মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ২০১১ সাল থেকেই আন্দোলন চলছে।
শুরুতে আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানানো হলেও বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে সহিংস রাস্তা বেছে নেয়া হয়।
পশ্চিমা সহায়তার নিয়ে সিরিয়ার একাংশ দখল করে বিদ্রোহী অংশ আসাদ সমর্থকদের ওপর হামলা চালাতে শুরু করে।
আভ্যন্তরীন গোলোযোগের এক পর্যায়ে ২০১১ সালের শেষের দিকে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি তেল খনি সমৃদ্ধ অঞ্চলে দখল করে নেয় দায়েশ নামের একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, যদিও পশ্চিমা দেশগুলো এই সংগঠনটিকে ইসলামিক স্টেট নামে অভিহিত করে।
সিরিয়ার একাংশ দায়েশ দখল করে নেয়ার পর থেকে আসাদ বাহিনীকে একদিকে বিদ্রোহী, অন্যদিকে দায়েশের হামলা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। যুদ্ধে আসাদ বাহিনীকে প্রতিদিনই দুই পক্ষেকে সামলাতে হচ্ছে।
সিরিয়ার রেগুলার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নারী সেনাবাহিনী সদস্যদেরও যুদ্ধে নামানো হয়েছে।
লিবীয় প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি যেমন দেশের নিরাপত্তার জন্য নারীদেরও সেনাবাহিনীতে অর্ন্তভূক্ত করেছিলেন, তেমনি বাশার আল আসাদও দেশ রক্ষায় নারীদের সেনাবাহিনীতে অর্ন্তভূক্ত করেছেন। এবং এখন তারা রণাঙ্গণে যুদ্ধও করছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ এপ্রিল,২০১৫/নাবিল