শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

পুরনো সেই দিনের কথা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
পুরনো সেই দিনের কথা

পাবনায় আমার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুচিত্রা সেনের বাড়ি। সেই বাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে বারবারই শিহরিত হচ্ছিলাম। ৬৫ সালের আগপর্যন্ত তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমাগুলো আসত। সেই ছেলেবেলায় মা-বাবার সঙ্গে হলে গিয়ে সুচিত্রা-উত্তমের সিনেমা দেখেছি। সুচিত্রা-উত্তম বাঙালির সবসময়কার প্রিয় জুটি। পুরুষরা পাগল ছিলেন সুচিত্রার জন্য। নারীরা উত্তমের জন্য। এত জনপ্রিয় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে কখনো হয়নি আর হবেও না। সুচিত্রা সেনদের পাবনার বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আমার মনে পড়েছিল সবার উপরে সিনেমাটির কথা। একটি দৃশ্যে চাঁদনি রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সুচিত্রা সেন গাইছেন, জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া। পাবনার যে রিসোর্টে উঠেছিলাম তার নাম রূপকথা। ভারি মনোরম পরিবেশ ইকো রিসোর্টটির। স্বত্বাধিকারী সোহানী হোসেন একজন লেখক ও সংগীতশিল্পী। অত্যন্ত রুচিশীল মানুষ। এই রিসোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি কটেজ ও কামরার আলাদা করে নাম আছে। প্রতিটি নামই সুচিত্রা সেন অভিনীত এক একটি সিনেমার নাম। আমি যে কামরাটিতে ছিলাম তার নাম সবার উপরে। ঢাকায় ফিরে খুব ইচ্ছে হলো সুচিত্রা সেনের সিনেমাগুলো আবার দেখি। ইউটিউবে তাঁর যত ছবি পাওয়া গেল মন্ত্রমুগ্ধের মতো সব দেখলাম। শতভাগ বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ছিল এই নায়িকার মধ্যে। অভিনয় দক্ষতার কোনো তুলনা হয় না। ভাবতে ভালো লেগেছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমাদের গেন্ডারিয়ার একটি সম্পর্ক আছে। গেন্ডারিয়া এলাকার বিখ্যাত দীননাথ সেন রোড যাঁর নামে- সেই দীননাথ সেন সুচিত্রা সেনের শ্বশুর। দীননাথ সেনের পুত্র ব্যারিস্টার দিবানাথ সেন সুচিত্রা সেনের স্বামী। দীননাথ সেন মানিকগঞ্জের লোক। তাঁর আরেক পুত্র আদিনাথ সেন তিন খণ্ডে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তাঁর পিতাকে নিয়ে। গ্রন্থের নাম দীননাথ সেন ও তৎকালীন পূর্ববঙ্গ

কিংবদন্তির ঢাকার শ্রদ্ধেয় লেখক নাজির হোসেন ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে গেন্ডারিয়া ও দীননাথ সেন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাটি ছিল জঙ্গল। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ধ্যান করার জন্য জঙ্গলেই একটি আশ্রম তৈরি করেছিলেন। তখন ও তার পরের বেশ কিছু বছর এলাকাটির নাম ছিল বাঘাবাড়ী। মুনতাসীর মামুনের মতে হয়তো এখানে বাঘও থাকত। এলাকায় প্রচুর আখ হতো। স্থানীয় ভাষায় আখকে বলে গেন্ডারি। গেন্ডারি থেকেই গেন্ডারিয়া নামের উৎপত্তি এ কথা নাজির হোসেন সাহেব ও মুনতাসীর মামুন দুজনেই বলেছেন। আজকের যে গেন্ডারিয়া এই গেন্ডারিয়ার গোড়াপত্তন করেছিলেন দীননাথ সেন। তিনি ছিলেন তখনকার পূর্ববঙ্গের স্কুলসমূহের ডেপুটি ইন্সপেক্টর। তখনকার ঢাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী নাগরিক। দূরদর্শী। অনুভব করেছিলেন দিনে দিনে ঢাকা শহর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এই কারণে ঢাকার আরও দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে গেন্ডারিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল কিনেছিলেন। তাঁদের একজন আনন্দচন্দ্র রায়। পেশায় উকিল। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। অন্যজন রজনীকান্ত চৌধুরী। এই ভদ্রলোকের নামেও গেন্ডারিয়াতে একটি রাস্তা আছে। রজনী চৌধুরী রোড। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, আনন্দচন্দ্র রায় গেন্ডারিয়া ছেড়ে পরে কাকরাইলে অনেক জমি কিনেন। রজনীকান্ত চৌধুরীও গেন্ডারিয়াতে থাকেননি। এলাকায় একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন। শুধু দীননাথ সেনই গেন্ডারিয়াতে থাকার জন্য বাড়ি করেছিলেন। সতেরো বিঘার ওপর। তারপর তিনি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের গেন্ডারিয়াতে বাড়ি করার উৎসাহ দেন। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তাঁরই চেষ্টায় ধীরে ধীরে গেন্ডারিয়া পরিণত হয়েছিল শহরের মধ্যশ্রেণির আবাসিক এলাকা হিসেবে। গেন্ডারিয়া তখন পরিচিত ছিল দোলাইগঞ্জ হিসেবে। পুরান ঢাকার একরামপুর এলাকায় ছেলেবেলার অনেকগুলো বছর কেটেছে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য লেখক সমরেশ বসুর। তাঁর লেখায় দোলাইগঞ্জ-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গেন্ডারিয়া গড়ে উঠেছিল মূলত দীননাথ সেন রোড ঘিরে। উত্তরে ধূপখোলা মাঠের কোনা থেকে সোজা দক্ষিণে চলে গেছে দীননাথ সেন রোড। তার ডান-বাঁ পাশে এই রোডের বেশ কয়েকটি গলি। সাধনার মোড় থেকে পশ্চিমে প্রায় লোহারপুল পর্যন্ত রজনী চৌধুরী রোড। রজনীকান্ত চৌধুরীর বাগানবাড়িটি ছিল রোডের মাঝামাঝি দক্ষিণের শেষ প্রান্তে। সেই জায়গাটিকে এখন বলা হয় বাগিচা

দীননাথ সেন রোডেই ধূপখোলা মাঠের কাছাকাছি গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি। এই সংগঠনটি ভারতবর্ষের প্রথম নারী সংগঠন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সভানেত্রী ছিলেন বিপ্লবী আশালতা সেন। তিনি বাংলাসাহিত্যের এক বিখ্যাত কবি সমর সেনের মা। কলকাতার দাঙ্গায় নিহত মুসলমানদের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য গঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর এই সংগঠনের একটি শাখা খোলা হয় গেন্ডারিয়ায়। লোহারপুলের কাছাকাছি জায়গায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামগেন্ডারিয়া মহিলা সমিতির কার্যালয় এখনো আছে দীননাথ সেন রোডে। শিশুদের স্কুল, নারীদের নানা রকমের হাতের কাজ শেখানো হয় মহিলা সমিতিতে। আর আছে বিখ্যাত সীমান্ত গ্রন্থাগার। আমার জন্মের বছর ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাঠাগারটি। আমার কৈশর আর প্রথম যৌবনের বহু বিকেল কেটেছে সীমান্ত গ্রন্থাগারে বই পড়ে। এই পাঠাগারটি না থাকলে আমার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না। কী সুন্দর পরিবেশে ছিল পাঠাগারটির। রাস্তার ধারে টিনের চৌচালা সুন্দর ঘর। ডান পাশে সবুজ ঘাসে ভরা চমৎকার একখানি মাঠ। এই মাঠে মঞ্চ তৈরি করে স্বাধীনতার পর, ৭২ সালের শেষদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এক বিকেলে নিয়ে এসেছিলাম আমি ও আমার বন্ধু কামাল। এই দুরূহ কাজটি সম্ভব হয়েছিল কবির নাতনি খিলখিল কাজীর সহযোগিতায়। গেন্ডারিয়ার শত শত মানুষ এসেছিলেন কবিকে একপলক দেখতে। তিনি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে মঞ্চে বসে আছেন। বাকরুদ্ধ। পাশে বসে আছেন খিলখিল। সারাক্ষণ কবিকে আগলে রাখছেন। গেন্ডারিয়ার শ্রদ্ধেয়জনেরা এই মহান কবিকে নিয়ে কথা বলছেন। এত বড় গৌরবের ঘটনা আমার জীবনে আর নেই। খিলখিলের সঙ্গে আমিও বিদ্র্রোহী কবিকে জড়িয়ে ধরে মঞ্চে নিয়ে বসিয়েছিলাম। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে।

সীমান্ত গ্রন্থাগারের আশপাশে টিনের চৌচালা ঘরের বাড়ি। প্রত্যেক বাড়িতে প্রচুর গাছ। পুরনো দালান বাড়ি আছে অনেক। কিছু নতুন বাড়িও তৈরি হয়েছে। বসবাসের জন্য গেন্ডারিয়া তখন অতি আদর্শ এলাকা। কত পুকুর গেন্ডারিয়াতে। মাঠ, স্কুল, পাঠাগার, ইস্ট এন্ড ক্লাব। সারা বছরই নানা রকমের আনন্দ উৎসব। সেই গেন্ডারিয়া আজও আমার চোখজুড়ে। শোনা যায়, একবার এক ইংরেজ পর্যটক ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন গেন্ডারিয়ায়। গেন্ডারিয়ার স্নিগ্ধ সুন্দর পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ গলায় বলেছিলেন, হোয়াট এ গ্র্যান্ড এরিয়া। অনেকে মনে করেন এই গ্র্যান্ড এরিয়া কথাটা থেকেই গেন্ডারিয়া নামকরণ হয়েছে। তবে গেন্ডারিয়া সত্যি সত্যিই গ্র্যান্ড এরিয়াই ছিল।

পৃথিবী বিখ্যাত আয়ুর্বেদীয় ঔষধালয়ের মূল কারখানা গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে। প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষ। কারখানার আশপাশে সারাক্ষণ ভাসে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের গন্ধ। মিউনিসিপ্যাল কমিটির নিজস্ব গরুগুলোর কোমরের কাছে ডিএমসি লেখা সিল মারা। ডিএমসি কথাটার মানে হচ্ছে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি। মিউনিসিপ্যালটির নিজস্ব গরুর গাড়ি ছিল অনেক। গাড়িটানার কাজ শেষ হলে ধূপখোলা মাঠে গরুগুলো ছেড়ে দেওয়া হতো। সেসব গরু সাধনা ঔষধালয়ের পাশের ড্রেনে এসে মুখ দিত। সেই ড্রেনে কারখানার ভিতর থেকে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের অপ্রয়োজনীয় তরল এসে পড়ছে। কিছুটা উষ্ণ। ধোঁয়া উড়ছে। গরুগুলো মুখ ডুবিয়ে সেই তরল পান করত। কী স্বাস্থ্য এক একটার! কারখানার ছাদে বিস্তর বানর থাকত। যোগেশবাবু নিয়ম করে তাদের খাবার দিতেন। ৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে যোগেশবাবুকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা।

আমাদের সেই সময়কার গেন্ডারিয়াতে কত বিখ্যাত মানুষ বাস করতেন। লেখক শিল্পী অভিনেতা অভিনেত্রী। গুণীজন অনেক। কাঠেরপুলটা হচ্ছে ডিস্টিলারি রোডে। তার পাশেই ভাটিখানা। উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে যে রাস্তাটি তার শেষ মাথায় লোহারপুল। উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য এগোলেই হাতের বাঁ-দিকে ঢুকে গেছে একটা গলি। গলিটার নাম সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢুকেছে। গলিতে দক্ষিণমুখী সুন্দর একটি দোতলা বাড়ি। গেটের কাছে কয়েকটা গাছ। বড় একটা নিমগাছ ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তিন বিখ্যাত নায়িকার পৈতৃক বাড়ি। সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। এক বাড়ির তিন মেয়েই বিখ্যাত নায়িকা, এমন ইতিহাস পৃথিবীর আর কোনো পরিবারের আছে কি না, আমি জানি না। সুচন্দা বিখ্যাত ছিলেন তাঁর চোখের জন্য। বড় বড় সুন্দর চোখের জন্য তিনি আলাদাভাবে চলচ্চিত্র দর্শকদের প্রিয় ছিলেন। ববিতার ডাকনাম পপি। মণিজা রহমান গার্লস স্কুলে পড়তেন। চম্পাও পড়তেন একই স্কুলে। বাসন্তী গুহঠাকুরতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যতদূর জানি, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানাও একসময় একই স্কুলে পড়তেন। তখন তাঁর নাম ছিল রত্না। আরেকজন বিখ্যাত নায়কের বাড়ি দীননাথ সেন রোডে। তাঁর নাম শওকত আকবর। অত্যন্ত সুদর্শন ও সুপুরুষ। তাঁর পিতা ছিলেন গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক। আমাদের কত প্রিয় শিক্ষক সেই স্কুলে। হেড স্যারের নাম সুধীর চৌধুরী। অত্যন্ত গুরুগম্ভীর মানুষ। বিশাল পণ্ডিত। তাঁর একটি বিখ্যাত ইংরেজি গ্রামার বই ছিল। নিজের চেয়ারে গম্ভীর মুখে বসে থাকতেন। সেভেন আপ ছিল তাঁর প্রিয় পানীয়। কেরানি স্যার বসতেন তাঁর অদূরে ছোট একটা টেবিলে। তাঁর ঠোঁটের কাছে শ্বেতির দাগ ছিল। কেরানি স্যারের কাছে কাজে গেলে আড়চোখে হেড স্যারের দিকে তাকাতাম। টেবিলের ওপর ঠিকই তাঁর হাতের কাছে সেভেন আপের সবুজ বোতলটা দেখা যেত। দপ্তরি ছিলেন শাহজাহান। নজরুল স্যার, দুজন রহমান স্যার। এ রহমান ও বি রহমান। ফখরুল স্যার বিজ্ঞান পড়াতেন। রউফ স্যার ওপরের ক্লাসে পড়াতেন ইংরেজি। আর আমাদের খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বুলেট স্যার। তাঁর আসল নাম ভুলেই গেছি। আমার মতো গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের অনেক ছাত্রই বুলেট স্যারের আসল নাম মনে করতে পারবে না। এই নামেই বিখ্যাত ছিলেন স্যার। আশু স্যার আর ফখরুল স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের সঙ্গে পড়ত হিরা। দীননাথ সেন রোডে ওদের বাড়ি। পোস্তগোলায় ওর বাবা সিনেমা হল নির্মাণ করলেন। ডায়না। হিরা আমাদের কখনো কখনো সেই হলে নিয়ে মাগনা সিনেমা দেখাত। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি বদল করে অনেকে চলে এসেছিলেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। সে রকম বহু পরিবার আছে গেন্ডারিয়াতে। তারা প্রায় সবাই অবস্থাপন্ন। রজনী চৌধুরী রোডে ছিল ওয়াহিদ কোম্পানির বাড়ি। ওয়াহিদ সাহেব বিক্রমপুরের মানুষ। লঞ্চের ব্যবসা ছিল তাঁর। বাড়িতে সারাক্ষণ গানবাজনা আনন্দ-উৎসব চলছে। এই বাড়ির ছেলে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর ছেলে হাবীব ওয়াহিদ এই প্রজন্মের ভীষণ জনপ্রিয় শিল্পী। ধূপখোলা মাঠের দক্ষিণ দিকটায় রাস্তার ধারে বিকেলবেলা চিনাবাদাম, আচার, ঝালমুড়ি, সোনপাপড়ি এসব নিয়ে বসতেন ফেরিওয়ালারা। গান গেয়ে গেয়ে আচার বিক্রি করতেন একজন বয়াতি। পরবর্তীকালে দেশজোড়া খ্যাতি হয় তাঁর। রেডিও-টেলিভিশনে গান করতেন। মঞ্চ অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনতে হাজার হাজার শ্রোতা জড়ো হতেন। তাঁর নামটা আমি ইচ্ছা করেই বলছি না। আমার সঙ্গে একবার ফোবানা সম্মেলনে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।

গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে কত বন্ধুবান্ধব। তারা প্রায় সবাই গেন্ডারিয়াতে থাকে। শুধু মোহাম্মদ আলী বা বুলু থাকে শ্যামপুরে। রেললাইনের ধারে ওদের বাড়ি। আমরা দলবেঁধে সেই বাড়িতে যেতাম। আমাদের প্রধান আড্ডা ছিল মানবেন্দ্রদের বাড়িতে। সাধনার ঠিক উল্টো দিকে বিশাল বাড়ি ওদের। গেন্ডারিয়া এলাকার পুরনো বাড়িগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ সালের দিকে। গেন্ডারিয়া এলাকার দশ-এগারোটা বাড়িতে পর্যায়ক্রমে ভাড়ায় থেকেছি আমরা। ফেরদৌস ওয়াহিদদের বাড়িতে থেকেছি। সেই বাড়িও রজনী চৌধুরী রোডেই। তার আগে থেকেছি রজনী চৌধুরী রোডের আরেকটি বাড়িতে। বাড়ির নম্বরটি আমার এখনো মনে আছে ১৪/১/এ। এই বাড়িটায় স্বাধীনতার আগে কিছুদিন থেকেছি, সুন্দর চৌচালা একটা টিনের ঘরে। স্বাধীনতার পর থেকেছি একতলা দালানটিতে। এই বাড়ির ঠিক উল্টো দিকের বাড়িটি ছিল বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হামিদ ভাইদের। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যে টিনের ঘরটিতে আমরা থাকতাম, সেই ঘরে ষাটের দশকের শুরুর দিককার কয়েক বছর মা-বাবা ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি আবুল হাসান। এই বাড়ি থেকেই শুরু হয়েছিল আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই দিনটি আজও পরিষ্কার দেখতে পাই। প্রথম গল্পটি লিখে খামে ভরেছি। দুপুরের দিকে ধূপখোলা মাঠ পেরিয়ে উত্তর পাশে যাচ্ছি। সেখানে নতুন পোস্ট অফিস হয়েছে। পোস্ট অফিসে গিয়ে খামে স্ট্যাম্প লাগিয়ে পোস্ট বক্সে ফেলে দিয়েছি। পরের সপ্তাহেই পূর্বদেশ পত্রিকার চাঁদের হাট-এর পাতায় সেই গল্প ছাপা হলো। সদ্য যুবক হয়ে ওঠা একটি ছেলের জীবন নতুন দিকে বাঁক নিল। সেসব দিনে একা একা হাঁটতে হাঁটতে কোনো কোনো বিকেলে চলে গেছি গেন্ডারিয়া স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব পাশে রেললাইনের ধারে বেশ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ। তার তলায় বাঁধানো বেঞ্চ। উদাস হয়ে সেই বেঞ্চে বসে নিজের জীবনের কথা ভেবেছি। এখনো মাঝে মাঝে সেসব বিকেলের কথা মনে পড়ে। যেন এখনো স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া তলার বেঞ্চে বসে আছি। হয়তো বা জীবনের রেলগাড়িটির জন্য অপেক্ষা করছি। কু ঝিকঝিক করে বহু দূর থেকে আসবে এক আলোকিত রেলগাড়ি। সেই গাড়িতে চড়ে আমি যেন চলে যাব স্বপ্নের এক জগতে।

লেখক : কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
সর্বশেষ খবর
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

২ মিনিট আগে | পর্যটন

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৮ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর
ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম
ব্যাংক হলিডে মঙ্গলবার, বন্ধ থাকবে লেনদেন ও শেয়ারবাজার কার্যক্রম

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ওজন কমাতে মেনে চলুন এই ৫টি সহজ নিয়ম
ওজন কমাতে মেনে চলুন এই ৫টি সহজ নিয়ম

২০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন