প্রথমে পরিচয়। এরপর আস্তে আস্তে সম্পর্কের গভীরে পৌঁছা। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিগুলো এরপর শেয়ার। কিন্তু এই ছবিগুলোই বুমেরাং হয়ে উঠে এক ভারতীয় শিল্পপতির যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেয়ের জন্য। ইন্টারনেটে সম্পর্কের বেশ ঘনিষ্ঠ ছবি পোস্ট করার হুমকি দিয়ে মোটা টাকা হাতানোর ছক অাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক। কিন্তু এক মামলার প্রেক্ষিতে সবকিছু জেনে যায় এফবিআই। অভিযুক্ত মার্কিন নাগরিক স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে।
ঘটনার শুরু ২০০৭ সালে। তখন ভারতীয় শিল্পপতি বিনোদ খোসলার মেয়ে নিনার (২৬) সঙ্গে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডগলাস টার্লোর (২৭) প্রথম দেখা হয় প্রোডাক্ট ডিজাইনিং প্রোগ্রামের ক্লাসে। ক্রমে দু'জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ২০০৯সালে নিনা ও ডগলাস যৌথ মালিকানায় 'লোখো' নামে একটি ডিজাইন সংস্থা খোলেন। কিন্তু ২০১০ সালে সম্পর্কে ইতি টেনে দেন দু'জনই।
২০১২ সালে নিনা ও তার মা নীরু খোসলাকে ই-মেলে নিনা খোসলার বেশ কয়েকটি নগ্ন ছবি পাঠায় ডগলাস। একই সঙ্গে সে হুমকি দেয়, ৭২,০০০ ডলার না পেলে ছবিগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সম্পর্ক চলাকালীন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিগুলো ডগলাসকে পাঠিয়েছিলেন নিনা নিজেই। নিনার মায়ের মোবাইল ফোনে ডগলাস মেসেজ পাঠায়, প্যারিস হিল্টনের নয়া সংস্করণের মা হিসেবে পরিচিত হতে চলেছেন আপনি!'
মেসেজ ও ই-মেইল পেয়ে খোসলা পরিবার ডগলাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি। উল্টো নিনার নতুন একটি নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ফের হুমকি দেয় সাবেক প্রেমিক ডগলাস। খোসলা ফাউন্ডেশনের কাছে ওই টাকা তার প্রাপ্য বলেও তিনি দাবি করেন। নিনার পরিবার এরপর আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। বিষয়টি অনুসন্ধানের ভার দেওয়া হয় এফবিআইকে।
ই-মেইলের সূত্র ধরে ডগলাসকে খুঁজে বের করতে অবশ্য বিশেষ বেগ পেতে হয়নি গোয়েন্দাদের। গোটা অনুসন্ধানের রিপোর্ট একটি হলফনামা মারফত আদালতে জমা দিয়েছেন সংস্থার স্যান ফ্র্যানসিস্কোর এজেন্ট গ্লেন সলমন-হিল। শুক্রবার মার্কিন জেলা দায়রা আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।