রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ইতিহাস

সুলতানা রাজিয়া

ভারতবর্ষে আদি তুর্কি শাসনের চতুর্থ শাসক এবং সুলতান ইলতুৎমিশের কন্যা। ইলতুৎমিশের সুযোগ্য পুত্র নাসিরুদ্দিন ১২২৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অন্য পুত্ররা ছিলেন অপরিণত বয়স্ক। ইলতুৎমিশ মৃত্যুর আগে তাঁর কন্যা রাজিয়াকে রাজ্যের উত্তরাধিকার করে যান। ইলতুৎমিশের মৃত্যুর আগের এই ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করেন তখনকার রক্ষণশীল ও ঈর্ষাকাতর মুসলিম আমির-ওমরাহরা। তাঁরা নারীর শাসনকে ইসলামে অবৈধ বলে রায় দেন। ফলে শেষ মুহূর্তে ইলতুৎমিশের অন্য পুত্র রুকন উদ্দিন ফিরোজকেই সুলতান হিসেবে ঘোষণা দেন। তাই ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে ইলতুৎমিশের মৃত্যুর পর রুকন উদ্দিন ফিরোজকে আমিররা তৃতীয় সুলতান হিসেবে বরণ করেন। রুকন উদ্দিন ফিরোজ ছিলেন বিলাসী ও অত্যাচারী। ফলে তাঁর রাজত্বের সাত মাসের মাথায় লাহোর, হ্যান্সি ও বদায়ুনের শাসনকর্তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং রুকন উদ্দিনকে অপসারিত করার জন্য দিল্লি অভিমুখে রওনা দেন। এ সময় রাজিয়া দিল্লির আমিরদের পক্ষে এনে সিংহাসন অধিকার করেন। সিংহাসন লাভের পর তিনি পুরুষের পোশাক পরে প্রকাশ্যে রাজদরবারে উপস্থিত হতে থাকেন। ফলে গোঁড়া মুসলমানরা এর আপত্তি তোলেন। এ ছাড়া তিনি ইয়াকৎ নামক একজন হাবশি অনুচরের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ দেখাতেন বলেও তুর্কি আমিররা তাঁর প্রতি বিরক্ত ছিলেন। এ সময় তুর্কি অভিজাত শ্রেণির লোকেরা দরবারে তাঁদের অনুগ্রহভাজন লোকদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর