আরব পুনর্জাগরণে বিশ্বাসী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। এর ফলে বাশারের দুই যুগের শাসনামলের অবসান ঘটল। বাশার আল আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদও ছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আমৃত্যু যিনি ক্ষমতায় ছিলেন। বাশার আল আসাদের পতনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আরব পুনর্জাগরণে বিশ্বাসী বাথ পার্টির অস্তিত্বই বিলুপ্ত হওয়ার হুমকির মধ্যে পড়ল। মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-সিরিয়া-রাশিয়ার জোটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসমর্থিত ‘অদৃশ্য জোটের’ জয়জয়কার ঘোষিত হলো। ইসরায়েল আরব দেশগুলোর মধ্যে সিরিয়াকে তাদের জন্য সবচেয়ে হুমকি হিসেবে ভাবত। বাশারের পতনের ফলে প্রকারান্তরে ইরানের জন্যও সৃষ্টি হলো নতুন বিপদ। ইসরায়েল ইতোমধ্যে সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে নিজেদের দখল কায়েমের অভিলাষ ব্যক্ত করেছে। একসময় বাথ পার্টি ছিল আরব বিশ্বের সবচেয়ে সংগঠিত দল। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মরহুম হাফিজ আল আসাদ ছিলেন বাথ পার্টির শক্তিমান নেতা। আরব ঐক্যের প্রবক্তাও ছিলেন তাঁরা। বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ইরাকে বিদ্রোহ গড়ে তোলে আল-কায়েদাপন্থি একটি সংগঠন। যাদের অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ। আরব রাজতন্ত্রগুলোর সমর্থনও ছিল বিদ্রোহীদের দিকে। বাশারকে জব্দ করতে যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদাপন্থিদের সমর্থন জানালেও তাদের জয়কে কীভাবে নেবে তা স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলও সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সুবিধা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখবে কি না, বড় মাপের প্রশ্ন। কারণ বিদ্রোহীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছ থেকে এতকাল সুবিধা ভোগ করলেও সিরিয়ার জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে নতজানু ভূমিকা পালন করবে- তা ভাবাও কঠিন। সিরিয়ার স্বৈরাচারের পতন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ এনে দেবে বলে যারা ভাবছেন, তারা আহাম্মকের স্বর্গেই বসবাস করছেন। কারণ বিদ্রোহী নামে কথিত বিদেশি ভাড়াটেদের সঙ্গে সিরিয়ার পতিত কর্তৃত্ববাদী শাসকদের কোনো গুণগত পার্থক্য ছিল না। গণতন্ত্রের জন্য যে দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার, তা যে সিরিয়ার নয়া শাসকদের নেই, তা স্পষ্ট। স্বৈরতন্ত্রের বিদায় অভিনন্দনযোগ্য হলেও জনগণের অর্জন কতটুকু, তা দেখার বিষয়।
শিরোনাম
- মোংলায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২
- সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত
- বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদপানে’ একে একে পাঁচজনের মৃত্যু
- বগুড়ায় পিতার লাশ আটকে রেখে সম্পত্তি আদায়
- বিনিয়োগের পরিবেশ প্রয়োজন
- স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
- কোরআন ও সুন্নাহ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে
- ‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
- পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
- ‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
- অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
- এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
- ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
- বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি
- পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু
- পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচি নিয়ে নওশাদ জমির
- ন্যায্য পানি বণ্টন ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের আহ্বান
- ২০২৫ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় তিন লাখ দক্ষিণ সুদানী: জাতিসংঘ
- ‘জামায়াত মায়া কান্না করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চায়’
বাশারের পতন
স্বৈরতন্ত্রের বিদায় অভিনন্দনযোগ্য
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম