শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

পুরনো সেই দিনের কথা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
পুরনো সেই দিনের কথা

পাবনায় আমার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুচিত্রা সেনের বাড়ি। সেই বাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে বারবারই শিহরিত হচ্ছিলাম। ৬৫ সালের আগপর্যন্ত তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমাগুলো আসত। সেই ছেলেবেলায় মা-বাবার সঙ্গে হলে গিয়ে সুচিত্রা-উত্তমের সিনেমা দেখেছি। সুচিত্রা-উত্তম বাঙালির সবসময়কার প্রিয় জুটি। পুরুষরা পাগল ছিলেন সুচিত্রার জন্য। নারীরা উত্তমের জন্য। এত জনপ্রিয় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে কখনো হয়নি আর হবেও না। সুচিত্রা সেনদের পাবনার বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আমার মনে পড়েছিল সবার উপরে সিনেমাটির কথা। একটি দৃশ্যে চাঁদনি রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সুচিত্রা সেন গাইছেন, জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া। পাবনার যে রিসোর্টে উঠেছিলাম তার নাম রূপকথা। ভারি মনোরম পরিবেশ ইকো রিসোর্টটির। স্বত্বাধিকারী সোহানী হোসেন একজন লেখক ও সংগীতশিল্পী। অত্যন্ত রুচিশীল মানুষ। এই রিসোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি কটেজ ও কামরার আলাদা করে নাম আছে। প্রতিটি নামই সুচিত্রা সেন অভিনীত এক একটি সিনেমার নাম। আমি যে কামরাটিতে ছিলাম তার নাম সবার উপরে। ঢাকায় ফিরে খুব ইচ্ছে হলো সুচিত্রা সেনের সিনেমাগুলো আবার দেখি। ইউটিউবে তাঁর যত ছবি পাওয়া গেল মন্ত্রমুগ্ধের মতো সব দেখলাম। শতভাগ বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ছিল এই নায়িকার মধ্যে। অভিনয় দক্ষতার কোনো তুলনা হয় না। ভাবতে ভালো লেগেছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমাদের গেন্ডারিয়ার একটি সম্পর্ক আছে। গেন্ডারিয়া এলাকার বিখ্যাত দীননাথ সেন রোড যাঁর নামে- সেই দীননাথ সেন সুচিত্রা সেনের শ্বশুর। দীননাথ সেনের পুত্র ব্যারিস্টার দিবানাথ সেন সুচিত্রা সেনের স্বামী। দীননাথ সেন মানিকগঞ্জের লোক। তাঁর আরেক পুত্র আদিনাথ সেন তিন খণ্ডে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তাঁর পিতাকে নিয়ে। গ্রন্থের নাম দীননাথ সেন ও তৎকালীন পূর্ববঙ্গ

কিংবদন্তির ঢাকার শ্রদ্ধেয় লেখক নাজির হোসেন ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে গেন্ডারিয়া ও দীননাথ সেন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাটি ছিল জঙ্গল। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ধ্যান করার জন্য জঙ্গলেই একটি আশ্রম তৈরি করেছিলেন। তখন ও তার পরের বেশ কিছু বছর এলাকাটির নাম ছিল বাঘাবাড়ী। মুনতাসীর মামুনের মতে হয়তো এখানে বাঘও থাকত। এলাকায় প্রচুর আখ হতো। স্থানীয় ভাষায় আখকে বলে গেন্ডারি। গেন্ডারি থেকেই গেন্ডারিয়া নামের উৎপত্তি এ কথা নাজির হোসেন সাহেব ও মুনতাসীর মামুন দুজনেই বলেছেন। আজকের যে গেন্ডারিয়া এই গেন্ডারিয়ার গোড়াপত্তন করেছিলেন দীননাথ সেন। তিনি ছিলেন তখনকার পূর্ববঙ্গের স্কুলসমূহের ডেপুটি ইন্সপেক্টর। তখনকার ঢাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী নাগরিক। দূরদর্শী। অনুভব করেছিলেন দিনে দিনে ঢাকা শহর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এই কারণে ঢাকার আরও দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে গেন্ডারিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল কিনেছিলেন। তাঁদের একজন আনন্দচন্দ্র রায়। পেশায় উকিল। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। অন্যজন রজনীকান্ত চৌধুরী। এই ভদ্রলোকের নামেও গেন্ডারিয়াতে একটি রাস্তা আছে। রজনী চৌধুরী রোড। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, আনন্দচন্দ্র রায় গেন্ডারিয়া ছেড়ে পরে কাকরাইলে অনেক জমি কিনেন। রজনীকান্ত চৌধুরীও গেন্ডারিয়াতে থাকেননি। এলাকায় একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন। শুধু দীননাথ সেনই গেন্ডারিয়াতে থাকার জন্য বাড়ি করেছিলেন। সতেরো বিঘার ওপর। তারপর তিনি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের গেন্ডারিয়াতে বাড়ি করার উৎসাহ দেন। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তাঁরই চেষ্টায় ধীরে ধীরে গেন্ডারিয়া পরিণত হয়েছিল শহরের মধ্যশ্রেণির আবাসিক এলাকা হিসেবে। গেন্ডারিয়া তখন পরিচিত ছিল দোলাইগঞ্জ হিসেবে। পুরান ঢাকার একরামপুর এলাকায় ছেলেবেলার অনেকগুলো বছর কেটেছে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য লেখক সমরেশ বসুর। তাঁর লেখায় দোলাইগঞ্জ-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গেন্ডারিয়া গড়ে উঠেছিল মূলত দীননাথ সেন রোড ঘিরে। উত্তরে ধূপখোলা মাঠের কোনা থেকে সোজা দক্ষিণে চলে গেছে দীননাথ সেন রোড। তার ডান-বাঁ পাশে এই রোডের বেশ কয়েকটি গলি। সাধনার মোড় থেকে পশ্চিমে প্রায় লোহারপুল পর্যন্ত রজনী চৌধুরী রোড। রজনীকান্ত চৌধুরীর বাগানবাড়িটি ছিল রোডের মাঝামাঝি দক্ষিণের শেষ প্রান্তে। সেই জায়গাটিকে এখন বলা হয় বাগিচা

দীননাথ সেন রোডেই ধূপখোলা মাঠের কাছাকাছি গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি। এই সংগঠনটি ভারতবর্ষের প্রথম নারী সংগঠন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সভানেত্রী ছিলেন বিপ্লবী আশালতা সেন। তিনি বাংলাসাহিত্যের এক বিখ্যাত কবি সমর সেনের মা। কলকাতার দাঙ্গায় নিহত মুসলমানদের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য গঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর এই সংগঠনের একটি শাখা খোলা হয় গেন্ডারিয়ায়। লোহারপুলের কাছাকাছি জায়গায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামগেন্ডারিয়া মহিলা সমিতির কার্যালয় এখনো আছে দীননাথ সেন রোডে। শিশুদের স্কুল, নারীদের নানা রকমের হাতের কাজ শেখানো হয় মহিলা সমিতিতে। আর আছে বিখ্যাত সীমান্ত গ্রন্থাগার। আমার জন্মের বছর ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাঠাগারটি। আমার কৈশর আর প্রথম যৌবনের বহু বিকেল কেটেছে সীমান্ত গ্রন্থাগারে বই পড়ে। এই পাঠাগারটি না থাকলে আমার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না। কী সুন্দর পরিবেশে ছিল পাঠাগারটির। রাস্তার ধারে টিনের চৌচালা সুন্দর ঘর। ডান পাশে সবুজ ঘাসে ভরা চমৎকার একখানি মাঠ। এই মাঠে মঞ্চ তৈরি করে স্বাধীনতার পর, ৭২ সালের শেষদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এক বিকেলে নিয়ে এসেছিলাম আমি ও আমার বন্ধু কামাল। এই দুরূহ কাজটি সম্ভব হয়েছিল কবির নাতনি খিলখিল কাজীর সহযোগিতায়। গেন্ডারিয়ার শত শত মানুষ এসেছিলেন কবিকে একপলক দেখতে। তিনি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে মঞ্চে বসে আছেন। বাকরুদ্ধ। পাশে বসে আছেন খিলখিল। সারাক্ষণ কবিকে আগলে রাখছেন। গেন্ডারিয়ার শ্রদ্ধেয়জনেরা এই মহান কবিকে নিয়ে কথা বলছেন। এত বড় গৌরবের ঘটনা আমার জীবনে আর নেই। খিলখিলের সঙ্গে আমিও বিদ্র্রোহী কবিকে জড়িয়ে ধরে মঞ্চে নিয়ে বসিয়েছিলাম। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে।

সীমান্ত গ্রন্থাগারের আশপাশে টিনের চৌচালা ঘরের বাড়ি। প্রত্যেক বাড়িতে প্রচুর গাছ। পুরনো দালান বাড়ি আছে অনেক। কিছু নতুন বাড়িও তৈরি হয়েছে। বসবাসের জন্য গেন্ডারিয়া তখন অতি আদর্শ এলাকা। কত পুকুর গেন্ডারিয়াতে। মাঠ, স্কুল, পাঠাগার, ইস্ট এন্ড ক্লাব। সারা বছরই নানা রকমের আনন্দ উৎসব। সেই গেন্ডারিয়া আজও আমার চোখজুড়ে। শোনা যায়, একবার এক ইংরেজ পর্যটক ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন গেন্ডারিয়ায়। গেন্ডারিয়ার স্নিগ্ধ সুন্দর পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ গলায় বলেছিলেন, হোয়াট এ গ্র্যান্ড এরিয়া। অনেকে মনে করেন এই গ্র্যান্ড এরিয়া কথাটা থেকেই গেন্ডারিয়া নামকরণ হয়েছে। তবে গেন্ডারিয়া সত্যি সত্যিই গ্র্যান্ড এরিয়াই ছিল।

পৃথিবী বিখ্যাত আয়ুর্বেদীয় ঔষধালয়ের মূল কারখানা গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে। প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষ। কারখানার আশপাশে সারাক্ষণ ভাসে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের গন্ধ। মিউনিসিপ্যাল কমিটির নিজস্ব গরুগুলোর কোমরের কাছে ডিএমসি লেখা সিল মারা। ডিএমসি কথাটার মানে হচ্ছে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি। মিউনিসিপ্যালটির নিজস্ব গরুর গাড়ি ছিল অনেক। গাড়িটানার কাজ শেষ হলে ধূপখোলা মাঠে গরুগুলো ছেড়ে দেওয়া হতো। সেসব গরু সাধনা ঔষধালয়ের পাশের ড্রেনে এসে মুখ দিত। সেই ড্রেনে কারখানার ভিতর থেকে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের অপ্রয়োজনীয় তরল এসে পড়ছে। কিছুটা উষ্ণ। ধোঁয়া উড়ছে। গরুগুলো মুখ ডুবিয়ে সেই তরল পান করত। কী স্বাস্থ্য এক একটার! কারখানার ছাদে বিস্তর বানর থাকত। যোগেশবাবু নিয়ম করে তাদের খাবার দিতেন। ৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে যোগেশবাবুকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা।

আমাদের সেই সময়কার গেন্ডারিয়াতে কত বিখ্যাত মানুষ বাস করতেন। লেখক শিল্পী অভিনেতা অভিনেত্রী। গুণীজন অনেক। কাঠেরপুলটা হচ্ছে ডিস্টিলারি রোডে। তার পাশেই ভাটিখানা। উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে যে রাস্তাটি তার শেষ মাথায় লোহারপুল। উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য এগোলেই হাতের বাঁ-দিকে ঢুকে গেছে একটা গলি। গলিটার নাম সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢুকেছে। গলিতে দক্ষিণমুখী সুন্দর একটি দোতলা বাড়ি। গেটের কাছে কয়েকটা গাছ। বড় একটা নিমগাছ ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তিন বিখ্যাত নায়িকার পৈতৃক বাড়ি। সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। এক বাড়ির তিন মেয়েই বিখ্যাত নায়িকা, এমন ইতিহাস পৃথিবীর আর কোনো পরিবারের আছে কি না, আমি জানি না। সুচন্দা বিখ্যাত ছিলেন তাঁর চোখের জন্য। বড় বড় সুন্দর চোখের জন্য তিনি আলাদাভাবে চলচ্চিত্র দর্শকদের প্রিয় ছিলেন। ববিতার ডাকনাম পপি। মণিজা রহমান গার্লস স্কুলে পড়তেন। চম্পাও পড়তেন একই স্কুলে। বাসন্তী গুহঠাকুরতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যতদূর জানি, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানাও একসময় একই স্কুলে পড়তেন। তখন তাঁর নাম ছিল রত্না। আরেকজন বিখ্যাত নায়কের বাড়ি দীননাথ সেন রোডে। তাঁর নাম শওকত আকবর। অত্যন্ত সুদর্শন ও সুপুরুষ। তাঁর পিতা ছিলেন গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক। আমাদের কত প্রিয় শিক্ষক সেই স্কুলে। হেড স্যারের নাম সুধীর চৌধুরী। অত্যন্ত গুরুগম্ভীর মানুষ। বিশাল পণ্ডিত। তাঁর একটি বিখ্যাত ইংরেজি গ্রামার বই ছিল। নিজের চেয়ারে গম্ভীর মুখে বসে থাকতেন। সেভেন আপ ছিল তাঁর প্রিয় পানীয়। কেরানি স্যার বসতেন তাঁর অদূরে ছোট একটা টেবিলে। তাঁর ঠোঁটের কাছে শ্বেতির দাগ ছিল। কেরানি স্যারের কাছে কাজে গেলে আড়চোখে হেড স্যারের দিকে তাকাতাম। টেবিলের ওপর ঠিকই তাঁর হাতের কাছে সেভেন আপের সবুজ বোতলটা দেখা যেত। দপ্তরি ছিলেন শাহজাহান। নজরুল স্যার, দুজন রহমান স্যার। এ রহমান ও বি রহমান। ফখরুল স্যার বিজ্ঞান পড়াতেন। রউফ স্যার ওপরের ক্লাসে পড়াতেন ইংরেজি। আর আমাদের খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বুলেট স্যার। তাঁর আসল নাম ভুলেই গেছি। আমার মতো গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের অনেক ছাত্রই বুলেট স্যারের আসল নাম মনে করতে পারবে না। এই নামেই বিখ্যাত ছিলেন স্যার। আশু স্যার আর ফখরুল স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের সঙ্গে পড়ত হিরা। দীননাথ সেন রোডে ওদের বাড়ি। পোস্তগোলায় ওর বাবা সিনেমা হল নির্মাণ করলেন। ডায়না। হিরা আমাদের কখনো কখনো সেই হলে নিয়ে মাগনা সিনেমা দেখাত। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি বদল করে অনেকে চলে এসেছিলেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। সে রকম বহু পরিবার আছে গেন্ডারিয়াতে। তারা প্রায় সবাই অবস্থাপন্ন। রজনী চৌধুরী রোডে ছিল ওয়াহিদ কোম্পানির বাড়ি। ওয়াহিদ সাহেব বিক্রমপুরের মানুষ। লঞ্চের ব্যবসা ছিল তাঁর। বাড়িতে সারাক্ষণ গানবাজনা আনন্দ-উৎসব চলছে। এই বাড়ির ছেলে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর ছেলে হাবীব ওয়াহিদ এই প্রজন্মের ভীষণ জনপ্রিয় শিল্পী। ধূপখোলা মাঠের দক্ষিণ দিকটায় রাস্তার ধারে বিকেলবেলা চিনাবাদাম, আচার, ঝালমুড়ি, সোনপাপড়ি এসব নিয়ে বসতেন ফেরিওয়ালারা। গান গেয়ে গেয়ে আচার বিক্রি করতেন একজন বয়াতি। পরবর্তীকালে দেশজোড়া খ্যাতি হয় তাঁর। রেডিও-টেলিভিশনে গান করতেন। মঞ্চ অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনতে হাজার হাজার শ্রোতা জড়ো হতেন। তাঁর নামটা আমি ইচ্ছা করেই বলছি না। আমার সঙ্গে একবার ফোবানা সম্মেলনে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।

গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে কত বন্ধুবান্ধব। তারা প্রায় সবাই গেন্ডারিয়াতে থাকে। শুধু মোহাম্মদ আলী বা বুলু থাকে শ্যামপুরে। রেললাইনের ধারে ওদের বাড়ি। আমরা দলবেঁধে সেই বাড়িতে যেতাম। আমাদের প্রধান আড্ডা ছিল মানবেন্দ্রদের বাড়িতে। সাধনার ঠিক উল্টো দিকে বিশাল বাড়ি ওদের। গেন্ডারিয়া এলাকার পুরনো বাড়িগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ সালের দিকে। গেন্ডারিয়া এলাকার দশ-এগারোটা বাড়িতে পর্যায়ক্রমে ভাড়ায় থেকেছি আমরা। ফেরদৌস ওয়াহিদদের বাড়িতে থেকেছি। সেই বাড়িও রজনী চৌধুরী রোডেই। তার আগে থেকেছি রজনী চৌধুরী রোডের আরেকটি বাড়িতে। বাড়ির নম্বরটি আমার এখনো মনে আছে ১৪/১/এ। এই বাড়িটায় স্বাধীনতার আগে কিছুদিন থেকেছি, সুন্দর চৌচালা একটা টিনের ঘরে। স্বাধীনতার পর থেকেছি একতলা দালানটিতে। এই বাড়ির ঠিক উল্টো দিকের বাড়িটি ছিল বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হামিদ ভাইদের। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যে টিনের ঘরটিতে আমরা থাকতাম, সেই ঘরে ষাটের দশকের শুরুর দিককার কয়েক বছর মা-বাবা ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি আবুল হাসান। এই বাড়ি থেকেই শুরু হয়েছিল আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই দিনটি আজও পরিষ্কার দেখতে পাই। প্রথম গল্পটি লিখে খামে ভরেছি। দুপুরের দিকে ধূপখোলা মাঠ পেরিয়ে উত্তর পাশে যাচ্ছি। সেখানে নতুন পোস্ট অফিস হয়েছে। পোস্ট অফিসে গিয়ে খামে স্ট্যাম্প লাগিয়ে পোস্ট বক্সে ফেলে দিয়েছি। পরের সপ্তাহেই পূর্বদেশ পত্রিকার চাঁদের হাট-এর পাতায় সেই গল্প ছাপা হলো। সদ্য যুবক হয়ে ওঠা একটি ছেলের জীবন নতুন দিকে বাঁক নিল। সেসব দিনে একা একা হাঁটতে হাঁটতে কোনো কোনো বিকেলে চলে গেছি গেন্ডারিয়া স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব পাশে রেললাইনের ধারে বেশ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ। তার তলায় বাঁধানো বেঞ্চ। উদাস হয়ে সেই বেঞ্চে বসে নিজের জীবনের কথা ভেবেছি। এখনো মাঝে মাঝে সেসব বিকেলের কথা মনে পড়ে। যেন এখনো স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া তলার বেঞ্চে বসে আছি। হয়তো বা জীবনের রেলগাড়িটির জন্য অপেক্ষা করছি। কু ঝিকঝিক করে বহু দূর থেকে আসবে এক আলোকিত রেলগাড়ি। সেই গাড়িতে চড়ে আমি যেন চলে যাব স্বপ্নের এক জগতে।

লেখক : কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা
যুক্তরাষ্ট্র সফরে সৌদি যুবরাজ সালমান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নিয়ে আলোচনা

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প
সৌদিকে এফ-৩৫ দিতে রাজি ট্রাম্প

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!
প্লাস্টিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের সর্বনাশ!

৪৯ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?
রাগে ফেটে পড়লেই কি কমে ক্রোধ?

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক
হাসিনার পক্ষে স্ট্যাটাস, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্টার আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ
ধানের শীষে ভোট চেয়ে কাজী আলাউদ্দিনের গণ সংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?
ফ্রান্সের কাছে ১০০ রাফাল চায় ইউক্রেন, এই যুদ্ধবিমানের বিশেষত্ব কী?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান
মাত্র ১৮ আলোকবর্ষ দূরে বাসযোগ্য অঞ্চলে গ্রহের সন্ধান

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?
আসলে কে ভিক্টোরিয়া ফলস আবিষ্কার করেছিল?

৪ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!
গাছে চড়ে শিকার ধরত প্রাগৈতিহাসিক কুমির!

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম
অ্যাটকোর মহাসচিব হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়
ইরানের হুঁশিয়ারি, চাপের কাছে নতি নয়

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫
ওমরাহযাত্রীদের বাস দুর্ঘটনা : নিহত বেড়ে ৪৫

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?
মহাকাশে আধিপত্য বিস্তার, পরিণতি কি?

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ
চাকরি স্থায়ীকরণ দাবি করায় বিদায়ী প্রশাসকের বিরুদ্ধে ‌‘গুলি করার হুমকি’র অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল
হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক
সাহস থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন : ফারুক

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা
কেরানীগঞ্জে যুবকের আত্মহত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় অভিবাসী নৌকাডুবি: ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা
যে কারণে আপিল করতে পারবেন না হাসিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ
অগ্নিসন্ত্রাসের জনক একজনই: সোহেল তাজ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার
ধানমন্ডি ৩২-এ নেওয়া হচ্ছে দুটি বুলডোজার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে
ট্রাইব্যুনালে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়া চলছে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী
মক্কা-মদিনা রুটে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত অন্তত ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি,
মুখোমুখি ভারত-চীন
১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানঘাঁটি, মুখোমুখি ভারত-চীন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ
হাজার বার ফাঁসি দিলেও হাসিনার জন্য তা কম হবে: স্নিগ্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে ৫ অভিযোগ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সাবেক আইজিপি মামুনকে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর
শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করলেন চিফ প্রসিকিউটর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা নিয়ে মনস্থির করে ফেলেছি: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার
মহেশ বাবু–রাজামৌলির ‘বারাণসী’র চোখ ধাঁধানো টিজার

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন
মামলা নিয়ে মুখ খুললেন মেহজাবীন

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন
টিএসসিতে হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচারের আয়োজন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত বিজরী...
উচ্ছ্বসিত বিজরী...

শোবিজ

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস
রায়ে ছাত্র-জনতার উল্লাস

প্রথম পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন

সম্পাদকীয়

মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ
মন্দায়ও বেড়েছে ভোক্তা ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত
আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে : জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র বিক্রি করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

শিল্প বাণিজ্য

ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০টি রাফাল যুদ্ধবিমান দিচ্ছে ফ্রান্স

পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং
ইরানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে ক্লাউড সিডিং

পূর্ব-পশ্চিম