২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে মাছ চাষ হচ্ছে নাটোরে

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিতে মাছ চাষ হচ্ছে নাটোরে

যুক্তরাষ্ট্রের ইন পিন্টা রেসওয়ে সিস্টেম (আইপিআরএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ চাষ হয়েছে নাটোরে। এই মাছ এখন বিদেশে রফতানির প্রক্রিয়া চলছে। কম খরচ ও কম সময়ে অধিক মাছ উৎপাদনের এই প্রযুক্তিতে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। একটি পুকুরকে একাধিক ভাগ করে মাছ চাষ করা যায় আইপিআরএস পদ্ধতিতে। 

চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির সহযোগিতায় নাটোরের জাঠিয়ান ভবানীপুরে প্রায় ১৪ বিঘা জমির ওপর আইপিআরএস পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করে হোসেন এন্ড অ্যাগ্রো। 

বর্তমানে এই খামারের উৎপাদিত মাছ বিদেশে রফতানির প্রক্রিয়া চলছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই খামারে অনেকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

খামার মালিক ও কর্মীরা জানান, এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুকুরে নদীর মতো কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করা হয়। কম হয় উৎপাদন খরচও। কর্মীরা জানান, এখানে অধিক ঘনত্ব মাছ চাষ হচ্ছে এবং এই মাছগুলো খুবই সুস্বাদু। এখানকার মাছ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে ঢাকায় সরবরাহ করে থাকি। সামনে বিদেশেও মাছ রফতানি করা হবে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে স্রোতের মাধ্যমে মাছ চাষ হচ্ছে, এতে দ্রুত মাছগুলো বড় হচ্ছে।  

খামার মালিক সারোয়ার হোসেন ইমন বলেন, খাবার খরচ অনেক কম এবং মাছের কোন রোগ আমরা দেখতে পাইনি। দ্রুতই মাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।

প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খামার দেখতে এসে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেকে। কৃষি বিভাগ বলছে, আধুনিক ও উন্নত এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে খামারিরা উপকৃত হবেন।

নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যদি এই প্রযুক্তি দেশের যারা বড় বড় খামারি আছেন তাদের মধ্যে যদি ছড়িয়ে দিতে পারি তাহলে অনেক অল্প খরচে উন্নতমানসম্পপন্ন ব্যাপক মাছ উৎপাদন করতে পারবো। 

৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে পুকুরের একেকটি চেম্বারে ২২ থেকে ৩২ টন পর্যন্ত মাছ উৎপাদিত হয়। এই পদ্ধতিতে মাছের বিষ্ঠা জৈব সার হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর