শিরোনাম
সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্ষণগণনা শুরু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হচ্ছে আজ। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের শূন্য ছয়টি আসনের উপনির্বাচন শেষে প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি। এই নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে  বৈঠকে বসবেন সিইসি। বৈঠকে নির্বাচনের তফসিল ও ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই বৈঠক   হতে পারে। এদিকে স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন সিইসি। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, আজ ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্পিকারের সঙ্গে সিইসির বৈঠকের তারিখ ঠিক করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, তফসিল ঘোষণার পর ১০/১২ দিন সময় থাকবে মনোনয়নপত্র দাখিলের। একদিন সময় থাকবে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় থাকবে ৫/৬ দিন। এরপর ভোট গ্রহণের জন্য ৭/৮ দিন সময় দেওয়া হবে। তবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী একজনের বেশি না হলে, একক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পরীক্ষা শেষে তাকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত। 

বাংলাদেশ সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘(১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে উক্ত পদ শূন্য হইলে মেয়াদ- সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী নব্বই হইতে ষাট দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’ আগামী ২৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ। অ্যাডভোকেট আবদুুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে- নির্বাচনে প্রার্থী একজন হলে এবং পরীক্ষায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে ইসি তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। তবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করা হবে। একাধিক প্রার্থী হলে জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোটের আয়োজন করবেন।

ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্তকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।

বর্তমান সংসদে ৩৫০ আসনের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় একটি সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ মোট সাতটি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ছয় আসনের উপনির্বাচন রয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। পরে এই ছয় আসনের ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে সংরক্ষিত আসনটির নির্বাচন হবে।

এদিকে সংসদের চলতি অধিবেশন ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর