শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

পুরনো সেই দিনের কথা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
পুরনো সেই দিনের কথা

পাবনায় আমার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুচিত্রা সেনের বাড়ি। সেই বাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে বারবারই শিহরিত হচ্ছিলাম। ৬৫ সালের আগপর্যন্ত তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমাগুলো আসত। সেই ছেলেবেলায় মা-বাবার সঙ্গে হলে গিয়ে সুচিত্রা-উত্তমের সিনেমা দেখেছি। সুচিত্রা-উত্তম বাঙালির সবসময়কার প্রিয় জুটি। পুরুষরা পাগল ছিলেন সুচিত্রার জন্য। নারীরা উত্তমের জন্য। এত জনপ্রিয় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে কখনো হয়নি আর হবেও না। সুচিত্রা সেনদের পাবনার বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আমার মনে পড়েছিল সবার উপরে সিনেমাটির কথা। একটি দৃশ্যে চাঁদনি রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সুচিত্রা সেন গাইছেন, জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া। পাবনার যে রিসোর্টে উঠেছিলাম তার নাম রূপকথা। ভারি মনোরম পরিবেশ ইকো রিসোর্টটির। স্বত্বাধিকারী সোহানী হোসেন একজন লেখক ও সংগীতশিল্পী। অত্যন্ত রুচিশীল মানুষ। এই রিসোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি কটেজ ও কামরার আলাদা করে নাম আছে। প্রতিটি নামই সুচিত্রা সেন অভিনীত এক একটি সিনেমার নাম। আমি যে কামরাটিতে ছিলাম তার নাম সবার উপরে। ঢাকায় ফিরে খুব ইচ্ছে হলো সুচিত্রা সেনের সিনেমাগুলো আবার দেখি। ইউটিউবে তাঁর যত ছবি পাওয়া গেল মন্ত্রমুগ্ধের মতো সব দেখলাম। শতভাগ বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ছিল এই নায়িকার মধ্যে। অভিনয় দক্ষতার কোনো তুলনা হয় না। ভাবতে ভালো লেগেছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমাদের গেন্ডারিয়ার একটি সম্পর্ক আছে। গেন্ডারিয়া এলাকার বিখ্যাত দীননাথ সেন রোড যাঁর নামে- সেই দীননাথ সেন সুচিত্রা সেনের শ্বশুর। দীননাথ সেনের পুত্র ব্যারিস্টার দিবানাথ সেন সুচিত্রা সেনের স্বামী। দীননাথ সেন মানিকগঞ্জের লোক। তাঁর আরেক পুত্র আদিনাথ সেন তিন খণ্ডে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তাঁর পিতাকে নিয়ে। গ্রন্থের নাম দীননাথ সেন ও তৎকালীন পূর্ববঙ্গ

কিংবদন্তির ঢাকার শ্রদ্ধেয় লেখক নাজির হোসেন ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে গেন্ডারিয়া ও দীননাথ সেন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাটি ছিল জঙ্গল। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ধ্যান করার জন্য জঙ্গলেই একটি আশ্রম তৈরি করেছিলেন। তখন ও তার পরের বেশ কিছু বছর এলাকাটির নাম ছিল বাঘাবাড়ী। মুনতাসীর মামুনের মতে হয়তো এখানে বাঘও থাকত। এলাকায় প্রচুর আখ হতো। স্থানীয় ভাষায় আখকে বলে গেন্ডারি। গেন্ডারি থেকেই গেন্ডারিয়া নামের উৎপত্তি এ কথা নাজির হোসেন সাহেব ও মুনতাসীর মামুন দুজনেই বলেছেন। আজকের যে গেন্ডারিয়া এই গেন্ডারিয়ার গোড়াপত্তন করেছিলেন দীননাথ সেন। তিনি ছিলেন তখনকার পূর্ববঙ্গের স্কুলসমূহের ডেপুটি ইন্সপেক্টর। তখনকার ঢাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী নাগরিক। দূরদর্শী। অনুভব করেছিলেন দিনে দিনে ঢাকা শহর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এই কারণে ঢাকার আরও দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে গেন্ডারিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল কিনেছিলেন। তাঁদের একজন আনন্দচন্দ্র রায়। পেশায় উকিল। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। অন্যজন রজনীকান্ত চৌধুরী। এই ভদ্রলোকের নামেও গেন্ডারিয়াতে একটি রাস্তা আছে। রজনী চৌধুরী রোড। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, আনন্দচন্দ্র রায় গেন্ডারিয়া ছেড়ে পরে কাকরাইলে অনেক জমি কিনেন। রজনীকান্ত চৌধুরীও গেন্ডারিয়াতে থাকেননি। এলাকায় একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন। শুধু দীননাথ সেনই গেন্ডারিয়াতে থাকার জন্য বাড়ি করেছিলেন। সতেরো বিঘার ওপর। তারপর তিনি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের গেন্ডারিয়াতে বাড়ি করার উৎসাহ দেন। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তাঁরই চেষ্টায় ধীরে ধীরে গেন্ডারিয়া পরিণত হয়েছিল শহরের মধ্যশ্রেণির আবাসিক এলাকা হিসেবে। গেন্ডারিয়া তখন পরিচিত ছিল দোলাইগঞ্জ হিসেবে। পুরান ঢাকার একরামপুর এলাকায় ছেলেবেলার অনেকগুলো বছর কেটেছে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য লেখক সমরেশ বসুর। তাঁর লেখায় দোলাইগঞ্জ-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গেন্ডারিয়া গড়ে উঠেছিল মূলত দীননাথ সেন রোড ঘিরে। উত্তরে ধূপখোলা মাঠের কোনা থেকে সোজা দক্ষিণে চলে গেছে দীননাথ সেন রোড। তার ডান-বাঁ পাশে এই রোডের বেশ কয়েকটি গলি। সাধনার মোড় থেকে পশ্চিমে প্রায় লোহারপুল পর্যন্ত রজনী চৌধুরী রোড। রজনীকান্ত চৌধুরীর বাগানবাড়িটি ছিল রোডের মাঝামাঝি দক্ষিণের শেষ প্রান্তে। সেই জায়গাটিকে এখন বলা হয় বাগিচা

দীননাথ সেন রোডেই ধূপখোলা মাঠের কাছাকাছি গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি। এই সংগঠনটি ভারতবর্ষের প্রথম নারী সংগঠন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সভানেত্রী ছিলেন বিপ্লবী আশালতা সেন। তিনি বাংলাসাহিত্যের এক বিখ্যাত কবি সমর সেনের মা। কলকাতার দাঙ্গায় নিহত মুসলমানদের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য গঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর এই সংগঠনের একটি শাখা খোলা হয় গেন্ডারিয়ায়। লোহারপুলের কাছাকাছি জায়গায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামগেন্ডারিয়া মহিলা সমিতির কার্যালয় এখনো আছে দীননাথ সেন রোডে। শিশুদের স্কুল, নারীদের নানা রকমের হাতের কাজ শেখানো হয় মহিলা সমিতিতে। আর আছে বিখ্যাত সীমান্ত গ্রন্থাগার। আমার জন্মের বছর ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাঠাগারটি। আমার কৈশর আর প্রথম যৌবনের বহু বিকেল কেটেছে সীমান্ত গ্রন্থাগারে বই পড়ে। এই পাঠাগারটি না থাকলে আমার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না। কী সুন্দর পরিবেশে ছিল পাঠাগারটির। রাস্তার ধারে টিনের চৌচালা সুন্দর ঘর। ডান পাশে সবুজ ঘাসে ভরা চমৎকার একখানি মাঠ। এই মাঠে মঞ্চ তৈরি করে স্বাধীনতার পর, ৭২ সালের শেষদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এক বিকেলে নিয়ে এসেছিলাম আমি ও আমার বন্ধু কামাল। এই দুরূহ কাজটি সম্ভব হয়েছিল কবির নাতনি খিলখিল কাজীর সহযোগিতায়। গেন্ডারিয়ার শত শত মানুষ এসেছিলেন কবিকে একপলক দেখতে। তিনি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে মঞ্চে বসে আছেন। বাকরুদ্ধ। পাশে বসে আছেন খিলখিল। সারাক্ষণ কবিকে আগলে রাখছেন। গেন্ডারিয়ার শ্রদ্ধেয়জনেরা এই মহান কবিকে নিয়ে কথা বলছেন। এত বড় গৌরবের ঘটনা আমার জীবনে আর নেই। খিলখিলের সঙ্গে আমিও বিদ্র্রোহী কবিকে জড়িয়ে ধরে মঞ্চে নিয়ে বসিয়েছিলাম। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে।

সীমান্ত গ্রন্থাগারের আশপাশে টিনের চৌচালা ঘরের বাড়ি। প্রত্যেক বাড়িতে প্রচুর গাছ। পুরনো দালান বাড়ি আছে অনেক। কিছু নতুন বাড়িও তৈরি হয়েছে। বসবাসের জন্য গেন্ডারিয়া তখন অতি আদর্শ এলাকা। কত পুকুর গেন্ডারিয়াতে। মাঠ, স্কুল, পাঠাগার, ইস্ট এন্ড ক্লাব। সারা বছরই নানা রকমের আনন্দ উৎসব। সেই গেন্ডারিয়া আজও আমার চোখজুড়ে। শোনা যায়, একবার এক ইংরেজ পর্যটক ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন গেন্ডারিয়ায়। গেন্ডারিয়ার স্নিগ্ধ সুন্দর পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ গলায় বলেছিলেন, হোয়াট এ গ্র্যান্ড এরিয়া। অনেকে মনে করেন এই গ্র্যান্ড এরিয়া কথাটা থেকেই গেন্ডারিয়া নামকরণ হয়েছে। তবে গেন্ডারিয়া সত্যি সত্যিই গ্র্যান্ড এরিয়াই ছিল।

পৃথিবী বিখ্যাত আয়ুর্বেদীয় ঔষধালয়ের মূল কারখানা গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে। প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষ। কারখানার আশপাশে সারাক্ষণ ভাসে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের গন্ধ। মিউনিসিপ্যাল কমিটির নিজস্ব গরুগুলোর কোমরের কাছে ডিএমসি লেখা সিল মারা। ডিএমসি কথাটার মানে হচ্ছে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি। মিউনিসিপ্যালটির নিজস্ব গরুর গাড়ি ছিল অনেক। গাড়িটানার কাজ শেষ হলে ধূপখোলা মাঠে গরুগুলো ছেড়ে দেওয়া হতো। সেসব গরু সাধনা ঔষধালয়ের পাশের ড্রেনে এসে মুখ দিত। সেই ড্রেনে কারখানার ভিতর থেকে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের অপ্রয়োজনীয় তরল এসে পড়ছে। কিছুটা উষ্ণ। ধোঁয়া উড়ছে। গরুগুলো মুখ ডুবিয়ে সেই তরল পান করত। কী স্বাস্থ্য এক একটার! কারখানার ছাদে বিস্তর বানর থাকত। যোগেশবাবু নিয়ম করে তাদের খাবার দিতেন। ৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে যোগেশবাবুকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা।

আমাদের সেই সময়কার গেন্ডারিয়াতে কত বিখ্যাত মানুষ বাস করতেন। লেখক শিল্পী অভিনেতা অভিনেত্রী। গুণীজন অনেক। কাঠেরপুলটা হচ্ছে ডিস্টিলারি রোডে। তার পাশেই ভাটিখানা। উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে যে রাস্তাটি তার শেষ মাথায় লোহারপুল। উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য এগোলেই হাতের বাঁ-দিকে ঢুকে গেছে একটা গলি। গলিটার নাম সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢুকেছে। গলিতে দক্ষিণমুখী সুন্দর একটি দোতলা বাড়ি। গেটের কাছে কয়েকটা গাছ। বড় একটা নিমগাছ ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তিন বিখ্যাত নায়িকার পৈতৃক বাড়ি। সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। এক বাড়ির তিন মেয়েই বিখ্যাত নায়িকা, এমন ইতিহাস পৃথিবীর আর কোনো পরিবারের আছে কি না, আমি জানি না। সুচন্দা বিখ্যাত ছিলেন তাঁর চোখের জন্য। বড় বড় সুন্দর চোখের জন্য তিনি আলাদাভাবে চলচ্চিত্র দর্শকদের প্রিয় ছিলেন। ববিতার ডাকনাম পপি। মণিজা রহমান গার্লস স্কুলে পড়তেন। চম্পাও পড়তেন একই স্কুলে। বাসন্তী গুহঠাকুরতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যতদূর জানি, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানাও একসময় একই স্কুলে পড়তেন। তখন তাঁর নাম ছিল রত্না। আরেকজন বিখ্যাত নায়কের বাড়ি দীননাথ সেন রোডে। তাঁর নাম শওকত আকবর। অত্যন্ত সুদর্শন ও সুপুরুষ। তাঁর পিতা ছিলেন গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক। আমাদের কত প্রিয় শিক্ষক সেই স্কুলে। হেড স্যারের নাম সুধীর চৌধুরী। অত্যন্ত গুরুগম্ভীর মানুষ। বিশাল পণ্ডিত। তাঁর একটি বিখ্যাত ইংরেজি গ্রামার বই ছিল। নিজের চেয়ারে গম্ভীর মুখে বসে থাকতেন। সেভেন আপ ছিল তাঁর প্রিয় পানীয়। কেরানি স্যার বসতেন তাঁর অদূরে ছোট একটা টেবিলে। তাঁর ঠোঁটের কাছে শ্বেতির দাগ ছিল। কেরানি স্যারের কাছে কাজে গেলে আড়চোখে হেড স্যারের দিকে তাকাতাম। টেবিলের ওপর ঠিকই তাঁর হাতের কাছে সেভেন আপের সবুজ বোতলটা দেখা যেত। দপ্তরি ছিলেন শাহজাহান। নজরুল স্যার, দুজন রহমান স্যার। এ রহমান ও বি রহমান। ফখরুল স্যার বিজ্ঞান পড়াতেন। রউফ স্যার ওপরের ক্লাসে পড়াতেন ইংরেজি। আর আমাদের খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বুলেট স্যার। তাঁর আসল নাম ভুলেই গেছি। আমার মতো গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের অনেক ছাত্রই বুলেট স্যারের আসল নাম মনে করতে পারবে না। এই নামেই বিখ্যাত ছিলেন স্যার। আশু স্যার আর ফখরুল স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের সঙ্গে পড়ত হিরা। দীননাথ সেন রোডে ওদের বাড়ি। পোস্তগোলায় ওর বাবা সিনেমা হল নির্মাণ করলেন। ডায়না। হিরা আমাদের কখনো কখনো সেই হলে নিয়ে মাগনা সিনেমা দেখাত। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি বদল করে অনেকে চলে এসেছিলেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। সে রকম বহু পরিবার আছে গেন্ডারিয়াতে। তারা প্রায় সবাই অবস্থাপন্ন। রজনী চৌধুরী রোডে ছিল ওয়াহিদ কোম্পানির বাড়ি। ওয়াহিদ সাহেব বিক্রমপুরের মানুষ। লঞ্চের ব্যবসা ছিল তাঁর। বাড়িতে সারাক্ষণ গানবাজনা আনন্দ-উৎসব চলছে। এই বাড়ির ছেলে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর ছেলে হাবীব ওয়াহিদ এই প্রজন্মের ভীষণ জনপ্রিয় শিল্পী। ধূপখোলা মাঠের দক্ষিণ দিকটায় রাস্তার ধারে বিকেলবেলা চিনাবাদাম, আচার, ঝালমুড়ি, সোনপাপড়ি এসব নিয়ে বসতেন ফেরিওয়ালারা। গান গেয়ে গেয়ে আচার বিক্রি করতেন একজন বয়াতি। পরবর্তীকালে দেশজোড়া খ্যাতি হয় তাঁর। রেডিও-টেলিভিশনে গান করতেন। মঞ্চ অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনতে হাজার হাজার শ্রোতা জড়ো হতেন। তাঁর নামটা আমি ইচ্ছা করেই বলছি না। আমার সঙ্গে একবার ফোবানা সম্মেলনে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।

গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে কত বন্ধুবান্ধব। তারা প্রায় সবাই গেন্ডারিয়াতে থাকে। শুধু মোহাম্মদ আলী বা বুলু থাকে শ্যামপুরে। রেললাইনের ধারে ওদের বাড়ি। আমরা দলবেঁধে সেই বাড়িতে যেতাম। আমাদের প্রধান আড্ডা ছিল মানবেন্দ্রদের বাড়িতে। সাধনার ঠিক উল্টো দিকে বিশাল বাড়ি ওদের। গেন্ডারিয়া এলাকার পুরনো বাড়িগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ সালের দিকে। গেন্ডারিয়া এলাকার দশ-এগারোটা বাড়িতে পর্যায়ক্রমে ভাড়ায় থেকেছি আমরা। ফেরদৌস ওয়াহিদদের বাড়িতে থেকেছি। সেই বাড়িও রজনী চৌধুরী রোডেই। তার আগে থেকেছি রজনী চৌধুরী রোডের আরেকটি বাড়িতে। বাড়ির নম্বরটি আমার এখনো মনে আছে ১৪/১/এ। এই বাড়িটায় স্বাধীনতার আগে কিছুদিন থেকেছি, সুন্দর চৌচালা একটা টিনের ঘরে। স্বাধীনতার পর থেকেছি একতলা দালানটিতে। এই বাড়ির ঠিক উল্টো দিকের বাড়িটি ছিল বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হামিদ ভাইদের। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যে টিনের ঘরটিতে আমরা থাকতাম, সেই ঘরে ষাটের দশকের শুরুর দিককার কয়েক বছর মা-বাবা ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি আবুল হাসান। এই বাড়ি থেকেই শুরু হয়েছিল আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই দিনটি আজও পরিষ্কার দেখতে পাই। প্রথম গল্পটি লিখে খামে ভরেছি। দুপুরের দিকে ধূপখোলা মাঠ পেরিয়ে উত্তর পাশে যাচ্ছি। সেখানে নতুন পোস্ট অফিস হয়েছে। পোস্ট অফিসে গিয়ে খামে স্ট্যাম্প লাগিয়ে পোস্ট বক্সে ফেলে দিয়েছি। পরের সপ্তাহেই পূর্বদেশ পত্রিকার চাঁদের হাট-এর পাতায় সেই গল্প ছাপা হলো। সদ্য যুবক হয়ে ওঠা একটি ছেলের জীবন নতুন দিকে বাঁক নিল। সেসব দিনে একা একা হাঁটতে হাঁটতে কোনো কোনো বিকেলে চলে গেছি গেন্ডারিয়া স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব পাশে রেললাইনের ধারে বেশ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ। তার তলায় বাঁধানো বেঞ্চ। উদাস হয়ে সেই বেঞ্চে বসে নিজের জীবনের কথা ভেবেছি। এখনো মাঝে মাঝে সেসব বিকেলের কথা মনে পড়ে। যেন এখনো স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া তলার বেঞ্চে বসে আছি। হয়তো বা জীবনের রেলগাড়িটির জন্য অপেক্ষা করছি। কু ঝিকঝিক করে বহু দূর থেকে আসবে এক আলোকিত রেলগাড়ি। সেই গাড়িতে চড়ে আমি যেন চলে যাব স্বপ্নের এক জগতে।

লেখক : কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম