পৃথিবীতে যাঁরা সফল তাঁরাই সাধারণের পুজো পান। তাঁদেরই মূর্তি বসে সভ্যতার রাজপথে। কিন্তু সব সাফল্যের খতিয়ান একরকম নয়। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী একজন বাধা পেরিয়ে যখন সাফল্য ছিনিয়ে আনেন তখন তা নিসন্দেহে বাড়তি মাত্রা পায়। কিন্তু সেই সাফল্যকে যত সম্মানই দেওয়া হোক না কেন, তা উদযাপন করতে স্ট্যাচু তৈরির ভাবনা খুব একটা ভাবে না সক্ষম-সভ্যতা।
প্রতিবন্ধীদের সম্মান জানিয়ে কোনও স্ট্যাচুর কথা তাই বিশেষ শোনাও যায় না। তবে নেই নেই করেও তা আছে। সারা বিশ্বে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি স্ট্যাচু আছে যেখানে প্রতিবন্ধীদের দুনিয়া, তাঁদের সাফল্যকেও চিরন্তন করে রাখা হয়েছে।
লন্ডলের ট্রাফলগার স্কোয়ারে মার্ক কুইনের তৈরি ‘অ্যালিসন ল্যাপার প্রেগন্যান্ট’-এরকমই একটি স্ট্যাচু। অ্যালিসান ল্যাপারের জন্ম থেকেই হাত-পা ছিল না। বাডি-সমাজ সকলের কাছেই ব্রাত্য, প্রান্তিক ছিলেন তিনি। সেই প্রান্তিকতাকে তিনি অতিক্রম করেছিলেন স্রেফ আত্মবিশ্বাসে। তাঁকে কৃত্তিম পা দেওয়া হলে তিনি তা নিতে প্রত্যাখান করেন। মুখ দিয়ে তুলি ধরে তিনি ছবি আঁকতেন। তাতেই অর্জন করেছিলেন খ্যাতি। এরকমই বর্ণময় চরিত্রকে নিয়ে মার্ক কুইন মার্বেল পাথরের স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন। ২০০৫ সালে সেটি স্ট্রাফলগার স্কোয়্যারে বসানো হয়। চিরন্তন লড়াই, মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে ধরা হয় এই স্ট্যাচুটিকে। ওয়াশিংটন ডিসির এফডিআর মোমোরিয়ালের সামনে আছে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের হুইলচেয়ারে বসে থাকা মূর্তি।
সংখ্যায় কম হলেও এরকম কয়েকটি মূর্তি আছে যেখানে প্রতিবন্ধী সাফল্যকে আলাদা করে মনে রাখা হয়েছে।