চার্বাক দর্শনে বলা হয়েছে, ‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিরেৎ, যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ।’ মানে ঋণ করে হলেও ঘি খাও, যত দিন বাঁচো, সুখে বাঁচো। বাংলাদেশের মানুষ এ তত্ত্ব ভালোই রপ্ত করেছে। তারই ফলাফল হচ্ছে, ব্যাংকগুলোর লাখো লাখো কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিছু ব্যাংককে জরুরি নগদ সহায়তা দিয়ে চালু রাখা হয়েছে। কিছু ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত করে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। এই যখন অবস্থা, তখন দুশ্চিন্তার কারণ সৃষ্টি করেছে সাম্প্রতিক একটি তথ্য-এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রায় লাখো কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। এই ঋণ প্রবৃদ্ধির হার গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মেগা প্রকল্পের কাজ বন্ধ। স্বভাবতই সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এত ঋণ নিয়ে কী করছে সরকার? প্রধানত সরকারের ঋণের কারণ বাজেট ঘাটতি মেটানো। এ ছাড়া বড় কোনো দুর্যোগে হঠাৎ ব্যয় বেড়ে গেলে সরকারের ঋণের পরিমাণ বাড়তে পারে। তবে চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার বেশি না। উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন নিম্ন পর্যায়ে। সিপিডি বলেছে, অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার প্রায় ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৩১ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হার ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে, চলতি অর্থবছরের সাত মাসে সামগ্রিক বাজেট বাস্তবায়নের হার প্রায় ৩৫ শতাংশ। এ পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধিৎসু মহলে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার তবে ব্যাংক থেকে লাখো কোটি টাকা ঋণ নিয়ে কী করল? এর সম্ভাব্য কারণ বর্ণনা করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক। বলেছেন, সরকারের রাজস্ব আয় কমার কারণে ব্যাংকঋণ বাড়তে পারে। সঞ্চয়পত্র বিক্রিও কমেছে। সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে ভাঙার হার বেশি। ব্যবসাবাণিজ্য স্থবির হওয়াও একটা কারণ। অর্থনীতির কোনো খাতে গতি নেই। এসব কারণে সরকারের অর্থ জোগানোর পথগুলো সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য রক্ষায় বাজেট কাটছাঁট করেছে সরকার। তারপরও এত টাকা ঋণ নিয়ে সরকার কোথায় খরচ করল, তা নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। ব্যয়ের খাতগুলো পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা যায়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা সবাই মিলে বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। কারণ সরকারের ব্যয় বা ঋণ নিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা, প্রশ্ন-কৌতূহলের নানামুখে নানা ব্যাখ্যা হতে পারে। যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ থাকে। অপব্যাখ্যার আশঙ্কা থাকে। এর কোনোটিই কাম্য নয়।
শিরোনাম
- সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের চারজন মাটিচাপা
- ইন্টার মিলানকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি
- করিডোর ইস্যুতে সরকারের অবস্থান জানতে চাইল বিএনপি
- সেনাপ্রধানের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন কাদের, কোন মতলবে
- প্রথমার্ধেই পিএসজির দুই গোল
- আকস্মিক ঝড়ে অচল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া, জরুরি অবস্থা জারি
- গাজায় যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে হামাসের সংশোধনী প্রস্তাবনা
- দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
- ফাইনালের আগে বড় পরিবর্তন! পিএসজি-ইন্টারের একাদশে নতুন চমক
- সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, প্রস্তুত আশ্রয়কেন্দ্র
- বিজিএমইএ নির্বাচনে ফোরাম প্যানেলের জয়
- ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনেই ধরা খেল ৩৭ জন বিনা টিকিট যাত্রী!
- দুর্যোগের করণীয় বিষয়ে গলাচিপায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা
- প্রবাসীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল
- হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হচ্ছে আপনার ফোনে? তালিকায় কি আছে আপনার মডেল?
- হাজিদের জন্য ‘ফতোয়া রোবট’ চালু
- কেরোসিনের দাম লিটারে বাড়ল ১০ টাকা
- ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে দুর্দান্ত ড্র করল বাংলাদেশের মেয়েরা
- বাজেট কম হলেই ছবি বেশি সুপারহিট : ফারাহ খান
- টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল
লাখো কোটি টাকার ঋণ
প্রশ্ন-কৌতূহল নিরসনে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

সত্যিই কী বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন শি জিনপিংয়ের মেয়ে?
১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সমালোচনা করায় এমআইটির অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রী
১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম