অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন এখন জন-আকাঙ্ক্ষা। এ আকাঙ্ক্ষা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোর সরকারের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে। ২০২৫ নির্বাচনের বছর হিসেবেই যাত্রা শুরু করেছে। সদ্য বিদায়ি ২০২৪-এর শেষ প্রান্তে সরকারের তরফে বলা হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো পূর্ণ সংস্কার না চাইলে ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে। আর পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চাইলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরও ছয় মাস অর্থাৎ ২০২৬-এর জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ২০২৬ তো নয়ই, ২০২৫-এর ডিসেম্বর পর্যন্তও অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি বলেছে, ডিসেম্বর নয়- চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য দলটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত অনেক রাজনৈতিক দল। তাদের মতে, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করলে পতিত স্বৈরাচার নানাভাবে অপকৌশলের সুযোগ নেবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাবে। পরিণামে বর্তমান সরকার বিতর্কিত হবে। নানান ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বে। কেননা অনির্বাচিত সরকার কখনোই নির্বাচিত সরকারের মতো সবল নয়। সুতরাং জনগণের ক্ষমতা যত দ্রুত জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, সেটা দেশ ও জাতির জন্য ততই মঙ্গলকর। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার প্রয়োজন সত্য। কিন্তু সংস্কারের নামে বিলম্বিত নির্বাচন কারও কাম্য নয়। গণতন্ত্রে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। কেউ সংস্কারের বিপক্ষে নয়। কিন্তু সব সংস্কার শেষ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন নতুন সমস্যার প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে সার্বিক সংস্কারের কাজ বাস্তবায়ন করবে আগামী নির্বাচিত সরকার। এ বিষয়ে নতুন জাতীয় সংসদের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। অতএব অতিপ্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া দলগুলো নির্বাচনের জন্য স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়াচ্ছে। যত দিন যাবে এ চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তি অটুট রাখতেই উচিত অতিপ্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ লক্ষ্যে অবিলম্বে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। না হলে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দায় একদিন অন্তর্বর্তী সরকারকেও নিতে হবে।
শিরোনাম
- মাদারীপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, টহল জোরদার
- ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছ ফেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
- নারায়ণগঞ্জ শহরে জামায়াতের অবস্থান কর্মসূচি
- সাভার ও ধামরাইয়ে নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৫
- ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
- রাজধানীর নিরাপত্তায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন
- হাসিনার মামলার রায় দিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে
- মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
- মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
- লুটের টাকায় ককটেল কিনে আওয়ামী লীগের নাশকতা : রিজভী
- শাকসুর প্রার্থী হতে লাগবে ডোপ টেস্ট
- এজলাসে পৌঁছেছেন প্রসিকিউশন টিম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী
- পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: পরিবেশ উপদেষ্টা
- ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি আজ
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- মেহেরপুর–কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ
- যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
- শাহবাগের ছবির হাটে ককটেল বিস্ফোরণ
- শাটডাউন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন, নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার ১৫
- হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ