মানবজাতি মস্তিষ্ক সক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে গেছে। তাদের মস্তিষ্কের ওজন সম্পূর্ণ দেহের ওজনের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু এটি দেহের মোট শক্তির ২০ শতাংশ ব্যবহার করে। মস্তিষ্কের এই শক্তিসীমার আর বেশি ব্যবহার হলে মানুষ একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এমন দাবি করেছেন।
তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, মানবজাতি কি বিবর্তনের চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছে গেছে? এর উত্তর সম্ভবত মিলেছে। কারণ মানুষ ইতোমধ্যে আবিষ্কার করেছে পেনিসিলিন, কম্পিউটার, স্পেস শাটল, কৃত্রিম হৃৎপিন্ড ইত্যাদি। এমনকি প্রাণ সৃষ্টিরও গবেষণা চলছে। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে যে, প্রাণ সৃষ্টি এখন হয়ত সময়ের ব্যাপার মাত্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আবিষ্কারেরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিজ্ঞানীরা।
অনেক বিজ্ঞানীর মতে, নতুন করে ভাবনার আর কোনো ক্ষেত্র অবশিষ্ট নেই। মানবজাতির মস্তিষ্কের ক্ষমতা চূড়ান্ত পর্য়ায়ে পৌঁছেছে। এর চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হওয়া বাস্তবিক পক্ষে অসম্ভব বলেই তাদের দাবি।
বিজ্ঞানীদের দাবি, বর্তমানের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হতে চাইলে মানুষের মস্তিষ্কের আরো অনেক বেশি অতিরিক্ত শক্তি ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে। আর মানুষ তা সরবরাহ করতে অক্ষম।
ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মস্তিষ্কের গঠন বিশ্লেষণ এবং এর প্রতিটি কোষ কত শক্তি খরচ করে তা গণনা করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ু জীববিদ্যার অধ্যাপক সাইমন লাফলিন বলেন, “আমারা দেখেছি কাজ করতে হলে মস্তিষ্ক অবশ্যই শক্তি শোষণ করবে। আর শক্তির এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়েই আমাদের কর্মক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে। কাজ করতে গিয়ে শক্তির চাহিদা রয়েছে বলেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণেরই একটা সীমা রয়েছে এটা নিশ্চিত।”