দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের হামলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের শিকার হন। এমনকি দীপিকার সমালোচনায় মুখর হন বিজেপির নেতারাও। এসবের মধ্যেই ‘ছপাক’ সিনেমায় নাকি অ্যাসিড হামলাকারীর ধর্ম এবং নাম পরিবর্তন করার অভিযোগ তুলতে থাকেন কেউ কেউ।
বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও। তিনিও লেখেন, এভাবে একটি সিনেমায় অ্যাসিড হামলাকারীর ধর্ম এবং নাম পরিবর্তন করা উচিত নয়। এমনকি টুইটারে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগে দেখা যায় মুহূর্তে তালিকায় উপরের দিকে উঠে আসে ‘নাদিম খান’ এবং ‘রাজেশ’। অভিযোগ তোলা হয়, ২০০৬ সালে খান মার্কেটের ঘটনায় আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের উপর মূল হামলাকারী নাদিম খানের নাম পরিবর্তন করে রাজেশ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম এবং নাম দু'টাই পরিবর্তন করা হয়েছে।
কিন্তু না, আসলে এমন কিছুই হয়নি সিনেমাতে। কারণ সিনেমায় মালতির বয়ফ্রেন্ডের নাম রাখা হয়েছে রাজেশ। আর নাদিম নয়, হামলাকারীর নাম রাখা হয়েছে বাব্বো ওরফে বসির খান। অর্থাৎ বাবুল সুপ্রিয়সহ অধিকাংশ টুইটার ইউজার যারা বিষয়টি নিয়ে টুইট করে ‘ছপাক’ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, তারা পুরোপুরি ভুল তথ্য পোস্ট করেছেন। আর একথা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির আইটি সেলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অধিকাংশ নেটিজেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ