পানকৌড়ি আর বক পাখিদের নিরাপদ আস্তানা দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ীর শহীদমিনার এলাকা। ভোর হওয়ার সাথে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। উচুঁ গাছের দিকে তাকালে দেখা যাবে শত শত পানকৌড়ি আর বকের নিরাপদ প্রজনন আবাসস্থল। প্রজননের জন্য আসা এসব অতিথি পাখিদের ভালোবাসে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকার কাঁঠাল, আম, নিম, মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের ডালে বাসা বেঁধেছে শত শত সাদা বক ও কালো পানকৌড়ি। বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এসেছে এসব পাখি। প্রজনন শেষে বাচ্চাগুলো বড় হওয়ার পর ভাদ্র মাসেই চলে যায় তারা।
স্থানীয় মো. মোস্তফা, মাহফুজসহ অনেকে বলেন, এরা বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আসতে শুরু করে এবং ৫ মাস অবস্থান করে প্রজনন শেষে চলে যায়। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা, আত্রাই, গাবুরা নদীসহ খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে নানা জাতের মাছ, পোকামাকড় ও শামুক-ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। কেউ তাদের বিরক্ত করে না। তাই এখানে নিরাপদ আশ্রয়ে বাসা বেঁধে ডিম দেয় এবং বাচ্চা ফুটায় তারা। মা পাখিরা খাবার সংগ্রহ করে এনে মুখে তুলে দেয় বাচ্চা পাখির। সন্ধ্যায় মা পাখিরা যখন ঘরে ফেরে তখন শত শত পাখির ডাকে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পাখির কলকাকলি উপভোগ করতে হলে আসতে হবে ভোর ৬টার আগে বা সন্ধ্যা ৬টার পরে। সকাল আর সন্ধ্যায় পাখির কলকাকলি অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে।
সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য মো. ফয়সল হাবিব সুমন বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গাছে গাছে বক ও পানকৌড়ি বাসা বেঁধেছে। পাখিগুলোকে যেন কেউ মারতে বা বিরক্ত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন করেছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল