শুধু রক্তেই নয়, চোখেও বাসা বেঁধে ঘাপটি মেরে বসে থাকতে পারে এবোলা ভাইরাস। এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে। কারণ রক্ত থেকে এবোলা দূর করলেই এ থেকে মুক্তি মিলবে সে কথা মনে করার দিন শেষ হয়ে গেছে।
এ তথ্যটি বেরিয়ে আসে তখনই যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজনের চোখে প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সিয়েরা লিওনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন ড. ইয়ান ক্রোজিয়ার। সেখানেই এই ৪৩ বছর বয়সী আমেরিকান চিকিৎসক এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। অবশেষে রক্ত থেকে দূর করা হয় এই ভাইরাস। কিন্তু কয়েক মাস পর আবারো তার দেহে পাওয়া যায় এবোলা। তখন এই ভাইরাস জায়গা করে নিয়েছে তার চোখে।
সিয়েরা লিওনে এবোলায় আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে আমেরিকার এমোরি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের স্পেশাল এবোলা ইউনিটে চিকিৎসা করা হয়। গত অক্টোবরে সুস্থ হয়ে বের হন ড. ইয়ান।
তবে ফেরার পর নাকি তার চোখে নানা সমস্যা হচ্ছিল। চোখের রক্তচাপ খুব বেশি ছিল তার। প্রায়ই দুই চোখ ফুলে উঠতো এবং ঝাপসা দেখতেন। তিনি আবার ফিরলেন এমোরির অপথালমোলজিস্ট ড. স্টিভেন ইয়ে। সন্দেহ হয় এই চক্ষু বিশেষজ্ঞের। তিনি চোখ থেকে কিছু তরল নিয়ে এবোলা টেস্ট করেন এবং পজিটিভ ফলাফল আসে। কিন্তু চোখের পানি বা বাইরের দিকের টিস্যুতে পর্যন্ত এবোলার কোনো নামগন্ধ ছিল না।
এখন আবারো এবোলার চিকিৎসা চলছে তার। দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে এসেছে। এখনো পরিষ্কার দেখতে পারছেন না। এর আগে যারা এই ভাইরাতের হাত থেকে জীবন ফিরে পেয়েছেন, তাদের মধ্যেও দৃষ্টিশক্তিজনিত নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পশ্চিম আফ্রিকায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৬ হাজার মানুষ এবোলায় আক্রান্ত হয়।
কাজেই শুধু দেহ থেকেই এবোলা দূর করলে হবে না। চোখ থেকে শুরু করে দেহের নানা প্রত্যঙ্গে লুকিয়ে থাকতে পারে এই মারাত্মক ভাইরাস। সূত্র : ফক্স নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/১১ মে ২০১৫/ এস আহমেদ