কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম গত রমজান মাসের আগে সেনাবাহিনী থেকে চাকরি ছাড়েন। এর আগে তিনি কানাডায় যান। সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি চাকরি ছাড়েন। এরপরই যোগ দেন জঙ্গি সংগঠনে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেন, স্বল্পকালীন এক প্রশিক্ষণে তিনি কানাডায় যান। বাংলাদেশে তিনি সামরিক প্রশিক্ষক হিসেবে জঙ্গি সংগঠন নিউ জেএমবিতে যোগ দেন। অস্ত্র চালনা থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিতেন জঙ্গিদের। তার বাবা নুরুল ইসলাম পুলিশের একজন সাবেক কর্মকর্তা। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার ৩৩ নম্বর সড়কের ১৪ নম্বর বাড়িতে পুলিশের অভিযানে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম। জাহিদুলের ছদ্মনাম জাহাঙ্গীর ওরফে মুরাদ। রূপনগর থানায় এ ব্যাপারে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) ইউসুফ আলী জানান, নিহত মেজর মুরাদের আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনে সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার থেকে তার আসল নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জঙ্গি সংগঠন নিউ জেএমবিতে মেজর মুরাদ ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে ওমর ফারুক নামে পরিচিতি ছিল। কুমিল্লায় জাহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, তিনি কানাডা থেকে ফিরে আসেন। রমজান মাসের আগে তিনি সেনাবাহিনীতে মেজর পদের চাকরি ছাড়েন। আর নিহত হওয়ার আগে ক্ষমা চেয়ে তার বাবাকে এসএমএস পাঠান জাহিদ। ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, ‘বাবা আমাকে মাফ করে দিও’। এই ক্ষুদে বার্তা পেয়ে হাইমাউ করে কাঁদেন জাহিদের বাবা। ঘটনার দিন চিকিৎসার কথা বলে তার বাবা-মা ঢাকায় যান। গ্রামের বাড়িতে কেউ নেই। তবে জাহিদের জঙ্গি হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না এলাকার মানুষ। গণমাধ্যমে খবর ও ছবি দেখে হতবাক এলাকাবাসী। গতকাল সরেজিমনে গিয়ে চান্দপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়। তবে তাদের বেশিরভাগই নাম প্রকাশ করতে চাননি। এলাকাবাসী জঙ্গি মুরাদ নয়, তাকে জাহিদুল ইসলাম নামেই জানেন ও চেনেন। তারা বলেন, ১৯৮৫ সালের দিকে জাহিদের বাবা নুরুল ইসলাম চান্দপুরে বাড়ি ‘ড্রিম হাউস’ বানিয়ে বসবাস শুরু করেন। তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নুরুল ইসলাম তার স্ত্রী, পুত্রবধূ ও দুই নাতনি (জাহিদের স্ত্রী-সন্তান) নিয়ে থাকেন। প্রথম ও তৃতীয় তলা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে গতকাল বাড়িতে জাহিদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের পাওয়া যায়নি। জানা যায়, কিছুদিন আগে জাহিদের বাবা নুরুল ইসলামের হার্টে রিং পরানো হয়েছে। গত শুক্রবার চিকিৎসার কথা জানিয়ে স্ত্রীসহ ঢাকায় গেছেন নুরুল ইসলাম। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত রোজার সময় স্থানীয় মসজিদে নুরুল ইসলাম বলেছিলেন, তার ছেলে জাহিদ মেজরের চাকরি ছেড়ে কানাডা চলে গেছে। তারা বলেন, জাহিদ যখন বাড়ি আসত তখন পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমন কথা বলত না। কুশলাদি জিজ্ঞেস করেই বাসায় ঢুকে যেত। নামাজের সময় হলে মসজিদে যেত। এর বেশি এলাকাবাসী তার সম্পর্কে জানত না। তবে জাহিদ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিল এটা সবাই জানত। কারণ জাহিদের নামে মাস শেষে রেশন আসত। রেশনের বস্তায় সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় জাহিদের নাম, পদবি দেখত প্রতিবেশীরা।
শিরোনাম
- ভারতের রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদের তালিকায় চার বিশিষ্ট নাগরিক
- জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস
- জুলাই শহীদদের স্মরণে খাবার বিতরণ করল শুভসংঘ বেরোবি শাখা
- অন্নদা স্কুলের দেড়শ বছর উদযাপনের কার্যক্রমের উদ্বোধন
- রাজধানীতে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- ভালুকায় যৌথ অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
- চলে গেলেন দক্ষিণের কিংবদন্তি অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও
- যে কারণে কমেডিয়ান রোজির নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প
- বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
- শাহীন ডাকাত বাহিনীর ক্যাশিয়ার ইকবালসহ গ্রেফতার ২
- মিটফোর্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
- সারা দেশে বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমতে পারে ২ ডিগ্রি
- এনবিআরের আন্দোলনকে সরকারবিরোধী রূপ দেওয়ার ষড়যন্ত্র ছিল: জ্বালানি উপদেষ্টা
- সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেফতার
- অস্ট্রেলিয়াকে অল্পেই গুঁড়িয়ে দিয়ে স্বস্তিতে নেই উইন্ডিজও
- ঝিনাইদহে ডিবি পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণ, আটক ৪
- এ সপ্তাহে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন : আলী রীয়াজ
- ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার যেকোনও কাজের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা কিমের
- ত্বকের ক্ষতি করতে পারে যেসব খাবার
- দেখার কেউ নেই শাবির অর্ধকোটি টাকার টেনিস কোর্ট
চাকরি ছেড়ে জঙ্গিতে যোগ দেয় জাহিদুল
বাবা পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক ও কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর