে বড় কেউ নেই। সেই মা এখানে জয়ী হয়েছেন। এতে বুঝতে হবে জগৎসংসার জয়ী হয়েছে, মাতৃকুল জয়ী হয়েছে। কিন্তু এ জয়ের মহিমা কতদিন টিকে থাকে সেটাই বিচার্য বিষয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একজন মা জায়েদা খাতুনের বিজয় মানবতার বিজয়, মনুষ্যত্বের বিজয়, ভালোবাসার বিজয় হিসেবে প্রতিফলিত হোক এই আশা বুকে নিয়ে বিজয়ীকে শত কোটি সালাম ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ
সেই নবজাতক পরিবারের পাশে পুলিশ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা
বান্দরবানে চেকপোস্টে ধরা পড়ল ৬ রোহিঙ্গা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী
চা পাতা তুলতে গিয়ে ভাল্লুকের আক্রমণের শিকার নারী

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি
কলাপাড়ায় জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত
ট্রাকচাপায় কিশোর নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর

নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল
নির্বাচিত হলে পানির ন্যায্য হিস্‌সা : ফখরুল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ