শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

পুরনো সেই দিনের কথা

ইমদাদুল হক মিলন
প্রিন্ট ভার্সন
পুরনো সেই দিনের কথা

পাবনায় আমার প্রধান আকর্ষণ ছিল সুচিত্রা সেনের বাড়ি। সেই বাড়ি ঘুরে দেখতে দেখতে বারবারই শিহরিত হচ্ছিলাম। ৬৫ সালের আগপর্যন্ত তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় সিনেমাগুলো আসত। সেই ছেলেবেলায় মা-বাবার সঙ্গে হলে গিয়ে সুচিত্রা-উত্তমের সিনেমা দেখেছি। সুচিত্রা-উত্তম বাঙালির সবসময়কার প্রিয় জুটি। পুরুষরা পাগল ছিলেন সুচিত্রার জন্য। নারীরা উত্তমের জন্য। এত জনপ্রিয় জুটি বাংলা চলচ্চিত্রে কখনো হয়নি আর হবেও না। সুচিত্রা সেনদের পাবনার বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আমার মনে পড়েছিল সবার উপরে সিনেমাটির কথা। একটি দৃশ্যে চাঁদনি রাতে বারান্দার দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সুচিত্রা সেন গাইছেন, জানি না ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া। পাবনার যে রিসোর্টে উঠেছিলাম তার নাম রূপকথা। ভারি মনোরম পরিবেশ ইকো রিসোর্টটির। স্বত্বাধিকারী সোহানী হোসেন একজন লেখক ও সংগীতশিল্পী। অত্যন্ত রুচিশীল মানুষ। এই রিসোর্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি কটেজ ও কামরার আলাদা করে নাম আছে। প্রতিটি নামই সুচিত্রা সেন অভিনীত এক একটি সিনেমার নাম। আমি যে কামরাটিতে ছিলাম তার নাম সবার উপরে। ঢাকায় ফিরে খুব ইচ্ছে হলো সুচিত্রা সেনের সিনেমাগুলো আবার দেখি। ইউটিউবে তাঁর যত ছবি পাওয়া গেল মন্ত্রমুগ্ধের মতো সব দেখলাম। শতভাগ বাঙালি নারীর সৌন্দর্য ছিল এই নায়িকার মধ্যে। অভিনয় দক্ষতার কোনো তুলনা হয় না। ভাবতে ভালো লেগেছিল সুচিত্রা সেনের সঙ্গে আমাদের গেন্ডারিয়ার একটি সম্পর্ক আছে। গেন্ডারিয়া এলাকার বিখ্যাত দীননাথ সেন রোড যাঁর নামে- সেই দীননাথ সেন সুচিত্রা সেনের শ্বশুর। দীননাথ সেনের পুত্র ব্যারিস্টার দিবানাথ সেন সুচিত্রা সেনের স্বামী। দীননাথ সেন মানিকগঞ্জের লোক। তাঁর আরেক পুত্র আদিনাথ সেন তিন খণ্ডে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন তাঁর পিতাকে নিয়ে। গ্রন্থের নাম দীননাথ সেন ও তৎকালীন পূর্ববঙ্গ

কিংবদন্তির ঢাকার শ্রদ্ধেয় লেখক নাজির হোসেন ও ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে গেন্ডারিয়া ও দীননাথ সেন সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাটি ছিল জঙ্গল। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় শ্রী বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ধ্যান করার জন্য জঙ্গলেই একটি আশ্রম তৈরি করেছিলেন। তখন ও তার পরের বেশ কিছু বছর এলাকাটির নাম ছিল বাঘাবাড়ী। মুনতাসীর মামুনের মতে হয়তো এখানে বাঘও থাকত। এলাকায় প্রচুর আখ হতো। স্থানীয় ভাষায় আখকে বলে গেন্ডারি। গেন্ডারি থেকেই গেন্ডারিয়া নামের উৎপত্তি এ কথা নাজির হোসেন সাহেব ও মুনতাসীর মামুন দুজনেই বলেছেন। আজকের যে গেন্ডারিয়া এই গেন্ডারিয়ার গোড়াপত্তন করেছিলেন দীননাথ সেন। তিনি ছিলেন তখনকার পূর্ববঙ্গের স্কুলসমূহের ডেপুটি ইন্সপেক্টর। তখনকার ঢাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী নাগরিক। দূরদর্শী। অনুভব করেছিলেন দিনে দিনে ঢাকা শহর বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এই কারণে ঢাকার আরও দুজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নিয়ে গেন্ডারিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল কিনেছিলেন। তাঁদের একজন আনন্দচন্দ্র রায়। পেশায় উকিল। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। অন্যজন রজনীকান্ত চৌধুরী। এই ভদ্রলোকের নামেও গেন্ডারিয়াতে একটি রাস্তা আছে। রজনী চৌধুরী রোড। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, আনন্দচন্দ্র রায় গেন্ডারিয়া ছেড়ে পরে কাকরাইলে অনেক জমি কিনেন। রজনীকান্ত চৌধুরীও গেন্ডারিয়াতে থাকেননি। এলাকায় একটি বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন। শুধু দীননাথ সেনই গেন্ডারিয়াতে থাকার জন্য বাড়ি করেছিলেন। সতেরো বিঘার ওপর। তারপর তিনি আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের গেন্ডারিয়াতে বাড়ি করার উৎসাহ দেন। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তাঁরই চেষ্টায় ধীরে ধীরে গেন্ডারিয়া পরিণত হয়েছিল শহরের মধ্যশ্রেণির আবাসিক এলাকা হিসেবে। গেন্ডারিয়া তখন পরিচিত ছিল দোলাইগঞ্জ হিসেবে। পুরান ঢাকার একরামপুর এলাকায় ছেলেবেলার অনেকগুলো বছর কেটেছে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য লেখক সমরেশ বসুর। তাঁর লেখায় দোলাইগঞ্জ-এর উল্লেখ পাওয়া যায়। গেন্ডারিয়া গড়ে উঠেছিল মূলত দীননাথ সেন রোড ঘিরে। উত্তরে ধূপখোলা মাঠের কোনা থেকে সোজা দক্ষিণে চলে গেছে দীননাথ সেন রোড। তার ডান-বাঁ পাশে এই রোডের বেশ কয়েকটি গলি। সাধনার মোড় থেকে পশ্চিমে প্রায় লোহারপুল পর্যন্ত রজনী চৌধুরী রোড। রজনীকান্ত চৌধুরীর বাগানবাড়িটি ছিল রোডের মাঝামাঝি দক্ষিণের শেষ প্রান্তে। সেই জায়গাটিকে এখন বলা হয় বাগিচা

দীননাথ সেন রোডেই ধূপখোলা মাঠের কাছাকাছি গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি। এই সংগঠনটি ভারতবর্ষের প্রথম নারী সংগঠন। ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সভানেত্রী ছিলেন বিপ্লবী আশালতা সেন। তিনি বাংলাসাহিত্যের এক বিখ্যাত কবি সমর সেনের মা। কলকাতার দাঙ্গায় নিহত মুসলমানদের বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য গঠিত হয়েছিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের পর এই সংগঠনের একটি শাখা খোলা হয় গেন্ডারিয়ায়। লোহারপুলের কাছাকাছি জায়গায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামগেন্ডারিয়া মহিলা সমিতির কার্যালয় এখনো আছে দীননাথ সেন রোডে। শিশুদের স্কুল, নারীদের নানা রকমের হাতের কাজ শেখানো হয় মহিলা সমিতিতে। আর আছে বিখ্যাত সীমান্ত গ্রন্থাগার। আমার জন্মের বছর ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাঠাগারটি। আমার কৈশর আর প্রথম যৌবনের বহু বিকেল কেটেছে সীমান্ত গ্রন্থাগারে বই পড়ে। এই পাঠাগারটি না থাকলে আমার হয়তো লেখক হওয়াই হতো না। কী সুন্দর পরিবেশে ছিল পাঠাগারটির। রাস্তার ধারে টিনের চৌচালা সুন্দর ঘর। ডান পাশে সবুজ ঘাসে ভরা চমৎকার একখানি মাঠ। এই মাঠে মঞ্চ তৈরি করে স্বাধীনতার পর, ৭২ সালের শেষদিকে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এক বিকেলে নিয়ে এসেছিলাম আমি ও আমার বন্ধু কামাল। এই দুরূহ কাজটি সম্ভব হয়েছিল কবির নাতনি খিলখিল কাজীর সহযোগিতায়। গেন্ডারিয়ার শত শত মানুষ এসেছিলেন কবিকে একপলক দেখতে। তিনি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে মঞ্চে বসে আছেন। বাকরুদ্ধ। পাশে বসে আছেন খিলখিল। সারাক্ষণ কবিকে আগলে রাখছেন। গেন্ডারিয়ার শ্রদ্ধেয়জনেরা এই মহান কবিকে নিয়ে কথা বলছেন। এত বড় গৌরবের ঘটনা আমার জীবনে আর নেই। খিলখিলের সঙ্গে আমিও বিদ্র্রোহী কবিকে জড়িয়ে ধরে মঞ্চে নিয়ে বসিয়েছিলাম। আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে।

সীমান্ত গ্রন্থাগারের আশপাশে টিনের চৌচালা ঘরের বাড়ি। প্রত্যেক বাড়িতে প্রচুর গাছ। পুরনো দালান বাড়ি আছে অনেক। কিছু নতুন বাড়িও তৈরি হয়েছে। বসবাসের জন্য গেন্ডারিয়া তখন অতি আদর্শ এলাকা। কত পুকুর গেন্ডারিয়াতে। মাঠ, স্কুল, পাঠাগার, ইস্ট এন্ড ক্লাব। সারা বছরই নানা রকমের আনন্দ উৎসব। সেই গেন্ডারিয়া আজও আমার চোখজুড়ে। শোনা যায়, একবার এক ইংরেজ পর্যটক ঘোড়ায় চড়ে এসেছিলেন গেন্ডারিয়ায়। গেন্ডারিয়ার স্নিগ্ধ সুন্দর পরিবেশ দেখে তিনি মুগ্ধ গলায় বলেছিলেন, হোয়াট এ গ্র্যান্ড এরিয়া। অনেকে মনে করেন এই গ্র্যান্ড এরিয়া কথাটা থেকেই গেন্ডারিয়া নামকরণ হয়েছে। তবে গেন্ডারিয়া সত্যি সত্যিই গ্র্যান্ড এরিয়াই ছিল।

পৃথিবী বিখ্যাত আয়ুর্বেদীয় ঔষধালয়ের মূল কারখানা গেন্ডারিয়ার দীননাথ সেন রোডে। প্রতিষ্ঠাতা যোগেশচন্দ্র ঘোষ। কারখানার আশপাশে সারাক্ষণ ভাসে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের গন্ধ। মিউনিসিপ্যাল কমিটির নিজস্ব গরুগুলোর কোমরের কাছে ডিএমসি লেখা সিল মারা। ডিএমসি কথাটার মানে হচ্ছে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল কমিটি। মিউনিসিপ্যালটির নিজস্ব গরুর গাড়ি ছিল অনেক। গাড়িটানার কাজ শেষ হলে ধূপখোলা মাঠে গরুগুলো ছেড়ে দেওয়া হতো। সেসব গরু সাধনা ঔষধালয়ের পাশের ড্রেনে এসে মুখ দিত। সেই ড্রেনে কারখানার ভিতর থেকে আয়ুর্বেদীয় ওষুধের অপ্রয়োজনীয় তরল এসে পড়ছে। কিছুটা উষ্ণ। ধোঁয়া উড়ছে। গরুগুলো মুখ ডুবিয়ে সেই তরল পান করত। কী স্বাস্থ্য এক একটার! কারখানার ছাদে বিস্তর বানর থাকত। যোগেশবাবু নিয়ম করে তাদের খাবার দিতেন। ৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে যোগেশবাবুকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা।

আমাদের সেই সময়কার গেন্ডারিয়াতে কত বিখ্যাত মানুষ বাস করতেন। লেখক শিল্পী অভিনেতা অভিনেত্রী। গুণীজন অনেক। কাঠেরপুলটা হচ্ছে ডিস্টিলারি রোডে। তার পাশেই ভাটিখানা। উত্তর থেকে দক্ষিণে চলে গেছে যে রাস্তাটি তার শেষ মাথায় লোহারপুল। উত্তর থেকে দক্ষিণে সামান্য এগোলেই হাতের বাঁ-দিকে ঢুকে গেছে একটা গলি। গলিটার নাম সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢুকেছে। গলিতে দক্ষিণমুখী সুন্দর একটি দোতলা বাড়ি। গেটের কাছে কয়েকটা গাছ। বড় একটা নিমগাছ ছিল। এই বাড়িটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের তিন বিখ্যাত নায়িকার পৈতৃক বাড়ি। সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। এক বাড়ির তিন মেয়েই বিখ্যাত নায়িকা, এমন ইতিহাস পৃথিবীর আর কোনো পরিবারের আছে কি না, আমি জানি না। সুচন্দা বিখ্যাত ছিলেন তাঁর চোখের জন্য। বড় বড় সুন্দর চোখের জন্য তিনি আলাদাভাবে চলচ্চিত্র দর্শকদের প্রিয় ছিলেন। ববিতার ডাকনাম পপি। মণিজা রহমান গার্লস স্কুলে পড়তেন। চম্পাও পড়তেন একই স্কুলে। বাসন্তী গুহঠাকুরতা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। যতদূর জানি, চলচ্চিত্র নায়িকা শাবানাও একসময় একই স্কুলে পড়তেন। তখন তাঁর নাম ছিল রত্না। আরেকজন বিখ্যাত নায়কের বাড়ি দীননাথ সেন রোডে। তাঁর নাম শওকত আকবর। অত্যন্ত সুদর্শন ও সুপুরুষ। তাঁর পিতা ছিলেন গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের ইসলাম ধর্মের শিক্ষক। আমাদের কত প্রিয় শিক্ষক সেই স্কুলে। হেড স্যারের নাম সুধীর চৌধুরী। অত্যন্ত গুরুগম্ভীর মানুষ। বিশাল পণ্ডিত। তাঁর একটি বিখ্যাত ইংরেজি গ্রামার বই ছিল। নিজের চেয়ারে গম্ভীর মুখে বসে থাকতেন। সেভেন আপ ছিল তাঁর প্রিয় পানীয়। কেরানি স্যার বসতেন তাঁর অদূরে ছোট একটা টেবিলে। তাঁর ঠোঁটের কাছে শ্বেতির দাগ ছিল। কেরানি স্যারের কাছে কাজে গেলে আড়চোখে হেড স্যারের দিকে তাকাতাম। টেবিলের ওপর ঠিকই তাঁর হাতের কাছে সেভেন আপের সবুজ বোতলটা দেখা যেত। দপ্তরি ছিলেন শাহজাহান। নজরুল স্যার, দুজন রহমান স্যার। এ রহমান ও বি রহমান। ফখরুল স্যার বিজ্ঞান পড়াতেন। রউফ স্যার ওপরের ক্লাসে পড়াতেন ইংরেজি। আর আমাদের খুব প্রিয় শিক্ষক ছিলেন বুলেট স্যার। তাঁর আসল নাম ভুলেই গেছি। আমার মতো গেন্ডারিয়া হাই স্কুলের অনেক ছাত্রই বুলেট স্যারের আসল নাম মনে করতে পারবে না। এই নামেই বিখ্যাত ছিলেন স্যার। আশু স্যার আর ফখরুল স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের সঙ্গে পড়ত হিরা। দীননাথ সেন রোডে ওদের বাড়ি। পোস্তগোলায় ওর বাবা সিনেমা হল নির্মাণ করলেন। ডায়না। হিরা আমাদের কখনো কখনো সেই হলে নিয়ে মাগনা সিনেমা দেখাত। দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাড়ি বদল করে অনেকে চলে এসেছিলেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে। সে রকম বহু পরিবার আছে গেন্ডারিয়াতে। তারা প্রায় সবাই অবস্থাপন্ন। রজনী চৌধুরী রোডে ছিল ওয়াহিদ কোম্পানির বাড়ি। ওয়াহিদ সাহেব বিক্রমপুরের মানুষ। লঞ্চের ব্যবসা ছিল তাঁর। বাড়িতে সারাক্ষণ গানবাজনা আনন্দ-উৎসব চলছে। এই বাড়ির ছেলে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তাঁর ছেলে হাবীব ওয়াহিদ এই প্রজন্মের ভীষণ জনপ্রিয় শিল্পী। ধূপখোলা মাঠের দক্ষিণ দিকটায় রাস্তার ধারে বিকেলবেলা চিনাবাদাম, আচার, ঝালমুড়ি, সোনপাপড়ি এসব নিয়ে বসতেন ফেরিওয়ালারা। গান গেয়ে গেয়ে আচার বিক্রি করতেন একজন বয়াতি। পরবর্তীকালে দেশজোড়া খ্যাতি হয় তাঁর। রেডিও-টেলিভিশনে গান করতেন। মঞ্চ অনুষ্ঠানে তাঁর গান শুনতে হাজার হাজার শ্রোতা জড়ো হতেন। তাঁর নামটা আমি ইচ্ছা করেই বলছি না। আমার সঙ্গে একবার ফোবানা সম্মেলনে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।

গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে কত বন্ধুবান্ধব। তারা প্রায় সবাই গেন্ডারিয়াতে থাকে। শুধু মোহাম্মদ আলী বা বুলু থাকে শ্যামপুরে। রেললাইনের ধারে ওদের বাড়ি। আমরা দলবেঁধে সেই বাড়িতে যেতাম। আমাদের প্রধান আড্ডা ছিল মানবেন্দ্রদের বাড়িতে। সাধনার ঠিক উল্টো দিকে বিশাল বাড়ি ওদের। গেন্ডারিয়া এলাকার পুরনো বাড়িগুলোর একটি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯০০ সালের দিকে। গেন্ডারিয়া এলাকার দশ-এগারোটা বাড়িতে পর্যায়ক্রমে ভাড়ায় থেকেছি আমরা। ফেরদৌস ওয়াহিদদের বাড়িতে থেকেছি। সেই বাড়িও রজনী চৌধুরী রোডেই। তার আগে থেকেছি রজনী চৌধুরী রোডের আরেকটি বাড়িতে। বাড়ির নম্বরটি আমার এখনো মনে আছে ১৪/১/এ। এই বাড়িটায় স্বাধীনতার আগে কিছুদিন থেকেছি, সুন্দর চৌচালা একটা টিনের ঘরে। স্বাধীনতার পর থেকেছি একতলা দালানটিতে। এই বাড়ির ঠিক উল্টো দিকের বাড়িটি ছিল বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার হামিদ ভাইদের। তিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যে টিনের ঘরটিতে আমরা থাকতাম, সেই ঘরে ষাটের দশকের শুরুর দিককার কয়েক বছর মা-বাবা ভাইবোনের সঙ্গে থাকতেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি আবুল হাসান। এই বাড়ি থেকেই শুরু হয়েছিল আমার লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই দিনটি আজও পরিষ্কার দেখতে পাই। প্রথম গল্পটি লিখে খামে ভরেছি। দুপুরের দিকে ধূপখোলা মাঠ পেরিয়ে উত্তর পাশে যাচ্ছি। সেখানে নতুন পোস্ট অফিস হয়েছে। পোস্ট অফিসে গিয়ে খামে স্ট্যাম্প লাগিয়ে পোস্ট বক্সে ফেলে দিয়েছি। পরের সপ্তাহেই পূর্বদেশ পত্রিকার চাঁদের হাট-এর পাতায় সেই গল্প ছাপা হলো। সদ্য যুবক হয়ে ওঠা একটি ছেলের জীবন নতুন দিকে বাঁক নিল। সেসব দিনে একা একা হাঁটতে হাঁটতে কোনো কোনো বিকেলে চলে গেছি গেন্ডারিয়া স্টেশনে। স্টেশনের পূর্ব পাশে রেললাইনের ধারে বেশ কিছু কৃষ্ণচূড়া গাছ। তার তলায় বাঁধানো বেঞ্চ। উদাস হয়ে সেই বেঞ্চে বসে নিজের জীবনের কথা ভেবেছি। এখনো মাঝে মাঝে সেসব বিকেলের কথা মনে পড়ে। যেন এখনো স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া তলার বেঞ্চে বসে আছি। হয়তো বা জীবনের রেলগাড়িটির জন্য অপেক্ষা করছি। কু ঝিকঝিক করে বহু দূর থেকে আসবে এক আলোকিত রেলগাড়ি। সেই গাড়িতে চড়ে আমি যেন চলে যাব স্বপ্নের এক জগতে।

লেখক : কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
দুনিয়ার সব ভাষা আল্লাহর সৃষ্টি
দুনিয়ার সব ভাষা আল্লাহর সৃষ্টি
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
সর্বনাশা দুর্নীতি
সর্বনাশা দুর্নীতি
আমাদের বাংলা ভাষা
আমাদের বাংলা ভাষা
নিচে নামতে কারও সাহায্য লাগে না
নিচে নামতে কারও সাহায্য লাগে না
বিশ্বাসের এদিক-ওদিক
বিশ্বাসের এদিক-ওদিক
দিলের ময়লা দূর করতে আসছে রমজান
দিলের ময়লা দূর করতে আসছে রমজান
সৌদিতে রোহিঙ্গা
সৌদিতে রোহিঙ্গা
ভূমির সার্ভারে ত্রুটি
ভূমির সার্ভারে ত্রুটি
শোক সাহচর্য ও মানসিক নৈকট্য
শোক সাহচর্য ও মানসিক নৈকট্য
মব কর্তৃত্ব : গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অবক্ষয়
মব কর্তৃত্ব : গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অবক্ষয়
ধোঁকাবাজির রাজনীতি! মোনাফেকির বাদশাহি!
ধোঁকাবাজির রাজনীতি! মোনাফেকির বাদশাহি!
সর্বশেষ খবর
কোমরব্যথা কেন হয়, কীভাবে এড়াবেন
কোমরব্যথা কেন হয়, কীভাবে এড়াবেন

৫০ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

বগুড়ার জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ
বগুড়ার জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যখন আলোচনায়, তখন এরদোয়ানের দ্বারে জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যখন আলোচনায়, তখন এরদোয়ানের দ্বারে জেলেনস্কি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ো, অন্যথায় ধরা পড়বেই’
‘স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ো, অন্যথায় ধরা পড়বেই’

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নাটোর ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাসিম, সম্পাদক কামাল
নাটোর ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের সভাপতি নাসিম, সম্পাদক কামাল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজনীতির ভাষায় কথা বলতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জামায়াত আমিরের
রাজনীতির ভাষায় কথা বলতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জামায়াত আমিরের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাবিতে ছাত্রদল-বৈষম্যবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ
ঢাবিতে ছাত্রদল-বৈষম্যবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন অ্যারাইভাল ভিসা ইস্যুর জন্য অ্যাপ চালু করল পাকিস্তান
অন অ্যারাইভাল ভিসা ইস্যুর জন্য অ্যাপ চালু করল পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না : প্রিন্স
সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইলন মাস্ক উদঘাটন করলেন দুর্নীতির ভয়ংকর তথ্য!
ইলন মাস্ক উদঘাটন করলেন দুর্নীতির ভয়ংকর তথ্য!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা কোনও পরিকল্পনাই নয়: মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা কোনও পরিকল্পনাই নয়: মার্কিন সিনেটর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখের ‘ডানকি’
ফের প্রেক্ষাগৃহে শাহরুখের ‘ডানকি’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বরিশালে তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
বরিশালে তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন গান নিয়ে আসছেন ব্ল্যাকপিঙ্কের জেনি
নতুন গান নিয়ে আসছেন ব্ল্যাকপিঙ্কের জেনি

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল গাইবান্ধার তিস্তা পাড়
দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল গাইবান্ধার তিস্তা পাড়

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা হবে না: এ্যানি
আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করা হবে না: এ্যানি

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ থানায় জব্দ করা গাড়িতে আগুন
সিরাজগঞ্জ থানায় জব্দ করা গাড়িতে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
বরিশালে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে রেল কর্মচারীর মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার
পার্বতীপুরে রেল কর্মচারীর মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামীর দেশ হবে ইসলামের : মামুনুল হক
আগামীর দেশ হবে ইসলামের : মামুনুল হক

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটে পাঁচ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু দূতের বৈঠক
পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু দূতের বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ
সিলেটে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

কুতুবদিয়ায় গলায় বেলুন আটকে শিশুর মৃত্যু
কুতুবদিয়ায় গলায় বেলুন আটকে শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিস্তা প্রকল্প দ্রুত শুরু করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
তিস্তা প্রকল্প দ্রুত শুরু করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে: চীনা রাষ্ট্রদূত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়া ফেলেছে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার, রাজনৈতিক বইয়ে ঝুঁকছে পাঠক
সাড়া ফেলেছে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার, রাজনৈতিক বইয়ে ঝুঁকছে পাঠক

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বইমেলায় আতিকা রহমানের প্রেম ও শূন্যতার কবিতা
বইমেলায় আতিকা রহমানের প্রেম ও শূন্যতার কবিতা

৩ ঘণ্টা আগে | একুশে বইমেলা

আইসিসিবিতে শুরু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ টেক্সটাইল মেশিনারি মেলা
আইসিসিবিতে শুরু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ টেক্সটাইল মেশিনারি মেলা

৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

সর্বাধিক পঠিত
উত্তরায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কোপ, দুই যুবক আটক
উত্তরায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কোপ, দুই যুবক আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থানকুনি পাতার ১০ উপকারিতা
থানকুনি পাতার ১০ উপকারিতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সৌদি যুবরাজ বৈঠকে যা আলোচনা হলো
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সৌদি যুবরাজ বৈঠকে যা আলোচনা হলো

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের দোয়া কবুল হয় না
যাদের দোয়া কবুল হয় না

১৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বয়সে ১০ বছরের ছোট প্রেমিককে বিয়ে করছেন কৃতি
বয়সে ১০ বছরের ছোট প্রেমিককে বিয়ে করছেন কৃতি

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার
সাবেক স্বাস্থ্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাতারের আমিরকে বরণে প্রথা ভেঙে বিমানবন্দরে মোদি
কাতারের আমিরকে বরণে প্রথা ভেঙে বিমানবন্দরে মোদি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক এমপিদের সেই ২৪ গাড়ির নিলামে সাড়া নেই
সাবেক এমপিদের সেই ২৪ গাড়ির নিলামে সাড়া নেই

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফিলিস্তিনি ভেবে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ইসরায়েলিকে গুলি
ফিলিস্তিনি ভেবে যুক্তরাষ্ট্রে দুই ইসরায়েলিকে গুলি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রমজানে ২২ স্থানে সেহরি ও ইফতার দেবে ডিএনসিসি
রমজানে ২২ স্থানে সেহরি ও ইফতার দেবে ডিএনসিসি

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টানা তিনদিন বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
টানা তিনদিন বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকা ফেরত ভারতীয়দের জায়গা দেবে কোস্টারিকা
আমেরিকা ফেরত ভারতীয়দের জায়গা দেবে কোস্টারিকা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৮ বছরের সম্পর্কে বিরতি দিয়ে নাইট রাইডার্সে হেলস
১৮ বছরের সম্পর্কে বিরতি দিয়ে নাইট রাইডার্সে হেলস

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত: আসিফ মাহমুদ
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত: আসিফ মাহমুদ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ আজ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় হারের স্বাদ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখছে বাংলাদেশ
বড় হারের স্বাদ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পা রাখছে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের
পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইরানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধের হুমকি স্থায়ী কর্মীদের
২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধের হুমকি স্থায়ী কর্মীদের

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিমানবন্দরে উল্টে গেল উড়োজাহাজ, আহত ১৮
বিমানবন্দরে উল্টে গেল উড়োজাহাজ, আহত ১৮

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নবির
ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন নবির

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনী সীমান্তে রাতের আঁধারে বিএসএফের বাঙ্কার খনন, আবারও উত্তেজনা
ফেনী সীমান্তে রাতের আঁধারে বিএসএফের বাঙ্কার খনন, আবারও উত্তেজনা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পলকের স্ত্রীর ২৮ বিঘা জমি জব্দ ও ১৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
পলকের স্ত্রীর ২৮ বিঘা জমি জব্দ ও ১৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গুম-আয়নাঘর শেখ মুজিবের আমল থেকেই শুরু : মাহফুজ আলম
গুম-আয়নাঘর শেখ মুজিবের আমল থেকেই শুরু : মাহফুজ আলম

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাতজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেন ‘কব্জিকাটা গ্রুপে’র প্রধান আনোয়ার
সাতজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেন ‘কব্জিকাটা গ্রুপে’র প্রধান আনোয়ার

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুয়েটে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৫০
কুয়েটে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ৫০

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইরানি বিপ্লবী গার্ডের নতুন মহড়া শুরু
ইরানি বিপ্লবী গার্ডের নতুন মহড়া শুরু

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে আনা হলো সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে
ট্রাইব্যুনালে আনা হলো সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী বৈশাখি আটক
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী বৈশাখি আটক

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ছিটিয়ে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
নাকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ ছিটিয়ে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদা দিলেন ড. ইউনূস
বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন মর্যাদা দিলেন ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

হাজার কোটি লুটের আয়োজন!
হাজার কোটি লুটের আয়োজন!

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সেন্সরযুক্ত ক্যামেরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সেন্সরযুক্ত ক্যামেরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধুত্ব চাইলে পানি দিন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করুন
বন্ধুত্ব চাইলে পানি দিন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়
নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

খেলাপির বোঝায় চরম শঙ্কা
খেলাপির বোঝায় চরম শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা করের আওতায় আসছেন
গ্রামাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা করের আওতায় আসছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলাভিত্তিক টাস্কফোর্স
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে জেলাভিত্তিক টাস্কফোর্স

প্রথম পৃষ্ঠা

ধরনই বদলেছে, নির্যাতন থামেনি
ধরনই বদলেছে, নির্যাতন থামেনি

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র যানজট
তীব্র যানজট

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা নির্ধারণে আসছে আইন
সীমানা নির্ধারণে আসছে আইন

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন পাসপোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে
নতুন পাসপোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বাংলা শেখাতে গিয়ে যেন পাই বিশ্বদর্শন
বিদেশিদের বাংলা শেখাতে গিয়ে যেন পাই বিশ্বদর্শন

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনূস-মোদি কথা হবে বিমসটেক সম্মেলনে
ইউনূস-মোদি কথা হবে বিমসটেক সম্মেলনে

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্প নিয়ে সংকটে রাজশাহী
শিল্প নিয়ে সংকটে রাজশাহী

নগর জীবন

টালবাহানা করে দেশ বেশি দিন অগণতান্ত্রিক রাখবেন না
টালবাহানা করে দেশ বেশি দিন অগণতান্ত্রিক রাখবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশব্যাপী আজ বিক্ষোভ সমাবেশ জামায়াতের
দেশব্যাপী আজ বিক্ষোভ সমাবেশ জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

সব বঞ্চনার কবর রচনা করতে হবে
সব বঞ্চনার কবর রচনা করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

অনেক বড় দুর্নীতি ধামাচাপা
অনেক বড় দুর্নীতি ধামাচাপা

প্রথম পৃষ্ঠা

র‌্যাব পরিচয়ে ২২ লাখ লুট
র‌্যাব পরিচয়ে ২২ লাখ লুট

প্রথম পৃষ্ঠা

আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না
আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে দাফন করেছেন
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে দাফন করেছেন

নগর জীবন

ট্রেন চালাচ্ছেন চার সন্তানের জননী
ট্রেন চালাচ্ছেন চার সন্তানের জননী

নগর জীবন

নিচে নামতে কারও সাহায্য লাগে না
নিচে নামতে কারও সাহায্য লাগে না

সম্পাদকীয়

১৯ ফেব্রুয়ারি আসবে নতুন ‘আইফোন’!
১৯ ফেব্রুয়ারি আসবে নতুন ‘আইফোন’!

টেকনোলজি

চেয়ারম্যানকে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা
চেয়ারম্যানকে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা

দেশগ্রাম

নির্বাচন যত দেরি হবে সমস্যা তত বাড়বে
নির্বাচন যত দেরি হবে সমস্যা তত বাড়বে

প্রথম পৃষ্ঠা

অপপ্রচার চালিয়ে পিছিয়ে রাখা যাবে না
অপপ্রচার চালিয়ে পিছিয়ে রাখা যাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠকদের নেতৃত্বে নতুন সংগঠন
জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠকদের নেতৃত্বে নতুন সংগঠন

পেছনের পৃষ্ঠা