রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত শামীম মোহনপুর উপজেলার পোতাহার গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তার কাছ থেকে শিশুটির বাড়ি থেকে পুলিশ চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা ললিতনগর এলাকায় টহলে ছিল। এ সময় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশ গুলি চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত করে। এর আগে গত শনিবার গভীর  রাতে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুমাইয়া বাড়িতে টিভি দেখে ঘুমাতে যায়। রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার বাবা-মা মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের একটি খড়ের পালার নিচে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে কাঁকনহাট পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের যৌনাঙ্গে রক্ত পাওয়া যায়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যে কোনো এক সময় শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ খড়ের পালার নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের সন্ধানে ছিল। মোবাইল ফোনটি উদ্ধারের পর তারা নিশ্চিত হয়েছে শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে শামীম জড়িত। বন্দুকযুদ্ধে নিহত শামীম এলাকায় পেশাদার চোর হিসেবে পরিচিত ছিল।