জীবনের জন্য প্রয়োনীয় উপাদান বিভিন্ন ধাতু এবং অধাতু তৈরি হয় সুপারনোভার বিস্ফোরণে এর পর ছড়িয়ে যায় মহাশূন্যে। ধারণা করা হচ্ছিলো এমনই এক সুপারনোভার ছাই পাওয়া গেছে গভীর সমুদ্রে এবং তা নিয়েই গবেষণার নতুন তথ্য উন্মোচিত হলো।
গভীর সমুদ্রে পৃথিবীর পৃষ্ঠের ক্রাস্ট অংশে আটকে থাকা ১০ সেন্টিমিটার সমান এক নমুনা পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। ২৪ মিলিয়ন বছর ধরে এর ওপরে জমা পড়েছে পলি। এর মাঝে সুপারনোভার ছাইও আছে বলে ধারণা করা হয়। গবেষকেরা মূলত প্লুটোনিয়াম-২৪৪ খুঁজে বের করার দিকে নজর দেন। কারণ এই তেজস্ক্রিয় মৌলটি ঘড়ির মতে কাজ করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ক্ষয় হতে থাকে। এর হাফ-লাইফ ৮১ মিলিয়ন বছর। এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য ছিলো চমকপ্রদ।
গবেষকেরা যা আশা করেছিলেন তার চাইতে অনেক কম পরিমাণে প্লুটোনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম জাতীয় ভারি ধাতু পাওয়া যায়। আমাদের গ্রহ যখন তৈরি হয়, তখন যেসব প্লুটোনিয়াম উপস্থিত ছিলো তারা সব ক্ষয় হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। সুতরাং পৃথিবীতে এখন কোনো প্লুটোনিয়াম-২৪৪ পাওয়া মানে তা এসেছে পৃথিবী সৃষ্টির পরের কোনো মহাজাগতিক ঘটনায়। গবেষণা থেকে জানা যায়, সাধারণ কোনো সুপারনোভার বিস্ফোরণে এমন ভারি ধাতুগুলো তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। বরং আরও বড় এবং বিশেষ কোনো ঘটনাতেই পর্যায় সারণীর তেজস্ক্রিয় মৌলগুলো তৈরি হতে পারে। এমন ঘটনার উদাহরন হতে পারে দুইটি নিউট্রন স্টার একত্রিত হবার ঘটনা।
বিডি-প্রতিদিন / ২৬ জানুয়ারি , ২০১৫ / নাবিল