গুম হওয়া বলতে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদতে কোনো ব্যক্তির নিখোঁজ হওয়াকেই বোঝে মানুষ। দেখেশুনে, ভীতিকর অভিজ্ঞতায়- এ এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। এর অবসান ঘটতে চলেছে। নতুন অধ্যাদেশ আসছে, যাতে গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তার সঙ্গে হতে পারে কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা মনগড়া কোনো অজুহাতে কাউকে গুম করা যাবে না। ব্যাপক সমালোচিত গোপন আটক কেন্দ্র (আয়নাঘর) স্থাপন ও ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করে ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। তাতে কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিজ পরিচয়ে বা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাউকে গুম করলে, তার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কারোই ছাড় নেই। গুমের ঘটনা তদন্ত করবে মানবাধিকার কমিশন। এ ছাড়া গুমের শিকার ব্যক্তির চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণে বিশেষ তহবিল গঠন করা হচ্ছে। গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি যেন আদালতের সম্মতিতে ব্যবহার বা হস্তান্তর করা যায়- তার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। দেশে ইতোপূর্বে যারা গুম হয়েছেন বা হতে পারেন- এমন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে এ অধ্যাদেশ জারি করা হচ্ছে। খসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। অবিলম্বে এর অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রত্যাশিত। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আট বছরেই চার শতাধিক ব্যক্তি গুম হন। চব্বিশে স্বৈরাচার পতনের আগপর্যন্ত বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে গুম-খুন-অপহরণের এ চর্চা নির্বিচারে চলেছে। তাতে কত পরিবার যে স্বজন, কত মা-বাবা প্রিয় সন্তান, স্ত্রী স্বামীকে, সন্তানরা বাবাকে হারিয়েছে- তার প্রকৃত হিসাব নেই। কখনো হয়তো তা নিরূপণও সম্ভব হবে না। রাষ্ট্রীয় মদতে গুম-অপহরণের এই চরম অমানবিক ও নিন্দনীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে অধ্যাদেশ জারির এ পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এটা জুলাই চেতনারই অংশ। দ্রুত এ অধ্যাদেশ জারি হোক। পাশাপাশি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব শতভাগ সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্নে সক্ষম হোক অন্তর্বর্তী সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে জনগণের এগুলোই সংগত প্রত্যাশা।
শিরোনাম
- বগুড়ায় পিতার লাশ আটকে রেখে সম্পত্তি আদায়
- বিনিয়োগের পরিবেশ প্রয়োজন
- স্বনামধন্য ব্যবসায়ীদের কপালেও ঋণখেলাপির তিলক
- কোরআন ও সুন্নাহ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে
- ‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ অক্টোবর)
- পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
- ‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
- অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
- এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
- ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
- বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রধান শিক্ষকের সংসার, মাঠ যেন গো-চারণভূমি
- পেকুয়ায় নৌবাহিনীর তিন দিনব্যাপী বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন শুরু
- পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচি নিয়ে নওশাদ জমির
- ন্যায্য পানি বণ্টন ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশের আহ্বান
- ২০২৫ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় তিন লাখ দক্ষিণ সুদানী: জাতিসংঘ
- ‘জামায়াত মায়া কান্না করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চায়’
- বাঞ্ছারামপুরে অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেফতার
- দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ আসছেন অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী ড. অ্যালি
- মুক্ত ১৫৪ ফিলিস্তিনিকে মিসরে পাঠাল ইসরায়েল
গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
দ্রুত অধ্যাদেশ জারি ও কার্যকর হোক
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম