রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কারও ধর্ম পালনে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারও ধর্ম পালনে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পবিত্র কোরআন ও নবী (সা.)-এর অমর্যাদা হলে আমাদের সবার হৃদয়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইসলামে কারও ধর্মবিশ্বাসের ওপর আঘাত দেওয়ার সুযোগ নেই। নবী (সা.) বলেছেন, কারও ধর্ম পালনে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না। সংবিধানেও স্পষ্টভাবে বলা আছে, সব ধর্মাবলম্বী তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালনের যথাযথ সুযোগ পাবেন।

মহান আল্লাহতায়ালা, রসুল (সা.) ও কোরআন-সুন্নাহ তথা ইসলাম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন পাস করার দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এবং মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জেহাদী, সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, নায়েবে আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম, নায়েবে আমির হাফেজ কারি শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরী, নায়েবে আমির মুফতি ইয়াহহিয়া, মুফতি জসিম উদ্দিন, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন পাক্কা ঈমানদার। তিনি আলেম ওলামাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন। তিনি ওয়াদা করেছেন, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন করবেন না। প্রধানমন্ত্রী মরহুম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) কে সম্মান করতেন। তিনি দীর্ঘদিনের দাবি কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ পবিত্র কোরআন, নবী (সা.) ও ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে শাস্তিমূলক আইন পাস এবং কারাবন্দী সব নির্দোষ আলেম-ওলামার অনতিবিলম্বে মুক্তির জোর দাবি জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীর ঘটনায় যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের মধ্যে দুজন মাদরাসার ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে অপ্রীতিকর ঘটনা কীভাবে ঘটায় এ ব্যাপারে সর্তক থাকা উচিত ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দী নির্দোষ আলেমদের জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

সর্বশেষ খবর