চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। নিজেদের মেয়াদের বাকি সময়ে ‘সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ’ নির্বাচন উল্লেখ করে শঙ্কা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। গতকাল নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে বরাবরের মতো ‘আমার বার্তা’ হিসেবে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচন উপলক্ষে দুটি প্রাণহানি ঘটেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটে, যেখানে পারস্পরিক আমি দেখেছি, পত্রিকায়, কিছু উচ্ছৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তাহলে তো সহিংসতার আশঙ্কা থেকেই যায়। এ নির্বাচন ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকা অপরিহার্য, নইলে তা ভ-ুল হয়ে যাবে। আগামীকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ভোট রয়েছে।
ভোটের দুই দিন আগে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যকালের অবশিষ্ট সময়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা ও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে অবাধ নিরপেক্ষ আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, নির্বাচনের পূর্বশর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধারণাও অবান্তর হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষের ভারসাম্য সৃষ্টি আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ নির্বাচন ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকা অপরিহার্য, নইলে তা ভ-ুল হয়ে যাবে। সুষ্ঠু নির্বাচন দলমতনির্বিশেষে সবার জন্য দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষা। তিনি জানান, নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। ভোট হচ্ছে স্বাধীন দেশে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, একটি পবিত্র আমানত। এর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হয়। নির্বাচন ভূলুণ্ঠিত হলে গণতন্ত্রও ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি আশা করি এই অতীব গুরুত্ববহ নির্বাচনে ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কাজে নিয়োজ্জিত সব অংশীজন প্রত্যেকেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে ব্যাপক অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ নির্বাচন উপলক্ষে দুটি প্রাণহানি ঘটেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটে, যেখানে পারস্পরিক আমি দেখেছি, পত্রিকায়, কিছু উচ্ছৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তাহলে তো সহিংসতার আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে আমরা আশা করব নির্বাচনের দিন অবাধ, সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হবে। তিনি জানান, কোনো ঘটনার দায় ইসি এড়াতে পারে না। সে জন্যই তো ইসিকে এত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনানুগ অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। আমরা জনগণের মনে নির্বাচনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি ও উদ্বুদ্ধ করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শামিল হতে চাই।
