প্রত্যেক বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকায়। আর যাওয়ার পথেই ঘটে যায় তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নটি। ধর্ষণ, যা সমাজের একটা অবক্ষয়ে পরিণত হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্য আমেরিকার দেশগুলো থেকে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে ৮০ শতাংশ মহিলা ও শিশু ধর্ষণের শিকার হন। পিউ রিসার্চ স্টাডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, শুধু এই বছরই প্রায় ৭০ হাজার কিশোর-কিশোরী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করে। এদের অধিকাংশই আসে মধ্য আমেরিকার দেশ এল-সালভাদর, গুয়েতেমালা ও হন্ডুরাস থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ধরা পড়া এরকম কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বালকের থেকে বালিকার সংখ্যা অনেক বেশি।
মূলত যৌন হয়রানির ভয়েই এইসব অল্প বয়সী কিশোরী ঘর ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পথে পা বাড়ায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার সময়ই তাদের সেই দুঃস্বপ্ন আবারও হানা দেয়।
গবেষণা সংস্থা ফিউশনের মতে, যদি সঙ্গী বিহীন অবস্থায় তারা পথে না বের হতো তাহলে তাদের এই ভাগ্য বরণ করতে হতো না। তবে কখনো কখনো ঘুষের টাকা যোগাড় করার জন্যেও তাদেরকে শরীর বিক্রি করতে হয়। অবস্থাটা এতটাই প্রকট হয়ে গেছে যে ধর্ষিত হওয়ার আগেই অনেক নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করা শুরু করে।
এক্ষেত্রে আরো একটি ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, নিপীড়তদের সংখ্যা সব সময় বাস্তবে তুলে ধরে সম্ভব হয় না। কেননা নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে, এই ভয়ে অনেকেই যৌন নিগ্রহের বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে না।