শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

পুরনো সেই দিনের কথা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
পুরনো সেই দিনের কথা

পাবনায় আমার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুচিত্রা সেনের বাড়ি। সেই বাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে বারবারই শিহরিত হচ্ছিলাম। ৬৫ সালের আগপর্যন্ত তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমাগুলো আসত। সেই ছেলেবেলায় মা-বাবার সঙ্গে হলে গিয়ে সুচিত্রা-উত্তমের সিনেমা দেখেছি। সুচিত্রা-উত্তম বাঙালির সবসময়কার প্রিয় জুটি। পুরুষরা পাগল ছিলেন সুচিত্রার জন্য। নারীরা উত্তমের জন্য। এত জনপ্রিয় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে কখনো হয়নি আর হবেও না। সুচিত্রা সেনদের পাবনার বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আমার মনে পড়েছিল সবার উপরে সিনেমাটির কথা। একটি দৃশ্যে চাঁদনি রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সুচিত্রা সেন গাইছেন, জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া। পাবনার যে রিসোর্টে উঠেছিলাম তার নাম রূপকথা। ভারি মনোরম পরিবেশ ইকো রিসোর্টটির। স্বত্বাধিকারী সোহানী হোসেন একজন লেখক ও সংগীতশিল্পী। অত্যন্ত রুচিশীল মানুষ। এই রিসোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি কটেজ ও কামরার আলাদা করে নাম আছে। প্রতিটি নামই সুচিত্রা সেন অভিনীত এক একটি সিনেমার নাম। আমি যে কামরাটিতে ছিলাম তার নাম সবার উপরে। ঢাকায় ফিরে খুব ইচ্ছে হলো সুচিত্রা সেনের সিনেমাগুলো আবার দেখি। ইউটিউবে তাঁর যত ছবি পাওয়া গেল মন্ত্রমুগ্ধের মতো সব দেখলাম। শতভাগ বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ছিল এই নায়িকার মধ্যে। অভিনয় দক্ষতার কোনো তুলনা হয় না। ভাবতে ভালো লেগেছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমাদের গেন্ডারিয়ার একটি সম্পর্ক আছে। গেন্ডারিয়া এলাকার বিখ্যাত দীননাথ সেন রোড যাঁর নামে- সেই দীননাথ সেন সুচিত্রা সেনের শ্বশুর। দীননাথ সেনের পুত্র ব্যারিস্টার দিবানাথ সেন সুচিত্রা সেনের স্বামী। দীননাথ সেন মানিকগঞ্জের লোক। তাঁর আরেক পুত্র আদিনাথ সেন তিন খণ্ডে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তাঁর পিতাকে নিয়ে। গ্রন্থের নাম দীননাথ সেন ও তৎকালীন পূর্ববঙ্গ

কিংবদন্তির ঢাকার শ্রদ্ধেয় লেখক নাজির হোসেন ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে গেন্ডারিয়া ও দীননাথ সেন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাটি ছিল জঙ্গল। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ধ্যান করার জন্য জঙ্গলেই একটি আশ্রম তৈরি করেছিলেন। তখন ও তার পরের বেশ কিছু বছর এলাকাটির নাম ছিল বাঘাবাড়ী। মুনতাসীর মামুনের মতে হয়তো এখানে বাঘও থাকত। এলাকায় প্রচুর আখ হতো। স্থানীয় ভাষায় আখকে বলে গেন্ডারি। গেন্ডারি থেকেই গেন্ডারিয়া নামের উৎপত্তি এ কথা নাজির হোসেন সাহেব ও মুনতাসীর মামুন দুজনেই বলেছেন। আজকের যে গেন্ডারিয়া এই গেন্ডারিয়ার গোড়াপত্তন করেছিলেন দীননাথ সেন। তিনি ছিলেন তখনকার পূর্ববঙ্গের স্কুলসমূহের ডেপুটি ইন্সপেক্টর। তখনকার ঢাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী নাগরিক। দূরদর্শী। অনুভব করেছিলেন দিনে দিনে ঢাকা শহর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এই কারণে ঢাকার আরও দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে গেন্ডারিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল কিনেছিলেন। তাঁদের একজন আনন্দচন্দ্র রায়। পেশায় উকিল। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। অন্যজন রজনীকান্ত চৌধুরী। এই ভদ্রলোকের নামেও গেন্ডারিয়াতে একটি রাস্তা আছে। রজনী চৌধুরী রোড। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, আনন্দচন্দ্র রায় গেন্ডারিয়া ছেড়ে পরে কাকরাইলে অনেক জমি কিনেন। রজনীকান্ত চৌধুরীও গেন্ডারিয়াতে থাকেননি। এলাকায় একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন। শুধু দীননাথ সেনই গেন্ডারিয়াতে থাকার জন্য বাড়ি করেছিলেন। সতেরো বিঘার ওপর। তারপর তিনি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের গেন্ডারিয়াতে বাড়ি করার উৎসাহ দেন। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তাঁরই চেষ্টায় ধীরে ধীরে গেন্ডারিয়া পরিণত হয়েছিল শহরের মধ্যশ্রেণির আবাসিক এলাকা হিসেবে। গেন্ডারিয়া তখন পরিচিত ছিল দোলাইগঞ্জ হিসেবে। পুরান ঢাকার একরামপুর এলাকায় ছেলেবেলার অনেকগুলো বছর কেটেছে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য লেখক সমরেশ বসুর। তাঁর লেখায় দোলাইগঞ্জ-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গেন্ডারিয়া গড়ে উঠেছিল মূলত দীননাথ সেন রোড ঘিরে। উত্তরে ধূপখোলা মাঠের কোনা থেকে সোজা দক্ষিণে চলে গেছে দীননাথ সেন রোড। তার ডান-বাঁ পাশে এই রোডের বেশ কয়েকটি গলি। সাধনার মোড় থেকে পশ্চিমে প্রায় লোহারপুল পর্যন্ত রজনী চৌধুরী রোড। রজনীকান্ত চৌধুরীর বাগানবাড়িটি ছিল রোডের মাঝামাঝি দক্ষিণের শেষ প্রান্তে। সেই জায়গাটিকে এখন বলা হয় বাগিচা

দীননাথ সেন রোডেই ধূপখোলা মাঠের কাছাকাছি গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি। এই সংগঠনটি ভারতবর্ষের প্রথম নারী সংগঠন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সভানেত্রী ছিলেন বিপ্লবী আশালতা সেন। তিনি বাংলাসাহিত্যের এক বিখ্যাত কবি সমর সেনের মা। কলকাতার দাঙ্গায় নিহত মুসলমানদের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য গঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর এই সংগঠনের একটি শাখা খোলা হয় গেন্ডারিয়ায়। লোহারপুলের কাছাকাছি জায়গায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামগেন্ডারিয়া মহিলা সমিতির কার্যালয় এখনো আছে দীননাথ সেন রোডে। শিশুদের স্কুল, নারীদের নানা রকমের হাতের কাজ শেখানো হয় মহিলা সমিতিতে। আর আছে বিখ্যাত সীমান্ত গ্রন্থাগার। আমার জন্মের বছর ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাঠাগারটি। আমার কৈশর আর প্রথম যৌবনের বহু বিকেল কেটেছে সীমান্ত গ্রন্থাগারে বই পড়ে। এই পাঠাগারটি না থাকলে আমার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না। কী সুন্দর পরিবেশে ছিল পাঠাগারটির। রাস্তার ধারে টিনের চৌচালা সুন্দর ঘর। ডান পাশে সবুজ ঘাসে ভরা চমৎকার একখানি মাঠ। এই মাঠে মঞ্চ তৈরি করে স্বাধীনতার পর, ৭২ সালের শেষদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এক বিকেলে নিয়ে এসেছিলাম আমি ও আমার বন্ধু কামাল। এই দুরূহ কাজটি সম্ভব হয়েছিল কবির নাতনি খিলখিল কাজীর সহযোগিতায়। গেন্ডারিয়ার শত শত মানুষ এসেছিলেন কবিকে একপলক দেখতে। তিনি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে মঞ্চে বসে আছেন। বাকরুদ্ধ। পাশে বসে আছেন খিলখিল। সারাক্ষণ কবিকে আগলে রাখছেন। গেন্ডারিয়ার শ্রদ্ধেয়জনেরা এই মহান কবিকে নিয়ে কথা বলছেন। এত বড় গৌরবের ঘটনা আমার জীবনে আর নেই। খিলখিলের সঙ্গে আমিও বিদ্র্রোহী কবিকে জড়িয়ে ধরে মঞ্চে নিয়ে বসিয়েছিলাম। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে।

সীমান্ত গ্রন্থাগারের আশপাশে টিনের চৌচালা ঘরের বাড়ি। প্রত্যেক বাড়িতে প্রচুর গাছ। পুরনো দালান বাড়ি আছে অনেক। কিছু নতুন বাড়িও তৈরি হয়েছে। বসবাসের জন্য গেন্ডারিয়া তখন অতি আদর্শ এলাকা। কত পুকুর গেন্ডারিয়াতে। মাঠ, স্কুল, পাঠাগার, ইস্ট এন্ড ক্লাব। সারা বছরই নানা রকমের আনন্দ উৎসব। সেই গেন্ডারিয়া আজও আমার চোখজুড়ে। শোনা যায়, একবার এক ইংরেজ পর্যটক ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন গেন্ডারিয়ায়। গেন্ডারিয়ার স্নিগ্ধ সুন্দর পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ গলায় বলেছিলেন, হোয়াট এ গ্র্যান্ড এরিয়া। অনেকে মনে করেন এই গ্র্যান্ড এরিয়া কথাটা থেকেই গেন্ডারিয়া নামকরণ হয়েছে। তবে গেন্ডারিয়া সত্যি সত্যিই গ্র্যান্ড এরিয়াই ছিল।

পৃথিবী বিখ্যাত আয়ুর্বেদীয় ঔষধালয়ের মূল কারখানা গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে। প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষ। কারখানার আশপাশে সারাক্ষণ ভাসে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের গন্ধ। মিউনিসিপ্যাল কমিটির নিজস্ব গরুগুলোর কোমরের কাছে ডিএমসি লেখা সিল মারা। ডিএমসি কথাটার মানে হচ্ছে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি। মিউনিসিপ্যালটির নিজস্ব গরুর গাড়ি ছিল অনেক। গাড়িটানার কাজ শেষ হলে ধূপখোলা মাঠে গরুগুলো ছেড়ে দেওয়া হতো। সেসব গরু সাধনা ঔষধালয়ের পাশের ড্রেনে এসে মুখ দিত। সেই ড্রেনে কারখানার ভিতর থেকে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের অপ্রয়োজনীয় তরল এসে পড়ছে। কিছুটা উষ্ণ। ধোঁয়া উড়ছে। গরুগুলো মুখ ডুবিয়ে সেই তরল পান করত। কী স্বাস্থ্য এক একটার! কারখানার ছাদে বিস্তর বানর থাকত। যোগেশবাবু নিয়ম করে তাদের খাবার দিতেন। ৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে যোগেশবাবুকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা।

আমাদের সেই সময়কার গেন্ডারিয়াতে কত বিখ্যাত মানুষ বাস করতেন। লেখক শিল্পী অভিনেতা অভিনেত্রী। গুণীজন অনেক। কাঠেরপুলটা হচ্ছে ডিস্টিলারি রোডে। তার পাশেই ভাটিখানা। উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে যে রাস্তাটি তার শেষ মাথায় লোহারপুল। উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য এগোলেই হাতের বাঁ-দিকে ঢুকে গেছে একটা গলি। গলিটার নাম সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢুকেছে। গলিতে দক্ষিণমুখী সুন্দর একটি দোতলা বাড়ি। গেটের কাছে কয়েকটা গাছ। বড় একটা নিমগাছ ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তিন বিখ্যাত নায়িকার পৈতৃক বাড়ি। সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। এক বাড়ির তিন মেয়েই বিখ্যাত নায়িকা, এমন ইতিহাস পৃথিবীর আর কোনো পরিবারের আছে কি না, আমি জানি না। সুচন্দা বিখ্যাত ছিলেন তাঁর চোখের জন্য। বড় বড় সুন্দর চোখের জন্য তিনি আলাদাভাবে চলচ্চিত্র দর্শকদের প্রিয় ছিলেন। ববিতার ডাকনাম পপি। মণিজা রহমান গার্লস স্কুলে পড়তেন। চম্পাও পড়তেন একই স্কুলে। বাসন্তী গুহঠাকুরতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যতদূর জানি, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানাও একসময় একই স্কুলে পড়তেন। তখন তাঁর নাম ছিল রত্না। আরেকজন বিখ্যাত নায়কের বাড়ি দীননাথ সেন রোডে। তাঁর নাম শওকত আকবর। অত্যন্ত সুদর্শন ও সুপুরুষ। তাঁর পিতা ছিলেন গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক। আমাদের কত প্রিয় শিক্ষক সেই স্কুলে। হেড স্যারের নাম সুধীর চৌধুরী। অত্যন্ত গুরুগম্ভীর মানুষ। বিশাল পণ্ডিত। তাঁর একটি বিখ্যাত ইংরেজি গ্রামার বই ছিল। নিজের চেয়ারে গম্ভীর মুখে বসে থাকতেন। সেভেন আপ ছিল তাঁর প্রিয় পানীয়। কেরানি স্যার বসতেন তাঁর অদূরে ছোট একটা টেবিলে। তাঁর ঠোঁটের কাছে শ্বেতির দাগ ছিল। কেরানি স্যারের কাছে কাজে গেলে আড়চোখে হেড স্যারের দিকে তাকাতাম। টেবিলের ওপর ঠিকই তাঁর হাতের কাছে সেভেন আপের সবুজ বোতলটা দেখা যেত। দপ্তরি ছিলেন শাহজাহান। নজরুল স্যার, দুজন রহমান স্যার। এ রহমান ও বি রহমান। ফখরুল স্যার বিজ্ঞান পড়াতেন। রউফ স্যার ওপরের ক্লাসে পড়াতেন ইংরেজি। আর আমাদের খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বুলেট স্যার। তাঁর আসল নাম ভুলেই গেছি। আমার মতো গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের অনেক ছাত্রই বুলেট স্যারের আসল নাম মনে করতে পারবে না। এই নামেই বিখ্যাত ছিলেন স্যার। আশু স্যার আর ফখরুল স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের সঙ্গে পড়ত হিরা। দীননাথ সেন রোডে ওদের বাড়ি। পোস্তগোলায় ওর বাবা সিনেমা হল নির্মাণ করলেন। ডায়না। হিরা আমাদের কখনো কখনো সেই হলে নিয়ে মাগনা সিনেমা দেখাত। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি বদল করে অনেকে চলে এসেছিলেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। সে রকম বহু পরিবার আছে গেন্ডারিয়াতে। তারা প্রায় সবাই অবস্থাপন্ন। রজনী চৌধুরী রোডে ছিল ওয়াহিদ কোম্পানির বাড়ি। ওয়াহিদ সাহেব বিক্রমপুরের মানুষ। লঞ্চের ব্যবসা ছিল তাঁর। বাড়িতে সারাক্ষণ গানবাজনা আনন্দ-উৎসব চলছে। এই বাড়ির ছেলে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর ছেলে হাবীব ওয়াহিদ এই প্রজন্মের ভীষণ জনপ্রিয় শিল্পী। ধূপখোলা মাঠের দক্ষিণ দিকটায় রাস্তার ধারে বিকেলবেলা চিনাবাদাম, আচার, ঝালমুড়ি, সোনপাপড়ি এসব নিয়ে বসতেন ফেরিওয়ালারা। গান গেয়ে গেয়ে আচার বিক্রি করতেন একজন বয়াতি। পরবর্তীকালে দেশজোড়া খ্যাতি হয় তাঁর। রেডিও-টেলিভিশনে গান করতেন। মঞ্চ অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনতে হাজার হাজার শ্রোতা জড়ো হতেন। তাঁর নামটা আমি ইচ্ছা করেই বলছি না। আমার সঙ্গে একবার ফোবানা সম্মেলনে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।

গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে কত বন্ধুবান্ধব। তারা প্রায় সবাই গেন্ডারিয়াতে থাকে। শুধু মোহাম্মদ আলী বা বুলু থাকে শ্যামপুরে। রেললাইনের ধারে ওদের বাড়ি। আমরা দলবেঁধে সেই বাড়িতে যেতাম। আমাদের প্রধান আড্ডা ছিল মানবেন্দ্রদের বাড়িতে। সাধনার ঠিক উল্টো দিকে বিশাল বাড়ি ওদের। গেন্ডারিয়া এলাকার পুরনো বাড়িগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ সালের দিকে। গেন্ডারিয়া এলাকার দশ-এগারোটা বাড়িতে পর্যায়ক্রমে ভাড়ায় থেকেছি আমরা। ফেরদৌস ওয়াহিদদের বাড়িতে থেকেছি। সেই বাড়িও রজনী চৌধুরী রোডেই। তার আগে থেকেছি রজনী চৌধুরী রোডের আরেকটি বাড়িতে। বাড়ির নম্বরটি আমার এখনো মনে আছে ১৪/১/এ। এই বাড়িটায় স্বাধীনতার আগে কিছুদিন থেকেছি, সুন্দর চৌচালা একটা টিনের ঘরে। স্বাধীনতার পর থেকেছি একতলা দালানটিতে। এই বাড়ির ঠিক উল্টো দিকের বাড়িটি ছিল বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হামিদ ভাইদের। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যে টিনের ঘরটিতে আমরা থাকতাম, সেই ঘরে ষাটের দশকের শুরুর দিককার কয়েক বছর মা-বাবা ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি আবুল হাসান। এই বাড়ি থেকেই শুরু হয়েছিল আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই দিনটি আজও পরিষ্কার দেখতে পাই। প্রথম গল্পটি লিখে খামে ভরেছি। দুপুরের দিকে ধূপখোলা মাঠ পেরিয়ে উত্তর পাশে যাচ্ছি। সেখানে নতুন পোস্ট অফিস হয়েছে। পোস্ট অফিসে গিয়ে খামে স্ট্যাম্প লাগিয়ে পোস্ট বক্সে ফেলে দিয়েছি। পরের সপ্তাহেই পূর্বদেশ পত্রিকার চাঁদের হাট-এর পাতায় সেই গল্প ছাপা হলো। সদ্য যুবক হয়ে ওঠা একটি ছেলের জীবন নতুন দিকে বাঁক নিল। সেসব দিনে একা একা হাঁটতে হাঁটতে কোনো কোনো বিকেলে চলে গেছি গেন্ডারিয়া স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব পাশে রেললাইনের ধারে বেশ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ। তার তলায় বাঁধানো বেঞ্চ। উদাস হয়ে সেই বেঞ্চে বসে নিজের জীবনের কথা ভেবেছি। এখনো মাঝে মাঝে সেসব বিকেলের কথা মনে পড়ে। যেন এখনো স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া তলার বেঞ্চে বসে আছি। হয়তো বা জীবনের রেলগাড়িটির জন্য অপেক্ষা করছি। কু ঝিকঝিক করে বহু দূর থেকে আসবে এক আলোকিত রেলগাড়ি। সেই গাড়িতে চড়ে আমি যেন চলে যাব স্বপ্নের এক জগতে।

লেখক : কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা